গঙ্গাচড়া (রংপুর) প্রতিনিধি
রংপুরের গঙ্গাচড়ায় দুদিনের বৃষ্টি ও উজানের পাহাড়ি ঢলে তিস্তার পানি বৃদ্ধি পেয়েছে। এতে তলিয়ে গেছে রাস্তা-ঘাট, আমন বীজতলা, মরিচ খেতসহ বিভিন্ন ফসল। উপজেলার কোলকোন্দ, লক্ষীটারী, নোহালী ইউনিয়নে পানিবন্দী হয়ে পড়েছে হাজারো পরিবার। এদিকে কোলকোন্দ ইউনিয়নে ভাঙন হুমকিতে পড়েছে প্রায় ৫০টি পরিবার।
পাউবোর নিয়ন্ত্রণকক্ষ জানায়, আজ বুধবার সকাল নয়টায় তিস্তা ব্যারেজের ডালিয়া পয়েন্টে পানি প্রবাহ রেকর্ড করা হয় ৫১ দশমিক ৯২ সেন্টিমিটার। যা বিপৎসীমার শূন্য দশমিক ২৩ সেন্টিমিটার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হয়। সকাল ৬টায় যা রেকর্ড করা হয় ৫১ দশমিক ৯৫ সেন্টিমিটার। দুপুর ১২টায় ৫১ দশমিক ৮৮। এখানে বিপৎসীমা ধরা হয় (৫২ দশমিক ১৫ সেন্টিমিটার)।
এদিকে বুধবার সকাল নয়টায় তিস্তার কাউনিয়া পয়েন্টে শূন্য দশমিক ২০ সেন্টিমিটার পানি প্রবাহ বিপৎসীমার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হয়। এর আগে ভোর ছয়টায় ওই পয়েন্টে পানি প্রবাহ বিপৎসীমার ১৫ সেন্টিমিটার ওপরে ছিল। দুপুর ১২টায় ২৮ দশমিক ৯৩ যা বিপৎসীমার ১৮ সেন্টিমিটার ওপরে। বিপৎসীমা (২৮ দশমিক ৭৫ সেন্টিমিটার)।
আজ সরেজমিন সকালে কোলকোন্দ ইউনিয়নের গোডাউনের হাট এলাকায় গিয়ে দেখা যায়, কোলকোন্দ ইউনিয়ন পরিষদ থেকে ১ নম্বর গ্রয়িং বাঁধ পর্যন্ত তিস্তা নদীতে তীব্র ভাঙন দেখা দিয়েছে। ভাঙন রোধে জিও ব্যাগ ফেলছে পানি উন্নয়ন বোর্ড (পাউবো)।
এ সময় কথা হয় তিস্তার ভাঙনে ঘরের অর্ধেক ধসে যাওয়া এক পরিবারের সদস্য টুনু মিয়ার (৫২) সঙ্গে। তিনি আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘বাহে ১ মাস আগ থাকি মেম্বার চেয়ারম্যানক কইচোল পানি উন্নয়ন বোর্ডের লোকজনক খবর দিবার। কয়েক দিন আগত কাম শুরু করলে কি আর আজ হামার ঘর ভাঙিল হয়। হামার ইদটাও ভাল করি কইরবার দেইল না। ৪-৫ দিন থাকি চোখত ঘুম নাই আজ যদি বৃষ্টি হয় পুরা বাড়িরা ভাঙি নদীত যাইবে।’
একই এলাকার বাসিন্দা সারওয়ার (৬০) আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘সরকারের নদী খুরলে (খনন) কি হয়? নদীর পেটত বালাতে ভর্তি। তাই অল্প একনা পানিতে নদী উচলি যায়। আগত নদী আচলো মাজত। এলা হইছে দুই বগলোত। মাজত উচা চর হয়া আছে। যতোই বস্তা ফেলাইক না ক্যানে কেনো কাম হবার নেয়। নদী না খুরা পর্যন্ত।’
কোলকোন্দ ইউনিয়নের চর চিলাখালের রফিকুল ইসলাম (৫০) আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘কিসের ঈদ করমো, হামার এত্তি বিছন (ধানের বীজ), মরিচ ক্ষ্যাত, রাস্তা-ঘাট সউগ তলে গেইছে। ৩-৪ দিন ধরি বাড়ী থাকি বেরবারে পাইচোল না।’
লক্ষীটারী ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান আবদুল্লাহ আল হাদী আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘আমার ইউনিয়নে প্রায় ছয় শত পরিবার পানিবন্দী। এসব এলাকার মানুষদের উঁচু স্থানে নিয়ে আসার জন্য কাজ করছি।’
গঙ্গাচড়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) নাহিদ তামান্না আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘আমরা প্লাবিত এলাকার খোঁজখবর রাখছি।’ নদীর চরাঞ্চলে বাস করা বাসিন্দাদের উঁচু জায়গায় গবাদিপশুসহ অন্যান্য সামগ্রী রাখার জন্য আহ্বান জানানো হয়েছে।
রংপুর পানি উন্নয়ন বোর্ডের উপ-সহকারী প্রকৌশলী পিয়াস চৌধুরী আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘আমাদের কাজ চলমান। কোলকোন্দ ইউনিয়নের এলাকায় ভাঙন কবলিত এলাকার জন্য ৪ হাজার ৪২৩টি জিও ব্যাগ বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে।
রংপুরের গঙ্গাচড়ায় দুদিনের বৃষ্টি ও উজানের পাহাড়ি ঢলে তিস্তার পানি বৃদ্ধি পেয়েছে। এতে তলিয়ে গেছে রাস্তা-ঘাট, আমন বীজতলা, মরিচ খেতসহ বিভিন্ন ফসল। উপজেলার কোলকোন্দ, লক্ষীটারী, নোহালী ইউনিয়নে পানিবন্দী হয়ে পড়েছে হাজারো পরিবার। এদিকে কোলকোন্দ ইউনিয়নে ভাঙন হুমকিতে পড়েছে প্রায় ৫০টি পরিবার।
পাউবোর নিয়ন্ত্রণকক্ষ জানায়, আজ বুধবার সকাল নয়টায় তিস্তা ব্যারেজের ডালিয়া পয়েন্টে পানি প্রবাহ রেকর্ড করা হয় ৫১ দশমিক ৯২ সেন্টিমিটার। যা বিপৎসীমার শূন্য দশমিক ২৩ সেন্টিমিটার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হয়। সকাল ৬টায় যা রেকর্ড করা হয় ৫১ দশমিক ৯৫ সেন্টিমিটার। দুপুর ১২টায় ৫১ দশমিক ৮৮। এখানে বিপৎসীমা ধরা হয় (৫২ দশমিক ১৫ সেন্টিমিটার)।
এদিকে বুধবার সকাল নয়টায় তিস্তার কাউনিয়া পয়েন্টে শূন্য দশমিক ২০ সেন্টিমিটার পানি প্রবাহ বিপৎসীমার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হয়। এর আগে ভোর ছয়টায় ওই পয়েন্টে পানি প্রবাহ বিপৎসীমার ১৫ সেন্টিমিটার ওপরে ছিল। দুপুর ১২টায় ২৮ দশমিক ৯৩ যা বিপৎসীমার ১৮ সেন্টিমিটার ওপরে। বিপৎসীমা (২৮ দশমিক ৭৫ সেন্টিমিটার)।
আজ সরেজমিন সকালে কোলকোন্দ ইউনিয়নের গোডাউনের হাট এলাকায় গিয়ে দেখা যায়, কোলকোন্দ ইউনিয়ন পরিষদ থেকে ১ নম্বর গ্রয়িং বাঁধ পর্যন্ত তিস্তা নদীতে তীব্র ভাঙন দেখা দিয়েছে। ভাঙন রোধে জিও ব্যাগ ফেলছে পানি উন্নয়ন বোর্ড (পাউবো)।
এ সময় কথা হয় তিস্তার ভাঙনে ঘরের অর্ধেক ধসে যাওয়া এক পরিবারের সদস্য টুনু মিয়ার (৫২) সঙ্গে। তিনি আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘বাহে ১ মাস আগ থাকি মেম্বার চেয়ারম্যানক কইচোল পানি উন্নয়ন বোর্ডের লোকজনক খবর দিবার। কয়েক দিন আগত কাম শুরু করলে কি আর আজ হামার ঘর ভাঙিল হয়। হামার ইদটাও ভাল করি কইরবার দেইল না। ৪-৫ দিন থাকি চোখত ঘুম নাই আজ যদি বৃষ্টি হয় পুরা বাড়িরা ভাঙি নদীত যাইবে।’
একই এলাকার বাসিন্দা সারওয়ার (৬০) আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘সরকারের নদী খুরলে (খনন) কি হয়? নদীর পেটত বালাতে ভর্তি। তাই অল্প একনা পানিতে নদী উচলি যায়। আগত নদী আচলো মাজত। এলা হইছে দুই বগলোত। মাজত উচা চর হয়া আছে। যতোই বস্তা ফেলাইক না ক্যানে কেনো কাম হবার নেয়। নদী না খুরা পর্যন্ত।’
কোলকোন্দ ইউনিয়নের চর চিলাখালের রফিকুল ইসলাম (৫০) আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘কিসের ঈদ করমো, হামার এত্তি বিছন (ধানের বীজ), মরিচ ক্ষ্যাত, রাস্তা-ঘাট সউগ তলে গেইছে। ৩-৪ দিন ধরি বাড়ী থাকি বেরবারে পাইচোল না।’
লক্ষীটারী ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান আবদুল্লাহ আল হাদী আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘আমার ইউনিয়নে প্রায় ছয় শত পরিবার পানিবন্দী। এসব এলাকার মানুষদের উঁচু স্থানে নিয়ে আসার জন্য কাজ করছি।’
গঙ্গাচড়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) নাহিদ তামান্না আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘আমরা প্লাবিত এলাকার খোঁজখবর রাখছি।’ নদীর চরাঞ্চলে বাস করা বাসিন্দাদের উঁচু জায়গায় গবাদিপশুসহ অন্যান্য সামগ্রী রাখার জন্য আহ্বান জানানো হয়েছে।
রংপুর পানি উন্নয়ন বোর্ডের উপ-সহকারী প্রকৌশলী পিয়াস চৌধুরী আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘আমাদের কাজ চলমান। কোলকোন্দ ইউনিয়নের এলাকায় ভাঙন কবলিত এলাকার জন্য ৪ হাজার ৪২৩টি জিও ব্যাগ বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে।
চাঁপাইনবাবগঞ্জে বরেন্দ্র বহুমুখী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (বিএমডিএ) খাল খননের প্রকল্পে অনিয়মের অভিযোগ উঠেছে। অভিযোগে বলা হয়েছে, কার্যাদেশ অনুযায়ী মাটি না কেটে কাজ শেষ করেছেন ঠিকাদার। এ ব্যাপারে সংস্থার চেয়ারম্যান ড. এম আসাদুজ্জামানের কাছে একটি লিখিত অভিযোগ দেওয়া হয়েছে।
২ ঘণ্টা আগেকিশোরগঞ্জে বজ্রপাতে মৃত্যু আশঙ্কাজনকভাবে বেড়েছে ৷ গত ২৩ দিনে জেলায় শিক্ষার্থী, কৃষকসহ বজ্রপাতে ১৪ জনের মৃত্যু হয়েছে। তাঁদের মধ্যে কৃষকের সংখ্যা বেশি। আবহাওয়াবিদেরা বলছেন, খোলা স্থানে কাজ করা মানুষ বজ্রপাতে বেশি মারা যাচ্ছে; বিশেষ করে হাওরাঞ্চলে খোলা জায়গায় মানুষজন কাজ করার কারণে সেখানে হতাহতের...
২ ঘণ্টা আগেপিরোজপুরে ২৫০ শয্যার জেলা হাসপাতাল চালু করতে ৯ তলা ভবনের নির্মাণকাজ শেষ হয় প্রায় দেড় বছর আগে। কিন্তু বিদ্যুতের সংযোগ এখনো দেওয়া হয়নি এবং বসেনি লিফট। এতে করে পুরোনো ভবনে ১০০ শয্যা নিয়ে চলছে সেবা কার্যক্রম। সেখানে অধিকাংশ সময় রোগী ভর্তি থাকে ধারণক্ষমতার দ্বিগুণ। শয্যা না পেয়ে রোগীদের থাকতে হচ্ছে...
২ ঘণ্টা আগেবাংলাদেশের আধুনিক ভাস্কর্য শিল্পের অন্যতম পথিকৃৎ নভেরা আহমেদ। গত শতকের ষাটের দশকে তখনকার পূর্ববঙ্গে ভাস্কর্য শিল্পকে পরিচিত করে তোলার কাজটি শুরু করেছিলেন নিজের ভিন্নধর্মী কাজ দিয়ে। নিভৃতচারী এ শিল্পী একপর্যায়ে স্থায়ীভাবে পাড়ি জমান অন্যতম শিল্পতীর্থ ফ্রান্সে। নারী এই ভাস্করকে নিয়ে বেঙ্গল ফাউন্ডেশন...
২ ঘণ্টা আগে