Ajker Patrika

বিপৎসীমার ৩০ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে বইছে তিস্তার পানি

নীলফামারী প্রতিনিধি
আপডেট : ২০ জুন ২০২২, ১৫: ৫১
Thumbnail image

নীলফামারীর ডালিয়া পয়েন্টে তিস্তা নদীর পানি বিপৎসীমার ৩০ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে বইছে। আজ সোমবার দুপুর ১২টার দিকে পানি উন্নয়ন বোর্ড নীলফামারীর ডালিয়া বিভাগের বন্যা পূর্বাভাস ও সতর্কীকরণ কেন্দ্র বিষয়টি নিশ্চিত করেছে।

স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, ভারী বর্ষণ ও উজানের ঢলে পানি বৃদ্ধি পাওয়ায় জেলার ডিমলা, জলঢাকা; লালমনিরহাটের কালীগঞ্জ, হাতীবান্ধার তিস্তা নদী অববাহিকার চরাঞ্চল, গ্রামসহ নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হয়েছে। এ ছাড়া ডিমলা উপজেলার কিছামত ছাতনাই, ঝাড় শিঙ্গেশ্বর, চর খড়িবাড়ি, পূর্ব খড়িবাড়ি, পশ্চিম খড়িবাড়ি, তিস্তা বাজার, তেলির বাজার, বাইশপুকুর, ঝুনাগাছ চাঁপানীর ছাতুনামা, কেল্লাপাড়া ও ভেন্ডাবাড়ির নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হয়েছে। এতে ডিমলা উপজেলার নদীর তীরবর্তী ছয়টি ইউনিয়নের ১৫টি চরের প্রায় ১০ হাজার পরিবার বন্যাকবলিত হয়ে পড়েছে।

ডিমলা উপজেলার টেপাখড়িবাড়ি ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ময়নুল হক বলেন, উজানের ঢলে তিস্তার পানি বৃদ্ধি পাওয়ায় মানুষজন চরম দুর্ভোগে পড়েছে। মাইকিং করে চরাঞ্চলের মানুষকে নিরাপদে সরে যাওয়ার জন্য বলা হচ্ছে।

পাউবোর তিস্তা ব্যারাজের গেজ পাঠক (পানি পরিমাপক) মো. নুরুল ইসলাম বলেন, আজ সকাল ৬টার দিকে ব্যারাজ পয়েন্টে নদীর পানি বিপৎসীমার ৭ সেন্টিমিটার ও ৯টার দিকে ৪ সেন্টিমিটার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হয়। দুপুর ১২টায় পানি বেড়ে বিপৎসীমার ২৮ সেন্টিমিটার ও দুপুর ২টায় ৩০ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। ওই পয়েন্টে নদীর পানির বিপৎসীমা ৫২ দশমিক ৬০ সেন্টিমিটার।
 
ডালিয়া পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী আসফাউদৌলা বলেন, পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করতে তিস্তা ব্যারাজের সবকটি দরজা খুলে বন্যা পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণে রাখা হচ্ছে। তবে পানি আরও বৃদ্ধি পেতে পারে। একই সঙ্গে সন্ধ্যার পর থেকে পানি কমে যাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত