Ajker Patrika

বড়পুকুরিয়া তাপবিদ্যুৎকেন্দ্রে স্টিম পাইপ ফেটে এক ইউনিটে উৎপাদন বন্ধ

ফুলবাড়ী (দিনাজপুর) প্রতিনিধি
আপডেট : ২৯ এপ্রিল ২০২৩, ২২: ০৯
বড়পুকুরিয়া তাপবিদ্যুৎকেন্দ্রে স্টিম পাইপ ফেটে এক ইউনিটে উৎপাদন বন্ধ

দিনাজপুরের বড়পুকুরিয়ায় কয়লাভিত্তিক তাপবিদ্যুৎকেন্দ্রের স্টিম পাইপ ফেটে যাওয়ার কারণে বিদ্যুৎকেন্দ্রের চালু দুটি ইউনিটের মধ্যে একটি ইউনিটের উৎপাদন বন্ধ হয়ে গেছে। তাপবিদ্যুৎকেন্দ্রের প্রধান প্রকৌশলী মো. আবু বকর সিদ্দিক বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, গতকাল শুক্রবার সন্ধ্যা পৌনে সাতটার সময় স্টিম পাইপ ফেটে তৃতীয় ইউনিটের উৎপাদন বন্ধ হয়ে যায়। 

ফলে বিদ্যুৎকেন্দ্রটি থেকে ২৭৫ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদন কমে গেছে। বর্তমানে তাপবিদ্যুৎকেন্দ্রের ১ নম্বর ইউনিট চালু রয়েছে; যা থেকে ৭৫-৮০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদন হচ্ছে। তা জাতীয় গ্রিডে সরবরাহ করা হচ্ছে।

সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, ২০০৬ সালে দিনাজপুরের বড়পুকুরিয়া কয়লাখনিসংলগ্ন তিনটি ইউনিট নিয়ে ৫২৫ মেগাওয়াট ক্ষমতাসম্পন্ন কয়লাভিত্তিক বড়পুকুরিয়া তাপবিদ্যুৎকেন্দ্র নির্মাণ করা হয়। তাপবিদ্যুৎকেন্দ্রে টেকনিক্যাল কারণে একটি ইউনিটকে পর্যায়ক্রমে ওভারহোলিংয়ে রেখে দুটি ইউনিট চালু রাখা হয়। যার মধ্যে ১ ও ৩ নম্বর ইউনিট চালু ছিল। চালু থাকা দুটি ইউনিটের মধ্যে গতকাল সন্ধ্যায় স্টিম পাইপ ফেটে যাওয়ায় তৃতীয় ইউনিটের উৎপাদন বন্ধ হয়ে গেছে।

তাপবিদ্যুৎকেন্দ্রের ২৭৫ মেগাওয়াট ক্ষমতার তৃতীয় ইউনিট থেকে প্রতিদিন ২৭০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ জাতীয় গ্রিডে সরবরাহ করা হতো। এই ইউনিট উৎপাদনে রাখতে প্রতিদিন ২ হাজার ৬০০ টন কয়লা ব্যবহার করা হয়। বর্তমানে তাপবিদ্যুৎকেন্দ্রের তিনটি ইউনিটের মধ্যে ১২৫ মেগাওয়াট ক্ষমতাসম্পন্ন ১ নম্বর ইউনিট থেকে ৭০-৮০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদন ও জাতীয় গ্রিডে সরবরাহ করা হচ্ছে। 

তাপবিদ্যুৎকেন্দ্রের প্রধান প্রকৌশলী মো. আবু বকর সিদ্দিক বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, ‘শুক্রবার সন্ধ্যা পৌনে সাতটার সময় তৃতীয় ইউনিটের উৎপাদন বন্ধ হয়ে যায়। ওখানে প্রচণ্ড গরম থাকায় ঠান্ডা করার ব্যবস্থা করা হয়েছে। ঠান্ডা হলেই মেরামত করতে এক দিন সময় লাগতে পারে। এতে বিদ্যুৎ উৎপাদনের ঘাটতি হবে কি? এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ২৭৫ মেগাওয়াট সম্পন্ন ইউনিট থেকে প্রতিদিন উৎপাদন হতো, এখন উৎপাদন ঘাটতি হবে। এতে গ্রিডে বিদ্যুৎ ঘাটতি হতে পারে।’ 

প্রকৌশলী মো. আবু বকর সিদ্দিক আরও বলেন, ‘চালু দুটি ইউনিটের মধ্যে বর্তমানে ১২৫ মেগাওয়াট সম্পন্ন ১ নম্বর ইউনিটটি উৎপাদনে রয়েছে। এই ইউনিট থেকে ৭০-৮০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদন হচ্ছে। এতে প্রতিদিন ৯০০ থেকে এক হাজার টন কয়লা প্রয়োজন হচ্ছে। অপর দিকে সংস্কারকাজের জন্য ১ নম্বর ইউনিটের ওভারহোলিংয়ের কাজ চলছে। ২ নম্বর ইউনিট চালু হলে ওই ইউনিট থেকে প্রতিদিন ৮০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদন হবে।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

প্রশিক্ষণ ছাড়াই মাঠে ৪২৬ সহায়ক পুলিশ কর্মকর্তা

গ্রাহকের ২,৬৩৫ কোটি টাকা দিচ্ছে না ৪৬ বিমা কোম্পানি

১০০ বছর পর জানা গেল ‘অপ্রয়োজনীয়’ প্রত্যঙ্গটি নারীর প্রজননের জন্য গুরুত্বপূর্ণ

‘এই টাকা দিয়ে কী হয়, আমি এত চাপ নিচ্ছি, লাখ পাঁচেক দিতে বলো’, ওসির অডিও ফাঁস

কিশোরগঞ্জে আওয়ামী লীগের ঝটিকা মিছিল, যুবলীগ নেতা গ্রেপ্তার

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত