Ajker Patrika

বেরোবিতে প্রথমবারের মতো প্রত্নতাত্ত্বিক নিদর্শনের প্রদর্শনী

বেরোবি প্রতিনিধি
বেরোবিতে প্রথমবারের মতো প্রত্নতাত্ত্বিক নিদর্শনের প্রদর্শনী

রংপুরের বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ে ইতিহাস ও প্রত্নতত্ত্ব বিভাগের শিক্ষার্থীদের উদ্যোগে দুই দিনব্যাপী প্রাচীন যুগ, মধ্যযুগ, সুলতানি ও মোগল আমলের বিভিন্ন স্থাপত্য ও প্রত্নতাত্ত্বিক নিদর্শনের তৈরিকৃত নমুনার প্রদর্শনী অনুষ্ঠিত হয়েছে। গতকাল রোববার ও আজ সোমবার সকাল ১০টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের কলা অনুষদের শেখ রাসেল মিডিয়া চত্বরের পাশে সারা দিনব্যাপী এসব স্থাপনার প্রদর্শনীর আয়োজন করা হয়েছে। 

গতকাল প্রথম দিনের প্রদর্শনী উদ্বোধন করেন, ইতিহাস ও প্রত্নতত্ত্ব বিভাগের বিভাগীয় প্রধান গোলাম রাব্বানী। 

তৈরিকৃত নমুনা স্থাপত্যের মধ্যে রয়েছে-বাংলাদেশের প্রত্নতাত্ত্বিক স্থানগুলোর ম্যাপ, দিনাজপুরের কান্তজির মন্দির, চাঁপাইনবাবগঞ্জের ছোট সোনা মসজিদ, ঢাকার লালবাগ কেল্লা, কুমিল্লার শালবনবিহার, নওগাঁর পাহাড়পুর বৌদ্ধবিহার, ঢাকার খান মোহাম্মদ মৃধার মসজিদ, বাগেরহাটের ষাট গম্বুজ মসজিদ, কুমিল্লার ময়নামতি, ঢাকার খাজা শাহবাজ মসজিদ, টাঙ্গাইলের আতিয়া জামে মসজিদ, রাজশাহীর বাঘা মসজিদ, নওগাঁর কুসুম্বা মসজিদ, বগুড়ায় অবস্থিত বেহুলার বাসরঘরের গোকুল মেধ, বগুড়ার ভাসু বিহার প্রভৃতি। 

প্রদর্শনী দেখতে আসা অর্থনীতি বিভাগের শিক্ষার্থী মকুল মিঞা বলেন, ‘এমন প্রদর্শনী সত্যিই প্রশংসনীয়। খোলা আকাশের নিচে দাঁড়িয়ে একসঙ্গে অনেকগুলো প্রত্নতাত্ত্বিক নিদর্শন দেখতে পেয়ে অনেক ভালো লাগছে।’ 

বেরোবিতে দুই দিনব্যাপী বিভিন্ন স্থাপত্য ও প্রত্নতাত্ত্বিক নিদর্শনের নমুনা প্রদর্শনী অনুষ্ঠিত হয়েছেপুরো কাজের নেতৃত্ব দিয়েছেন ইতিহাস ও প্রত্নতত্ত্ব বিভাগের প্রভাষক সোহাগ আলী। তাঁর নেতৃত্বে শিক্ষার্থীরা ২০টি দলে বিভক্ত হয়ে প্রতি দলের ৭ জন করে সদস্য নিয়ে এসব প্রাচীন স্থাপত্যের নমুনা তৈরি করেন। এ বিষয়ে তিনি বলেন, ‘অ্যাসাইনমেন্ট-প্রেজেন্টেশনের চিরাচরিত নিয়ম ভেঙে একটু ভিন্ন ধারায় বাস্তবিক জ্ঞানার্জনের উদ্দেশ্যে এ উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়েছে। এতে শিক্ষার্থীদের সহযোগিতাপূর্ণ মনোভাব আমাকে মুগ্ধ করেছে। এ ধরনের উদ্যোগ ভবিষ্যতে অব্যাহত রাখার পরিকল্পনাও রয়েছে।’ 

প্রদর্শনী পরিদর্শন করতে এসে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা বিভাগ প্রভাষক মহুয়া শবনম বলেন, ‘ইতিহাস ও প্রত্নতত্ত্ব বিভাগের আয়োজন দেখে আমি মুগ্ধ হয়েছি। এ ধরনের উদ্যোগ একটা শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের জন্য খুবই প্রয়োজনীয়। আমাদের সবাইকে জানা দরকার দেশের কোথায় কোথায় এবং কী কী প্রত্নতাত্ত্বিক স্থান রয়েছে।’ 

বিভাগীয় প্রধান সহযোগী অধ্যাপক গোলাম রাব্বানী জানান, সশরীরে এসব জায়গায় না গিয়েও শিক্ষার্থীদের এমন কাজ সত্যিই প্রশংসনীয়। ভবিষ্যতে শিক্ষার্থীদের নিয়ে এমন ব্যতিক্রমী আয়োজন অব্যাহত থাকবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করে অন্যান্য শিক্ষকদের সহযোগিতা কামনা করেন তিনি।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

কুয়েটে ক্লাস বর্জন নিয়ে শিক্ষক সমিতিতে মতবিরোধ, এক শিক্ষকের পদত্যাগ

এনবিআর বিলুপ্তির জেরে প্রায় অচল দেশের রাজস্ব কর্মকাণ্ড

দুটি নোবেলের গৌরব বোধ করতে পারে চবি: প্রধান উপদেষ্টা

আওয়ামী লীগের কার্যক্রম নিষিদ্ধের প্রশ্নে যে প্রতিক্রিয়া জানাল যুক্তরাষ্ট্র

২ ম্যাচ খেলেই মোস্তাফিজ কীভাবে ৬ কোটি রুপি পাবেন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত