পীরগাছা (রংপুর) প্রতিনিধি
গত বছরে বিদ্যালয়টি রক্ষা করতে প্রায় ৩০ লাখ টাকার জিও ব্যাগ নদীতে ফেলা হয়েছিল। কিন্তু এতে কোনো কাজ হয়নি। চলতি বছর আবারও ভাঙনের মুখে পড়েছে পীরগাছার ছাওলা ইউনিয়নের চর দক্ষিণ গাবুড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়টি। নতুন করে আবারও জিও ব্যাগ ফেলার শুরু করেছে রংপুর পানি উন্নয়ন বোর্ড।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, নদীর তীরবর্তী চর দক্ষিণ গাবুড়া গ্রাম। এ গ্রামের একমাত্র সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় এটি। ২০১৪ সালে একবার ভাঙনের কবলে বিলীন হয়ে যায় বিদ্যালয়টি। এরপর নতুন করে পাকা স্কুল ভবন তৈরি করা হয়। তিস্তা নদীর পানি কমা ও বাড়ার সঙ্গে নদী ভাঙন স্কুলের কাছে চলে এসেছে।
গত বছর গ্রামটি তীব্র ভাঙনের মুখে পড়ে। পরে প্রশাসনের কর্মকর্তারা পরিদর্শন করে পানি উন্নয়ন বোর্ডকে জানালে তারা প্রায় ৩০ লাখ টাকার ১৭ হাজার জিও ব্যাগ ফেলে বিদ্যালয়টি রক্ষা করেন। পাশে থেকে যায় ১০ / ১২টি বসতবাড়ি। এতেই চলছিল শিক্ষা কার্যক্রম। চলতি বছর আবারও তৃতীয়বার ভাঙনের মুখে রয়েছে বিদ্যালয়টি। একেবারে কাছে চলে এসেছে তিস্তা নদী।
বিদ্যালয়টির শিক্ষার্থী জান্নাত আরা, আরিফা বেগম, মাইদুল ইসলাম বলে, ‘হামার স্কুল বারবার ভাঙি যাবার ধরে। এবারও নদী কাছে চলি আসছে। ক্লাস করতে ভয় নাগে, কখন ভাঙি যায়। তোমরা হামার স্কুলটা বাঁচান। ভাঙি গেইলে কোনটে পড়মো।’
বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আকরাম হোসেন আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘গত বছর প্রায় ১৭ হাজার জিও ব্যাগ ফেলা হয়েছিল। ফলে স্কুলটি রক্ষা পেয়েছিল। এখন আবার ভাঙনের কবলে পড়লে ৪ হাজার ২০০ জিও ব্যাগ প্রস্তুত করা হয়েছে। আজ (শনিবার) থেকে ফেলা হবে। আমরা সিসি ব্লক দিয়ে স্কুলটি স্থায়ী ভাবে রক্ষার দাবি করছি।’
এ ব্যাপারে পীরগাছা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) শেখ শামসুল আরেফীন বলেন, ‘স্কুলটি রক্ষায় পানি উন্নয়ন বোর্ডের মাধ্যমে জিও ব্যাগ ফেলে ভাঙন রোধের চেষ্টা করা হচ্ছে। স্থায়ীভাবে ভাঙন রোধে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানানো হয়েছে।’
এ বিষয়ে জানতে চাইলে রংপুর পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী আহসান হাবিব বলেন, ‘বিদ্যালয়টি রক্ষায় জিও ব্যাগ বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে। ব্যাগে বালু ভরাট করা হয়ে গেছে। এখন ফেলা শুরু হবে। শেষ পর্যন্ত আমাদের চেষ্টা অব্যাহত থাকবে।
চারদিকে থই থই পানি আর মাঝ খানে একটি বিদ্যালয় ও ১০টি বাড়ি মিলে চর দক্ষিণ গাবুড়া গ্রাম। পানি বাড়ার সঙ্গে ভয়াবহ রূপ নিয়েছে তিস্তা নদী। এক সময় চর দক্ষিণ গাবুড়া গ্রামটি ছিল ঘনবসতি ও কোলাহলে মুখরিত। এখন মাত্র ১০টি পরিবার আছে এখানে। স্থানীয় এলাকাবাসী সাইফুল ইসলাম বলেন, ‘দুই শতাধিক পরিবার ছিল এ গ্রামে। এখন মাত্র ১০টি আছে। তারাও ভাঙনের শব্দে দিশেহারা।’
আব্দুর রউফ মিয়া নামে আরেক বাসিন্দা বলেন, ‘ভয়ে রাইতোত ঘুম ধরে না। নিজের জায়গা-জমি নাই যে চলি যামো। অনেক আগে এসব ব্যাগ ফেলা হলে কাজ হতো। এখন জলে ফেলা হচ্ছে সরকারি টাকা।’
গত বছরে বিদ্যালয়টি রক্ষা করতে প্রায় ৩০ লাখ টাকার জিও ব্যাগ নদীতে ফেলা হয়েছিল। কিন্তু এতে কোনো কাজ হয়নি। চলতি বছর আবারও ভাঙনের মুখে পড়েছে পীরগাছার ছাওলা ইউনিয়নের চর দক্ষিণ গাবুড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়টি। নতুন করে আবারও জিও ব্যাগ ফেলার শুরু করেছে রংপুর পানি উন্নয়ন বোর্ড।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, নদীর তীরবর্তী চর দক্ষিণ গাবুড়া গ্রাম। এ গ্রামের একমাত্র সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় এটি। ২০১৪ সালে একবার ভাঙনের কবলে বিলীন হয়ে যায় বিদ্যালয়টি। এরপর নতুন করে পাকা স্কুল ভবন তৈরি করা হয়। তিস্তা নদীর পানি কমা ও বাড়ার সঙ্গে নদী ভাঙন স্কুলের কাছে চলে এসেছে।
গত বছর গ্রামটি তীব্র ভাঙনের মুখে পড়ে। পরে প্রশাসনের কর্মকর্তারা পরিদর্শন করে পানি উন্নয়ন বোর্ডকে জানালে তারা প্রায় ৩০ লাখ টাকার ১৭ হাজার জিও ব্যাগ ফেলে বিদ্যালয়টি রক্ষা করেন। পাশে থেকে যায় ১০ / ১২টি বসতবাড়ি। এতেই চলছিল শিক্ষা কার্যক্রম। চলতি বছর আবারও তৃতীয়বার ভাঙনের মুখে রয়েছে বিদ্যালয়টি। একেবারে কাছে চলে এসেছে তিস্তা নদী।
বিদ্যালয়টির শিক্ষার্থী জান্নাত আরা, আরিফা বেগম, মাইদুল ইসলাম বলে, ‘হামার স্কুল বারবার ভাঙি যাবার ধরে। এবারও নদী কাছে চলি আসছে। ক্লাস করতে ভয় নাগে, কখন ভাঙি যায়। তোমরা হামার স্কুলটা বাঁচান। ভাঙি গেইলে কোনটে পড়মো।’
বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আকরাম হোসেন আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘গত বছর প্রায় ১৭ হাজার জিও ব্যাগ ফেলা হয়েছিল। ফলে স্কুলটি রক্ষা পেয়েছিল। এখন আবার ভাঙনের কবলে পড়লে ৪ হাজার ২০০ জিও ব্যাগ প্রস্তুত করা হয়েছে। আজ (শনিবার) থেকে ফেলা হবে। আমরা সিসি ব্লক দিয়ে স্কুলটি স্থায়ী ভাবে রক্ষার দাবি করছি।’
এ ব্যাপারে পীরগাছা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) শেখ শামসুল আরেফীন বলেন, ‘স্কুলটি রক্ষায় পানি উন্নয়ন বোর্ডের মাধ্যমে জিও ব্যাগ ফেলে ভাঙন রোধের চেষ্টা করা হচ্ছে। স্থায়ীভাবে ভাঙন রোধে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানানো হয়েছে।’
এ বিষয়ে জানতে চাইলে রংপুর পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী আহসান হাবিব বলেন, ‘বিদ্যালয়টি রক্ষায় জিও ব্যাগ বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে। ব্যাগে বালু ভরাট করা হয়ে গেছে। এখন ফেলা শুরু হবে। শেষ পর্যন্ত আমাদের চেষ্টা অব্যাহত থাকবে।
চারদিকে থই থই পানি আর মাঝ খানে একটি বিদ্যালয় ও ১০টি বাড়ি মিলে চর দক্ষিণ গাবুড়া গ্রাম। পানি বাড়ার সঙ্গে ভয়াবহ রূপ নিয়েছে তিস্তা নদী। এক সময় চর দক্ষিণ গাবুড়া গ্রামটি ছিল ঘনবসতি ও কোলাহলে মুখরিত। এখন মাত্র ১০টি পরিবার আছে এখানে। স্থানীয় এলাকাবাসী সাইফুল ইসলাম বলেন, ‘দুই শতাধিক পরিবার ছিল এ গ্রামে। এখন মাত্র ১০টি আছে। তারাও ভাঙনের শব্দে দিশেহারা।’
আব্দুর রউফ মিয়া নামে আরেক বাসিন্দা বলেন, ‘ভয়ে রাইতোত ঘুম ধরে না। নিজের জায়গা-জমি নাই যে চলি যামো। অনেক আগে এসব ব্যাগ ফেলা হলে কাজ হতো। এখন জলে ফেলা হচ্ছে সরকারি টাকা।’
ঠাকুরগাঁওয়ে বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে রামদা দিয়ে হামলা চালানো সেই যুবক জ্যোতি (৩২) গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। গতকাল শুক্রবার (৩১ জানুয়ারি) রাতে ঠাকুরগাঁও শহরের আশ্রমপাড়া এলাকা থেকে তাঁকে গ্রেপ্তার করা হয়।
৫ মিনিট আগেকুমিল্লার নাঙ্গলকোটে বিএনপির দুই গ্রুপের মধ্যে সংঘর্ষে স্বেচ্ছাসেবক দল নেতা নিহত হয়েছেন। আজ শনিবার (১ ফেব্রুয়ারি) বেলা ৩টার দিকে উপজেলার বাংগড্ডা বাজারে এই সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে।
১৮ মিনিট আগেসাভারের আশুলিয়ায় দাফনের প্রায় ৬ মাস পর চারটি লাশ উত্তোলন করেছে পুলিশ। আদালতের নির্দেশনায় আজ শনিবার (১ ফেব্রুয়ারি) সকাল থেকে আশুলিয়ার বিভিন্ন কবরস্থান থেকে লাশগুলো উত্তোলন করা হয়।
৩৪ মিনিট আগেশিল্পকে রক্ষা করতে হলে শিল্পীকে মর্যাদা দিতে হবে বলে মন্তব্য করেছেন মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ উপদেষ্টা ফরিদা আখতার। তিনি বলেন, শিল্প প্রকৃতির অংশ। শিল্পকে রক্ষা করতে হলে শিল্পীকে মর্যাদা দিতে হবে। শনিবার (১ ফেব্রুয়ারি) রাজধানীর ধানমন্ডির সফিউদ্দিন গ্যালারিতে স্বশিক্ষিত শিল্পী নাজমা কবিরের দ্বিতীয় একক চিত্
১ ঘণ্টা আগে