রংপুর প্রতিনিধি
একসময় রংপুর নগরীর প্রাণ বলা হতো শ্যামাসুন্দীর খালকে। দখল-দূষণে এখন সেটি রংপুরের দুঃখ হয়ে দাঁড়িয়েছে। স্বাভাবিক পানির প্রবাহ বাধাগ্রস্ত হওয়ায় সামান্য পানিতে জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হয়ে বর্ষায় আতঙ্ক হয়ে দাঁড়িয়েছে শ্যামাসুন্দরী খাল। তবে ১৫ কিলোমিটার খালটি পাঁচ কিলোমিটার (চেকপোস্ট থেকে শাপলা চত্বর) অংশ রংপুর সিটি করপোরেশনের (রসিক) উদ্যোগে পরিষ্কার করা হয়েছে।
গতকাল শনিবার স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন বিডি ক্লিনের ১ হাজার সদস্য এটি পরিষ্কার করেন। তবে এটি কতটা টেকসই হবে, তা নিয়ে প্রশ্ন দেখা দিয়েছে জনমনে।
কথা হলে নিউ ইঞ্জিনিয়ারপাড়ার বাসিন্দা আবুল কালাম বলেন, ‘একসময় খালটিতে পানির প্রবাহ ছিল, কিন্তু এখন ময়লার ভাগাড় হয়েছে। দুর্গন্ধ, মশা-মাছির উপদ্রব বেড়েছে। দেখে খুব ভালো লাগছে, দীর্ঘদিন পর খালটির ময়লা-আবর্জনা পরিষ্কার করা হচ্ছে। কিন্তু সেটা কতটা টেকসই হবে? ফের বর্ষা এলে এটি আবর্জনায় ভরে বন্ধ হয়ে যাবে। আমরা এটিতে টেকসই উন্নয়ন চাই।’
চেকপোস্ট এলাকার বাসিন্দা লেবু মিয়া বলেন, শ্যামাসুন্দরী খাল যত দিন দখলমুক্ত করা যাবে না, তত দিন এর সুফল পাবে না রংপুরবাসী। এক দিনের পরিষ্কার দিয়ে কিছুই হবে না। এটা লোক দেখানোর মতো। তবে বিডি ক্লিনের সদস্যদের অসংখ্য ধন্যবাদ জানাই উৎকট দুর্গন্ধ উপেক্ষা করে তাঁরা খালটি পরিষ্কারে নেমেছেন, যা দীর্ঘদিনেও পারেনি সিটি করপোরেশন।
স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন বিডি ক্লিনেরে সদস্য আশরাফুল ইসলাম বলেন, ‘দেশের একটা নোংরা, জঞ্জাল যদি আমরা সরাই, সেটাই আমাদের পরম তৃপ্তি দেয়। তারুণ্যে কর্মে আমরা আগামী প্রজন্মকে একটা পরিচ্ছন্ন বাংলাদেশ দিতে চাই। এরই ধারাবাহিতায় শ্যামাসুন্দরী পরিষ্কারের কাজ করেছি। দেশের প্রত্যেক নাগরিকের উচিত নিজ অবস্থান থেকে ময়লা-আবর্জনা খালে না ফেলে নির্দিষ্ট জায়গায় রাখা। তবেই দেশ, প্রকৃতি ও পরিবেশ সুন্দর হবে।’
ওই সংগঠনের আরেক সদস্য ফারুক হোসেন বলেন, ‘জনসচেতনতা বৃদ্ধির জন্য আমরা একযোগে পাঁচ কিলোমিটার পরিষ্কার করেছি। যাতে মানুষ এখানে আর ময়লা-আবর্জনা না ফেলে। এটা পরিষ্কার রাখার দায়িত্ব নিতে হবে নগরবাসীকে, এখানকার প্রশাসনকে। শ্যামাসুন্দরী খালটি পরিষ্কার অভিযানে বিডি ক্লিনের ঢাকা, চট্টগ্রাম, ফেনীসহ ৯ জেলার আমরা ১ হাজার সদস্য অংশ নিয়েছি।’
রসিক মেয়র মোস্তাফিজার রহমান মোস্তফা বলেন, নির্বাচনী ইশতেহারে গ্রিন সিটি ও ক্লিন সিটি ছিল আমার অন্যতম এজেন্ডা। এরই ধারাবাহিকতায় শ্যামাসুন্দরী খালের পাঁচ কিলোমিটার ময়লাযুক্ত মাটি পুনঃখনন ও অপসারণ কার্যক্রম শুরু করেছি। শ্যামাসুন্দরী খাল পুনরুজ্জীবিত ও সৌন্দর্যবর্ধনের যে প্রয়াস চলছে, তা বাস্তবায়নে রংপুরের সব নাগরিকের সহযোগিতা প্রয়োজন।
তিনি আরও বলেন, খালকে দখল-দূষণমুক্ত করতে বিভাগীয় ও জেলা প্রশাসনকে ভূমিকা রাখতে হবে। শ্যামাসুন্দরী খাল রক্ষা, সংস্কারসহ আধুনিকায়নে প্রজেক্টের জন্য যদি প্রধানমন্ত্রী অর্থ বরাদ্দ দেন, তাহলে এটি সবচেয়ে সুন্দর লেকে পরিণত করা সম্ভব হবে।
রংপুর বিভাগীয় কমিশনার মো. জাকির হোসেন বলেন, ‘আমাদের চারপাশে এখন নদীখেকো, খাল খেকো, বালুখেকো, কৃষিজমিখেকোর ছড়াছড়ি। এদের কারণে আমাদের পরিবেশ-প্রকৃতি আজ হুমকিতে। জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাবে এই খেকোরা জড়িত। তাদের কাছ থেকে আমাদের প্রাকৃতিক সম্পদ, পরিবেশ রক্ষায় আগে নিজেদের সচেতন হতে হবে।’
তিনি আরও বলেন, দখলকারী, দূষণকারী, খেকোদের বিরুদ্ধে সোচ্চার হতে হবে। শ্যামাসুন্দরী খালকে একটি আধুনিক সুবিধাসংবলিত লেক পার্কে পরিণত করা সম্ভব। এটি বাস্তবায়ন করা গেলে নগরীর মানুষ স্বাস্থ্যসম্মত পরিবেশ ফিরে পাবে। এই খালের লেক ধরে চলাফেরার পাশাপাশি মনোরম পরিবেশ উপভোগ করা যাবে। এর জন্য শ্যামাসুন্দরীকে বাঁচিয়ে রাখাটা জরুরি। তাই খাল পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রাখা নগরীর সব নাগরিকের দায়িত্ব।
রংপুর সিটি করপোরেশন সূত্র বলেছে, শ্যামাসুন্দরী খালের পুরোনো ঐতিহ্য ফিরিয়ে আনতে ২০১৯ সালের তিনটি ধাপে পরিকল্পনা নেওয়া হয়। সীমানা নির্ধারণ, পুনরুদ্ধার ও পুনরুজ্জীবিত কর্মসূচির আওতায় ওই বছরের ২৩ অক্টোবর নগরীর চেকপোস্ট এলাকায় সীমানা নির্ধারণকাজের উদ্বোধন করা হয়। এরপর সীমানা নির্ধারণসহ অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ করা হয়।
২০২০ সালে করোনার প্রকোপ বেড়ে গেলে থমকে যায় শ্যামাসুন্দরী পুনরুজ্জীবিতকরণ কাজ। ওই বছর বৃষ্টিপাতে নগরীর বিভিন্ন এলাকায় জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হয়। ২০২১ সালেও বৃষ্টিপাতে এই খাল দিয়ে পানি নিষ্কাশন না হওয়ায় নগরীতে তীব্র জলাবদ্ধতা দেখা দেয়। ফলে পুনরায় পানিবন্দী হয়ে পড়ে নগরবাসী। এ ছাড়া পানির প্রবাহ না থাকায় ময়লা-আবর্জনায় দুর্গন্ধ ছড়ানোর পাশাপাশি মশা-মাছির উপদ্রব বেড়েছে খালপাড়ে।
২০২১ সালের শেষের দিকে সিটি করপোরেশন শ্যামাসুন্দরী নিয়ে দীর্ঘমেয়াদি পরিকল্পনার অংশ হিসেবে বিকন ডিজাইন স্টুডিও নামের একটি পরামর্শক প্রতিষ্ঠান নিয়োগ দেয়। সেই পরামর্শক প্রতিষ্ঠানের শ্যামাসুন্দরী খাল সংস্কারে স্থায়ী পরিকল্পনা নেওয়ার কথা ছিল। কিন্তু কচ্ছপের গতিতে কাজ করায় এখনো পরিকল্পনা গ্রহণ করতে পারেনি প্রতিষ্ঠানটি।
প্রসঙ্গত, ১৮৯০ সালে পৌরসভার তৎকালীন চেয়ারম্যান ও ডিমলার রাজা জানকি বল্লভ সেন তার মা শ্যামাসুন্দরীর স্মরণে এই খাল খনন করেছিলেন। খালটি রংপুর সিটি করপোরেশন এলাকার মধ্যে ১৫ দশমিক ৮০ কিলোমিটারজুড়ে বিস্তৃত। এলাকাভেদে এর প্রস্থ ২৩ থেকে ৯০ ফুট। খালটি উত্তর-পশ্চিমে কেল্লাবন্দ ঘাঘট নদী থেকে শুরু হয়ে নগরীর বিভিন্ন এলাকার বুক চিরে মাহিগঞ্জ সাতমাথা রেলগেট এলাকায় কেডি ক্যানেল স্পর্শ করে মিশেছে খোকসা ঘাঘট নদীতে।
একসময় রংপুর নগরীর প্রাণ বলা হতো শ্যামাসুন্দীর খালকে। দখল-দূষণে এখন সেটি রংপুরের দুঃখ হয়ে দাঁড়িয়েছে। স্বাভাবিক পানির প্রবাহ বাধাগ্রস্ত হওয়ায় সামান্য পানিতে জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হয়ে বর্ষায় আতঙ্ক হয়ে দাঁড়িয়েছে শ্যামাসুন্দরী খাল। তবে ১৫ কিলোমিটার খালটি পাঁচ কিলোমিটার (চেকপোস্ট থেকে শাপলা চত্বর) অংশ রংপুর সিটি করপোরেশনের (রসিক) উদ্যোগে পরিষ্কার করা হয়েছে।
গতকাল শনিবার স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন বিডি ক্লিনের ১ হাজার সদস্য এটি পরিষ্কার করেন। তবে এটি কতটা টেকসই হবে, তা নিয়ে প্রশ্ন দেখা দিয়েছে জনমনে।
কথা হলে নিউ ইঞ্জিনিয়ারপাড়ার বাসিন্দা আবুল কালাম বলেন, ‘একসময় খালটিতে পানির প্রবাহ ছিল, কিন্তু এখন ময়লার ভাগাড় হয়েছে। দুর্গন্ধ, মশা-মাছির উপদ্রব বেড়েছে। দেখে খুব ভালো লাগছে, দীর্ঘদিন পর খালটির ময়লা-আবর্জনা পরিষ্কার করা হচ্ছে। কিন্তু সেটা কতটা টেকসই হবে? ফের বর্ষা এলে এটি আবর্জনায় ভরে বন্ধ হয়ে যাবে। আমরা এটিতে টেকসই উন্নয়ন চাই।’
চেকপোস্ট এলাকার বাসিন্দা লেবু মিয়া বলেন, শ্যামাসুন্দরী খাল যত দিন দখলমুক্ত করা যাবে না, তত দিন এর সুফল পাবে না রংপুরবাসী। এক দিনের পরিষ্কার দিয়ে কিছুই হবে না। এটা লোক দেখানোর মতো। তবে বিডি ক্লিনের সদস্যদের অসংখ্য ধন্যবাদ জানাই উৎকট দুর্গন্ধ উপেক্ষা করে তাঁরা খালটি পরিষ্কারে নেমেছেন, যা দীর্ঘদিনেও পারেনি সিটি করপোরেশন।
স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন বিডি ক্লিনেরে সদস্য আশরাফুল ইসলাম বলেন, ‘দেশের একটা নোংরা, জঞ্জাল যদি আমরা সরাই, সেটাই আমাদের পরম তৃপ্তি দেয়। তারুণ্যে কর্মে আমরা আগামী প্রজন্মকে একটা পরিচ্ছন্ন বাংলাদেশ দিতে চাই। এরই ধারাবাহিতায় শ্যামাসুন্দরী পরিষ্কারের কাজ করেছি। দেশের প্রত্যেক নাগরিকের উচিত নিজ অবস্থান থেকে ময়লা-আবর্জনা খালে না ফেলে নির্দিষ্ট জায়গায় রাখা। তবেই দেশ, প্রকৃতি ও পরিবেশ সুন্দর হবে।’
ওই সংগঠনের আরেক সদস্য ফারুক হোসেন বলেন, ‘জনসচেতনতা বৃদ্ধির জন্য আমরা একযোগে পাঁচ কিলোমিটার পরিষ্কার করেছি। যাতে মানুষ এখানে আর ময়লা-আবর্জনা না ফেলে। এটা পরিষ্কার রাখার দায়িত্ব নিতে হবে নগরবাসীকে, এখানকার প্রশাসনকে। শ্যামাসুন্দরী খালটি পরিষ্কার অভিযানে বিডি ক্লিনের ঢাকা, চট্টগ্রাম, ফেনীসহ ৯ জেলার আমরা ১ হাজার সদস্য অংশ নিয়েছি।’
রসিক মেয়র মোস্তাফিজার রহমান মোস্তফা বলেন, নির্বাচনী ইশতেহারে গ্রিন সিটি ও ক্লিন সিটি ছিল আমার অন্যতম এজেন্ডা। এরই ধারাবাহিকতায় শ্যামাসুন্দরী খালের পাঁচ কিলোমিটার ময়লাযুক্ত মাটি পুনঃখনন ও অপসারণ কার্যক্রম শুরু করেছি। শ্যামাসুন্দরী খাল পুনরুজ্জীবিত ও সৌন্দর্যবর্ধনের যে প্রয়াস চলছে, তা বাস্তবায়নে রংপুরের সব নাগরিকের সহযোগিতা প্রয়োজন।
তিনি আরও বলেন, খালকে দখল-দূষণমুক্ত করতে বিভাগীয় ও জেলা প্রশাসনকে ভূমিকা রাখতে হবে। শ্যামাসুন্দরী খাল রক্ষা, সংস্কারসহ আধুনিকায়নে প্রজেক্টের জন্য যদি প্রধানমন্ত্রী অর্থ বরাদ্দ দেন, তাহলে এটি সবচেয়ে সুন্দর লেকে পরিণত করা সম্ভব হবে।
রংপুর বিভাগীয় কমিশনার মো. জাকির হোসেন বলেন, ‘আমাদের চারপাশে এখন নদীখেকো, খাল খেকো, বালুখেকো, কৃষিজমিখেকোর ছড়াছড়ি। এদের কারণে আমাদের পরিবেশ-প্রকৃতি আজ হুমকিতে। জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাবে এই খেকোরা জড়িত। তাদের কাছ থেকে আমাদের প্রাকৃতিক সম্পদ, পরিবেশ রক্ষায় আগে নিজেদের সচেতন হতে হবে।’
তিনি আরও বলেন, দখলকারী, দূষণকারী, খেকোদের বিরুদ্ধে সোচ্চার হতে হবে। শ্যামাসুন্দরী খালকে একটি আধুনিক সুবিধাসংবলিত লেক পার্কে পরিণত করা সম্ভব। এটি বাস্তবায়ন করা গেলে নগরীর মানুষ স্বাস্থ্যসম্মত পরিবেশ ফিরে পাবে। এই খালের লেক ধরে চলাফেরার পাশাপাশি মনোরম পরিবেশ উপভোগ করা যাবে। এর জন্য শ্যামাসুন্দরীকে বাঁচিয়ে রাখাটা জরুরি। তাই খাল পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রাখা নগরীর সব নাগরিকের দায়িত্ব।
রংপুর সিটি করপোরেশন সূত্র বলেছে, শ্যামাসুন্দরী খালের পুরোনো ঐতিহ্য ফিরিয়ে আনতে ২০১৯ সালের তিনটি ধাপে পরিকল্পনা নেওয়া হয়। সীমানা নির্ধারণ, পুনরুদ্ধার ও পুনরুজ্জীবিত কর্মসূচির আওতায় ওই বছরের ২৩ অক্টোবর নগরীর চেকপোস্ট এলাকায় সীমানা নির্ধারণকাজের উদ্বোধন করা হয়। এরপর সীমানা নির্ধারণসহ অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ করা হয়।
২০২০ সালে করোনার প্রকোপ বেড়ে গেলে থমকে যায় শ্যামাসুন্দরী পুনরুজ্জীবিতকরণ কাজ। ওই বছর বৃষ্টিপাতে নগরীর বিভিন্ন এলাকায় জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হয়। ২০২১ সালেও বৃষ্টিপাতে এই খাল দিয়ে পানি নিষ্কাশন না হওয়ায় নগরীতে তীব্র জলাবদ্ধতা দেখা দেয়। ফলে পুনরায় পানিবন্দী হয়ে পড়ে নগরবাসী। এ ছাড়া পানির প্রবাহ না থাকায় ময়লা-আবর্জনায় দুর্গন্ধ ছড়ানোর পাশাপাশি মশা-মাছির উপদ্রব বেড়েছে খালপাড়ে।
২০২১ সালের শেষের দিকে সিটি করপোরেশন শ্যামাসুন্দরী নিয়ে দীর্ঘমেয়াদি পরিকল্পনার অংশ হিসেবে বিকন ডিজাইন স্টুডিও নামের একটি পরামর্শক প্রতিষ্ঠান নিয়োগ দেয়। সেই পরামর্শক প্রতিষ্ঠানের শ্যামাসুন্দরী খাল সংস্কারে স্থায়ী পরিকল্পনা নেওয়ার কথা ছিল। কিন্তু কচ্ছপের গতিতে কাজ করায় এখনো পরিকল্পনা গ্রহণ করতে পারেনি প্রতিষ্ঠানটি।
প্রসঙ্গত, ১৮৯০ সালে পৌরসভার তৎকালীন চেয়ারম্যান ও ডিমলার রাজা জানকি বল্লভ সেন তার মা শ্যামাসুন্দরীর স্মরণে এই খাল খনন করেছিলেন। খালটি রংপুর সিটি করপোরেশন এলাকার মধ্যে ১৫ দশমিক ৮০ কিলোমিটারজুড়ে বিস্তৃত। এলাকাভেদে এর প্রস্থ ২৩ থেকে ৯০ ফুট। খালটি উত্তর-পশ্চিমে কেল্লাবন্দ ঘাঘট নদী থেকে শুরু হয়ে নগরীর বিভিন্ন এলাকার বুক চিরে মাহিগঞ্জ সাতমাথা রেলগেট এলাকায় কেডি ক্যানেল স্পর্শ করে মিশেছে খোকসা ঘাঘট নদীতে।
চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ডে প্রধান শিক্ষক ছাড়াই দীর্ঘদিন ধরে চলছে ১১টি মাধ্যমিক বিদ্যালয় ও মাদ্রাসা। প্রধান শিক্ষকবিহীন এসব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান পরিচালিত হচ্ছে ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক দিয়ে। অভিযোগ রয়েছে, যেসব ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক দিয়ে প্রতিষ্ঠানগুলো পরিচালিত হচ্ছে, তাঁদের অনেকেরই প্রধান শিক্ষক হওয়ার যোগ
২ ঘণ্টা আগেদুই দশক কিছুটা শান্ত থাকার পর কুড়িগ্রামের চিলমারী-রৌমারী-রাজিবপুর নৌপথে আবার ডাকাতের দৌরাত্ম্য বেড়েছে। এক মাসের ব্যবধানে দুবার ডাকাতির ঘটনা ঘটেছে। এ দুই ঘটনায় আইনগত কোনো ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি। প্রতিরোধেও কার্যকর উদ্যোগ নেই স্থানীয় প্রশাসনের। আবার ডাকাতি শুরু হওয়ায় ১৪ কিলোমিটার এই নৌপথের নৌযান, যাত্রী
৩ ঘণ্টা আগেরাত ১০টার দিকে ওই দুই যুবক মোটরসাইকেলে করে আড়ংঘাটা থানার লতার বাইপাস মোড় লিংক রোড থেকে বাইপাস মহাসড়ক পার হচ্ছিলেন। এ সময়ে আফিলগেট থেকে খুলনাগামী একটি বাস তাঁদের ধাক্কা দেয়।
৪ ঘণ্টা আগেনোয়াখালীর হাতিয়ায় গভীর রাতে বসতঘরে আগুন লেগে নিমাই চন্দ্র মজুমদার ও তাঁর স্ত্রী মিলনবালার মৃত্যু হয়েছে। শুক্রবার (৩১ জানুয়ারী) চিকিৎসার জন্য ঢাকায় নেওয়ার পথে বিকেল ৫টায় নিমাই চন্দ্রের মৃত্যু হয়। হাসপাতালে পৌছার পর রাত ৯টার দিকে মিলন বালাও মারা যান।
৪ ঘণ্টা আগে