শিপুল ইসলাম, রংপুর
নেই পর্যাপ্ত এতিম শিশু। নেই কমিটি। তবু এতিমখানার নামে আসে বরাদ্দ। বরাদ্দের টাকা উত্তোলনও করা হয়। তবে সেই টাকা পকেটে ভরেন তত্ত্বাবধায়ক ও সমাজসেবা কর্মকর্তা। এসব অভিযোগ রংপুরের কাউনিয়া উপজেলার আল আমিন শিশুসদনের তত্ত্বাবধায়ক মাওলানা ছমির উদ্দিন ও উপজেলা সমাজসেবা কর্মকর্তা সামিউল ইসলামের বিরুদ্ধে।
তত্ত্বাবধায়কের যোগসাজশে অতিরিক্ত এতিম শিশু দেখিয়ে ভুয়া বিল-ভাউচার দিয়ে উপজেলা সমাজসেবা কর্মকর্তা বরাদ্দের টাকা আত্মসাৎ করেছেন বলে অভিযোগ উঠেছে।
জানা গেছে, ওই শিশুসদনের কার্যকরী কমিটির মেয়াদ শেষ হয় গত ১৯ ফেব্রুয়ারি। নতুন করে এখনো কোনো কমিটি অনুমোদন দেওয়া হয়নি। অথচ অনুমোদনহীন কার্যকরী কমিটি ও তত্ত্বাবধায়কের স্বাক্ষর করা ভুয়া ব্যয়ের বিল-ভাউচার অনুমোদন করে এতিম শিশুদের জন্য ষাণ্মাসিক বরাদ্দ বাবদ ৬ লাখ ৯৬ হাজার টাকা উত্তোলন করেছেন সামিউল ইসলাম। গত বৃহস্পতিবার ওই টাকা উত্তোলন করা হয় বলে জানিয়েছেন উপজেলা হিসাবরক্ষণ কার্যালয়ের কর্মকর্তারা।
স্থানীয়দের অভিযোগ, শিশুসদনটিতে ৮ থেকে ১০ জন এতিম ও দুস্থ শিশু রয়েছে। অথচ চলতি অর্থবছরে সেখানে অতিরিক্ত ভুয়া নিবাসী এতিম শিশু দেখিয়ে ৬ লাখ ৯৬ হাজার এবং ২০২২-২৩ অর্থবছরে ১৩ লাখ ২০ হাজার টাকা উত্তোলন করা হলেও তেমন খরচ করা হয়নি। সমাজসেবা কর্মকর্তা ও শিশুসদনের দায়িত্বরত ব্যক্তিরা নামমাত্র খরচ করে বাকি টাকা আত্মসাৎ করেন। বছরের পর বছর চলে আসছে এভাবে।
এতিমখানার হিফজখানার শিক্ষক গিয়াস উদ্দিন বলেন, এখানে মক্তব ও হিফজখানায় প্রায় ৩০ জনের মতো শিশু পড়ে। এর মধ্যে তিন-চারজন এতিম শিশু রয়েছে। গত বছর তিন-চার মাস প্রতিষ্ঠানটি বন্ধ ছিল।
শিশুসদনের তত্ত্বাবধায়ক মাওলানা ছমির উদ্দিন বলেন, ফেব্রুয়ারিতে এতিমখানার কমিটির মেয়াদ শেষ হলে নতুন কমিটি জমা করা হয়। কমিটি এখনো অনুমোদন হয়নি। আগের কাগজপত্র বাতিল করে আবারও ব্যয়ের বিল-ভাউচার তৈরি করা হয়। তবে ভুয়া এতিম শিশু দেখিয়ে অর্থের অনিয়ম যদি হয়ে থাকে, তার দায়ভার উপজেলা সমাজসেবা কর্মকর্তার।
সদনের সাবেক সভাপতি বলেন, ‘আমি সভাপতি থাকাকালে আবাসিক-অনাবাসিকে ১৫-১৮ জন এতিম ও দুস্থ শিশু ছিল। টাকার অভাবে গত বছরের সেপ্টেম্বরে শিশুসদনটি বন্ধ হয়ে যায়। তত্ত্বাবধায়ক বিভিন্ন কৌশলে অতিরিক্ত এতিম শিশু দেখিয়ে কর্মকর্তার যোগসাজশে সরকারি বরাদ্দের টাকা তোলেন এবং খরচ করেন। তাঁকে বাধা দিলেও কোনো কাজ হয় না।’
সমাজসেবা কর্মকর্তা সামিউল বলেন, ওই প্রতিষ্ঠানে অল্পসংখ্যক হলেও এতিম ও দুস্থ শিশু খাওয়া-দাওয়া করে। বরাদ্দের টাকা উত্তোলন করা না হলে ক্যাপিটেশন গ্র্যান্ড বাতিল হয়ে যাবে। তাই বিভিন্ন সুপারিশে প্রথম কিস্তির বরাদ্দের টাকা উত্তোলন করা হয়েছে। তবে প্রতিষ্ঠানের ব্যাংক হিসাবে হস্তান্তর করা হয়নি। অনুমোদনহীন কমিটির স্বাক্ষরে এতিমের টাকা উত্তোলন ও এতিমখানায় ১২০ জন নিবাসী শিশু থাকার প্রত্যয়ন দেওয়ার বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বিষয়টি এড়িয়ে যান।
সমাজসেবা অধিদপ্তর রংপুরের উপপরিচালক আব্দুল মতিন বলেন, ‘আল আমিন শিশুসনদ ও এতিমখানা কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে ভুয়া এতিম সাজিয়ে অর্থ আত্মসাতের অভিযোগের সত্যতা পাওয়া গেছে। ওই প্রতিষ্ঠানে চলতি অর্থবছরে বরাদ্দের টাকা ছাড় না করার জন্য সংশ্লিষ্ট উপজেলা কর্মকর্তাকে লিখিতভাবে জানানো হয়েছে। তবে কৌশলগতভাবে টাকা উত্তোলন করে থাকলে এর দায় সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাকে নিতে হবে।’
জেলা প্রশাসক (ডিসি) মোহাম্মদ মোবাশ্বের হাসান বলেন, ‘ওই এতিমখানায় কোনো এতিম শিশু নেই। ইউএনও বিষয়টি আমাকে নিশ্চিত করেছেন। এতিমের বরাদ্দ লোপাটসহ সার্বিক বিষয়ে তদন্ত করে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’
নেই পর্যাপ্ত এতিম শিশু। নেই কমিটি। তবু এতিমখানার নামে আসে বরাদ্দ। বরাদ্দের টাকা উত্তোলনও করা হয়। তবে সেই টাকা পকেটে ভরেন তত্ত্বাবধায়ক ও সমাজসেবা কর্মকর্তা। এসব অভিযোগ রংপুরের কাউনিয়া উপজেলার আল আমিন শিশুসদনের তত্ত্বাবধায়ক মাওলানা ছমির উদ্দিন ও উপজেলা সমাজসেবা কর্মকর্তা সামিউল ইসলামের বিরুদ্ধে।
তত্ত্বাবধায়কের যোগসাজশে অতিরিক্ত এতিম শিশু দেখিয়ে ভুয়া বিল-ভাউচার দিয়ে উপজেলা সমাজসেবা কর্মকর্তা বরাদ্দের টাকা আত্মসাৎ করেছেন বলে অভিযোগ উঠেছে।
জানা গেছে, ওই শিশুসদনের কার্যকরী কমিটির মেয়াদ শেষ হয় গত ১৯ ফেব্রুয়ারি। নতুন করে এখনো কোনো কমিটি অনুমোদন দেওয়া হয়নি। অথচ অনুমোদনহীন কার্যকরী কমিটি ও তত্ত্বাবধায়কের স্বাক্ষর করা ভুয়া ব্যয়ের বিল-ভাউচার অনুমোদন করে এতিম শিশুদের জন্য ষাণ্মাসিক বরাদ্দ বাবদ ৬ লাখ ৯৬ হাজার টাকা উত্তোলন করেছেন সামিউল ইসলাম। গত বৃহস্পতিবার ওই টাকা উত্তোলন করা হয় বলে জানিয়েছেন উপজেলা হিসাবরক্ষণ কার্যালয়ের কর্মকর্তারা।
স্থানীয়দের অভিযোগ, শিশুসদনটিতে ৮ থেকে ১০ জন এতিম ও দুস্থ শিশু রয়েছে। অথচ চলতি অর্থবছরে সেখানে অতিরিক্ত ভুয়া নিবাসী এতিম শিশু দেখিয়ে ৬ লাখ ৯৬ হাজার এবং ২০২২-২৩ অর্থবছরে ১৩ লাখ ২০ হাজার টাকা উত্তোলন করা হলেও তেমন খরচ করা হয়নি। সমাজসেবা কর্মকর্তা ও শিশুসদনের দায়িত্বরত ব্যক্তিরা নামমাত্র খরচ করে বাকি টাকা আত্মসাৎ করেন। বছরের পর বছর চলে আসছে এভাবে।
এতিমখানার হিফজখানার শিক্ষক গিয়াস উদ্দিন বলেন, এখানে মক্তব ও হিফজখানায় প্রায় ৩০ জনের মতো শিশু পড়ে। এর মধ্যে তিন-চারজন এতিম শিশু রয়েছে। গত বছর তিন-চার মাস প্রতিষ্ঠানটি বন্ধ ছিল।
শিশুসদনের তত্ত্বাবধায়ক মাওলানা ছমির উদ্দিন বলেন, ফেব্রুয়ারিতে এতিমখানার কমিটির মেয়াদ শেষ হলে নতুন কমিটি জমা করা হয়। কমিটি এখনো অনুমোদন হয়নি। আগের কাগজপত্র বাতিল করে আবারও ব্যয়ের বিল-ভাউচার তৈরি করা হয়। তবে ভুয়া এতিম শিশু দেখিয়ে অর্থের অনিয়ম যদি হয়ে থাকে, তার দায়ভার উপজেলা সমাজসেবা কর্মকর্তার।
সদনের সাবেক সভাপতি বলেন, ‘আমি সভাপতি থাকাকালে আবাসিক-অনাবাসিকে ১৫-১৮ জন এতিম ও দুস্থ শিশু ছিল। টাকার অভাবে গত বছরের সেপ্টেম্বরে শিশুসদনটি বন্ধ হয়ে যায়। তত্ত্বাবধায়ক বিভিন্ন কৌশলে অতিরিক্ত এতিম শিশু দেখিয়ে কর্মকর্তার যোগসাজশে সরকারি বরাদ্দের টাকা তোলেন এবং খরচ করেন। তাঁকে বাধা দিলেও কোনো কাজ হয় না।’
সমাজসেবা কর্মকর্তা সামিউল বলেন, ওই প্রতিষ্ঠানে অল্পসংখ্যক হলেও এতিম ও দুস্থ শিশু খাওয়া-দাওয়া করে। বরাদ্দের টাকা উত্তোলন করা না হলে ক্যাপিটেশন গ্র্যান্ড বাতিল হয়ে যাবে। তাই বিভিন্ন সুপারিশে প্রথম কিস্তির বরাদ্দের টাকা উত্তোলন করা হয়েছে। তবে প্রতিষ্ঠানের ব্যাংক হিসাবে হস্তান্তর করা হয়নি। অনুমোদনহীন কমিটির স্বাক্ষরে এতিমের টাকা উত্তোলন ও এতিমখানায় ১২০ জন নিবাসী শিশু থাকার প্রত্যয়ন দেওয়ার বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বিষয়টি এড়িয়ে যান।
সমাজসেবা অধিদপ্তর রংপুরের উপপরিচালক আব্দুল মতিন বলেন, ‘আল আমিন শিশুসনদ ও এতিমখানা কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে ভুয়া এতিম সাজিয়ে অর্থ আত্মসাতের অভিযোগের সত্যতা পাওয়া গেছে। ওই প্রতিষ্ঠানে চলতি অর্থবছরে বরাদ্দের টাকা ছাড় না করার জন্য সংশ্লিষ্ট উপজেলা কর্মকর্তাকে লিখিতভাবে জানানো হয়েছে। তবে কৌশলগতভাবে টাকা উত্তোলন করে থাকলে এর দায় সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাকে নিতে হবে।’
জেলা প্রশাসক (ডিসি) মোহাম্মদ মোবাশ্বের হাসান বলেন, ‘ওই এতিমখানায় কোনো এতিম শিশু নেই। ইউএনও বিষয়টি আমাকে নিশ্চিত করেছেন। এতিমের বরাদ্দ লোপাটসহ সার্বিক বিষয়ে তদন্ত করে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’
রাকসু নির্বাচনের চারটি কেন্দ্রের ফলাফলে এগিয়ে আছেন ইসলামী ছাত্রশিবির সমর্থিত প্যানেলের ভিপি ও এজিএস প্রার্থীরা। আর জিএস পদে এগিয়ে আছেন আধিপত্যবিরোধী ঐক্য প্যানেলের প্রার্থী সালাউদ্দিন আম্মার। তিনি বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সাবেক সমন্বয়ক।
১ ঘণ্টা আগেচট্টগ্রাম রপ্তানি প্রক্রিয়াকরণ অঞ্চল (সিইপিজেড) এলাকায় কারখানার আগুন ছড়িয়ে পড়ে সাততলার পুরো ভবনটিই জ্বলছে। ১০ ঘণ্টায়ও নিয়ন্ত্রণে আসেনি আগুন। আগুনের তাপের কারণে ফায়ার সার্ভিসের সদস্যরা কাছে যেতে পারছেন না। দূর থেকে পানি দিয়ে আগুন নেভানোর চেষ্টা করছেন তাঁরা।
১ ঘণ্টা আগেরাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (রাকসু) নির্বাচনে মেয়েদের বেগম রোকেয়া হলেও ছাত্রদলের ভিপি প্রার্থী শেখ নূর উদ্দিন আবিরের চেয়ে তিন গুণ বেশি ভোট পেয়েছেন ছাত্রশিবির প্যানেলের প্রার্থী মোস্তাকুর রহমান জাহিদ।
১ ঘণ্টা আগেতিস্তা মহাপরিকল্পনা দ্রুত বাস্তবায়নের দাবিতে তিস্তা নদীপারে মশাল প্রজ্বালন করেছে হাজারো মানুষ। বৃহস্পতিবার (১৬ অক্টোবর) সন্ধ্যায় রংপুর বিভাগের পাঁচ জেলা কুড়িগ্রাম, গাইবান্ধা, লালমনিরহাট, রংপুর ও নীলফামারীতে একযোগে এই কর্মসূচি পালন করে ‘তিস্তা নদী রক্ষা আন্দোলন কমিটি’।
২ ঘণ্টা আগে