নিজস্ব প্রতিবেদক, দিনাজপুর থেকে
দ্বাদশ জাতীয় নির্বাচনে নৌকার প্রচারণার জন্য দিনাজপুর-২ আসনের আওয়ামী লীগ দলীয় প্রার্থী খালিদ মাহমুদ চৌধুরীকে ৫ টাকা দিয়েছিলেন বিরলের ৯২ বছরের বৃদ্ধা কামবালা। নৌকার প্রতি ভালোবাসার নিদর্শনস্বরূপ নিজের সামর্থ্যের সর্বোচ্চ উজাড় করে দিয়েছিলেন তিনি। নির্বাচনে বিপুল ভোটে বিজয়ী হয়ে টানা দ্বিতীয়বারের মতো নৌ প্রতিমন্ত্রীর দায়িত্ব পান খালিদ মাহমুদ চৌধুরী। এবার সেই ভালোবাসার প্রতিদান দিলেন প্রতিমন্ত্রী। আজ রোববার বৃদ্ধা কামবালার হাতে পাকা ঘরের চাবি তুলে দেন প্রতিমন্ত্রী।
রোববার সকালে দিনাজপুরের বিরল উপজেলার ধর্মপুর ইউনিয়নের গদাবাড়ী গ্রামে কামবালাকে বাড়ি উপহার দেওয়ার পাশাপাশি তাঁর নামে পাকা সড়কও উদ্বোধন করেন নৌ প্রতিমন্ত্রী। এর আগে নির্বাচনের বিজয়ের পর কামবালার সঙ্গে সাক্ষাৎ করেছিলেন তিনি।
একসময় গদাবাড়ীর গ্রামে তিন ছেলেকে নিয়ে জরাজীর্ণ মাটির বাড়িতে থাকতেন কামবালা। ঘরের এক অংশে টিন থাকলেও অপর অংশ শণের। এবার নৌ প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী নিজস্ব অর্থায়নে তিনটি বাড়ি পাওয়ার পর উচ্ছ্বসিত কামবালা বলেন, ‘মুই খুব খুশি হইচো, মোর বেটা মোক তিনটি বাড়ি বানায় দিছে।’
ভোটের আগে দিনাজপুর-২ (বিরল-বোঁচাগঞ্জ) আসনের বিরল উপজেলার ধর্মপুর ইউনিয়নের কালিয়াগঞ্জ বাজারে নির্বাচনী পথসভা করছিলেন খালিদ মাহমুদ। বর্ষীয়ান কামবালা সেদিন শত শত মানুষের ভিড় ডিঙিয়ে একেবারে পৌঁছে যান খালিদের সামনে। সে সময় নৌকার প্রার্থী খালিদের হাতে ৫ টাকার একটি নোট দিয়ে কামবালা বলেছিলেন, বঙ্গবন্ধুর নৌকায় খালিদকে যেন ভোট দেন আর এই টাকাও যেন ভোটের কাজে খরচ করা হয়।
খালিদ ছাড়াও সেখানে উপস্থিত অন্যদের কাছেও নৌকায় ভোট চান এই নারী।
রোববার নতুন ঘরের খাটে নৌ প্রতিমন্ত্রীকে বসার অনুরোধ জানিয়ে কামবালা বলেন, ‘বেটা মোর ঘরত বসিলে হইচো।’ উত্তরে খালিদ বলেন, ‘আমি তো তোর ঘরে বসবার জন্যই আইচ্চু।’ পরে প্রতিমন্ত্রী কামবালার ঘরে বসে আপ্যায়ন নেন।
উচ্ছ্বসিত কামবালা বলেন, ‘মুই কল্পনাও করিবার পরনি যে মুই বিল্ডিংয়ের ঘরত থাকিবার পারিম। মোর ছাওয়ালগুলা মানুষের জমিত ধান আবাদ করি যে টাকা পায়, তা দিয়ে কোনো মতে মোর বাড়ির লোকের পেটত খাবার জোটে আর ঘরবাড়ি তো দূরের কথা।’
তিনি বলেন, ‘মুই যেই পরিমাণ খুশি হইচো, তা কখনো ভাবিবাও পারনাই। মোর জীবনে সব থাকি আজকা বেশি খুশি হইচো মোর সব বেটাগুলাক ঘরবাড়ি দি। অনেক অনেক ধন্যবাদ মোর বেটা মোক যে ঘরবাড়ি দিছে।’
খালিদ মাহমুদ চৌধুরী বলেন, আমার রাজনৈতিক জীবনে একটি বিরল অভিজ্ঞতা গত জাতীয় সংসদ নির্বাচন হয়েছে। আমি এত দিন রাজনীতি করেও যেটা শিক্ষালাভ করিনি, আমাদের গদাবাড়ী গ্রামের ৯২ বয়সের এই বৃদ্ধা কামবালা আমাকে সেই শিক্ষা দিয়েছেন। একটি ভোট একটি এলাকার জন্য, একটি দেশের জন্য, সমগ্র জনগোষ্ঠীর জন্য কতটা গুরুত্বপূর্ণ, সেটা তিনি দেখিয়েছেন। ২০২৪ সালের ৭ জানুয়ারি নির্বাচনের আগে কালিয়াগঞ্জ স্কুল মাঠে জানুয়ারির ৩ তারিখ নির্বাচনী প্রচারণায় অংশ নিয়েছিলাম।
তিনি বলেন, সেই পথসভাটি জনসভায় রূপ নিয়েছিল। হাজার হাজার মানুষ সেখানে উপস্থিত ছিলেন। বিশেষ করে আমার মা-বোনেরা। সেই অনুষ্ঠানে এত মানুষের ভিড় ঠেলে কামবালা তাঁর প্রার্থীকে চেনেন না, তিনি যে আদর্শকে সমর্থন করেন, যে দলের প্রতি তাঁর ভরসা আছে, যে নেতৃত্বের প্রতি তাঁর বিশ্বাস আছে, সেই নেতৃত্বদানকারী দল আওয়ামী লীগের সভামঞ্চের দিকে এগিয়ে গেলেন। প্রার্থীকে খুঁজে নিয়েছেন। তিনি সেই সময় তাঁর যৎসামান্য সঞ্চয় তুলে দিয়েছেন।
খালিদ মাহমুদ চৌধুরী বলেন, কামবালার বিষয়ে প্রধান নির্বাচন কমিশনারকে বলেছি, কামবালা হচ্ছে ভোটার অব দি ইলেকশন। তিনি যে দৃষ্টান্ত রেখেছেন, এটা শুধু ভোটের বিষয় না, শিক্ষণীয় বিষয়। একটি ভোট একটি জাতির ভাগ্য পরিবর্তন করে দিতে পারে। একটি ভোট একটি দেশকে উন্নয়নের শিখরে নিয়ে যেতে পারে, একটি ভোট একটি জনগোষ্ঠীকে সমগ্র পৃথিবীতে জাগ্রত করতে পারে।
দ্বাদশ জাতীয় নির্বাচনে নৌকার প্রচারণার জন্য দিনাজপুর-২ আসনের আওয়ামী লীগ দলীয় প্রার্থী খালিদ মাহমুদ চৌধুরীকে ৫ টাকা দিয়েছিলেন বিরলের ৯২ বছরের বৃদ্ধা কামবালা। নৌকার প্রতি ভালোবাসার নিদর্শনস্বরূপ নিজের সামর্থ্যের সর্বোচ্চ উজাড় করে দিয়েছিলেন তিনি। নির্বাচনে বিপুল ভোটে বিজয়ী হয়ে টানা দ্বিতীয়বারের মতো নৌ প্রতিমন্ত্রীর দায়িত্ব পান খালিদ মাহমুদ চৌধুরী। এবার সেই ভালোবাসার প্রতিদান দিলেন প্রতিমন্ত্রী। আজ রোববার বৃদ্ধা কামবালার হাতে পাকা ঘরের চাবি তুলে দেন প্রতিমন্ত্রী।
রোববার সকালে দিনাজপুরের বিরল উপজেলার ধর্মপুর ইউনিয়নের গদাবাড়ী গ্রামে কামবালাকে বাড়ি উপহার দেওয়ার পাশাপাশি তাঁর নামে পাকা সড়কও উদ্বোধন করেন নৌ প্রতিমন্ত্রী। এর আগে নির্বাচনের বিজয়ের পর কামবালার সঙ্গে সাক্ষাৎ করেছিলেন তিনি।
একসময় গদাবাড়ীর গ্রামে তিন ছেলেকে নিয়ে জরাজীর্ণ মাটির বাড়িতে থাকতেন কামবালা। ঘরের এক অংশে টিন থাকলেও অপর অংশ শণের। এবার নৌ প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী নিজস্ব অর্থায়নে তিনটি বাড়ি পাওয়ার পর উচ্ছ্বসিত কামবালা বলেন, ‘মুই খুব খুশি হইচো, মোর বেটা মোক তিনটি বাড়ি বানায় দিছে।’
ভোটের আগে দিনাজপুর-২ (বিরল-বোঁচাগঞ্জ) আসনের বিরল উপজেলার ধর্মপুর ইউনিয়নের কালিয়াগঞ্জ বাজারে নির্বাচনী পথসভা করছিলেন খালিদ মাহমুদ। বর্ষীয়ান কামবালা সেদিন শত শত মানুষের ভিড় ডিঙিয়ে একেবারে পৌঁছে যান খালিদের সামনে। সে সময় নৌকার প্রার্থী খালিদের হাতে ৫ টাকার একটি নোট দিয়ে কামবালা বলেছিলেন, বঙ্গবন্ধুর নৌকায় খালিদকে যেন ভোট দেন আর এই টাকাও যেন ভোটের কাজে খরচ করা হয়।
খালিদ ছাড়াও সেখানে উপস্থিত অন্যদের কাছেও নৌকায় ভোট চান এই নারী।
রোববার নতুন ঘরের খাটে নৌ প্রতিমন্ত্রীকে বসার অনুরোধ জানিয়ে কামবালা বলেন, ‘বেটা মোর ঘরত বসিলে হইচো।’ উত্তরে খালিদ বলেন, ‘আমি তো তোর ঘরে বসবার জন্যই আইচ্চু।’ পরে প্রতিমন্ত্রী কামবালার ঘরে বসে আপ্যায়ন নেন।
উচ্ছ্বসিত কামবালা বলেন, ‘মুই কল্পনাও করিবার পরনি যে মুই বিল্ডিংয়ের ঘরত থাকিবার পারিম। মোর ছাওয়ালগুলা মানুষের জমিত ধান আবাদ করি যে টাকা পায়, তা দিয়ে কোনো মতে মোর বাড়ির লোকের পেটত খাবার জোটে আর ঘরবাড়ি তো দূরের কথা।’
তিনি বলেন, ‘মুই যেই পরিমাণ খুশি হইচো, তা কখনো ভাবিবাও পারনাই। মোর জীবনে সব থাকি আজকা বেশি খুশি হইচো মোর সব বেটাগুলাক ঘরবাড়ি দি। অনেক অনেক ধন্যবাদ মোর বেটা মোক যে ঘরবাড়ি দিছে।’
খালিদ মাহমুদ চৌধুরী বলেন, আমার রাজনৈতিক জীবনে একটি বিরল অভিজ্ঞতা গত জাতীয় সংসদ নির্বাচন হয়েছে। আমি এত দিন রাজনীতি করেও যেটা শিক্ষালাভ করিনি, আমাদের গদাবাড়ী গ্রামের ৯২ বয়সের এই বৃদ্ধা কামবালা আমাকে সেই শিক্ষা দিয়েছেন। একটি ভোট একটি এলাকার জন্য, একটি দেশের জন্য, সমগ্র জনগোষ্ঠীর জন্য কতটা গুরুত্বপূর্ণ, সেটা তিনি দেখিয়েছেন। ২০২৪ সালের ৭ জানুয়ারি নির্বাচনের আগে কালিয়াগঞ্জ স্কুল মাঠে জানুয়ারির ৩ তারিখ নির্বাচনী প্রচারণায় অংশ নিয়েছিলাম।
তিনি বলেন, সেই পথসভাটি জনসভায় রূপ নিয়েছিল। হাজার হাজার মানুষ সেখানে উপস্থিত ছিলেন। বিশেষ করে আমার মা-বোনেরা। সেই অনুষ্ঠানে এত মানুষের ভিড় ঠেলে কামবালা তাঁর প্রার্থীকে চেনেন না, তিনি যে আদর্শকে সমর্থন করেন, যে দলের প্রতি তাঁর ভরসা আছে, যে নেতৃত্বের প্রতি তাঁর বিশ্বাস আছে, সেই নেতৃত্বদানকারী দল আওয়ামী লীগের সভামঞ্চের দিকে এগিয়ে গেলেন। প্রার্থীকে খুঁজে নিয়েছেন। তিনি সেই সময় তাঁর যৎসামান্য সঞ্চয় তুলে দিয়েছেন।
খালিদ মাহমুদ চৌধুরী বলেন, কামবালার বিষয়ে প্রধান নির্বাচন কমিশনারকে বলেছি, কামবালা হচ্ছে ভোটার অব দি ইলেকশন। তিনি যে দৃষ্টান্ত রেখেছেন, এটা শুধু ভোটের বিষয় না, শিক্ষণীয় বিষয়। একটি ভোট একটি জাতির ভাগ্য পরিবর্তন করে দিতে পারে। একটি ভোট একটি দেশকে উন্নয়নের শিখরে নিয়ে যেতে পারে, একটি ভোট একটি জনগোষ্ঠীকে সমগ্র পৃথিবীতে জাগ্রত করতে পারে।
জীবিত তিন মামাকে ‘মৃত’ দেখিয়ে কোটি টাকার পৈতৃক সম্পত্তি দখল ও বিক্রির অভিযোগ উঠেছে তাঁদের ভাগনের বিরুদ্ধে। পঞ্চগড়ের দেবীগঞ্জ উপজেলার টেপ্রীগঞ্জ ইউনিয়নের খারিজা ভাজনী গ্রামে এ ঘটনা ঘটেছে।
২০ মিনিট আগেমহেশখালীর অদূরে গভীর সাগরে ইঞ্জিন বিকল হয়ে চার দিন ভেসে থাকা এফবি ‘হাবিবা’ নামের একটি মাছ ধরার ট্রলার ও ১৮ জেলেকে উদ্ধার করেছে বাংলাদেশ নৌবাহিনী। এক সপ্তাহ আগে ভোলার মনপুরা এলাকা থেকে মাছ শিকার করতে ট্রলারটি সাগরে নেমেছিল।
২২ মিনিট আগেকিশোরগঞ্জের পাকুন্দিয়ায় যুবদল নেতার বিরুদ্ধে এক শারীরিক প্রতিবন্ধী ব্যক্তির ট্রাক্টর ভাড়া নিয়ে আত্মসাতের অভিযোগ উঠেছে। এমনকি ট্রাক্টরটি ফেরত চাইলে মাথায় পিস্তল ঠেকিয়ে গুলি করে মেরে ফেলার হুমকিও দেওয়া হয়। এ ঘটনায় দুই মাস আগে পাকুন্দিয়া থানায় লিখিত অভিযোগ দিলেও কোনো ব্যবস্থা নেয়নি পুলিশ।
৩২ মিনিট আগেবিশ্ববিদ্যালয় সূত্রে জানা গেছে, জুলাই ৩৬ হলের আগের নাম ছিল বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন নেছা মুজিব হল। নাম পরিবর্তনের প্রতিবাদ ও আগের নাম বহাল রাখার দাবিতে গত ৯ জানুয়ারি রাত ৯টা থেকে ১টা পর্যন্ত হলে আন্দোলন করেন একদল ছাত্রী। এ ছাড়া কয়েক ছাত্রী সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে প্রাধ্যক্ষ ও প্রক্টরের পদত্যাগের দাবি...
৩৭ মিনিট আগে