Ajker Patrika

নীলফামারীতে বিপৎসীমার ওপরে বইছে তিস্তার পানি

নীলফামারী প্রতিনিধি
Thumbnail image

আবারো বৃদ্ধি পেয়েছে তিস্তার নদীর পানি। আজ শনিবার রাত ৯টায় নীলফামারীর ডালিয়া পয়েন্টে তিস্তা নদীর পানি বিপৎসীমার ২ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। এতে জেলার ডিমলা উপজেলার নদী তীরবর্তী ছয়টি ইউনিয়নের ১৫টি চরের প্রায় ৫ হাজার পরিবার বন্যাকবলিত হয়ে পড়েছে। 

এর আগে দুপুর ১২টায় তিস্তা নদীর পানি বিপৎসীমার ২৮ সেন্টিমিটার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হওয়ায় এসব চরে বন্যা পরিস্থিতি উন্নতি হয়েছিল। 

পানি উন্নয়ন বোর্ড নীলফামারীর ডালিয়া বিভাগের বন্যা পূর্বাভাষ ও সতর্কীকরণ কেন্দ্র জানায়, তিস্তায় গত মঙ্গলবার থেকে বৃহস্পতিবার পর্যন্ত টানা ভারী বর্ষণ আর উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢলে তিস্তা নদীর উজানের ভারত অংশ দো-মোহানীতে বিপৎসীমার ১২ সেন্টিমিটার নিচ দিয়ে পানি প্রবাহিত হয়। এতে নদীর ভাটি অঞ্চল বাংলাদেশে অংশে বাড়তে থাকে নদীর পানি। যা শুক্রবার সকাল ৬টায় তিস্তা ব্যারাজের ডালিয়া পয়েন্টে বিপৎসীমার ১৪ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হয়। 

পাউবোর গেজ পাঠক (পানি পরিমাপক) মো. নুরুল ইসলাম জানান, আজ শনিবার সকাল ৬টায় ব্যারাজ পয়েন্টে নদীর পানি বিপৎসীমার ১৫ সেন্টিমিটার,৯টায় ২৫ সেন্টিমিটার, বেলা ১২টায় ২৮ সেন্টিমিটার নিচে নামে। এর পর উজানের ঢলে বেলা ৩টায় ফের পানি বেড়ে ২০ সেন্টিমিটার এবং সন্ধ্যা ৬টায় আরও কয়েক সেন্টিমিটার বৃদ্ধি পেয়ে ৫ সেন্টিমিটার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হয়। সর্বশেষ রাত ৯টায় পানি বেড়ে বিপৎসীমার ২ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। ওই পয়েন্টে নদীর পানির বিপৎসীমা ৫২ দশমিক ৬০ মিটার। 

স্থানীয় সূত্র জানায়, ভারী বর্ষণ ও উজানের ঢলে পানি বৃদ্ধি পাওয়ায় জেলার ডিমলা, জলঢাকা ও লালমনিরহাটের কালিগঞ্জ, হাতীবান্ধা উপজেলার তিস্তা নদী অববাহিকার চর গ্রামসহ নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হয়েছে। ডিমলা উপজেলার কিছামত ছাতনাই, ঝাড় শিঙ্গেশ্বর, চর খড়িবাড়ি, পূর্ব খড়িবাড়ি, পশ্চিম খড়িবাড়ি, তিস্তা বাজার, তেলির বাজার, বাইশপুকুর, ঝুনাগাছ চাঁপানীর ছাতুনামা, কেল্লাপাড়া, ভেন্ডাবাড়ির নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হয়েছে। 

ডিমলা উপজেলার টেপাখড়িবাড়ি ইউনিয়নের চেয়ারম্যান ময়নুল হক জানান, একদিকে উজানের ঢল, অন্যদিকে অবিরাম বৃষ্টি হওয়ায় মানুষ চরম দুর্ভোগে পড়েছে। সন্ধ্যার পর থেকে মাইকিং করে চরাঞ্চলের মানুষজনকে নিরাপদে সরে যাওয়ার জন্য বলা হয়েছে। 

ডালিয়া পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী আসফাউদৌলা জানান, পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে তিস্তা ব্যারাজের ৪৪টি স্লুইসগেট (জলকপাট) খুলে তিস্তা অববাহিকার বন্যা পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণে রাখা হয়েছে। 

তিনি জানান, রাতে আরও পানি বৃদ্ধি পাবে এবং সকাল থেকে পানি কমে যাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। 

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত