রেজা মাহমুদ, সৈয়দপুর (নীলফামারী)
বাবা বর্গা চাষি। মা গৃহিণী। পড়ালেখার পাশাপাশি বাবাকে কৃষিকাজে সহায়তা করেন মারুফা আক্তার। ভালোবাসেন ক্রিকেট খেলতে। সেই সংগ্রামী মারুফা এবার সুযোগ পেলেন জাতীয় নারী ক্রিকেট দলে।
গত রোববার (৪ সেপ্টেম্বর) টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের বাছাইপর্বের জন্য দল ঘোষণা করে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি)। ১৫ সদস্যের এই দলে নতুন মুখ ১৯ বছর বয়সী ডান হাতি পেসার মারুফা আক্তার। এই খবরে পরিবার ও এলাকায় বইছে খুশির বন্যা।
নীলফামারীর সৈয়দপুর উপজেলার প্রত্যন্ত ঢেলাপীর এলাকার দরিদ্র কৃষক আইমুল্লাহর ছোট মেয়ে মারুফা আক্তার। ছোটবেলা থেকেই ক্রিকেটের প্রতি ভালো লাগা তাঁর। সেই ভালো লাগা থেকেই প্রথমে ছেলেদের সঙ্গে খেলতে শুরু করেন ক্রিকেট। পরবর্তী সময়ে বিকেএসপিতে প্রশিক্ষণের সুযোগ পান। খেলেছেন বিভিন্ন ক্লাব ও দলে। ২০২১ সালে করোনাকালে ক্রিকেট খেলা বন্ধ থাকায় বাবা আলিমুল্লার সঙ্গে বর্গা নেওয়া জমিতে হালচাষ করার ছবি ফেসবুকে ছড়িয়ে পড়লে আলোচনায় আসেন মারুফা।
অভাব-অনটনের সংসারে ক্রিকেট খেলা মারুফার কাছে তখন বিলাসিতাই মনে হয়েছিল। করোনাকালে আর্থিক সংকটের কারণে ক্রিকেট থেকে নিজেকে সরিয়ে নেওয়ার কথাও ভেবেছিলেন। বিসিবির সহযোগিতায় ফিরে যান আগের ঠিকানা বিকেএসপিতে। বছর না পেরোতেই ঘরোয়া ক্রিকেটে ধারাবাহিক নৈপুণ্য দেখিয়ে ডাক পেলেন জাতীয় দলে।
করোনা মহামারি শেষে ওয়ানডে ফরম্যাটের ঢাকা প্রিমিয়ার লিগে বাজিমাত করেন মারুফা। বিকেএসপির হয়ে ১১ ম্যাচে ৩ দশমিক ২১ ইকোনমিতে ২৩ উইকেট নেন। এর মধ্যে এক ম্যাচেই নেন ৭ উইকেট। দারুণ বোলিংয়ের স্বীকৃতি হিসেবে জিতে নেন টুর্নামেন্টের ‘বেস্ট প্রমিজিং প্লেয়ার’-এর পুরস্কার।
এই সাফল্যের পথ ধরেই ২৮ সদস্যের জাতীয় দলের ক্যাম্পে ডাক পেয়ে সবাইকে অবাক করে দেন মারুফা। সংযুক্ত আরব আমিরাতে ১৮ সেপ্টেম্বর আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে ম্যাচ দিয়ে বিশ্বকাপ বাছাই শুরু হবে বাংলাদেশের। সূচি চূড়ান্ত হয়েছে আগেই। ক্যাম্প করার জন্য আগেভাগে সেখানে যাবে লাল-সবুজের মেয়েরা। ৮ সেপ্টেম্বর যাত্রা করবে বাংলাদেশ। এটাই হবে মারুফার প্রথম বিদেশ সফর।
এ নিয়ে আজকের পত্রিকাকে মারুফা বলেন, ‘কতটা ভালো লাগছে যে তা বোঝাতে পারব না! জাতীয় দলে সুযোগ পেয়েছি এটাই শেষ না। এখন আমার লক্ষ্য ১১ জনে থাকা এবং ভালো খেলা। অভাব-অনটনের কারণে ক্রিকেট থেকে নিজেকে সরিয়ে নিতে চেয়েছিলাম। তবে বিসিবির সহযোগিতায় আজ জাতীয় দলে জায়গা পেয়েছি। বিসিবির অনুদান না পেলে করোনার প্রথম ওয়েভের সময় থমকে যেত স্বপ্ন। বিসিবিকে আমার পাশে দাঁড়ানোর জন্য ধন্যবাদ।’
অতীতের স্মৃতি রোমন্থন করে মারুফা আক্তার বলেন, ‘পড়ালেখার পাশাপাশি ছোটবেলা থেকেই কৃষিকাজে বাবাকে সাহায্য করতাম। সেই সঙ্গে আমার বড় ভাই আল-আমিনের সঙ্গে পরিত্যক্ত রেললাইনের পাশে নিয়মিত ক্রিকেট অনুশীলন করি। ২০১৮ সালে আমি বিকেএসপিতে সুযোগ পাই। সেখানে দুই মাস ক্যাম্প করি। ক্যাম্প শেষে খুলনার ইমতিয়াজ হোসেন পিলু স্যার আমাকে ২০১৯ সালে মোহামেডানের হয়ে প্রিমিয়ার লিগে খেলার সুযোগ করে দেন। এরপর স্যার আমাকে খুলনা দলে নেন। অনূর্ধ্ব-১৮ দলে সুযোগ পাই।’
মারুফার বাবা আলিমুল্লাও মেয়ের সাফল্যে অত্যন্ত খুশি। তিনি বলেন, ‘নিজের কোনো জমি বা বসতভিটা নেই। শ্বশুরের দেওয়া বাড়িতে থাকি। অন্যের জমি বর্গা চাষ ও দিনমজুরি করে কোনো রকমে সংসার চালাচ্ছি। খেলার প্রতি মারুফার খুব আগ্রহ ও ভালোবাসা। শুরুতে মেয়ের খেলা সমাজের অনেকেই ভালোভাবে নেয়নি। দারিদ্র্য ও সামাজিক প্রতিবন্ধকতাকে উপেক্ষা করে সে জাতীয় দলে খেলবে। সে অনেক বড় খেলোয়াড় হবে এটাই আমার স্বপ্ন। সবাইকে আমার মেয়ের জন্য দোয়া করার অনুরোধ করছি।’
বাবা বর্গা চাষি। মা গৃহিণী। পড়ালেখার পাশাপাশি বাবাকে কৃষিকাজে সহায়তা করেন মারুফা আক্তার। ভালোবাসেন ক্রিকেট খেলতে। সেই সংগ্রামী মারুফা এবার সুযোগ পেলেন জাতীয় নারী ক্রিকেট দলে।
গত রোববার (৪ সেপ্টেম্বর) টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের বাছাইপর্বের জন্য দল ঘোষণা করে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি)। ১৫ সদস্যের এই দলে নতুন মুখ ১৯ বছর বয়সী ডান হাতি পেসার মারুফা আক্তার। এই খবরে পরিবার ও এলাকায় বইছে খুশির বন্যা।
নীলফামারীর সৈয়দপুর উপজেলার প্রত্যন্ত ঢেলাপীর এলাকার দরিদ্র কৃষক আইমুল্লাহর ছোট মেয়ে মারুফা আক্তার। ছোটবেলা থেকেই ক্রিকেটের প্রতি ভালো লাগা তাঁর। সেই ভালো লাগা থেকেই প্রথমে ছেলেদের সঙ্গে খেলতে শুরু করেন ক্রিকেট। পরবর্তী সময়ে বিকেএসপিতে প্রশিক্ষণের সুযোগ পান। খেলেছেন বিভিন্ন ক্লাব ও দলে। ২০২১ সালে করোনাকালে ক্রিকেট খেলা বন্ধ থাকায় বাবা আলিমুল্লার সঙ্গে বর্গা নেওয়া জমিতে হালচাষ করার ছবি ফেসবুকে ছড়িয়ে পড়লে আলোচনায় আসেন মারুফা।
অভাব-অনটনের সংসারে ক্রিকেট খেলা মারুফার কাছে তখন বিলাসিতাই মনে হয়েছিল। করোনাকালে আর্থিক সংকটের কারণে ক্রিকেট থেকে নিজেকে সরিয়ে নেওয়ার কথাও ভেবেছিলেন। বিসিবির সহযোগিতায় ফিরে যান আগের ঠিকানা বিকেএসপিতে। বছর না পেরোতেই ঘরোয়া ক্রিকেটে ধারাবাহিক নৈপুণ্য দেখিয়ে ডাক পেলেন জাতীয় দলে।
করোনা মহামারি শেষে ওয়ানডে ফরম্যাটের ঢাকা প্রিমিয়ার লিগে বাজিমাত করেন মারুফা। বিকেএসপির হয়ে ১১ ম্যাচে ৩ দশমিক ২১ ইকোনমিতে ২৩ উইকেট নেন। এর মধ্যে এক ম্যাচেই নেন ৭ উইকেট। দারুণ বোলিংয়ের স্বীকৃতি হিসেবে জিতে নেন টুর্নামেন্টের ‘বেস্ট প্রমিজিং প্লেয়ার’-এর পুরস্কার।
এই সাফল্যের পথ ধরেই ২৮ সদস্যের জাতীয় দলের ক্যাম্পে ডাক পেয়ে সবাইকে অবাক করে দেন মারুফা। সংযুক্ত আরব আমিরাতে ১৮ সেপ্টেম্বর আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে ম্যাচ দিয়ে বিশ্বকাপ বাছাই শুরু হবে বাংলাদেশের। সূচি চূড়ান্ত হয়েছে আগেই। ক্যাম্প করার জন্য আগেভাগে সেখানে যাবে লাল-সবুজের মেয়েরা। ৮ সেপ্টেম্বর যাত্রা করবে বাংলাদেশ। এটাই হবে মারুফার প্রথম বিদেশ সফর।
এ নিয়ে আজকের পত্রিকাকে মারুফা বলেন, ‘কতটা ভালো লাগছে যে তা বোঝাতে পারব না! জাতীয় দলে সুযোগ পেয়েছি এটাই শেষ না। এখন আমার লক্ষ্য ১১ জনে থাকা এবং ভালো খেলা। অভাব-অনটনের কারণে ক্রিকেট থেকে নিজেকে সরিয়ে নিতে চেয়েছিলাম। তবে বিসিবির সহযোগিতায় আজ জাতীয় দলে জায়গা পেয়েছি। বিসিবির অনুদান না পেলে করোনার প্রথম ওয়েভের সময় থমকে যেত স্বপ্ন। বিসিবিকে আমার পাশে দাঁড়ানোর জন্য ধন্যবাদ।’
অতীতের স্মৃতি রোমন্থন করে মারুফা আক্তার বলেন, ‘পড়ালেখার পাশাপাশি ছোটবেলা থেকেই কৃষিকাজে বাবাকে সাহায্য করতাম। সেই সঙ্গে আমার বড় ভাই আল-আমিনের সঙ্গে পরিত্যক্ত রেললাইনের পাশে নিয়মিত ক্রিকেট অনুশীলন করি। ২০১৮ সালে আমি বিকেএসপিতে সুযোগ পাই। সেখানে দুই মাস ক্যাম্প করি। ক্যাম্প শেষে খুলনার ইমতিয়াজ হোসেন পিলু স্যার আমাকে ২০১৯ সালে মোহামেডানের হয়ে প্রিমিয়ার লিগে খেলার সুযোগ করে দেন। এরপর স্যার আমাকে খুলনা দলে নেন। অনূর্ধ্ব-১৮ দলে সুযোগ পাই।’
মারুফার বাবা আলিমুল্লাও মেয়ের সাফল্যে অত্যন্ত খুশি। তিনি বলেন, ‘নিজের কোনো জমি বা বসতভিটা নেই। শ্বশুরের দেওয়া বাড়িতে থাকি। অন্যের জমি বর্গা চাষ ও দিনমজুরি করে কোনো রকমে সংসার চালাচ্ছি। খেলার প্রতি মারুফার খুব আগ্রহ ও ভালোবাসা। শুরুতে মেয়ের খেলা সমাজের অনেকেই ভালোভাবে নেয়নি। দারিদ্র্য ও সামাজিক প্রতিবন্ধকতাকে উপেক্ষা করে সে জাতীয় দলে খেলবে। সে অনেক বড় খেলোয়াড় হবে এটাই আমার স্বপ্ন। সবাইকে আমার মেয়ের জন্য দোয়া করার অনুরোধ করছি।’
রাজধানীর উত্তরায় মাইলস্টোন স্কুল অ্যান্ড কলেজে প্রশিক্ষণ বিমান বিধ্বস্তের পর থেকেই সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম যেন বিভীষিকাময় হয়ে উঠেছে। ফেসবুকে ঢুকলেই ওই দুর্ঘটনার মন খারাপ করা ছবি ও ভিডিও এড়িয়ে যাওয়ার উপায় নেই। স্ক্রল করতে করতে হঠাৎ চোখ আটকে যায় ‘এসএসসি ০৫-এইচএসসি ০৭’ গ্রুপের একটি পোস্টে।
১ ঘণ্টা আগেজাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটের করিডরে আগের দিনের মতো চিৎকার-চেঁচামেচি ছিল না গতকাল মঙ্গলবার। ছিল না রক্তের জন্য ছোটাছুটি। হাসপাতালজুড়ে কেমন যেন একটা উৎকণ্ঠা। এই উৎকণ্ঠা দগ্ধ শিশুগুলোর স্বজনদের চোখেমুখে। সবার প্রার্থনা, আর যেন কোনো দুঃসংবাদ কানে না আসে, সব শিশু যেন সুস্থ হয়ে ওঠে।
১ ঘণ্টা আগেশিক্ষার্থীদের প্রতি মমত্ববোধ ও দায়িত্ববোধের অসাধারণ উদাহরণ তৈরি করে গেলেন রাজধানীর মাইলস্টোন স্কুল অ্যান্ড কলেজের শিক্ষক মাহরীন চৌধুরী। যুদ্ধবিমানটি যখন তাঁর প্রতিষ্ঠানে বিধ্বস্ত হয়, তখনো তিনি অক্ষত ও সুস্থ ছিলেন। কিন্তু বিপদের মুখেই তিনি ঝাঁপিয়ে পড়েছিলেন নিজের সন্তানের মতো ছাত্রছাত্রীদের বাঁচাতে।
১ ঘণ্টা আগেরাজধানীর উত্তরার দিয়াবাড়ির মাইলস্টোন স্কুল অ্যান্ড কলেজ প্রাঙ্গণে শিক্ষার্থীদের কোলাহল নেই। বিমানবাহিনীর বিধ্বস্ত প্রশিক্ষণ যুদ্ধবিমানের বিকট শব্দে থেমে গেছে সেই কোলাহল। থামেনি সন্তান বা স্বজনহারাদের বুকফাটা কান্না, মাতম। হাসপাতালে যন্ত্রণায় কাতরাচ্ছে আহত ও দগ্ধরা।
১ ঘণ্টা আগে