পীরগঞ্জ (ঠাকুরগাঁও) প্রতিনিধি
বাবা মারা গেছেন সাত-আট বছর আগে। বসতভিটা ছাড়া জমিজমা বলতে কিছুই নেই। বড় ভাইয়ের হাত-পায়ে সমস্যা থাকায় কাজকর্ম করতে পারেন না। দিনমজুর মায়ের আয়ে পড়াশোনা করে বিএ পাস করে সংসারের হাল ধরেন সাবানা (২৯)। তবে সেই সুখও বেশি দিন টেকেনি।
বড় ভাই রহিমের (৩৫) মতো সাবানারও হাত-পা অবশ হতে শুরু করলে চলাফেরা বন্ধ হয়ে যায় তাঁর। এরপর থেকে টাকার অভাবে দুই সন্তানের চিকিৎসা করাতে পারেননি মা রহিমা। এ অবস্থায় অচল সন্তানদের চিকিৎসা ও সংসার চালানো নিয়ে দুশ্চিন্তায় রয়েছেন তিনি।
ঠাকুরগাঁওয়ের পীরগঞ্জ উপজেলার জাবরহাট ইউনিয়নের চন্দরিয়া তালতলা গ্রামের মৃত আমির উদ্দীনের সন্তান সাবানা ও রহিম। বর্তমানে মাটির ঘরে মা রহিমা বেওয়া ও বড় ভাই আব্দুর রহিম লিটনের সঙ্গে বাস করেন তিনি।
সাবানা বলেন, বড় ভাইয়ের হাত-পা পঙ্গু। অন্যের সাহায্য ছাড়া চলাফেরা করতে পারেন না। মায়েরও বয়স হয়েছে। বসতভিটা ছাড়া জমিজমা বলতে কিছুই নেই। এরই মধ্যে কষ্ট করে চন্দরিয়া ডিগ্রি কলেজ থেকে বিএ পাস করেন। একপর্যায়ে শিক্ষকতার চাকরি নেন বেসরকারি সংস্থার একটি স্কুলে। ঝরে পড়া শিক্ষার্থীদের স্কুলে পড়ানো শুরু করেন। বাড়ির পাশেই স্কুলটি। শিক্ষাদানের পাশাপাশি সংসারের কাজও করতেন তিনি। কিন্তু বছর দু-এক আগে বড় ভাইয়ের মতো তাঁরও হাত-পা অবশ হতে শুরু করে। এরপর আস্তে আস্তে তা বাড়তে থাকে।
চিকিৎসা করিয়েছেন বিভিন্ন ডাক্তারের কাছে। কিন্তু কোনো লাভ হয়নি। বর্তমানে দুই হাত-পা অবশ হয়ে তিনিও চলাফেরা করতে পারেন না। টাকার অভাবে চিকিৎসাও বন্ধ। এ অবস্থায় কঠিন দুর্বিষহ অবস্থার মধ্য দিয়ে দিন কাটছে পরিবারটির।
সাবানার মা রহিমা বেওয়া বলেন, ‘স্বামী সাত-আট বছর আগে মারা গেছেন। মারা যাওয়ার পর সংসারটি দুর্বিষহ হয়ে পড়ে। এরপর সংসারের হাল ধরতে অন্যের জমি চাষ এবং মাঝেমধ্যে দিনমজুরের কাজ করে সংসার চলত। ছোট থেকেই বড় ছেলে লিটনের হাত-পায়ে সমস্যা। ঠিকমতো হাঁটতে পারেন না। কথাও ঠিকভাবে বলতে পারেন না। বিভিন্ন জায়গায় চিকিৎসা করানো হয়। কিন্তু ভালো হয়নি।’
রহিমা বেওয়া জানান, অন্যের সাহায্য সহযোগিতা ও প্রতিবেশীর বাড়িতে কাজকর্ম করে অনেক কষ্টে সংসার চালিয়েছেন। এত কষ্টের মধ্যে মেয়ে সাবানাকে বিএ পাস করিয়েছেন। এরপর সাবানা একটি বেসরকারি সংস্থার স্কুলে মাস্টারের চাকরি নেন। এ দিয়ে কোনোমতে সংসার চলত। তবে সংসারে সেই সুখও বেশি দিন টেকেনি।
রহিমা বেওয়া বলেন, ‘আমার বয়স হয়েছে। ঠিকমতো চলতে পারি না। সংসার দেখার মতো কেউ নেই। বিধবা ভাতা আর অন্যের সাহায্য-সহযোগিতায় খেয়ে না খেয়ে দিন পার করছি। এ অবস্থায় অচল দুই ছেলে-মেয়েকে নিয়ে কী যে দুশ্চিন্তায় আছি।’
একই গ্রামের সুকুরউদ্দীন জানান, পরিবারটি খুবই অসহায়। সংসার চালানোর মতো কোনো লোক নেই। দুই ভাই-বোন বিনা চিকিৎসায় ধুঁকে ধুঁকে মরছে। তাঁদের উন্নত চিকিৎসা করানো দরকার। টাকার অভাবে করাতে পারছেন না।
উপজেলা সমাজসেবা কর্মকর্তা এস এম রফিকুল ইসলাম জানান, রহিমা বিধবাভাতা পান। তাঁর দুই সন্তানের জন্য সরকারিভাবে সহায়তার সুযোগ থাকলে অবশ্যই করা হবে।
এ বিষয়ে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের আবাসিক মেডিকেল অফিসার ডা. আব্দুর রহমান সোহান বলেন, ‘এটি নিউরোলজিক্যাল সমস্যা। ঠিক করে বলা যাচ্ছে না কী হতে পারে। তবে উন্নত চিকিৎসা করানো গেলে ভালো হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।’
উপজেলার জাবরহাট ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান জিয়াউর রহমান বলেন, ‘বিষয়টি তাঁর জানা নেই।’ খোঁজ নিয়ে পদক্ষেপ নেবেন বলে জানান তিনি।
বাবা মারা গেছেন সাত-আট বছর আগে। বসতভিটা ছাড়া জমিজমা বলতে কিছুই নেই। বড় ভাইয়ের হাত-পায়ে সমস্যা থাকায় কাজকর্ম করতে পারেন না। দিনমজুর মায়ের আয়ে পড়াশোনা করে বিএ পাস করে সংসারের হাল ধরেন সাবানা (২৯)। তবে সেই সুখও বেশি দিন টেকেনি।
বড় ভাই রহিমের (৩৫) মতো সাবানারও হাত-পা অবশ হতে শুরু করলে চলাফেরা বন্ধ হয়ে যায় তাঁর। এরপর থেকে টাকার অভাবে দুই সন্তানের চিকিৎসা করাতে পারেননি মা রহিমা। এ অবস্থায় অচল সন্তানদের চিকিৎসা ও সংসার চালানো নিয়ে দুশ্চিন্তায় রয়েছেন তিনি।
ঠাকুরগাঁওয়ের পীরগঞ্জ উপজেলার জাবরহাট ইউনিয়নের চন্দরিয়া তালতলা গ্রামের মৃত আমির উদ্দীনের সন্তান সাবানা ও রহিম। বর্তমানে মাটির ঘরে মা রহিমা বেওয়া ও বড় ভাই আব্দুর রহিম লিটনের সঙ্গে বাস করেন তিনি।
সাবানা বলেন, বড় ভাইয়ের হাত-পা পঙ্গু। অন্যের সাহায্য ছাড়া চলাফেরা করতে পারেন না। মায়েরও বয়স হয়েছে। বসতভিটা ছাড়া জমিজমা বলতে কিছুই নেই। এরই মধ্যে কষ্ট করে চন্দরিয়া ডিগ্রি কলেজ থেকে বিএ পাস করেন। একপর্যায়ে শিক্ষকতার চাকরি নেন বেসরকারি সংস্থার একটি স্কুলে। ঝরে পড়া শিক্ষার্থীদের স্কুলে পড়ানো শুরু করেন। বাড়ির পাশেই স্কুলটি। শিক্ষাদানের পাশাপাশি সংসারের কাজও করতেন তিনি। কিন্তু বছর দু-এক আগে বড় ভাইয়ের মতো তাঁরও হাত-পা অবশ হতে শুরু করে। এরপর আস্তে আস্তে তা বাড়তে থাকে।
চিকিৎসা করিয়েছেন বিভিন্ন ডাক্তারের কাছে। কিন্তু কোনো লাভ হয়নি। বর্তমানে দুই হাত-পা অবশ হয়ে তিনিও চলাফেরা করতে পারেন না। টাকার অভাবে চিকিৎসাও বন্ধ। এ অবস্থায় কঠিন দুর্বিষহ অবস্থার মধ্য দিয়ে দিন কাটছে পরিবারটির।
সাবানার মা রহিমা বেওয়া বলেন, ‘স্বামী সাত-আট বছর আগে মারা গেছেন। মারা যাওয়ার পর সংসারটি দুর্বিষহ হয়ে পড়ে। এরপর সংসারের হাল ধরতে অন্যের জমি চাষ এবং মাঝেমধ্যে দিনমজুরের কাজ করে সংসার চলত। ছোট থেকেই বড় ছেলে লিটনের হাত-পায়ে সমস্যা। ঠিকমতো হাঁটতে পারেন না। কথাও ঠিকভাবে বলতে পারেন না। বিভিন্ন জায়গায় চিকিৎসা করানো হয়। কিন্তু ভালো হয়নি।’
রহিমা বেওয়া জানান, অন্যের সাহায্য সহযোগিতা ও প্রতিবেশীর বাড়িতে কাজকর্ম করে অনেক কষ্টে সংসার চালিয়েছেন। এত কষ্টের মধ্যে মেয়ে সাবানাকে বিএ পাস করিয়েছেন। এরপর সাবানা একটি বেসরকারি সংস্থার স্কুলে মাস্টারের চাকরি নেন। এ দিয়ে কোনোমতে সংসার চলত। তবে সংসারে সেই সুখও বেশি দিন টেকেনি।
রহিমা বেওয়া বলেন, ‘আমার বয়স হয়েছে। ঠিকমতো চলতে পারি না। সংসার দেখার মতো কেউ নেই। বিধবা ভাতা আর অন্যের সাহায্য-সহযোগিতায় খেয়ে না খেয়ে দিন পার করছি। এ অবস্থায় অচল দুই ছেলে-মেয়েকে নিয়ে কী যে দুশ্চিন্তায় আছি।’
একই গ্রামের সুকুরউদ্দীন জানান, পরিবারটি খুবই অসহায়। সংসার চালানোর মতো কোনো লোক নেই। দুই ভাই-বোন বিনা চিকিৎসায় ধুঁকে ধুঁকে মরছে। তাঁদের উন্নত চিকিৎসা করানো দরকার। টাকার অভাবে করাতে পারছেন না।
উপজেলা সমাজসেবা কর্মকর্তা এস এম রফিকুল ইসলাম জানান, রহিমা বিধবাভাতা পান। তাঁর দুই সন্তানের জন্য সরকারিভাবে সহায়তার সুযোগ থাকলে অবশ্যই করা হবে।
এ বিষয়ে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের আবাসিক মেডিকেল অফিসার ডা. আব্দুর রহমান সোহান বলেন, ‘এটি নিউরোলজিক্যাল সমস্যা। ঠিক করে বলা যাচ্ছে না কী হতে পারে। তবে উন্নত চিকিৎসা করানো গেলে ভালো হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।’
উপজেলার জাবরহাট ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান জিয়াউর রহমান বলেন, ‘বিষয়টি তাঁর জানা নেই।’ খোঁজ নিয়ে পদক্ষেপ নেবেন বলে জানান তিনি।
জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) পদযাত্রাকে কেন্দ্র করে গোপালগঞ্জে দফায় দফায় সংঘর্ষ ও হামলায় ক্ষতিগ্রস্থ বিভিন্ন স্থাপনা ও স্থান পরিদর্শন করেছেন দুই উপদেষ্টা। আজ মঙ্গলবার সকাল সাড়ে দশটায় সড়ক পরিবহন ও সেতু উপদেষ্টা মুহাম্মদ ফাওজুল কবির খান এবং বন পরিবেশ ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা সৈয়দা রিজও
১ মিনিট আগেএবার ২২১ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদন হয়েছে রাঙামাটির কাপ্তাই কর্ণফুলী পানি বিদ্যুৎ উৎপাদন কেন্দ্রে। বিষয়টি নিশ্চিত করে মঙ্গলবার (২২ জুলাই) সকাল ১০টায় পানি বিদ্যুৎ উৎপাদন কেন্দ্রের ব্যবস্থাপক প্রকৌশলী মাহমুদ হাসান বলেন, আজ সকাল ৯টা পর্যন্ত এই কেন্দ্রের ৫টি ইউনিট হতে সর্বোচ্চ বিদ্যুৎ উৎপাদন হয়েছে ২২১ মেগ
১৮ মিনিট আগেসাতক্ষীরার তালা উপজেলায় মোটরসাইকেল কেনা নিয়ে পারিবারিক কলহের জেরে মো. হাবিবুর মোড়ল (৩০) নামে এক যুবক নিহত হয়েছেন। সোমবার (২১ জুলাই) রাত আনুমানিক ৯টার দিকে উপজেলার আটারই গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। নিহত হাবিবুর ওই গ্রামের আব্দুল্লাহ মোড়লের ছেলে এবং পেশায় একজন ভ্যানচালক।
১ ঘণ্টা আগেচাঁদপুর সদর ও ফরিদগঞ্জ উপজেলায় যৌথ বাহিনীর পৃথক অভিযানে মাদকসহ তিন কারবারি গ্রেপ্তার হয়েছে। আজ মঙ্গলবার (২২ জুলাই) সকালে সদর আর্মি ক্যাম্প থেকে অপারেশনাল অফিসার লেফটেন্যান্ট মানজুরুল হাসান খান এই তথ্য জানান।
২ ঘণ্টা আগে