Ajker Patrika

পাথরঘাটার বিহঙ্গ দ্বীপে অগ্নিকাণ্ড, বন বিভাগ ও জেলেদের পাল্টাপাল্টি অভিযোগ

পাথরঘাটা (বরগুনা)প্রতিনিধি
আপডেট : ২৪ এপ্রিল ২০২৫, ১৪: ৪৪
সুন্দরবন সংলগ্ন বিহঙ্গ দ্বীপে আগুন লেগে ধোয়া বের হচ্ছে। ছবি: আজকের পত্রিকা
সুন্দরবন সংলগ্ন বিহঙ্গ দ্বীপে আগুন লেগে ধোয়া বের হচ্ছে। ছবি: আজকের পত্রিকা

বরগুনার পাথরঘাটার বঙ্গোপসাগরের মোহনা সুন্দরবন সংলগ্ন বিহঙ্গ দ্বীপে (ধানসির চর) অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছে। এতে স্থানীয় জেলে ও বন বিভাগের বিরুদ্ধে পাল্টাপাল্টি অভিযোগ উঠেছে। ঘটনাটি ঘটেছে গতকাল বুধবার বিকেল ৫টায় দিকে। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন পাথরঘাটা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোহাম্মদ রোকনুজ্জামান খান।

স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, ঘটনার দিনদুপুরে বন বিভাগের কয়েকজনকে খড়-কুটা নিয়ে বিহঙ্গ দ্বীপের দিকে যায়। স্থানীয়দের ধারণা বন বিভাগের লোকজন মধু সংগ্রহের জন্য আগুন জ্বালালে বাতাসে সে আগুন দ্বীপে ছড়িয়ে পড়ে। অপরদিকে বন বিভাগের লোকজন বলছেন কোনো জেলে দলের রান্নার চুলা থেকে আগুনের সূত্রপাত হতে পারে।

তবে অগ্নিকাণ্ডের সুনির্দিষ্ট কারণ ও সময় এখনো নিশ্চিতভাবে জানা যায়নি বলে জানিয়েছে ফায়ার সার্ভিস কর্তৃপক্ষ।

ফায়ার স্টেশনের ইউনিট কমান্ডার রুহুল আমিন ও ফায়ার ফাইটার মোহাম্মদ কাউসার বলেন, খবর পেয়ে দ্রুত ঘটনাস্থলের পৌঁছাই। সন্ধ্যার দিকে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনা হয়েছে। কীভাবে আগুনের সূত্রপাত হয়েছে তা এখনো জানা যায়নি।

তিনি আরও বলেন, বিহঙ্গ দ্বীপ বলেশ্বর নদীর মাঝখানে জেগে ওঠা একটি চর। এক সময় এখানে প্রচুর ‘ধানসি’ গাছ জন্মাত। যার কারণে স্থানীয়দের কাছে এটি ‘ধানসির চর’ নামে পরিচিত ছিল। পরিবেশগত গুরুত্ব বিবেচনায় সরকারিভাবে এ চরের নামকরণ করা হয় ‘বিহঙ্গ দ্বীপ’। দ্বীপটি সুন্দরবনের একেবারে সন্নিকটে অবস্থিত হওয়ায় এ অঞ্চলের জীববৈচিত্র্য ও পরিবেশের ওপর এর রয়েছে গভীর প্রভাব। দ্বীপটিতে মূলত মৌসুমি জেলে ও কিছু পরিবেশবাদী পর্যবেক্ষক দলের আনাগোনা থাকে। অগ্নিকাণ্ডের সময় কেউ আহত হয়নি।

স্থানীয় পরিবেশকর্মী আরিফ রহমান বলেন, অগ্নিকাণ্ডের কারণে দ্বীপটির প্রাকৃতিক পরিবেশ ও জীববৈচিত্র্যের ওপর গুরুতর ক্ষতির আশঙ্কা করা হচ্ছে। সুন্দরবনের নিকটবর্তী অঞ্চলে এ ধরনের ঘটনা উদ্বেগ সৃষ্টি করেছে। ঘটনার সঙ্গে জড়িতদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার আহ্বান জানান তিনি।

বিহঙ্গ দ্বীপের দায়িত্বে থাকা টেংরা বিট বন বিভাগের কর্মকর্তা মো. আরিফ হোসেন জানান, কিছু অসাধু ব্যক্তি বিহঙ্গ দ্বীপ থেকে ধানসিসহ বিভিন্ন ধরনের গাছ কেটে নিয়ে যায়। এ বিষয়ে আমরা সতর্ক অবস্থানে থাকায় আমাদের বিরুদ্ধে মধু সংগ্রহের কথা বলে দোষ চাপিয়ে দেওয়া হচ্ছে।

পাথরঘাটা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোহাম্মদ রোকনুজ্জামান খান বলেন, বিহঙ্গ দ্বীপের অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় যেই জড়িত থাকুক তার বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে। বিষয়টি গুরুত্ব দিয়ে তদন্ত করা হচ্ছে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত