গঙ্গাচড়া (রংপুর) প্রতিনিধি
‘হামার তিস্তাপাড়ের মাইনসের ভাগ্য আর বদল হইল না। হামাক মনে হয় এইভাবেই তিস্তার বালা মুখোত নিয়া, নদীর ভাঙনের সাথে যুদ্ধ করি বাঁচি থাকা লাগবে।’ দীর্ঘশ্বাস আর হতাশা নিয়ে কথাগুলো বলছিলেন গঙ্গাচড়া উপজেলার লক্ষীটারী ইউনিয়নের চর ইচলি গ্রামের সাইয়েদুল ইসলাম (৫৫)।
আজ বুধবার বিকেল ৫টার দিকে রংপুর জিলা স্কুল মাঠে অনুষ্ঠিত মহাসমাবেশে আওয়ামী লীগের সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বক্তব্য শুনে বাড়ি ফেরার পথে এ কথা বলছিলেন তিনি।
ব্যাটারিচালিত অটোরিকশায় করে এলাকার সঙ্গীরাসহ বাড়ি ফিরছিলেন সাইয়েদুল। এ সময় তাঁর সঙ্গে কথা হয় আজকের পত্রিকার। সমাবেশে প্রধানমন্ত্রীর কাছে প্রত্যাশার কথা জানিয়ে তিনি বলেন, ‘অনেক আশা নিয়া কাইল রাইত থাকি শেখের বেটির বক্তব্য শুনবার জন্যে আছনুং। রংপুরের মানুষের আশা ছিল এবার হাসিনা রংপুরত আসি কোন দিন তিস্তা নদী বান্দার কাজ শুরু করবে, সেটার ঘোষণা দিবে। কিন্তু হামারগুলার সে আশা আর পূরণ হইল না। খালি কইল তিস্তা নদীর কাজ করবে। কুনদিন করবে সে কথা আর কইল না।’
এ সময় সাইয়েদুল ইসলাম আরও বলেন, ‘শেখের বেটি অনেকগুলা কাজ উদ্বোধন করিল। আরও মেলা কাজ করবে সেগুলাও কইল, কিন্তু তিস্তা নদীর বান্দার কথা একবারো জোর দিয়া কইল না। খালি কইল তিস্তার কাজ করবে।’
আজ বুধবার বিকেল চারটায় রংপুর জিলা স্কুল মাঠে আওয়ামী লীগের মহাসমাবেশে যোগ দেন দলের সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিনি এ সময় রংপুরের উন্নয়নে ২৭টি প্রকল্প ও ৫টি প্রকল্পের ভিত্তিপ্রস্তর উদ্বোধন করেন। ভবিষ্যতে রংপুরের আরও উন্নয়ন করবেন বলে এ অঞ্চলের মানুষদের আশ্বাস দেন। তবে এই অঞ্চলের মানুষের দীর্ঘদিনের আশা ছিল প্রধানমন্ত্রী রংপুরে আসলে তিস্তা মহাপরিকল্পনার ঘোষণা দিয়ে যাবেন। কিন্তু প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তিস্তা মহাপরিকল্পনার কথা বললেও, তা কবে নাগাদ বাস্তবায়ন করা হবে এ বিষয়ে নির্দিষ্ট করে কোনো কিছু না বলায় এ অঞ্চলের মানুষের মাঝে হতাশার সৃষ্টি হয়েছে।
এ বিষয় তিস্তা বাঁচাও, নদী বাঁচাও সংগ্রাম পরিষদের সভাপতি নজরুল ইসলাম হক্কানী আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘আমরা প্রধানমন্ত্রীকে ধন্যবাদ জানাই তিনি তিস্তা মহাপরিকল্পনার কাজ করার কথা বলেছেন। তবে সেই কাজ কবে করবেন, সে কথা বলেননি। এ জন্য মানুষের মাঝে হতাশার সৃষ্টি হয়েছে। আমরা আশা করছি, তিনি ফিরে যাওয়ার পর নির্বাচনের আগেই নিজ অর্থায়নে এ কাজের উদ্বোধন করবেন।’
‘হামার তিস্তাপাড়ের মাইনসের ভাগ্য আর বদল হইল না। হামাক মনে হয় এইভাবেই তিস্তার বালা মুখোত নিয়া, নদীর ভাঙনের সাথে যুদ্ধ করি বাঁচি থাকা লাগবে।’ দীর্ঘশ্বাস আর হতাশা নিয়ে কথাগুলো বলছিলেন গঙ্গাচড়া উপজেলার লক্ষীটারী ইউনিয়নের চর ইচলি গ্রামের সাইয়েদুল ইসলাম (৫৫)।
আজ বুধবার বিকেল ৫টার দিকে রংপুর জিলা স্কুল মাঠে অনুষ্ঠিত মহাসমাবেশে আওয়ামী লীগের সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বক্তব্য শুনে বাড়ি ফেরার পথে এ কথা বলছিলেন তিনি।
ব্যাটারিচালিত অটোরিকশায় করে এলাকার সঙ্গীরাসহ বাড়ি ফিরছিলেন সাইয়েদুল। এ সময় তাঁর সঙ্গে কথা হয় আজকের পত্রিকার। সমাবেশে প্রধানমন্ত্রীর কাছে প্রত্যাশার কথা জানিয়ে তিনি বলেন, ‘অনেক আশা নিয়া কাইল রাইত থাকি শেখের বেটির বক্তব্য শুনবার জন্যে আছনুং। রংপুরের মানুষের আশা ছিল এবার হাসিনা রংপুরত আসি কোন দিন তিস্তা নদী বান্দার কাজ শুরু করবে, সেটার ঘোষণা দিবে। কিন্তু হামারগুলার সে আশা আর পূরণ হইল না। খালি কইল তিস্তা নদীর কাজ করবে। কুনদিন করবে সে কথা আর কইল না।’
এ সময় সাইয়েদুল ইসলাম আরও বলেন, ‘শেখের বেটি অনেকগুলা কাজ উদ্বোধন করিল। আরও মেলা কাজ করবে সেগুলাও কইল, কিন্তু তিস্তা নদীর বান্দার কথা একবারো জোর দিয়া কইল না। খালি কইল তিস্তার কাজ করবে।’
আজ বুধবার বিকেল চারটায় রংপুর জিলা স্কুল মাঠে আওয়ামী লীগের মহাসমাবেশে যোগ দেন দলের সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিনি এ সময় রংপুরের উন্নয়নে ২৭টি প্রকল্প ও ৫টি প্রকল্পের ভিত্তিপ্রস্তর উদ্বোধন করেন। ভবিষ্যতে রংপুরের আরও উন্নয়ন করবেন বলে এ অঞ্চলের মানুষদের আশ্বাস দেন। তবে এই অঞ্চলের মানুষের দীর্ঘদিনের আশা ছিল প্রধানমন্ত্রী রংপুরে আসলে তিস্তা মহাপরিকল্পনার ঘোষণা দিয়ে যাবেন। কিন্তু প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তিস্তা মহাপরিকল্পনার কথা বললেও, তা কবে নাগাদ বাস্তবায়ন করা হবে এ বিষয়ে নির্দিষ্ট করে কোনো কিছু না বলায় এ অঞ্চলের মানুষের মাঝে হতাশার সৃষ্টি হয়েছে।
এ বিষয় তিস্তা বাঁচাও, নদী বাঁচাও সংগ্রাম পরিষদের সভাপতি নজরুল ইসলাম হক্কানী আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘আমরা প্রধানমন্ত্রীকে ধন্যবাদ জানাই তিনি তিস্তা মহাপরিকল্পনার কাজ করার কথা বলেছেন। তবে সেই কাজ কবে করবেন, সে কথা বলেননি। এ জন্য মানুষের মাঝে হতাশার সৃষ্টি হয়েছে। আমরা আশা করছি, তিনি ফিরে যাওয়ার পর নির্বাচনের আগেই নিজ অর্থায়নে এ কাজের উদ্বোধন করবেন।’
রাজধানীর উত্তরায় মাইলস্টোন স্কুল অ্যান্ড কলেজে প্রশিক্ষণ বিমান বিধ্বস্তের পর থেকেই সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম যেন বিভীষিকাময় হয়ে উঠেছে। ফেসবুকে ঢুকলেই ওই দুর্ঘটনার মন খারাপ করা ছবি ও ভিডিও এড়িয়ে যাওয়ার উপায় নেই। স্ক্রল করতে করতে হঠাৎ চোখ আটকে যায় ‘এসএসসি ০৫-এইচএসসি ০৭’ গ্রুপের একটি পোস্টে।
৩ ঘণ্টা আগেজাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটের করিডরে আগের দিনের মতো চিৎকার-চেঁচামেচি ছিল না গতকাল মঙ্গলবার। ছিল না রক্তের জন্য ছোটাছুটি। হাসপাতালজুড়ে কেমন যেন একটা উৎকণ্ঠা। এই উৎকণ্ঠা দগ্ধ শিশুগুলোর স্বজনদের চোখেমুখে। সবার প্রার্থনা, আর যেন কোনো দুঃসংবাদ কানে না আসে, সব শিশু যেন সুস্থ হয়ে ওঠে।
৩ ঘণ্টা আগেশিক্ষার্থীদের প্রতি মমত্ববোধ ও দায়িত্ববোধের অসাধারণ উদাহরণ তৈরি করে গেলেন রাজধানীর মাইলস্টোন স্কুল অ্যান্ড কলেজের শিক্ষক মাহরীন চৌধুরী। যুদ্ধবিমানটি যখন তাঁর প্রতিষ্ঠানে বিধ্বস্ত হয়, তখনো তিনি অক্ষত ও সুস্থ ছিলেন। কিন্তু বিপদের মুখেই তিনি ঝাঁপিয়ে পড়েছিলেন নিজের সন্তানের মতো ছাত্রছাত্রীদের বাঁচাতে।
৩ ঘণ্টা আগেরাজধানীর উত্তরার দিয়াবাড়ির মাইলস্টোন স্কুল অ্যান্ড কলেজ প্রাঙ্গণে শিক্ষার্থীদের কোলাহল নেই। বিমানবাহিনীর বিধ্বস্ত প্রশিক্ষণ যুদ্ধবিমানের বিকট শব্দে থেমে গেছে সেই কোলাহল। থামেনি সন্তান বা স্বজনহারাদের বুকফাটা কান্না, মাতম। হাসপাতালে যন্ত্রণায় কাতরাচ্ছে আহত ও দগ্ধরা।
৩ ঘণ্টা আগে