Ajker Patrika

কুয়েট উপাচার্যের পদত্যাগের দাবিতে ঢাবিতে বিক্ষোভ, কুশপুত্তলিকা দাহ

ঢাবি সংবাদদাতা
কুয়েটের উপাচার্যের পদত্যাগের দাবিতে ঢাবিতে বিক্ষোভ মিছিল করেন একদল শিক্ষার্থী। ছবি: আজকের পত্রিকা
কুয়েটের উপাচার্যের পদত্যাগের দাবিতে ঢাবিতে বিক্ষোভ মিছিল করেন একদল শিক্ষার্থী। ছবি: আজকের পত্রিকা

খুলনা প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (কুয়েট) শিক্ষার্থীদের আন্দোলনে সংহতি জানিয়ে বিক্ষোভ সমাবেশ করেছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) একদল শিক্ষার্থী। এ সময় কুয়েটের উপাচার্যের পদত্যাগ দাবি করে কুশপুত্তলিকা দাহ করেন তারা। গতকাল সোমবার রাত ১০টায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের রাজু ভাস্কর্যের পাদদেশে এ সমাবেশ হয়।

সমাবেশে বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিভাগের শিক্ষার্থী রেজোয়ান আহমেদ রিফাত বলেন, ‘শিক্ষার্থীরা যখন অচলাবস্থা কাটিয়ে হলে ঢুকতে চেয়েছে, তখন বিএনপিপন্থী উপাচার্য অধ্যাপক মাসুদ তাদের প্রতিহত করছে। আমরা শিক্ষার্থীদের ন্যায্য আন্দোলনের সঙ্গে পূর্ণ সংহতি জানাচ্ছি।’

রিফাত আরও বলেন, ‘উপাচার্যের পদত্যাগের দাবিতে দরকার হলে প্রত্যেক শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে শিক্ষার্থীরা অনশনসহ আরও কঠোর কর্মসূচি শুরু করবে। অন্তর্বর্তীকালীন সরকারকে বলতে চাই, এ উপাচার্যকে দ্রুত অপসারণ করুন। সন্ত্রাসীদের বিচার না হওয়া পর্যন্ত আমাদের সবার প্রতিবাদের কণ্ঠ জারি থাকবে।’

সমাবেশে ২০২১-২২ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী রাইয়ান ফেরদৌস বলেন, ‘ছাত্রদল কী নব্য ছাত্রলীগ হয়ে উঠছে? জুলাই অভ্যুত্থানে যে সংস্কৃতি আমরা ক্যাম্পাস থেকে বিতাড়িত করেছি তা ছাত্রদল আবার ফিরিয়ে আনছে। আমরা বলতে চাই, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক দালাল উপাচার্য যেভাবে বাংলাদেশ থেকে পালিয়েছে কুয়েটের দালাল উপাচার্যকেও বাংলাদেশ থেকে পালাতে বাধ্য হবে। অবিলম্বে নিরীহ শিক্ষার্থীদের ওপর থেকে বহিষ্কারাদেশ এবং মামলা প্রত্যাহার করতে হবে।’ তিনি জানান, উপাচার্যের পদত্যাগসহ সব দাবি পূরণ না হওয়া পর্যন্ত আমাদের এ আন্দোলন অব্যাহত থাকবে।

মো. সাইফুল্লাহ নামে এক শিক্ষার্থী বলেন, ‘সন্ত্রাসী কায়দায় শিক্ষার্থীদের ওপর হামলা করার পরও দলকানা এ উপাচার্য চুপ ছিল। তিনি হামলার বিপক্ষে কোনো কোনো পদক্ষেপ নেননি। অন্তর্বর্তীকালীন সরকারকে বলব, এ উপাচার্যকে অপসারণ করে শিক্ষার্থীদের ন্যায়বিচার নিশ্চিত করুন। অন্যথায় সারা দেশের শিক্ষার্থীদের নিয়ে আমরা তীব্র আন্দোলন গড়ে তুলব।’

সমাবেশ অংশ নেওয়া কুয়েটের শিক্ষার্থী জাহেদুর রহমান বলেন, ‘৫ আগস্টের পর যেখানে সন্ত্রাসমুক্ত প্রতিষ্ঠান হওয়ার কথা ছিল, সেখানে তার উল্টো হয়েছে। কুয়েটের বুকে নেমে এসেছে রক্তাক্ত জুলাই। সন্ত্রাসীদের হামলায় আহত হয়েছে অন্তত দেড় শ শিক্ষার্থী। আমরা প্রশাসনের কাছে বারবার সহযোগিতা পেয়েও কোনো সাড়া পাইনি। প্রশাসন সন্ত্রাসীদের নিয়ে কটা বিবৃতি পর্যন্ত দেয়নি। এ প্রশাসন কাদের ছত্রচ্ছায়ায় আছে তা আর বলার অপেক্ষা রাখে না।’

জাহেদুর রহমান বলেন, ‘আমাদের নামে স্বর্ণ ছিনতাইসহ নানা অভিযোগ দিয়ে মামলা দিয়েছে। যে মামলার আসামি আমাকেও করা হয়েছে। আমরা সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে দাঁড়িয়েছি বলে এ নিপীড়নের শিকার। আপনি এ অন্যায়ের বিরুদ্ধে না দাঁড়ালে আগামী দিনে আপনার ক্যাম্পাসও কুয়েটের মতো হবে।’

বিক্ষোভ সমাবেশ শেষে উপাচার্যের পদত্যাগের দাবিতে কুশপুত্তলিকা দাহ করেন শিক্ষার্থীরা। এ সময় তারা ‘এক দুই তিন চার, কুয়েট ভিসি গদি ছাড়’, ‘দফা এক দাবি এক, কুয়েট ভিসির পদত্যাগ’, ‘বাহ ইন্টেরিম চমৎকার, বিএনপির পাহারাদার’ ইত্যাদি স্লোগান দেন।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

১০০ বছর পর জানা গেল, ‘অপ্রয়োজনীয়’ প্রত্যঙ্গটি নারীর প্রজননের জন্য গুরুত্বপূর্ণ

‘এই টাকা দিয়ে কী হয়, আমি এত চাপ নিচ্ছি, লাখ পাঁচেক দিতে বলো’, ওসির অডিও ফাঁস

কিশোরগঞ্জে আওয়ামী লীগের ঝটিকা মিছিল, যুবলীগ নেতা গ্রেপ্তার

উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদের এপিএস মোয়াজ্জেমকে অব্যাহতি

পারভেজ হত্যায় অংশ নেয় ছাত্র, অছাত্র ও কিশোর গ্যাং সদস্য

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত