উত্তরা (ঢাকা) প্রতিনিধি
সাভারের ধামরাইয়ের ডেকোরেশন ব্যবসায়ী রাজা মিয়া। এক বছর আগে তিনি মারা যাওয়ার দোকানটি দেখভাল করতেন তাঁরই মেয়ের জামাই মো. রবিন। কিন্তু ব্যবসায় কোনো উন্নতি না হওয়ার কারণে সেটি দুই মাস আগে বিক্রি করে দেন তাঁর শাশুড়ি মোছা. নার্গিস (৩৭)। এর জেরে বালিশচাপা দিয়ে শাশুড়ি নার্গিস (৩৭), বড় শ্যালক মো. শামীম (১৬) ও ছোট শ্যালক মো. সোলাইমানকে (৬) শ্বাসরোধে হত্যা করেন রবিন।
আজ বৃহস্পতিবার (৫ জুন) দুপুরে রাজধানীর উত্তরার পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই) ঢাকা জেলা কার্যালয়ে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে আয়োজিত এসব তথ্য জানিয়েছেন পুলিশ সুপার (এসপি) মো. কুদরত-ই-খুদা।
এর আগে, ধামরাইয়ের রক্ষিত গ্রামের নিজ ঘরে ১ জুন দিবাগত রাতে খুন হন নার্গিস ও তাঁর দুই সন্তান। পরবর্তীকালে বুধবার (৪ জুন) সন্ধ্যায় ধামরাইয়ের মধুডাঙ্গা বাসস্ট্যান্ড এলাকায় অভিযান চালিয়ে রবিনকে গ্রেপ্তার করে পিবিআই।
গ্রেপ্তার হওয়া রবিন সাভারের ধামরাইয়ের কাউলীপাড়া গ্রামের রফিকুল ইসলামের ছেলে।
সংবাদ সম্মেলনে এসপি কুদরত-ই-খুদা বলেন, ‘হত্যাকাণ্ডের আগের দিন রবিন তাঁর স্ত্রী নাসরিনসহ নিয়ে শ্বশুরবাড়িতে ছিলেন। ওই দিন রাত ৮টার দিকে রবিন তাঁর স্ত্রীকে নিয়ে তাঁদের বাসায় চলে যান। ধারণা করা হচ্ছে, বাসায় যাওয়ার আগে রবিন তাঁর শাশুড়ি ও দুই শ্যালকে খাবারের সঙ্গে ঘুমের ওষুধ বা নেশাজাতীয় কিছু খাইয়ে চলে যান।’
তিনি বলেন, ‘রবিন বাসায় যাওয়ার পর গভীর রাতে তাঁর স্ত্রী ঘুমিয়ে গেলে একাই শ্বশুরবাড়িতে ফিরে আসেন। তারপর একে একে করে বুকের ওপর দুই পা দিয়ে ধরে মুখে বালিশচাপা শাশুড়ি ও দুই শ্যালকে খুন করেন।’
এসপি কুদরত বলেন, ‘পরের দিন (২ জুন) নাসরিন তাঁর মাকে সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত ফোন দেন। কিন্তু কেউ ফোন রিসিভ না করায় সশরীরে বাসায় গিয়ে দেখতে পান, তাঁর মা ও দুই ভাইয়ের মৃত দেহ কাথা দিয়ে ঢাকা অবস্থায় ছিল।’
গ্রেপ্তার হওয়া রবিনকে জিজ্ঞাসাবাদের বরাত দিয়ে এসপি কুদরত-ই-খুদা বলেন, ‘ঘটনার দিন গভীর রাতে রবিন শ্বশুরবাড়িতে গিয়ে টিনের বেড়ার দরজা খুলে ঘরে প্রবেশ করে। পরে তাঁর বড় শ্যালক শামীমকে খাটে শোয়া অবস্থায় দেখতে পায়। তারপর তার বিছানায় গিয়ে বুকের ওপর দুই পা দিয়ে চেপে ধরে মুখে বালিশচাপা দিয়ে ধরে শ্বাসরোধ করে হত্যা করে। অতঃপর একইভাবে পাশের খাটে শুয়ে থাকা অবস্থায় শাশুড়ি ও ছোট শ্যালককে খুন করে।’
হত্যাকাণ্ডের সময় চিৎকারের বিষয়ে জানতে চাইলে পিবিআইর এসপি কুদরত আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘রবিন জিজ্ঞাসাবাদে চিৎকারের কথা জানিয়েছে। সে বলেছে, মুখে বালিশচাপা দেওয়ার কারণে চিৎকার চেঁচামেচি করলেও তার আওয়াজ কেউ শুনতে পায়নি।’
হত্যাকাণ্ডের কারণ প্রসঙ্গে জানতে চাইলে এসপি কুদরত-ই-খুদা বলেন, ‘বিয়ের পর থেকে রবিন ঘরজামাইয়ের মতো করে থাকত। রবিনের শ্বশুর মারা যাওয়ার পর থেকে রবিনই তার ডেকোরেশনের ব্যবসা দেখভাল করত। আর ব্যবসার টাকা দিয়ে নেশা করত আর জুয়া খেলত। এদিকে তার শাশুড়ি ব্যবসার কোনো লাভ না দেখে দোকানটি বিক্রি করার সিদ্ধান্ত নেন। কিন্তু তার জামাইয়ের সেখানে আপত্তি ছিল। তবুও শাশুড়ি ১ লাখ ৭০ হাজার টাকায় দোকান বিক্রি করে দেয়। সেই টাকা থেকে ১৫ হাজার টাকা দিয়ে মেয়েকে সেলাই মেশিন কিনে দেয়। আর জামাইকে ২০ হাজার টাকা দিয়ে একটি মোবাইল ফোন কিনে দেয়। বাকি টাকা ঘরে ছিল। দুটি বিষয়ে হত্যাকাণ্ডের ঘটনাটি হতে পারে। একটি টাকার লোভ, অন্যটি ক্ষোভ।’
কুদরত-ই-খুদা বলেন, ‘রবিন অভিযোগ করে বলে, আমার বড় শ্যালক আমাকে খুব অসম্মান করত। আমাকে মিনিমাম সম্মান করত না, দেখতে পারত না।’ বড় ছেলের হয়তো ধারণা ছিল, ডেকোরেশনের ব্যবসাটি সে চালাবে। কিন্তু তার মা দিছে বোনজামাইকে।’
গ্রেপ্তার হওয়া আসামির প্রসঙ্গে জানতে চাইলে পিবিআইয়ের এই কর্মকর্তা বলেন, ‘গ্রেপ্তারের পর আজ তাকে ঢাকা মুখ্য মহানগর হাকিম আদালতে পাঠানো হয়েছে। সে হত্যাকাণ্ডের জড়িত থাকার কথা আদালতে ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেবে।’
সাভারের ধামরাইয়ের ডেকোরেশন ব্যবসায়ী রাজা মিয়া। এক বছর আগে তিনি মারা যাওয়ার দোকানটি দেখভাল করতেন তাঁরই মেয়ের জামাই মো. রবিন। কিন্তু ব্যবসায় কোনো উন্নতি না হওয়ার কারণে সেটি দুই মাস আগে বিক্রি করে দেন তাঁর শাশুড়ি মোছা. নার্গিস (৩৭)। এর জেরে বালিশচাপা দিয়ে শাশুড়ি নার্গিস (৩৭), বড় শ্যালক মো. শামীম (১৬) ও ছোট শ্যালক মো. সোলাইমানকে (৬) শ্বাসরোধে হত্যা করেন রবিন।
আজ বৃহস্পতিবার (৫ জুন) দুপুরে রাজধানীর উত্তরার পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই) ঢাকা জেলা কার্যালয়ে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে আয়োজিত এসব তথ্য জানিয়েছেন পুলিশ সুপার (এসপি) মো. কুদরত-ই-খুদা।
এর আগে, ধামরাইয়ের রক্ষিত গ্রামের নিজ ঘরে ১ জুন দিবাগত রাতে খুন হন নার্গিস ও তাঁর দুই সন্তান। পরবর্তীকালে বুধবার (৪ জুন) সন্ধ্যায় ধামরাইয়ের মধুডাঙ্গা বাসস্ট্যান্ড এলাকায় অভিযান চালিয়ে রবিনকে গ্রেপ্তার করে পিবিআই।
গ্রেপ্তার হওয়া রবিন সাভারের ধামরাইয়ের কাউলীপাড়া গ্রামের রফিকুল ইসলামের ছেলে।
সংবাদ সম্মেলনে এসপি কুদরত-ই-খুদা বলেন, ‘হত্যাকাণ্ডের আগের দিন রবিন তাঁর স্ত্রী নাসরিনসহ নিয়ে শ্বশুরবাড়িতে ছিলেন। ওই দিন রাত ৮টার দিকে রবিন তাঁর স্ত্রীকে নিয়ে তাঁদের বাসায় চলে যান। ধারণা করা হচ্ছে, বাসায় যাওয়ার আগে রবিন তাঁর শাশুড়ি ও দুই শ্যালকে খাবারের সঙ্গে ঘুমের ওষুধ বা নেশাজাতীয় কিছু খাইয়ে চলে যান।’
তিনি বলেন, ‘রবিন বাসায় যাওয়ার পর গভীর রাতে তাঁর স্ত্রী ঘুমিয়ে গেলে একাই শ্বশুরবাড়িতে ফিরে আসেন। তারপর একে একে করে বুকের ওপর দুই পা দিয়ে ধরে মুখে বালিশচাপা শাশুড়ি ও দুই শ্যালকে খুন করেন।’
এসপি কুদরত বলেন, ‘পরের দিন (২ জুন) নাসরিন তাঁর মাকে সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত ফোন দেন। কিন্তু কেউ ফোন রিসিভ না করায় সশরীরে বাসায় গিয়ে দেখতে পান, তাঁর মা ও দুই ভাইয়ের মৃত দেহ কাথা দিয়ে ঢাকা অবস্থায় ছিল।’
গ্রেপ্তার হওয়া রবিনকে জিজ্ঞাসাবাদের বরাত দিয়ে এসপি কুদরত-ই-খুদা বলেন, ‘ঘটনার দিন গভীর রাতে রবিন শ্বশুরবাড়িতে গিয়ে টিনের বেড়ার দরজা খুলে ঘরে প্রবেশ করে। পরে তাঁর বড় শ্যালক শামীমকে খাটে শোয়া অবস্থায় দেখতে পায়। তারপর তার বিছানায় গিয়ে বুকের ওপর দুই পা দিয়ে চেপে ধরে মুখে বালিশচাপা দিয়ে ধরে শ্বাসরোধ করে হত্যা করে। অতঃপর একইভাবে পাশের খাটে শুয়ে থাকা অবস্থায় শাশুড়ি ও ছোট শ্যালককে খুন করে।’
হত্যাকাণ্ডের সময় চিৎকারের বিষয়ে জানতে চাইলে পিবিআইর এসপি কুদরত আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘রবিন জিজ্ঞাসাবাদে চিৎকারের কথা জানিয়েছে। সে বলেছে, মুখে বালিশচাপা দেওয়ার কারণে চিৎকার চেঁচামেচি করলেও তার আওয়াজ কেউ শুনতে পায়নি।’
হত্যাকাণ্ডের কারণ প্রসঙ্গে জানতে চাইলে এসপি কুদরত-ই-খুদা বলেন, ‘বিয়ের পর থেকে রবিন ঘরজামাইয়ের মতো করে থাকত। রবিনের শ্বশুর মারা যাওয়ার পর থেকে রবিনই তার ডেকোরেশনের ব্যবসা দেখভাল করত। আর ব্যবসার টাকা দিয়ে নেশা করত আর জুয়া খেলত। এদিকে তার শাশুড়ি ব্যবসার কোনো লাভ না দেখে দোকানটি বিক্রি করার সিদ্ধান্ত নেন। কিন্তু তার জামাইয়ের সেখানে আপত্তি ছিল। তবুও শাশুড়ি ১ লাখ ৭০ হাজার টাকায় দোকান বিক্রি করে দেয়। সেই টাকা থেকে ১৫ হাজার টাকা দিয়ে মেয়েকে সেলাই মেশিন কিনে দেয়। আর জামাইকে ২০ হাজার টাকা দিয়ে একটি মোবাইল ফোন কিনে দেয়। বাকি টাকা ঘরে ছিল। দুটি বিষয়ে হত্যাকাণ্ডের ঘটনাটি হতে পারে। একটি টাকার লোভ, অন্যটি ক্ষোভ।’
কুদরত-ই-খুদা বলেন, ‘রবিন অভিযোগ করে বলে, আমার বড় শ্যালক আমাকে খুব অসম্মান করত। আমাকে মিনিমাম সম্মান করত না, দেখতে পারত না।’ বড় ছেলের হয়তো ধারণা ছিল, ডেকোরেশনের ব্যবসাটি সে চালাবে। কিন্তু তার মা দিছে বোনজামাইকে।’
গ্রেপ্তার হওয়া আসামির প্রসঙ্গে জানতে চাইলে পিবিআইয়ের এই কর্মকর্তা বলেন, ‘গ্রেপ্তারের পর আজ তাকে ঢাকা মুখ্য মহানগর হাকিম আদালতে পাঠানো হয়েছে। সে হত্যাকাণ্ডের জড়িত থাকার কথা আদালতে ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেবে।’
অর্থনীতির টালমাটাল অবস্থায় ব্যবসায়ী, রপ্তানিকারকেরা যখন বৈশ্বিক প্রতিযোগিতায় টিকে থাকার লড়াই করছেন, ঠিক তখনই চট্টগ্রাম বন্দরের মাশুল বাড়ানো হলো। ব্যবসায়ীদের বিরোধিতা সত্ত্বেও এ মাশুল ১৫ অক্টোবর থেকে কার্যকর হয়েছে। এ অবস্থায় গতকাল শনিবার কনটেইনার পরিবহন বন্ধ করে বন্দরের কার্যক্রম থমকে দিয়েছেন...
২ ঘণ্টা আগেচুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে একের পর এক পদ শূন্য থাকায় স্থবির হয়ে পড়েছে চিকিৎসাসেবা। ৫০ শয্যার জনবল ও ১০০ শয্যার খাবার-ওষুধ নিয়ে খুঁড়িয়ে খুঁড়িয়ে চলছে ২৫০ শয্যার সরকারি হাসপাতালটি; বিশেষ করে ১০ মাস ধরে অ্যানেসথেসিয়া কনসালট্যান্ট না...
২ ঘণ্টা আগেমাদারীপুরের সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়গুলোতে শিক্ষকদের হাজিরার জন্য বসানো বায়োমেট্রিক ডিজিটাল হাজিরা মেশিনগুলো কোনো কাজেই আসেনি। দিনের পর দিন ব্যবহার না হওয়ায় এসব যন্ত্র এখন নষ্টের পথে। এতে অপচয় হচ্ছে সরকারের লাখ লাখ টাকা।
৩ ঘণ্টা আগেবরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ে (ববি) অন্তত ২৩ শিক্ষককে অধ্যাপক পদে পদোন্নতি দেওয়ার তোড়জোড় চলছে। শিক্ষার্থীদের অভিযোগ, তাঁদের মধ্যে সাতজন জুলাই আন্দোলনের বিরোধিতাকারী রয়েছেন। পদোন্নতির এ সিদ্ধান্ত নিয়েছেন উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. তৌফিক আলম।
৩ ঘণ্টা আগে