Ajker Patrika

আবু সাঈদ হত্যাকাণ্ডে জড়িতরা দ্রুত গ্রেপ্তার না হলে পুলিশকে অবাঞ্ছিতের হুঁশিয়ারি

রংপুর প্রতিনিধি
আপডেট : ১২ ডিসেম্বর ২০২৪, ২০: ৩১
Thumbnail image
বেরোবির প্রধান ফটকের সামনে সাধারণ শিক্ষার্থী ব্যানারে অনুষ্ঠিত মানববন্ধনে অংশ নেওয়া শিক্ষার্থীরা। ছবি: আজকের পত্রিকা

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে পুলিশের গুলিতে নিহত বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের (বেরোবি) শিক্ষার্থী আবু সাঈদ হত্যাকাণ্ড মামলার আসামিদের গ্রেপ্তারের দাবিতে মানববন্ধন করেছেন শিক্ষার্থীরা। জড়িতদের দ্রুত গ্রেপ্তার করা না হলে রংপুর থেকে পুলিশকে অবাঞ্ছিত ঘোষণা করার হুঁশিয়ারি দিয়েছেন তাঁরা। আজ বৃহস্পতিবার বিকেল ৪টার দিকে বেরোবির প্রধান ফটকের সামনে সাধারণ শিক্ষার্থীবৃন্দ ব্যানারে অনুষ্ঠিত মানববন্ধনে এই হুঁশিয়ারি দেওয়া হয়।

মানববন্ধনে আবু সাঈদের বিভাগের শিক্ষার্থী সুমন সরকার বলেন, আবু সাঈদ হত্যার চার মাস পেরিয়ে গেলেও মামলার এজাহারভুক্ত ছাত্রলীগের ৮৪ জনের এখন পর্যন্ত কাউকে গ্রেপ্তার করতে পারেনি পুলিশ। সাবেক প্রক্টরকে গ্রেপ্তার করলেও আবু সাঈদ হত্যাকাণ্ডে জড়িত লোক প্রশাসন বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ও শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক আসাদুজ্জামান মণ্ডল আসাদ ও গণিত বিভাগের শিক্ষক মশিউর রহমানকে গ্রেপ্তার করতে ব্যর্থ হয়েছে পুলিশ। দ্রুত আবু সাঈদ হত্যার আসামিদের গ্রেপ্তার করা না হলে কঠোর আন্দোলন গড়ে তোলা হবে।

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়ক রহমত আলী বলেন, ‘আবু সাঈদ হত্যায় জড়িতদের পুলিশ দ্রুত গ্রেপ্তার না করলে সংগ্রামী ছাত্র–জনতা রংপুরের পুলিশকে মেনে নেবে না। আমরা পুলিশের সব মহলকে বলে দিতে চাই, হত্যাকাণ্ডে জড়িত পুলিশকে গ্রেপ্তার করা না হলে এই রংপুরের মাটিতে কোনো পুলিশের জায়গা হবে না। রংপুরে তাঁদের অবাঞ্ছিত ঘোষণা করা হবে।’

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের আরেক সমন্বয়ক বাংলা বিভাগের শিক্ষার্থী শামসুর রহমান সুমন বলেন, ‘আজকের এই মানববন্ধন থেকে হুঁশিয়ারি করে দিতে চাই। দ্রুত আসামিদের গ্রেপ্তার করা না হলে পুলিশের বিরুদ্ধে কঠোর কর্মসূচি নিতে বাধ্য হবে সাধারণ শিক্ষার্থীরা।’

বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাজবিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষার্থী রাকিব বলেন, ফ্যাসিস্ট সরকারের অনুগতরা পুলিশ প্রশাসনে বহাল। আসামিরা এখনো ধরাছোঁয়ার বাইরে। আবু সাঈদ হত্যার সঙ্গে প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে যারা মদদ দিয়েছে, তাদেরও আইনের আওতায় আনতে ব্যর্থ হয়েছে পুলিশ।

তাজহাট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শাহ আলম সরদার বলেন, ‘আবু সাঈদ হত্যা মামলার তদন্ত পিবিআই (পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন) নিয়েছে। এটা আমাদের হাতে নেই। তাই আমাদের কিছু করার নেই।’

রংপুরের পিবিআই পুলিশ সুপার এ বি এম জাকির হোসেন বলেন, ‘আবু সাঈদ হত্যাকাণ্ডের এক মাস পর পিবিআইকে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। আমাদের চেষ্টার কোনো কমতি নেই। তদন্ত চলছে। মনিটরিং সেল গঠন করা হয়েছে। অনেক নথিপত্রের কাজ এখনো শেষ হয়নি। মন্ত্রণালয়ও বিষয়টি দেখতেছে।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত