নীলফামারী প্রতিনিধি
ট্যানারি মালিকদের কাছে বকেয়া ৪ কোটি টাকা রয়েছে। এরই মধ্যে লবণের দাম বৃদ্ধি পাওয়ায় ঈদে চামড়ার ব্যবসা নিয়ে হতাশায় ভুগছেন নীলফামারীর ব্যবসায়ীরা। এখন লবণযুক্ত চামড়ার বদলে কাঁচা চামড়া রপ্তানির প্রক্রিয়া শুরু করার দাবি জানিয়েছেন তাঁরা। একই সঙ্গে ট্যানারি মালিকদের সঙ্গে ব্যবসার তদারকির দায়িত্ব চেম্বার অফ কমার্সের ওপর দেওয়ার আহ্বান জানান।
ব্যবসায়ী সূত্রমতে, নীলফামারীর সৈয়দপুরে চামড়া গুদাম নামে একটি মহল্লা রয়েছে। পাকিস্তান শাসনামলে দেশের উত্তরাঞ্চলের বড় আড়ত ছিল এটি। দিনাজপুর, ঠাকুরগাঁও, পঞ্চগড়ের চামড়ার মৌসুমি ব্যবসায়ীরা এখানে গরু-ছাগলের চামড়া বিক্রি করতে আসত। সেসব চামড়া রেলপথে চলে যেত ঢাকাসহ পার্শ্ববর্তী ভারতের কলকাতায়।
কিন্তু ৯০ এর দশকে সরকার ভারতে কাঁচা চামড়া রপ্তানি বন্ধ করে দিলে এ শিল্পে লোকসান দেখা দেয়। কাঙ্ক্ষিত দামের চেয়ে কম মূল্যে দেশীয় ট্যানারি ব্যবসায়ীরা চামড়া কিনলেও নানা টালবাহানা দেখিয়ে সময়মতো তা পরিশোধ করত না। বিগত ৫-৬ বছরে ঢাকার ট্যানারি মালিকদের কাছে এমনিভাবে প্রায় ৪ কোটি টাকা বকেয়া পড়ে রয়েছে। এসব বকেয়া টাকা তুলতে না পেরে অনেকেই বাবা-দাদার ব্যবসা ছেড়ে দিচ্ছেন। এখন হাতেগোনা ১৫ থেকে ১৬ জন ব্যবসায়ী এ পেশার সঙ্গে জড়িত আছেন।
চামড়া ব্যবসায়ী সরফরাজ মুন্না বলেন, ‘সরকার কর্তৃক নির্ধারিত মূল্যে ট্যানারি মালিকেরা চামড়ার দাম দেয় না। লবণযুক্ত মালামাল হওয়ায় উপায়হীন হয়ে তাঁদের কাছে ধরনা দিতে হয়। বলতে গেলে এক রকম জিম্মি হয়ে ব্যবসা করতে হয়। তা ছাড়া এবারে লবণের দামও বেড়েছে। গত বছর ৭০ কেজি ওজনের লবণের বস্তার দাম ছিল ৬৫০ টাকা। এবারে তা কিনতে হবে ১০৬০ টাকায়। তাই ছাগলের চামড়া সংরক্ষণ করতে গেলে এবারে ব্যবসায়ীরা নিশ্চিত পুঁজি হারাবে।’
সৈয়দপুর চামড়া ব্যবসায়ী মালিক সমিতির সভাপতি ও মেসার্স আল আমিন ট্রেডার্সের মালিক মো. আজিজুল হক আজকের পত্রিকাকে বলেন, আজ থেকে ৮-১০ বছর আগে সৈয়দপুর থেকে কোরবানি ঈদে ১০ কোটি টাকার চামড়া রপ্তানি হতো। ট্যানারি মালিকের কাছে আটকে থাকা পুঁজি ও মৌসুমি ব্যবসায়ীর দৌরাত্ম্যে তা বর্তমানে এক থেকে দেড় কোটিতে নেমে এসেছে। অপরদিকে, বকেয়া টাকা আদায় না হলেও ব্যবসায়ীদের নেওয়া ব্যাংক ঋণের টাকা পরিশোধ করতে হচ্ছে।
এ বিষয়ে নীলফামারী চেম্বার অফ কমার্সের নির্বাহী সদস্য মো. সিদ্দিকুল আলম আজকের পত্রিকাকে জানান, এখনো উত্তরাঞ্চলের চামড়ার বড় ব্যবসার কেন্দ্র হচ্ছে নীলফামারীর সৈয়দপুর। কিন্তু ট্যানারি মালিকদের কাছে থাকা বকেয়া টাকা তুলতে না পেয়ে ঈদে চামড়া কেনা নিয়ে ব্যবসায়ীরা আতঙ্কে রয়েছেন।
মো. সিদ্দিকুল আলম আরও বলেন, আগে কাঁচা চামড়া যেভাবে সকলে রপ্তানি করতে পারত সেভাবেই করার জন্য সরকারের প্রতি আহ্বান জানাচ্ছি।
ট্যানারি মালিকদের কাছে বকেয়া ৪ কোটি টাকা রয়েছে। এরই মধ্যে লবণের দাম বৃদ্ধি পাওয়ায় ঈদে চামড়ার ব্যবসা নিয়ে হতাশায় ভুগছেন নীলফামারীর ব্যবসায়ীরা। এখন লবণযুক্ত চামড়ার বদলে কাঁচা চামড়া রপ্তানির প্রক্রিয়া শুরু করার দাবি জানিয়েছেন তাঁরা। একই সঙ্গে ট্যানারি মালিকদের সঙ্গে ব্যবসার তদারকির দায়িত্ব চেম্বার অফ কমার্সের ওপর দেওয়ার আহ্বান জানান।
ব্যবসায়ী সূত্রমতে, নীলফামারীর সৈয়দপুরে চামড়া গুদাম নামে একটি মহল্লা রয়েছে। পাকিস্তান শাসনামলে দেশের উত্তরাঞ্চলের বড় আড়ত ছিল এটি। দিনাজপুর, ঠাকুরগাঁও, পঞ্চগড়ের চামড়ার মৌসুমি ব্যবসায়ীরা এখানে গরু-ছাগলের চামড়া বিক্রি করতে আসত। সেসব চামড়া রেলপথে চলে যেত ঢাকাসহ পার্শ্ববর্তী ভারতের কলকাতায়।
কিন্তু ৯০ এর দশকে সরকার ভারতে কাঁচা চামড়া রপ্তানি বন্ধ করে দিলে এ শিল্পে লোকসান দেখা দেয়। কাঙ্ক্ষিত দামের চেয়ে কম মূল্যে দেশীয় ট্যানারি ব্যবসায়ীরা চামড়া কিনলেও নানা টালবাহানা দেখিয়ে সময়মতো তা পরিশোধ করত না। বিগত ৫-৬ বছরে ঢাকার ট্যানারি মালিকদের কাছে এমনিভাবে প্রায় ৪ কোটি টাকা বকেয়া পড়ে রয়েছে। এসব বকেয়া টাকা তুলতে না পেরে অনেকেই বাবা-দাদার ব্যবসা ছেড়ে দিচ্ছেন। এখন হাতেগোনা ১৫ থেকে ১৬ জন ব্যবসায়ী এ পেশার সঙ্গে জড়িত আছেন।
চামড়া ব্যবসায়ী সরফরাজ মুন্না বলেন, ‘সরকার কর্তৃক নির্ধারিত মূল্যে ট্যানারি মালিকেরা চামড়ার দাম দেয় না। লবণযুক্ত মালামাল হওয়ায় উপায়হীন হয়ে তাঁদের কাছে ধরনা দিতে হয়। বলতে গেলে এক রকম জিম্মি হয়ে ব্যবসা করতে হয়। তা ছাড়া এবারে লবণের দামও বেড়েছে। গত বছর ৭০ কেজি ওজনের লবণের বস্তার দাম ছিল ৬৫০ টাকা। এবারে তা কিনতে হবে ১০৬০ টাকায়। তাই ছাগলের চামড়া সংরক্ষণ করতে গেলে এবারে ব্যবসায়ীরা নিশ্চিত পুঁজি হারাবে।’
সৈয়দপুর চামড়া ব্যবসায়ী মালিক সমিতির সভাপতি ও মেসার্স আল আমিন ট্রেডার্সের মালিক মো. আজিজুল হক আজকের পত্রিকাকে বলেন, আজ থেকে ৮-১০ বছর আগে সৈয়দপুর থেকে কোরবানি ঈদে ১০ কোটি টাকার চামড়া রপ্তানি হতো। ট্যানারি মালিকের কাছে আটকে থাকা পুঁজি ও মৌসুমি ব্যবসায়ীর দৌরাত্ম্যে তা বর্তমানে এক থেকে দেড় কোটিতে নেমে এসেছে। অপরদিকে, বকেয়া টাকা আদায় না হলেও ব্যবসায়ীদের নেওয়া ব্যাংক ঋণের টাকা পরিশোধ করতে হচ্ছে।
এ বিষয়ে নীলফামারী চেম্বার অফ কমার্সের নির্বাহী সদস্য মো. সিদ্দিকুল আলম আজকের পত্রিকাকে জানান, এখনো উত্তরাঞ্চলের চামড়ার বড় ব্যবসার কেন্দ্র হচ্ছে নীলফামারীর সৈয়দপুর। কিন্তু ট্যানারি মালিকদের কাছে থাকা বকেয়া টাকা তুলতে না পেয়ে ঈদে চামড়া কেনা নিয়ে ব্যবসায়ীরা আতঙ্কে রয়েছেন।
মো. সিদ্দিকুল আলম আরও বলেন, আগে কাঁচা চামড়া যেভাবে সকলে রপ্তানি করতে পারত সেভাবেই করার জন্য সরকারের প্রতি আহ্বান জানাচ্ছি।
রাজধানীর উত্তরায় দিয়াবাড়ির মাইলস্টোন স্কুল অ্যান্ড কলেজে জনস্রোত সৃষ্টি হয়েছে। মহানগরীর বিভিন্ন এলাকার মানুষ ও রাজধানীর শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের ছাত্র-ছাত্রীরা ঘটনাস্থলে নিহতদের প্রতি শ্রদ্ধা জানাতে ভিড় করছেন।
৮ মিনিট আগেঢাকার দিয়াবাড়িতে মাইলস্টোন স্কুল অ্যান্ড কলেজ ক্যাম্পাসে বিমান বিধ্বস্ত হয়ে হতাহতের ঘটনায় বিচার ও ক্ষতিপূরণের দাবিতে বিক্ষোভে নেমেছে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানটির শিক্ষার্থীরা। আজ মঙ্গলবার সকাল ৯টা থেকে স্কুল সংলগ্ন গোলচত্বর এলাকায় তারা বিক্ষোভ শুরু করে।
৪৩ মিনিট আগেরাজধানীর উত্তরায় মাইলস্টোন স্কুল অ্যান্ড কলেজের বিমান বিধ্বস্ত হয়ে নিহত রজনী ইসলামের লাশ দাফন সম্পন্ন হয়েছে। মঙ্গলবার (২২ জুলাই) সকাল ১০টায় কুষ্টিয়ার দৌলতপুর উপজেলার হোগলবাড়িয়া ইউনিয়নের সাদিপুর গ্রামের পারিবারিক কবরস্থানে তাঁকে দাফন করা হয়। এর আগে সকাল ৯টায় জানাজা অনুষ্ঠিত হয়।
১ ঘণ্টা আগেনোয়াখালীর হাতিয়া উপজেলার মেঘনা নদীতে নিষিদ্ধ কারেন্ট জালের বিরুদ্ধে অভিযান পরিচালনার সময় কোস্ট গার্ডের একটি টহল টিমের ওপর হামলার ঘটনা ঘটেছে। এতে কোস্টগার্ডের একজন সদস্য ও একজন মাঝি আহত হয়েছে। এ সময় ৩০ লাখ মিটার অবৈধ কারেন্টজালসহ ৩৩ জেলেকে আটক করা হয়েছে।
১ ঘণ্টা আগে