কুড়িগ্রাম প্রতিনিধি
রাতে ঘন কুয়াশা, দিনে কুয়াশাচ্ছন্ন চারপাশে হিমেল হাওয়া। মেঘাচ্ছন্ন আকাশে তিন দিন ধরে মিলছে না সূর্যের দেখা। এর মধ্যে ধারাবাহিকভাবে কমতে থাকা তাপমাত্রায় কনকনে শীতানুভূতি। এমন পরিস্থিতিতে চরম ভোগান্তিতে পড়েছেন কুড়িগ্রামের প্রান্তিক মানুষজন। বিশেষ করে নিম্নআয়ের মানুষের কষ্টের মাত্রা বেড়েছে। পরিবারের শিশু ও বয়স্ক সদস্য আর গবাদিপশু নিয়ে বিপাকে পড়েছেন অনেকে।
আজ বৃহস্পতিবার জেলায় দিনের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ১১ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস যা বুধবারের তুলনায় দশমিক ১ ডিগ্রি কম।
কুড়িগ্রামের রাজারহাটের কৃষি আবহাওয়া পর্যবেক্ষণাগার জানায়, কয়েক দিন ধরে জেলায় তাপমাত্রা হ্রাস পাচ্ছে। হিমালয় থেকে আসা হিমেল হাওয়া জেলার ওপর দিয়ে বয়ে চলছে। ফলে বেশি ঠান্ডা অনুভূত হচ্ছে। এ ছাড়াও মেঘাচ্ছন্ন আকাশ ও ঘন কুয়াশার কারণে ঠান্ডার তীব্রতা বেড়েছে। এ অবস্থা আরও দুই একদিন চলতে পারে।
পর্যবেক্ষণাগারের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা সুবল চন্দ্র সরকার বলেন, চলমান ঠান্ডা কয়েক দিন বিরাজ করতে পারে। মধ্য জানুয়ারি পর জেলায় একটি মৃদু শৈত্য প্রবাহ বয়ে যেতে পারে। তবে আকাশ মেঘাচ্ছন্ন থাকলেও এই মুহূর্তে বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা নেই।
ঠান্ডায় তীব্রতায় স্কুলগামী শিশুদের নিয়ে বিপাকে পড়েছেন অভিভাবকেরা। বয়স্ক সদস্য আর গবাদিপশু নিয়েও বিড়ম্বনার যেন শেষ নেই। দিনমজুর খেটে খাওয়া মানুষদের কষ্টের মাত্রা বেড়েছে বহুগুণ।
কুড়িগ্রাম পৌর এলাকার বাসিন্দা হাবিব বলেন, ‘ঠান্ডায় অবস্থা খারাপ। বাচ্চাদের নিয়ে চিন্তায় আছি। এর মধ্যে প্রতিদিন সকালে স্কুলে নিয়ে যেতে বিড়ম্বনায় পড়তে হচ্ছে। ঠান্ডায় কখন বাচ্চাদের শরীরে অসুখ বাসা বাধে সেই চিন্তায় থাকি।’
সদর উপজেলার ভোগডাঙা ইউনিয়নের দিনমজুর মিজানুর বলেন, ‘প্রতিদিন সাইকেলে করে শহরে যায়া কাজ করি। ঠান্ডায় সাইকেলের হ্যান্ডেল ধরবার মন চায় না। কয়দিন থাকি সূর্যেরও দেখা নাই। খুব কষ্ট হয়া গেইছে। ম্যালা মানুষ কষ্টে আছে।’
এদিকে শীতে ঠান্ডার প্রকোপ বাড়লেও হাসপাতালে শিশু ও ডায়রিয়া রোগীর সংখ্যা স্বাভাবিক রয়েছে বলে জানিয়েছে কুড়িগ্রাম জেনারেল হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। হাসপাতালটির আবাসিক চিকিৎসক শাহীনুর রহমান সরদার বলেন, ‘এবারের শীতে এখন পর্যন্ত শিশু ও ডায়রিয়া রোগীর সংখ্যা স্বাভাবিক বরং কিছুটা কম রয়েছে। পরিবারের লোকজন একটু সতর্ক ও যত্নবান থাকলে শিশুরা শীতজনিত রোগ থেকে মুক্ত থাকতে পারবে।’
তবে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সগুলোর চিত্র কিছুটা ভিন্ন বলে জানিয়েছেন সিভিল সার্জন ডা. মঞ্জুর-এ–মুর্শেদ। তিনি বলেন, ‘শীতের প্রকোপে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সগুলোতে শিশু ও বয়স্ক রোগীর সংখ্যা ৫-১০ ভাগ বেড়েছে। হাসপাতালের বহির্বিভাগে সর্দি-কাশি জনিত রোগীর বেশি আসছেন।’
শীতজনিত রোগ থেকে মুক্ত থাকার উপায় প্রশ্নে সিভিল সার্জন বলেন, ‘শিশুদের ঠান্ডা লাগানো যাবে না। গরম কাপড় পরা ও পুষ্টিকর খাবার দিতে হবে। এ ছাড়াও যারা অ্যাজমা রোগে আক্রান্ত কিংবা যাদের উপসর্গ রয়েছে তারা যেন নিকটস্থ সরকারি হাসপাতালে গিয়ে চিকিৎসকের পরামর্শ নেন।’
এদিকে শীতার্তদের জন্য সরকারিভাবে শীতবস্ত্র বিতরণ বৃদ্ধি করা হয়েছে। জেলা প্রশাসনের দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা শাখা জানায়, চলমান শীতে প্রায় ৪০ হাজার কম্বল উপবরাদ্দ দেওয়া হয়েছে যা বিতরণ শেষ পর্যায়ে। এ ছাড়াও শীতার্ত মানুষের গৃহ সংস্কারের জন্য টিন এবং খাদ্য সহায়তার জন্য শুকনা খাবার রয়েছে। প্রয়োজন অনুযায়ী সেগুলো বিতরণ করা হবে।
জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ সাইদুল আরীফ বলেন, ‘কম্বল ছাড়াও আমরা কর্মজীবী মানুষ ও শিশুদের জন্য শীতবস্ত্র হিসেবে সোয়েটার জাতীয় বস্ত্র বিতরণের উদ্যোগ নিচ্ছি। শীতে কর্মহীন হয়ে পড়া মানুষের জন্য খাদ্য সহায়তা বিতরণ সহ মানুষের কষ্ট লাঘবের জন্য সব ধরনের ব্যবস্থা নিতে প্রশাসন প্রস্তুত রয়েছে।’
রাতে ঘন কুয়াশা, দিনে কুয়াশাচ্ছন্ন চারপাশে হিমেল হাওয়া। মেঘাচ্ছন্ন আকাশে তিন দিন ধরে মিলছে না সূর্যের দেখা। এর মধ্যে ধারাবাহিকভাবে কমতে থাকা তাপমাত্রায় কনকনে শীতানুভূতি। এমন পরিস্থিতিতে চরম ভোগান্তিতে পড়েছেন কুড়িগ্রামের প্রান্তিক মানুষজন। বিশেষ করে নিম্নআয়ের মানুষের কষ্টের মাত্রা বেড়েছে। পরিবারের শিশু ও বয়স্ক সদস্য আর গবাদিপশু নিয়ে বিপাকে পড়েছেন অনেকে।
আজ বৃহস্পতিবার জেলায় দিনের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ১১ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস যা বুধবারের তুলনায় দশমিক ১ ডিগ্রি কম।
কুড়িগ্রামের রাজারহাটের কৃষি আবহাওয়া পর্যবেক্ষণাগার জানায়, কয়েক দিন ধরে জেলায় তাপমাত্রা হ্রাস পাচ্ছে। হিমালয় থেকে আসা হিমেল হাওয়া জেলার ওপর দিয়ে বয়ে চলছে। ফলে বেশি ঠান্ডা অনুভূত হচ্ছে। এ ছাড়াও মেঘাচ্ছন্ন আকাশ ও ঘন কুয়াশার কারণে ঠান্ডার তীব্রতা বেড়েছে। এ অবস্থা আরও দুই একদিন চলতে পারে।
পর্যবেক্ষণাগারের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা সুবল চন্দ্র সরকার বলেন, চলমান ঠান্ডা কয়েক দিন বিরাজ করতে পারে। মধ্য জানুয়ারি পর জেলায় একটি মৃদু শৈত্য প্রবাহ বয়ে যেতে পারে। তবে আকাশ মেঘাচ্ছন্ন থাকলেও এই মুহূর্তে বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা নেই।
ঠান্ডায় তীব্রতায় স্কুলগামী শিশুদের নিয়ে বিপাকে পড়েছেন অভিভাবকেরা। বয়স্ক সদস্য আর গবাদিপশু নিয়েও বিড়ম্বনার যেন শেষ নেই। দিনমজুর খেটে খাওয়া মানুষদের কষ্টের মাত্রা বেড়েছে বহুগুণ।
কুড়িগ্রাম পৌর এলাকার বাসিন্দা হাবিব বলেন, ‘ঠান্ডায় অবস্থা খারাপ। বাচ্চাদের নিয়ে চিন্তায় আছি। এর মধ্যে প্রতিদিন সকালে স্কুলে নিয়ে যেতে বিড়ম্বনায় পড়তে হচ্ছে। ঠান্ডায় কখন বাচ্চাদের শরীরে অসুখ বাসা বাধে সেই চিন্তায় থাকি।’
সদর উপজেলার ভোগডাঙা ইউনিয়নের দিনমজুর মিজানুর বলেন, ‘প্রতিদিন সাইকেলে করে শহরে যায়া কাজ করি। ঠান্ডায় সাইকেলের হ্যান্ডেল ধরবার মন চায় না। কয়দিন থাকি সূর্যেরও দেখা নাই। খুব কষ্ট হয়া গেইছে। ম্যালা মানুষ কষ্টে আছে।’
এদিকে শীতে ঠান্ডার প্রকোপ বাড়লেও হাসপাতালে শিশু ও ডায়রিয়া রোগীর সংখ্যা স্বাভাবিক রয়েছে বলে জানিয়েছে কুড়িগ্রাম জেনারেল হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। হাসপাতালটির আবাসিক চিকিৎসক শাহীনুর রহমান সরদার বলেন, ‘এবারের শীতে এখন পর্যন্ত শিশু ও ডায়রিয়া রোগীর সংখ্যা স্বাভাবিক বরং কিছুটা কম রয়েছে। পরিবারের লোকজন একটু সতর্ক ও যত্নবান থাকলে শিশুরা শীতজনিত রোগ থেকে মুক্ত থাকতে পারবে।’
তবে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সগুলোর চিত্র কিছুটা ভিন্ন বলে জানিয়েছেন সিভিল সার্জন ডা. মঞ্জুর-এ–মুর্শেদ। তিনি বলেন, ‘শীতের প্রকোপে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সগুলোতে শিশু ও বয়স্ক রোগীর সংখ্যা ৫-১০ ভাগ বেড়েছে। হাসপাতালের বহির্বিভাগে সর্দি-কাশি জনিত রোগীর বেশি আসছেন।’
শীতজনিত রোগ থেকে মুক্ত থাকার উপায় প্রশ্নে সিভিল সার্জন বলেন, ‘শিশুদের ঠান্ডা লাগানো যাবে না। গরম কাপড় পরা ও পুষ্টিকর খাবার দিতে হবে। এ ছাড়াও যারা অ্যাজমা রোগে আক্রান্ত কিংবা যাদের উপসর্গ রয়েছে তারা যেন নিকটস্থ সরকারি হাসপাতালে গিয়ে চিকিৎসকের পরামর্শ নেন।’
এদিকে শীতার্তদের জন্য সরকারিভাবে শীতবস্ত্র বিতরণ বৃদ্ধি করা হয়েছে। জেলা প্রশাসনের দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা শাখা জানায়, চলমান শীতে প্রায় ৪০ হাজার কম্বল উপবরাদ্দ দেওয়া হয়েছে যা বিতরণ শেষ পর্যায়ে। এ ছাড়াও শীতার্ত মানুষের গৃহ সংস্কারের জন্য টিন এবং খাদ্য সহায়তার জন্য শুকনা খাবার রয়েছে। প্রয়োজন অনুযায়ী সেগুলো বিতরণ করা হবে।
জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ সাইদুল আরীফ বলেন, ‘কম্বল ছাড়াও আমরা কর্মজীবী মানুষ ও শিশুদের জন্য শীতবস্ত্র হিসেবে সোয়েটার জাতীয় বস্ত্র বিতরণের উদ্যোগ নিচ্ছি। শীতে কর্মহীন হয়ে পড়া মানুষের জন্য খাদ্য সহায়তা বিতরণ সহ মানুষের কষ্ট লাঘবের জন্য সব ধরনের ব্যবস্থা নিতে প্রশাসন প্রস্তুত রয়েছে।’
সিকদার গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) রন হক সিকদারের নামে পূর্বাচলে বরাদ্দ দেওয়া ১০০ একর জমি ক্রোকের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। আজ সোমবার দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে ঢাকা মহানগর দায়রা জজ ও সিনিয়র বিশেষ জজ আদালতের বিচারক মো. জাকির হোসেন এ নির্দেশ দেন।
১৫ মিনিট আগেচট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের পাঁচ শিক্ষার্থীর সন্ধানে আঞ্চলিক দল ইউনাইটেড পিপলস ডেমোক্রেটিক ফ্রন্টের (ইউপিডিএফ) একটি ‘গোপন আস্তানায়’ অভিযান চালিয়েছে যৌথ বাহিনী। আজ সোমবার ভোরে এই অভিযান চালানো হয়।
২৩ মিনিট আগেচট্টগ্রাম নগরীতে পাহাড় কেটে অবৈধভাবে নির্মাণাধীন একটি আবাসন কোম্পানির ছয়তলার বহুতল ভবন ভাঙার কাজ শুরু করেছে চট্টগ্রাম উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (সিডিএ)। আজ সোমবার সকালে নগরীর আসকারদীঘির পাড়ে এস এস খালেদ রোডসংলগ্ন নির্মাণাধীন ভবনটিতে উচ্ছেদ অভিযান পরিচালনার মাধ্যমে ভাঙার কাজ শুরু হয়।
২৫ মিনিট আগেরংপুরে বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ে (বেরোবি) নারী শিক্ষার্থীকে যৌন নিপীড়ন ও ফল জালিয়াতির অভিযোগ উঠেছে রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের বিভাগীয় প্রধান ড. তানজিউল ইসলাম জীবন ও পরিসংখ্যান বিভাগের অধ্যাপক ড. রশীদুল ইসলামের বিরুদ্ধে। এর প্রতিবাদে শিক্ষার্থীরা তাঁদের কুশপুত্তলিকায় জুতাপেটা করেছেন। বিশ্ববিদ্যালয়ের
৩০ মিনিট আগে