দিনাজপুর প্রতিনিধি
বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর আমির ডা. শফিকুর রহমান বলেছেন, ‘আমরা মেজরিটি-মাইনরিটি মানি না। মর্যাদার দিক থেকে এই দেশে বসবাসকারী সকলেই সমান মর্যাদার দাবিদার। আমরা সকলে সহমর্মিতার সঙ্গে বাংলাদেশে বসবাস করতে চাই।’
আজ শনিবার দিনাজপুরের গোর-এ-শহীদ বড় ময়দানে কর্মী সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে জামায়াতের আমির এ কথা বলেন।
ডা. শফিকুর রহমান বলেন, ‘তারা নারী সমাজকে বলে, জামায়াত ক্ষমতায় গেলে নারীরা ঘর থেকে বের হতে পারবে না। এখন তারা সবই করে, করবে। তখন আরও দুটি অধিকার নিশ্চিত করা হবে—নিরাপত্তা ও মর্যাদা। তরুণ সমাজকে বোঝানো হয়েছে আমাদের বিরুদ্ধে। এখন তারা বুঝে গেছে। তাদের গালি দিয়েছিল, এর জবাব পেয়ে গেছে।’
জামায়াতের আমির বলেন, ‘সব খুনের বিচার হতে হবে। বিচার না হলে খুনের সংস্কৃতি বন্ধ হবে না। চাঁদাবাজ, ঘুষখোরদের বিচার না হলে এগুলো বন্ধ হবে না। আবার বিচার করতে গিয়ে অবিচার হোক তাও চাই না।’
ডা. শফিক বলেন, ‘আমরা তরুণদের সঙ্গে আছি। তোমাদের শ্রদ্ধা করি। আগামীর বাংলাদেশ তোমাদের হাতে তুলে দিতে চাই। মরার আগে দেখে যেতে চাই, আমার বাংলাদেশ একটি মানবিক বাংলাদেশ। মানবিক দেশ গঠনে আপনাদের পাশে চাই। শান্তি, সাম্য ও মানবতার আবেদন নিয়ে ঘরে ঘরে পৌঁছে যাবেন। সেই আহ্বান জানাই।’
সমাবেশে জামায়াতের আমির বলেন, ‘ছাত্র-জনতার লড়াই আর মজলুমানের চোখের পানির ফোঁটার কারণেই এই নতুন দেশ পেয়েছি। বন্ধুদের আহ্বান জানাই, এমন কথা না বলি, এমন আচরণ না করি, আমাদের সন্তানেরা যেন মনে কষ্ট না পায়।’
২০০৬ সালের ২৮ অক্টোবর থেকে শুরু করে ২০২৪ সালের ৫ আগস্ট পর্যন্ত হতাহতদের প্রতি সমবেদনা জানিয়ে দলটির প্রধান বলেন, ‘আমাদের ১১ জন শীর্ষ নেতাকে নির্মমভাবে ফাঁসিতে ঝুলিয়ে হত্যা করা হয়েছে। মিথ্যা অভিযোগে পাতানো আদালতে বানানো সাক্ষী দিয়ে তাঁদের হত্যা করা হয়েছে। তাঁরা বাংলাদেশকে ভালোবাসতেন। যারা খুন, ধর্ষণের সঙ্গে জড়িত, তারাই এই মানুষগুলোকে সহ্য করেনি। জামায়াতে ইসলামীর লোকজন আল্লাহকে ভয় করে বলেই তাঁরা এসব কুকর্মের সঙ্গে জড়িত ছিলেন না।’
জামায়াতের আমির বলেন, ‘ওবায়দুল কাদের বলেছিলেন, দল ক্ষমতা থেকে চলে গেলে ৫ লাখ মানুষকে হত্যা করা হবে। কিন্তু ৫ আগস্টের পর তা হয়নি। কারণ বাংলাদেশের জনগণ তাদের মতো নয়।’
বর্তমান সরকারের উদ্দেশে ডা. শফিকুর রহমান বলেন, ‘আপনারা সংস্কারের কথা বলেন, ৫৪ বছরে যারা নির্যাতিত হয়েছে, সেই নির্যাতনকারীদের নামের কালো তালিকা প্রকাশ করে দিন।’
সম্মেলনে সভাপতিত্ব করেন দিনাজপুর জেলা আমির অধ্যক্ষ আনিসুর রহমান। জেলা সেক্রেটারি ড. এনামুল হকের সঞ্চালনায় সম্মেলনে বিশেষ অতিথির বক্তব্য দেন জামায়াতের সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল মাওলানা আব্দুল হালিম, কেন্দ্রীয় কর্মপরিষদ সদস্য অধ্যক্ষ মাওলানা মমতাজ উদ্দিন, অধ্যাপক মাহবুবুর রহমান বেলাল, কেন্দ্রীয় মজলিশে শুরা সদস্য ও বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রশিবিরের সাবেক কেন্দ্রীয় সভাপতি মো. দেলোয়ার হোসেন, রংপুর-দিনাজপুর অঞ্চল টিম সদস্য মাওলানা আব্দুল হাকিম প্রমুখ।
কর্মী সম্মেলনের উদ্বোধন করেন জুলাই বিপ্লবে শহীদ সুমন পাটোয়ারির বাবা মো. ফারুক হোসেন। হিন্দু সম্প্রদায়ের মধ্যে বক্তব্য দেন, নিতাই চন্দ্র দেবনাথ ও অধ্যক্ষ শিশির কুমার সরকার।
বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর আমির ডা. শফিকুর রহমান বলেছেন, ‘আমরা মেজরিটি-মাইনরিটি মানি না। মর্যাদার দিক থেকে এই দেশে বসবাসকারী সকলেই সমান মর্যাদার দাবিদার। আমরা সকলে সহমর্মিতার সঙ্গে বাংলাদেশে বসবাস করতে চাই।’
আজ শনিবার দিনাজপুরের গোর-এ-শহীদ বড় ময়দানে কর্মী সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে জামায়াতের আমির এ কথা বলেন।
ডা. শফিকুর রহমান বলেন, ‘তারা নারী সমাজকে বলে, জামায়াত ক্ষমতায় গেলে নারীরা ঘর থেকে বের হতে পারবে না। এখন তারা সবই করে, করবে। তখন আরও দুটি অধিকার নিশ্চিত করা হবে—নিরাপত্তা ও মর্যাদা। তরুণ সমাজকে বোঝানো হয়েছে আমাদের বিরুদ্ধে। এখন তারা বুঝে গেছে। তাদের গালি দিয়েছিল, এর জবাব পেয়ে গেছে।’
জামায়াতের আমির বলেন, ‘সব খুনের বিচার হতে হবে। বিচার না হলে খুনের সংস্কৃতি বন্ধ হবে না। চাঁদাবাজ, ঘুষখোরদের বিচার না হলে এগুলো বন্ধ হবে না। আবার বিচার করতে গিয়ে অবিচার হোক তাও চাই না।’
ডা. শফিক বলেন, ‘আমরা তরুণদের সঙ্গে আছি। তোমাদের শ্রদ্ধা করি। আগামীর বাংলাদেশ তোমাদের হাতে তুলে দিতে চাই। মরার আগে দেখে যেতে চাই, আমার বাংলাদেশ একটি মানবিক বাংলাদেশ। মানবিক দেশ গঠনে আপনাদের পাশে চাই। শান্তি, সাম্য ও মানবতার আবেদন নিয়ে ঘরে ঘরে পৌঁছে যাবেন। সেই আহ্বান জানাই।’
সমাবেশে জামায়াতের আমির বলেন, ‘ছাত্র-জনতার লড়াই আর মজলুমানের চোখের পানির ফোঁটার কারণেই এই নতুন দেশ পেয়েছি। বন্ধুদের আহ্বান জানাই, এমন কথা না বলি, এমন আচরণ না করি, আমাদের সন্তানেরা যেন মনে কষ্ট না পায়।’
২০০৬ সালের ২৮ অক্টোবর থেকে শুরু করে ২০২৪ সালের ৫ আগস্ট পর্যন্ত হতাহতদের প্রতি সমবেদনা জানিয়ে দলটির প্রধান বলেন, ‘আমাদের ১১ জন শীর্ষ নেতাকে নির্মমভাবে ফাঁসিতে ঝুলিয়ে হত্যা করা হয়েছে। মিথ্যা অভিযোগে পাতানো আদালতে বানানো সাক্ষী দিয়ে তাঁদের হত্যা করা হয়েছে। তাঁরা বাংলাদেশকে ভালোবাসতেন। যারা খুন, ধর্ষণের সঙ্গে জড়িত, তারাই এই মানুষগুলোকে সহ্য করেনি। জামায়াতে ইসলামীর লোকজন আল্লাহকে ভয় করে বলেই তাঁরা এসব কুকর্মের সঙ্গে জড়িত ছিলেন না।’
জামায়াতের আমির বলেন, ‘ওবায়দুল কাদের বলেছিলেন, দল ক্ষমতা থেকে চলে গেলে ৫ লাখ মানুষকে হত্যা করা হবে। কিন্তু ৫ আগস্টের পর তা হয়নি। কারণ বাংলাদেশের জনগণ তাদের মতো নয়।’
বর্তমান সরকারের উদ্দেশে ডা. শফিকুর রহমান বলেন, ‘আপনারা সংস্কারের কথা বলেন, ৫৪ বছরে যারা নির্যাতিত হয়েছে, সেই নির্যাতনকারীদের নামের কালো তালিকা প্রকাশ করে দিন।’
সম্মেলনে সভাপতিত্ব করেন দিনাজপুর জেলা আমির অধ্যক্ষ আনিসুর রহমান। জেলা সেক্রেটারি ড. এনামুল হকের সঞ্চালনায় সম্মেলনে বিশেষ অতিথির বক্তব্য দেন জামায়াতের সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল মাওলানা আব্দুল হালিম, কেন্দ্রীয় কর্মপরিষদ সদস্য অধ্যক্ষ মাওলানা মমতাজ উদ্দিন, অধ্যাপক মাহবুবুর রহমান বেলাল, কেন্দ্রীয় মজলিশে শুরা সদস্য ও বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রশিবিরের সাবেক কেন্দ্রীয় সভাপতি মো. দেলোয়ার হোসেন, রংপুর-দিনাজপুর অঞ্চল টিম সদস্য মাওলানা আব্দুল হাকিম প্রমুখ।
কর্মী সম্মেলনের উদ্বোধন করেন জুলাই বিপ্লবে শহীদ সুমন পাটোয়ারির বাবা মো. ফারুক হোসেন। হিন্দু সম্প্রদায়ের মধ্যে বক্তব্য দেন, নিতাই চন্দ্র দেবনাথ ও অধ্যক্ষ শিশির কুমার সরকার।
গতকাল বৃহস্পতিবার রাতে আটক হন নিষিদ্ধ ঘোষিত সংগঠন ছাত্রলীগের নেতা নাজমুল কবির শিশির। আজ শুক্রবার বিকেলে চাঁদাবাজি মামলায় গ্রেপ্তার দেখিয়ে আদালতের মাধ্যমে তাঁকে জেল-হাজতে প্রেরণ করা হয়েছে। তিনি রামগঞ্জ পৌরসভার আঙ্গারপাড়া এলাকার মো. নয়ন মাস্টারের ছেলে।
১ ঘণ্টা আগেকুমিল্লায় যৌথ বাহিনী তুলে নেওয়ার পর হাসপাতালে তৌহিদুর রহমান নামের এক যুবদল নেতার লাশ পেয়েছে পরিবার। আজ শুক্রবার বেলা সাড়ে ১২টায় তাঁর মৃত্যুর খবর পায় পরিবার। তবে কখন তাঁর মৃত্যু হয়েছে সে তথ্য জানা যায়নি। আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর হেফাজতে যুবদল নেতার মৃত্যু তথ্য জানিয়েছেন তাঁর ভাই আবুল কালাম।
১ ঘণ্টা আগেইতালি নেওয়া কথা বলে ফরিদপুর থেকে দুই জনকে নেওয়া হয়েছিল লিবিয়ায়। সেখানে নেওয়ার পর তাঁদের ওপর নির্যাতন করা হয়। এরপর নেওয়া হয় মুক্তিপণ। তবে এতেও মুক্তি মেলেনি। গুলি করে হত্যা করা হয়েছে ওই দুই যুবককে। ঢাকা, ফরিদপুর, লিবিয়া, গুলি, হত্যা, জেলার খবর
১ ঘণ্টা আগেএক মাসের ব্যবধানে হত্যাকাণ্ড ও সহিংসতার ঘটনায় সাবেক সরকারসংশ্লিষ্টদের বিরুদ্ধে মামলার সংখ্যা বেড়েছে ৪ গুণের বেশি। আর আসামির সংখ্যা হয়েছে দ্বিগুণের বেশি। সরকার পতনের পর গত ডিসেম্বরে হত্যাকাণ্ড ও সহিংসতার ঘটনায় সাবেক সরকারসংশ্লিষ্টদের বিরুদ্ধে মামলার সংখ্যা ছিল ১৭টি। জানুয়ারিতে তা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৭২টি।
১ ঘণ্টা আগে