রংপুর প্রতিনিধি
রংপুর সিটি করপোরেশনে (রসিক) গৃহকর ছাড়া মিলছে না কোনো সেবা। সেবা নিতে হলে গৃহকর পরিশোধিত রসিদের কপি ও উৎসকর নেওয়ায় বিপাকে পড়েছেন সেবাপ্রার্থীরা। কর ছাড়া সেবা না পেয়ে বিক্ষুব্ধ সেবাপ্রার্থীরা নগর ভবনের কার্যক্রম বন্ধ করে দিয়েছেন।
সেবাপ্রার্থীদের অভিযোগ, নগরীতে ১ লাখ বাড়ির মালিক হলেও ৫ লাখ ভাড়াটিয়া থাকেন। টিকাদান, জন্মসনদ, ট্রেড লাইসেন্স, ওয়ারিশান সদন, নাগরিত্বসহ সিটি করপোরেশনের সব সেবায় নির্দিষ্ট মূল্য দিলেই পাওয়া যেত। কিন্তু হঠাৎ করে গৃহকর ও উৎসকর পরিশোধ ছাড়া কোনো সেবা পাচ্ছেন না তাঁরা। এমনকি বর্ধিত এলাকার হোল্ডিং না থাকলেও তাঁদের কাছে হোল্ড চাওয়া হচ্ছে। এতে হয়রানি ও ভোগান্তিতে পড়েছেন তাঁরা। এ ঘটনায় আজ রোববার বেলা ৩টায় বিক্ষুব্ধ সেবাপ্রার্থীরা নগর ভবনের কলাপসিবল গেট লাগিয়ে কার্যক্রম বন্ধ করে দেন।
সরেজমিনে দেখা গেছে, নগর ভবনের কলাপসিবল গেট লাগানো। সেবাপ্রার্থীরা বাইরে বিক্ষোভ করছেন। ভেতরে কর্মকর্তাদের কক্ষে ঝুলছে তালা। বিকেল পৌনে ৪টায় নগর ভবনে ছুটে আসেন রংপুর সিটি করপোরেশনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা উম্মে ফাতিমা। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে ছুটে আসেন পুলিশ ও সেনাবাহিনীর সদস্যরা।
নগর ভবনের সামনে কথা হয় কামাল কাছনার ব্যবসায়ী অনিমেশ চন্দ্র করের সঙ্গে। তিনি ট্রেড লাইসেন্স নবায়নের জন্য এসেছেন। অনিমেশ চন্দ্র আক্ষেপ করে বলেন, ‘শহরে ব্যবসা করি। গুপ্তপাড়ায় ভাড়া থাকি। এখানে ট্রেড লাইসেন্স নবায়ন করতে এসেছি। কিন্তু গৃহকর ছাড়া তারা নবায়ন করছে না। আমার যেখানে ঘর নেই, ভাড়া থাকি, সেখানে কোথা থেকে গৃহকর দেব। আর ভাড়াটিয়া যদি গৃহকর বাকি রাখে, এতে আমার করার কী? হয়রানি ছাড়া কিছুই না।’
টিকা দিতে এসে ফিরে যাচ্ছিলেন নগরীর শাহিপাড়ার রুমা বেগম। তিনি আক্ষেপ করে বলেন, কোন দিন যে এল। বাচ্চাদের টিকা দিতেও এখন হোল্ডিং ট্যাক্সে কাগজ লাগছে। ট্যাক্সেও কাগজ ছাড়া কোনো কাজ হচ্ছে না সিটি করপোরেশনে। আলমনগর এলাকার বাসিন্দা লিটন মিয়া বলেন, ‘জন্মনিবন্ধন করাতে এখন দুই হাজার টাকা উৎসকর দিতে হচ্ছে। বস্তিতে থাকি, ভাত খেতে পারি না। এত টাকা কীভাবে দেব। এখানে সেবার নামে হরিলুট চলছে। আগে তো এমন ছিল না।’
রংপুর সিটি করপোরেশন সূত্রে জানা যায়, চলতি অর্থবছরে রসিকে গৃহকরের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয় ১৮ কোটি টাকা। এপ্রিল পর্যন্ত গৃহকর আদায় করা হয় প্রায় ১১ কোটি টাকা। অর্থবছরের শেষে লক্ষ্যমাত্রার বড় অংশ পূরণ না হওয়ায় আশঙ্কা দেখা দেয়। বকেয়া গৃহকর আদায়ে মাসিক সমন্বয় সভায় সিদ্ধান্ত হয় চলতি মাসে সিটি করপোরেশনের সমস্ত সেবা কার্যক্রম গ্রহণে সেবাগ্রহীতাদের গৃহকর পরিশোধের রসিদ সংযুক্ত করা হবে। তা ছাড়া সেবা দেওয়া যাবে না।
রংপুর সিটি করপোরেশনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা উম্মে ফাতিমা আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘শুধু রংপুর নয়; সব সিটি করপোরেশনে এটা আছে। সব সেবার সঙ্গে ট্যাক্স আদায় বাধ্যতামূলক। কারও যদি আপত্তি থাকে, সেটা আমরা শুনছি।’
এক প্রশ্নের উত্তরে উম্মে ফাতিমা বলেন, ‘যারা ভাড়াটিয়া, যাদের হোল্ডিং নাই। তাদের বুঝিয়ে, কীভাবে বিকল্পভাবে সেবা দেওয়া যায়, সেটা আমরা করছি। আজকে যারা এ রকম করেছে, নির্দেশনা দিয়েছে, তারা অবশ্যই জনবান্ধব, জনকল্যাণমূলক কিছু করেনি। একটা ইস্যুতে যে কর্মঘণ্টা হলো, এটা কাঙ্ক্ষিত কিছু বয়ে আনতে পারে না।’
রংপুর সিটি করপোরেশনে (রসিক) গৃহকর ছাড়া মিলছে না কোনো সেবা। সেবা নিতে হলে গৃহকর পরিশোধিত রসিদের কপি ও উৎসকর নেওয়ায় বিপাকে পড়েছেন সেবাপ্রার্থীরা। কর ছাড়া সেবা না পেয়ে বিক্ষুব্ধ সেবাপ্রার্থীরা নগর ভবনের কার্যক্রম বন্ধ করে দিয়েছেন।
সেবাপ্রার্থীদের অভিযোগ, নগরীতে ১ লাখ বাড়ির মালিক হলেও ৫ লাখ ভাড়াটিয়া থাকেন। টিকাদান, জন্মসনদ, ট্রেড লাইসেন্স, ওয়ারিশান সদন, নাগরিত্বসহ সিটি করপোরেশনের সব সেবায় নির্দিষ্ট মূল্য দিলেই পাওয়া যেত। কিন্তু হঠাৎ করে গৃহকর ও উৎসকর পরিশোধ ছাড়া কোনো সেবা পাচ্ছেন না তাঁরা। এমনকি বর্ধিত এলাকার হোল্ডিং না থাকলেও তাঁদের কাছে হোল্ড চাওয়া হচ্ছে। এতে হয়রানি ও ভোগান্তিতে পড়েছেন তাঁরা। এ ঘটনায় আজ রোববার বেলা ৩টায় বিক্ষুব্ধ সেবাপ্রার্থীরা নগর ভবনের কলাপসিবল গেট লাগিয়ে কার্যক্রম বন্ধ করে দেন।
সরেজমিনে দেখা গেছে, নগর ভবনের কলাপসিবল গেট লাগানো। সেবাপ্রার্থীরা বাইরে বিক্ষোভ করছেন। ভেতরে কর্মকর্তাদের কক্ষে ঝুলছে তালা। বিকেল পৌনে ৪টায় নগর ভবনে ছুটে আসেন রংপুর সিটি করপোরেশনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা উম্মে ফাতিমা। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে ছুটে আসেন পুলিশ ও সেনাবাহিনীর সদস্যরা।
নগর ভবনের সামনে কথা হয় কামাল কাছনার ব্যবসায়ী অনিমেশ চন্দ্র করের সঙ্গে। তিনি ট্রেড লাইসেন্স নবায়নের জন্য এসেছেন। অনিমেশ চন্দ্র আক্ষেপ করে বলেন, ‘শহরে ব্যবসা করি। গুপ্তপাড়ায় ভাড়া থাকি। এখানে ট্রেড লাইসেন্স নবায়ন করতে এসেছি। কিন্তু গৃহকর ছাড়া তারা নবায়ন করছে না। আমার যেখানে ঘর নেই, ভাড়া থাকি, সেখানে কোথা থেকে গৃহকর দেব। আর ভাড়াটিয়া যদি গৃহকর বাকি রাখে, এতে আমার করার কী? হয়রানি ছাড়া কিছুই না।’
টিকা দিতে এসে ফিরে যাচ্ছিলেন নগরীর শাহিপাড়ার রুমা বেগম। তিনি আক্ষেপ করে বলেন, কোন দিন যে এল। বাচ্চাদের টিকা দিতেও এখন হোল্ডিং ট্যাক্সে কাগজ লাগছে। ট্যাক্সেও কাগজ ছাড়া কোনো কাজ হচ্ছে না সিটি করপোরেশনে। আলমনগর এলাকার বাসিন্দা লিটন মিয়া বলেন, ‘জন্মনিবন্ধন করাতে এখন দুই হাজার টাকা উৎসকর দিতে হচ্ছে। বস্তিতে থাকি, ভাত খেতে পারি না। এত টাকা কীভাবে দেব। এখানে সেবার নামে হরিলুট চলছে। আগে তো এমন ছিল না।’
রংপুর সিটি করপোরেশন সূত্রে জানা যায়, চলতি অর্থবছরে রসিকে গৃহকরের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয় ১৮ কোটি টাকা। এপ্রিল পর্যন্ত গৃহকর আদায় করা হয় প্রায় ১১ কোটি টাকা। অর্থবছরের শেষে লক্ষ্যমাত্রার বড় অংশ পূরণ না হওয়ায় আশঙ্কা দেখা দেয়। বকেয়া গৃহকর আদায়ে মাসিক সমন্বয় সভায় সিদ্ধান্ত হয় চলতি মাসে সিটি করপোরেশনের সমস্ত সেবা কার্যক্রম গ্রহণে সেবাগ্রহীতাদের গৃহকর পরিশোধের রসিদ সংযুক্ত করা হবে। তা ছাড়া সেবা দেওয়া যাবে না।
রংপুর সিটি করপোরেশনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা উম্মে ফাতিমা আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘শুধু রংপুর নয়; সব সিটি করপোরেশনে এটা আছে। সব সেবার সঙ্গে ট্যাক্স আদায় বাধ্যতামূলক। কারও যদি আপত্তি থাকে, সেটা আমরা শুনছি।’
এক প্রশ্নের উত্তরে উম্মে ফাতিমা বলেন, ‘যারা ভাড়াটিয়া, যাদের হোল্ডিং নাই। তাদের বুঝিয়ে, কীভাবে বিকল্পভাবে সেবা দেওয়া যায়, সেটা আমরা করছি। আজকে যারা এ রকম করেছে, নির্দেশনা দিয়েছে, তারা অবশ্যই জনবান্ধব, জনকল্যাণমূলক কিছু করেনি। একটা ইস্যুতে যে কর্মঘণ্টা হলো, এটা কাঙ্ক্ষিত কিছু বয়ে আনতে পারে না।’
রাজধানীর রামপুরা ব্রিজসংলগ্ন নড়াই খাল যেন মশার কারখানায় পরিণত হয়েছে। খালটির স্থির পানিতে সারা বছরই চোখে পড়ে মশার লার্ভা। নিকটবর্তী জিরানি খালেরও একই দশা। এতে খাল দুটি হয়ে উঠছে ডেঙ্গু, চিকুনগুনিয়া ও মশাবাহিত অন্যান্য রোগ বিস্তারের উৎস। মশার উৎপাতে অতিষ্ঠ এ দুটি খালসংলগ্ন বনশ্রী, আফতাবনগর ও নন্দীপাড়া
৩ ঘণ্টা আগেমৎস্য ও বন্য প্রাণীর প্রজনন, বংশ বৃদ্ধি ও বিচরণ কার্যক্রমের সুরক্ষার জন্য ১ জুন থেকে ৩১ আগস্ট পর্যন্ত টানা তিন মাস বনজীবীদের সুন্দরবনে প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা চলছে। কিন্তু এই সময়ে থেমে নেই হরিণশিকারিরা। তাঁরা নানা কৌশলে বন থেকে হরিণ শিকার করে লোকালয়ে এনে মাংস বিক্রি করছেন চড়া দামে। চোরা শিকারিদের দৌরাত্ম
৩ ঘণ্টা আগেবগুড়ায় প্রতিবছর কমছে অর্থকরী ফসল পাট চাষ। গত চার বছরে জেলায় প্রায় সাড়ে ৩ হাজার হেক্টর জমিতে পাট চাষ কমেছে। কৃষকেরা বলছেন, খরচ বেশি আর দাম কম পাওয়ায় পাট চাষে তাঁদের আগ্রহ কমছে। অন্যদিকে কৃষি বিভাগ বলছে, উন্মুক্ত জলাশয় কমে যাওয়ার কারণে পাট জাগ দেওয়া প্রধান সমস্যা। যার কারণে পাট চাষ প্রতিবছর কমে
৩ ঘণ্টা আগেরাজধানী ঢাকায় বর্তমানে চলা প্রায় ২৫ হাজার সিএনজিচালিত অটোরিকশার মধ্যে অন্তত ৫ হাজার অবৈধ। বৈধ রেজিস্ট্রেশন, রুট পারমিটসহ দরকারি কাগজপত্র ছাড়াই এগুলো চলছে। ঢাকা পরিবহন সমন্বয় কর্তৃপক্ষের (ডিটিসিএ) এক সাম্প্রতিক জরিপে এ তথ্য উঠে এসেছে। এই প্রেক্ষাপটে সম্প্রতি ডিটিসিএতে এক সভায় রাজধানীতে বৈধ সিএনজিচালি
৩ ঘণ্টা আগে