গাইবান্ধার সুন্দরগঞ্জ
আনোয়ার হোসেন শামীম, গাইবান্ধা
গাইবান্ধার সুন্দরগঞ্জ উপজেলার হরিপুর ইউনিয়নে তিস্তা নদী থেকে অবৈধভাবে বালু তুলছে একটি চক্র। স্থানীয় হরিপুর ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যানের সহযোগিতায় বালু তোলার এই মহোৎসব চলছে বলে জানা গেছে। স্থানীয়রা বলছেন, ৯২৫ কোটি টাকা ব্যয়ে নবনির্মিত হরিপুর তিস্তা সেতু থেকে মাত্র ৪০০ মিটার দূরে বালু তোলা হচ্ছে। এতে উদ্বোধনের আগেই ঝুঁকিতে পড়েছে সেতুটি। যানবাহন ও সাধারণ মানুষের চলাচলের জন্য ২৫ আগস্ট সেতুটি খুলে দেওয়ার কথা রয়েছে।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, হরিপুর ইউপির চেয়ারম্যান মাজহারুল ইসলামের সহায়তায় আইন লঙ্ঘন করে সেতুর কাছ থেকে অবৈধভাবে বালু তুলে বিক্রি করছে প্রভাবশালী চক্র। সেতুর মাত্র ৪০০-৫০০ মিটার দূরের নদী থেকে এসব বালু তোলা হচ্ছে। খননযন্ত্র দিয়ে তোলা সেই বালু লম্বা পাইপের মাধ্যমে ফেলা হচ্ছে তিস্তা সেতুর সংযোগ সড়কঘেঁষা একটি জমিতে।
স্থানীয়রা জানান, সুন্দরগঞ্জ উপজেলার হরিপুর গ্রামের বাসিন্দা গ্রাম পুলিশ সদস্য মোজাহারের নেতৃত্বে জাহাঙ্গীর, সাইদুল, রেজাউল, ফারুক ও ফুল মিয়া দীর্ঘদিন ধরে তিস্তা নদী থেকে বালু তুলে ব্যবসা করছেন। তাঁদের অবৈধ এই কার্যক্রম চালিয়ে নিতে সহযোগিতা করে প্রভাবশালী একটি মহল।
স্থানীয় বাসিন্দা আজগর আলী বলেন, বালু তোলার কারণে তিস্তা সেতুর সংযোগ সড়কসহ ফসলি জমি হুমকির মুখে পড়েছে। প্রশাসন জানার পরও কোনো ব্যবস্থা নিচ্ছে না।
বালুমহাল ও মাটি ব্যবস্থাপনা আইন অনুযায়ী, সেতু, কালভার্ট, বাঁধ, সড়ক, মহাসড়ক, রেললাইন ও অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ সরকারি-বেসরকারি স্থাপনা অথবা আবাসিক এলাকা থেকে এক কিলোমিটারের মধ্যে বালু তোলা যাবে না। তবে এই আইন অমান্য করে তিস্তা নদী থেকে অবাধে তোলা হচ্ছে বালু।
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, সম্প্রতি সুন্দরগঞ্জ উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও থানা-পুলিশ বালু উত্তোলন বন্ধে অভিযান পরিচালনা করতে গিয়ে অভিযুক্তদের তোপের মুখে পড়ে।
পরে অভিযান শেষ না করেই ফিরে আসতে বাধ্য হয় তারা। এরপর গত ৫ জুলাই কুড়িগ্রামের চিলমারীর নৌ পুলিশ ফাঁড়ি খননযন্ত্র বন্ধ করতে গিয়ে একজনকে আটক করে। কিন্তু সংঘবদ্ধ বালু উত্তোলনকারী এবং তাদের সহযোগীরা পুলিশের ওপর হামলা করে আসামিকে ছিনিয়ে নেয়। এ ঘটনায় চিলমারী নৌ পুলিশ ফাঁড়ির এসআই সেলিম জামান সরকার বাদী হয়ে সুন্দরগঞ্জ থানায় একটি মামলা করেন। মামলায় ১২ জনের নাম উল্লেখ এবং ২৫-৩০ জনকে অজ্ঞাতনামা আসামি করা হয়। মামলার পর আসামিরা জামিনে মুক্তি পেয়ে ড্রেজার বসিয়ে তিস্তা থেকে আবার বালু উত্তোলন শুরু করেন।
সম্প্রতি সরেজমিনে দেখা যায়, সেতুর নিচে উত্তর-পূর্ব পাশে নদীতে ড্রাম ও বাঁশের কাঠামো পানিতে ভাসছে। তার ওপর বসানো হয়েছে খননযন্ত্র। নদী থেকে তোলা বালু তিস্তা সেতুর সংযোগ সড়কের পাশে স্তূপ করে রাখা হয়েছে। বালু তোলার কাজ তদারক করছেন তিন-চারজন শ্রমিক। আশপাশে অবস্থান করতে দেখা যায় আরও ৪-৫ জনকে।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে স্থানীয় এক কলেজ শিক্ষার্থী বলেন, ‘দীর্ঘদিন ধরে এখান থেকে বালু উত্তোলন করা হচ্ছে। তবে কারা বালু তুলছে জানি না। কিছুদিন আগে বালু তোলা নিয়ে প্রশাসনের সঙ্গে গোলমালও হয়েছে। এতে কয়েক দিন বালু তোলা বন্ধ ছিল। কিছুদিন পর আবার বালু তোলা হচ্ছে। এই কাজ অব্যাহত থাকলে তিস্তা সেতু রক্ষা করা যাবে না।’
বালু তোলার কাজে সহযোগিতার অভিযোগ অস্বীকার করে সুন্দরগঞ্জের হরিপুর ইউপির চেয়ারম্যান মাজহারুল ইসলাম বলেন, ‘নদীতে পাবলিকলি কেউ বালু তুলছে না, কেউ বালুর ব্যবসা করছে না। সরকারিভাবে এলজিইডি হয়তো বালু তুলতে পারে।’ মাজহারুল আরও বলেন, ‘বালু তোলার সঙ্গে আমি জড়িত না। কেউ আমার কথা বলে বালু তুললে আমি কী করব?’
এ বিষয়ে সুন্দরগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা রাজ কুমার বিশ্বাস বলেন, ‘যারা অবৈধভাবে বালু উত্তোলন করছে, দ্রুততম সময়ের মধ্যে তাদের আইনের আওতায় আনা হবে।’
গাইবান্ধা এলজিইডির নির্বাহী প্রকৌশলী উজ্জ্বল চৌধুরী বলেন, ‘সেতুর আশপাশে থেকে নিয়মবহির্ভূতভাবে বালু তুলে বিক্রির কোনো সুযোগ নেই। বালু উত্তোলনকারীদের বিরুদ্ধে দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’
গাইবান্ধার সুন্দরগঞ্জ উপজেলার হরিপুর ইউনিয়নে তিস্তা নদী থেকে অবৈধভাবে বালু তুলছে একটি চক্র। স্থানীয় হরিপুর ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যানের সহযোগিতায় বালু তোলার এই মহোৎসব চলছে বলে জানা গেছে। স্থানীয়রা বলছেন, ৯২৫ কোটি টাকা ব্যয়ে নবনির্মিত হরিপুর তিস্তা সেতু থেকে মাত্র ৪০০ মিটার দূরে বালু তোলা হচ্ছে। এতে উদ্বোধনের আগেই ঝুঁকিতে পড়েছে সেতুটি। যানবাহন ও সাধারণ মানুষের চলাচলের জন্য ২৫ আগস্ট সেতুটি খুলে দেওয়ার কথা রয়েছে।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, হরিপুর ইউপির চেয়ারম্যান মাজহারুল ইসলামের সহায়তায় আইন লঙ্ঘন করে সেতুর কাছ থেকে অবৈধভাবে বালু তুলে বিক্রি করছে প্রভাবশালী চক্র। সেতুর মাত্র ৪০০-৫০০ মিটার দূরের নদী থেকে এসব বালু তোলা হচ্ছে। খননযন্ত্র দিয়ে তোলা সেই বালু লম্বা পাইপের মাধ্যমে ফেলা হচ্ছে তিস্তা সেতুর সংযোগ সড়কঘেঁষা একটি জমিতে।
স্থানীয়রা জানান, সুন্দরগঞ্জ উপজেলার হরিপুর গ্রামের বাসিন্দা গ্রাম পুলিশ সদস্য মোজাহারের নেতৃত্বে জাহাঙ্গীর, সাইদুল, রেজাউল, ফারুক ও ফুল মিয়া দীর্ঘদিন ধরে তিস্তা নদী থেকে বালু তুলে ব্যবসা করছেন। তাঁদের অবৈধ এই কার্যক্রম চালিয়ে নিতে সহযোগিতা করে প্রভাবশালী একটি মহল।
স্থানীয় বাসিন্দা আজগর আলী বলেন, বালু তোলার কারণে তিস্তা সেতুর সংযোগ সড়কসহ ফসলি জমি হুমকির মুখে পড়েছে। প্রশাসন জানার পরও কোনো ব্যবস্থা নিচ্ছে না।
বালুমহাল ও মাটি ব্যবস্থাপনা আইন অনুযায়ী, সেতু, কালভার্ট, বাঁধ, সড়ক, মহাসড়ক, রেললাইন ও অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ সরকারি-বেসরকারি স্থাপনা অথবা আবাসিক এলাকা থেকে এক কিলোমিটারের মধ্যে বালু তোলা যাবে না। তবে এই আইন অমান্য করে তিস্তা নদী থেকে অবাধে তোলা হচ্ছে বালু।
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, সম্প্রতি সুন্দরগঞ্জ উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও থানা-পুলিশ বালু উত্তোলন বন্ধে অভিযান পরিচালনা করতে গিয়ে অভিযুক্তদের তোপের মুখে পড়ে।
পরে অভিযান শেষ না করেই ফিরে আসতে বাধ্য হয় তারা। এরপর গত ৫ জুলাই কুড়িগ্রামের চিলমারীর নৌ পুলিশ ফাঁড়ি খননযন্ত্র বন্ধ করতে গিয়ে একজনকে আটক করে। কিন্তু সংঘবদ্ধ বালু উত্তোলনকারী এবং তাদের সহযোগীরা পুলিশের ওপর হামলা করে আসামিকে ছিনিয়ে নেয়। এ ঘটনায় চিলমারী নৌ পুলিশ ফাঁড়ির এসআই সেলিম জামান সরকার বাদী হয়ে সুন্দরগঞ্জ থানায় একটি মামলা করেন। মামলায় ১২ জনের নাম উল্লেখ এবং ২৫-৩০ জনকে অজ্ঞাতনামা আসামি করা হয়। মামলার পর আসামিরা জামিনে মুক্তি পেয়ে ড্রেজার বসিয়ে তিস্তা থেকে আবার বালু উত্তোলন শুরু করেন।
সম্প্রতি সরেজমিনে দেখা যায়, সেতুর নিচে উত্তর-পূর্ব পাশে নদীতে ড্রাম ও বাঁশের কাঠামো পানিতে ভাসছে। তার ওপর বসানো হয়েছে খননযন্ত্র। নদী থেকে তোলা বালু তিস্তা সেতুর সংযোগ সড়কের পাশে স্তূপ করে রাখা হয়েছে। বালু তোলার কাজ তদারক করছেন তিন-চারজন শ্রমিক। আশপাশে অবস্থান করতে দেখা যায় আরও ৪-৫ জনকে।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে স্থানীয় এক কলেজ শিক্ষার্থী বলেন, ‘দীর্ঘদিন ধরে এখান থেকে বালু উত্তোলন করা হচ্ছে। তবে কারা বালু তুলছে জানি না। কিছুদিন আগে বালু তোলা নিয়ে প্রশাসনের সঙ্গে গোলমালও হয়েছে। এতে কয়েক দিন বালু তোলা বন্ধ ছিল। কিছুদিন পর আবার বালু তোলা হচ্ছে। এই কাজ অব্যাহত থাকলে তিস্তা সেতু রক্ষা করা যাবে না।’
বালু তোলার কাজে সহযোগিতার অভিযোগ অস্বীকার করে সুন্দরগঞ্জের হরিপুর ইউপির চেয়ারম্যান মাজহারুল ইসলাম বলেন, ‘নদীতে পাবলিকলি কেউ বালু তুলছে না, কেউ বালুর ব্যবসা করছে না। সরকারিভাবে এলজিইডি হয়তো বালু তুলতে পারে।’ মাজহারুল আরও বলেন, ‘বালু তোলার সঙ্গে আমি জড়িত না। কেউ আমার কথা বলে বালু তুললে আমি কী করব?’
এ বিষয়ে সুন্দরগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা রাজ কুমার বিশ্বাস বলেন, ‘যারা অবৈধভাবে বালু উত্তোলন করছে, দ্রুততম সময়ের মধ্যে তাদের আইনের আওতায় আনা হবে।’
গাইবান্ধা এলজিইডির নির্বাহী প্রকৌশলী উজ্জ্বল চৌধুরী বলেন, ‘সেতুর আশপাশে থেকে নিয়মবহির্ভূতভাবে বালু তুলে বিক্রির কোনো সুযোগ নেই। বালু উত্তোলনকারীদের বিরুদ্ধে দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’
ফরিদপুরে একটি বেসরকারি কোম্পানির বিরুদ্ধে সেতু-কালভার্টসহ খাল দখলের অভিযোগ উঠেছে। এতে পানি নিষ্কাশনের পথ বন্ধ হয়ে চারটি মাঠের প্রায় ২ হাজার বিঘা জমিতে জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হয়েছে। ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন আশপাশের গ্রামগুলোর প্রায় ৮ হাজার কৃষক।
২ ঘণ্টা আগেউত্তরাঞ্চলের খাদ্যশস্যসমৃদ্ধ অন্যতম জেলা নওগাঁ। কৃষকদের সুবিধার্থে জেলার মহাদেবপুর উপজেলার ভীমপুর এলাকায় আধুনিক খাদ্য সংরক্ষণাগার (সাইলো) নির্মাণের উদ্যোগ নেয় সরকার। খাদ্য মন্ত্রণালয়ের অধীনে ১৫ একর জায়গা নিয়ে প্রকল্প বাস্তবায়নে সাড়ে ১০ কোটি টাকা বরাদ্দ দেওয়া হয়।
৩ ঘণ্টা আগেভারতের আগরতলার বাসিন্দা নমিতা বণিক। গত ১৪ এপ্রিল বাংলাদেশে আসেন। তাঁর ভিসায় টানা ৬০ দিনের বেশি বাংলাদেশে অবস্থান করার সুযোগ ছিল। তবে তিনি ১ মাস ২০ দিন অবৈধভাবে বাংলাদেশে ছিলেন। দেশে ফেরার সময় আইনি পদক্ষেপ এড়াতে আখাউড়া আন্তর্জাতিক ইমিগ্রেশন চেকপোস্টে ওসি মোহাম্মদ আব্দুস সাত্তার ও এসআই...
৩ ঘণ্টা আগেক্রিপ্টোকারেন্সি এক্সচেঞ্জ প্ল্যাটফর্ম বাইন্যান্সের মাধ্যমে ডলার কেনার নামে প্রতারণার অভিযোগে দুজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। গত মঙ্গলবার (৫ আগস্ট) গুলশানে সকাল থেকে রাত পর্যন্ত অভিযান চালিয়ে কোটি টাকার জাল নোটসহ রুবেল আহম্মদ (৩৮) ও তাপস বাড়ৈকে (৩০) গ্রেপ্তার করা হয়।
৬ ঘণ্টা আগে