ফুলবাড়ী (কুড়িগ্রাম) প্রতিনিধি
কুড়িগ্রামের ফুলবাড়ীতে বাদামখেতে ডগা কাটা ও পাতা ছিদ্রকারী বিষাক্ত পোকার হানায় দিশেহারা হয়ে পড়েছেন কৃষক। খেত রক্ষায় কীটনাশক প্রয়োগ করেও সন্তোষজনক ফলাফল পাচ্ছেন না তাঁরা।
আজ শুক্রবার বিকেলে উপজেলার নাওডাঙ্গা ইউনিয়নের চরগোরকমন্ডল এলাকায় গিয়ে দেখা গেছে, ওই এলাকার কৃষকেরা চরের জমিতে ব্যাপক বাদামের চাষ করেছেন। সবুজ বাদামখেতে ছেয়ে গেছে পুরো এলাকা। দূর থেকে সবুজ বাদামখেত দেখলে মন জুড়ানোর কথা। কিন্তু কাছে গিয়ে দেখলে মুহূর্তেই মন খারাপ হয়ে পড়ে।
দেখা যায়, কৃষকের কষ্টের ফসলে বিষাক্ত পোকার হানা। প্রতিটি বাদামের কচি ডগা ও পাতা ছিদ্র করছে। একপর্যায়ে পাতায় পচন ধরে মরে যাচ্ছে গাছ। এভাবে বিঘার পর বিঘা বাদামখেত নষ্ট হয়ে যাচ্ছে। এ অবস্থায় অনেক বাদামচাষি নিরুপায় হয়ে পড়েছেন।
তাঁরা অভিযোগ করেন, দুর্যোগকালীন সময়ে কৃষি বিভাগের মাঠপর্যায়ের কর্মকর্তাদের পরামর্শ তো দূরের কথা, দেখাই পাওয়া যায় না। তাই বাধ্য হয়ে তাঁরা স্থানীয় কীটনাশক ব্যবসায়ীদের পরামর্শ অনুযায়ী খেতে ওষুধ প্রয়োগ করেছেন। ফসল রক্ষায় ওষুধ ছাড়াও কৃষকেরা নিড়ানি, পানি ও সার প্রয়োগ করছেন। তবে এতে প্রত্যাশিত ফল পাননি।
উপজেলার নাওডাঙ্গা ইউনিয়নের চর গোরকমন্ডল গ্ৰামের বাদামচাষি হানিফ উদ্দিন, রসুল মিয়া, আকবর আলী ও চান্দু মিয়া বলেন,‘ আমরা প্রতিবছর লাভের আশায় হাড়ভাঙা পরিশ্রম করে বাদাম চাষ করি। আবাদ ভালো হলে বিঘাপ্রতি ৮-৯ মণ বাদাম পাওয়া যায়। বাদামের বাজারমূল্য ভালো হলে লাভবান হই। এ কারণে এবারও বাদাম চাষ করি। খেতেও ভালো হয়েছে।
কিন্তু গত ১০ থেকে ১৫ দিন থেকে হঠাৎ করে খেতে বিষাক্ত পোকার আক্রমণ দেখা দিয়েছে। পোকা কচি মগডাল কেটে নষ্ট করছে। নতুন গজিয়ে ওঠা পাতাগুলো ছিদ্র করে জালের মতো করেছে। কাটা পাতায় পচন ধরেছে।’ বস্তি গোড়কমন্ডল গ্ৰামের কৃষক নুরুল আমিন বলেন, স্থানীয় কীটনাশক বিক্রেতার পরামর্শে ওষুধ প্রয়োগ করে অনেক চেষ্টা করছি। মগডাল কাটা ও পাতায় পচন রোধ হচ্ছে না। বাদাম নিয়ে খুবই চিন্তিত।
গোড়কমন্ডল নামাটারীর বাদামচাষি লাভলু মিয়া বলেন, ‘চার বিঘা জমিতে বাদাম চাষ করেছি। পাট, ভুট্টার চেয়ে বাদামে পরিশ্রম ও খরচ কম। এ জন্য আমাদের চরাঞ্চলের অনেক কৃষক বাদাম চাষ করেছেন। হঠাৎ করে আমার খেতের বাদামগাছের মগডালগুলো মরে ঝরে যাচ্ছে। এরপর দেখি মগডালে বিষাক্ত পোকা আক্রমণ করেছে। ফসল রক্ষার্থে কীটনাশক স্প্রে করেছি। কোনো ওষুধও কাজ করছে না। ফসল রক্ষা করতে না পারলে অনেক বড় লোকসানে পড়ব।’
ফুলবাড়ী উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা নিলুফা ইয়াসমিন আজকের পত্রিকাকে বলেন, এ বছর উপজেলায় ৭ হেক্টর জমিতে বাদাম চাষ হয়েছে। বাদাম চাষে উদ্বুদ্ধ করতে উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তারা মাঠপর্যায়ে শস্য উৎপাদনকারী চাষিদের প্রয়োজনীয় পরামর্শ ও সহযোগিতা দিচ্ছেন। তবে চরগোরকমন্ডলের বাদাম চাষিরা তাদের বাদাম খেতের সমস্যার বিষয়টি কৃষি বিভাগের কাউকে জানায়নি। তারপরও ওই সব কৃষকদের ফসল রক্ষার্থে মাঠে গিয়ে সব ধরনের পরামর্শ ও সহযোগিতা দেওয়া হবে।
কুড়িগ্রামের ফুলবাড়ীতে বাদামখেতে ডগা কাটা ও পাতা ছিদ্রকারী বিষাক্ত পোকার হানায় দিশেহারা হয়ে পড়েছেন কৃষক। খেত রক্ষায় কীটনাশক প্রয়োগ করেও সন্তোষজনক ফলাফল পাচ্ছেন না তাঁরা।
আজ শুক্রবার বিকেলে উপজেলার নাওডাঙ্গা ইউনিয়নের চরগোরকমন্ডল এলাকায় গিয়ে দেখা গেছে, ওই এলাকার কৃষকেরা চরের জমিতে ব্যাপক বাদামের চাষ করেছেন। সবুজ বাদামখেতে ছেয়ে গেছে পুরো এলাকা। দূর থেকে সবুজ বাদামখেত দেখলে মন জুড়ানোর কথা। কিন্তু কাছে গিয়ে দেখলে মুহূর্তেই মন খারাপ হয়ে পড়ে।
দেখা যায়, কৃষকের কষ্টের ফসলে বিষাক্ত পোকার হানা। প্রতিটি বাদামের কচি ডগা ও পাতা ছিদ্র করছে। একপর্যায়ে পাতায় পচন ধরে মরে যাচ্ছে গাছ। এভাবে বিঘার পর বিঘা বাদামখেত নষ্ট হয়ে যাচ্ছে। এ অবস্থায় অনেক বাদামচাষি নিরুপায় হয়ে পড়েছেন।
তাঁরা অভিযোগ করেন, দুর্যোগকালীন সময়ে কৃষি বিভাগের মাঠপর্যায়ের কর্মকর্তাদের পরামর্শ তো দূরের কথা, দেখাই পাওয়া যায় না। তাই বাধ্য হয়ে তাঁরা স্থানীয় কীটনাশক ব্যবসায়ীদের পরামর্শ অনুযায়ী খেতে ওষুধ প্রয়োগ করেছেন। ফসল রক্ষায় ওষুধ ছাড়াও কৃষকেরা নিড়ানি, পানি ও সার প্রয়োগ করছেন। তবে এতে প্রত্যাশিত ফল পাননি।
উপজেলার নাওডাঙ্গা ইউনিয়নের চর গোরকমন্ডল গ্ৰামের বাদামচাষি হানিফ উদ্দিন, রসুল মিয়া, আকবর আলী ও চান্দু মিয়া বলেন,‘ আমরা প্রতিবছর লাভের আশায় হাড়ভাঙা পরিশ্রম করে বাদাম চাষ করি। আবাদ ভালো হলে বিঘাপ্রতি ৮-৯ মণ বাদাম পাওয়া যায়। বাদামের বাজারমূল্য ভালো হলে লাভবান হই। এ কারণে এবারও বাদাম চাষ করি। খেতেও ভালো হয়েছে।
কিন্তু গত ১০ থেকে ১৫ দিন থেকে হঠাৎ করে খেতে বিষাক্ত পোকার আক্রমণ দেখা দিয়েছে। পোকা কচি মগডাল কেটে নষ্ট করছে। নতুন গজিয়ে ওঠা পাতাগুলো ছিদ্র করে জালের মতো করেছে। কাটা পাতায় পচন ধরেছে।’ বস্তি গোড়কমন্ডল গ্ৰামের কৃষক নুরুল আমিন বলেন, স্থানীয় কীটনাশক বিক্রেতার পরামর্শে ওষুধ প্রয়োগ করে অনেক চেষ্টা করছি। মগডাল কাটা ও পাতায় পচন রোধ হচ্ছে না। বাদাম নিয়ে খুবই চিন্তিত।
গোড়কমন্ডল নামাটারীর বাদামচাষি লাভলু মিয়া বলেন, ‘চার বিঘা জমিতে বাদাম চাষ করেছি। পাট, ভুট্টার চেয়ে বাদামে পরিশ্রম ও খরচ কম। এ জন্য আমাদের চরাঞ্চলের অনেক কৃষক বাদাম চাষ করেছেন। হঠাৎ করে আমার খেতের বাদামগাছের মগডালগুলো মরে ঝরে যাচ্ছে। এরপর দেখি মগডালে বিষাক্ত পোকা আক্রমণ করেছে। ফসল রক্ষার্থে কীটনাশক স্প্রে করেছি। কোনো ওষুধও কাজ করছে না। ফসল রক্ষা করতে না পারলে অনেক বড় লোকসানে পড়ব।’
ফুলবাড়ী উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা নিলুফা ইয়াসমিন আজকের পত্রিকাকে বলেন, এ বছর উপজেলায় ৭ হেক্টর জমিতে বাদাম চাষ হয়েছে। বাদাম চাষে উদ্বুদ্ধ করতে উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তারা মাঠপর্যায়ে শস্য উৎপাদনকারী চাষিদের প্রয়োজনীয় পরামর্শ ও সহযোগিতা দিচ্ছেন। তবে চরগোরকমন্ডলের বাদাম চাষিরা তাদের বাদাম খেতের সমস্যার বিষয়টি কৃষি বিভাগের কাউকে জানায়নি। তারপরও ওই সব কৃষকদের ফসল রক্ষার্থে মাঠে গিয়ে সব ধরনের পরামর্শ ও সহযোগিতা দেওয়া হবে।
পার্বত্য খাগড়াছড়ির সীমান্তবর্তী পানছড়ির বিভিন্ন এলাকায় নির্বিচারে কাটা হচ্ছে পাহাড়। এতে ধ্বংস হচ্ছে জীববৈচিত্র্য। ছাত্র-জনতার আন্দোলনে শেখ হাসিনা সরকারের পতনের পর পরিবর্তিত রাজনৈতিক প্রেক্ষাপটে একটি চক্র এই পাহাড় কাটায় জড়িত বলে স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে।
৬ ঘণ্টা আগেমৌলভীবাজারের শ্রীমঙ্গল উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সটি ৫০ শয্যার। তবে তীব্র জনবল-সংকটে এখানে চিকিৎসাসেবা পাওয়া দুরূহ। সাতজন চিকিৎসা কর্মকর্তা (মেডিকেল অফিসার) থাকার কথা থাকলেও আছেন মাত্র একজন। ২৩ চিকিৎসকের জায়গায় রয়েছেন ১০ জন। চিকিৎসকের ঘাটতি মেটাতে সাব-অ্যাসিস্ট্যান্ট কমিউনিটি মেডিকেল অফিসাররা
৬ ঘণ্টা আগেনানা সমস্যায় জর্জরিত দিনাজপুরের ফুলবাড়ী পৌরসভা। দীর্ঘদিন ধরে পৌর এলাকার রাস্তা ও ড্রেনের নাজুক অবস্থা, নেই পর্যাপ্ত ডাস্টবিন। ফলে যত্রতত্র গড়ে উঠেছে ময়লা-আবর্জনার ভাগাড়। ফলে দুর্ভোগ বেড়েছে পৌরবাসীর। নাগরিকদের অভিযোগ, নামে প্রথম শ্রেণির পৌরসভা হলেও বাড়েনি সেবার মান। তাই রাস্তা ও ড্রেনগুলো দ্রুত সংস্ক
৬ ঘণ্টা আগেময়মনসিংহের ঈশ্বরগঞ্জে ৫ কোটির বেশি টাকায় নেওয়া শতাধিক প্রকল্পে লুটপাটের অভিযোগ পাওয়া গেছে। সাবেক উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) সারমিনা সাত্তার ও উপজেলা প্রকৌশলী আয়েশা আখতার নিয়ম-বহির্ভূতভাবে প্রকল্প গ্রহণ ও ভুয়া প্রকল্প দেখিয়ে এই অনিয়ম করেছেন বলে অভিযোগ উঠেছে। বিষয়টি আড়াল করতে প্রকল্পের কাগজপত্র
৬ ঘণ্টা আগে