মেহেদী হাসান, ফুলবাড়ী (দিনাজপুর) প্রতিনিধি
সন্তানের সুখেই মা-বাবার সুখ। ঈদে ওদের আনন্দ আয়োজন করতে গিয়ে মা-বাবারা নিজের কথাই ভুলে যান। কিন্তু যখন মা-বাবা কেউ-ই নেই, সেই শিশুদের ঈদ কেমন? দেশের এতিমখানাগুলোতে গেলেই দেখা যায় সেই করুণ দৃশ্য!
রমজান মাস শেষের দিকে মাদ্রাসাগুলোতে ছুটি শুরু হতে থাকে। বেশির ভাগ শিক্ষার্থীকে অভিভাবক এসে নিয়ে যান। কিন্তু কিছু শিশুর জন্য কেউ আসে না। এটি বরাবরের চিত্র। এই শিশুদের কারও মা-বাবা দুজনেই নেই, কারও বাবা নেই; মায়ের অন্যত্র বিয়ে হয়ে গেছে। অনেকের মা নেই, বাবা খোঁজ রাখেন না। খুব বেশি ভাগ্যবান হলে কারও কারও নানা, নানি, মামা, খালা বা চাচা এসে নিয়ে যান।
আর বাকিরা জানে, তাদের নিতে কেউ আসবে না। কেউ না থাকাটা হয়তো তেমন দুঃখ দেয় না আর। কিন্তু ঈদ এলে আর মন বোঝে না। সহপাঠীদের যখন বাড়ি চলে যেতে দেখে, তখন এই শিশুদের দুচোখ বেয়ে ঝরঝর করে পানি পড়ে। নিঃশব্দে কাঁদে ওরা। এত কচি বয়স থেকে এক নিষ্ঠুর দুনিয়া চাক্ষুষ করতে থাকে তারা!
আজ বৃহস্পতিবার ঈদের দিন সকালে দিনাজপুরের ফুলবাড়ী উপজেলার শিবনগর ইউনিয়নের পূর্ব রাজারামপুর ঘাটপাড়া গ্রামের সাকিনা তুস্-সুন্নাহ্ দারুল উলুম ছিদ্দিকীয়া কাওমি হাফেজিয়া এতিমখানা মাদ্রাসা ও লিল্লাহ্ বোর্ডিংয়ে গিয়ে এমন হৃদয়বিদারক চিত্র দেখা যায়। একটি শিশু এতিমখানায় একা বসে আছে। তার মা-বাবা কেউ নেই। এই এতিম শিশুটি পার্বতীপুর উপজেলার হামিদপুর ইউনিয়নের বাবলু মিঞার ছেলে মো. সাহেব আলী (৮)। এতিমখানায় নাজেরা শ্রেণির শিক্ষার্থী।
জানা যায়, তার জন্মের পর নিরুদ্দেশ হন সাহেবের বাবা বাবলু। মা আক্তারা বেগম অল্প কিছুদিন তাকে লালনপালন করে পার্বতীপুর উপজেলার হামিদপুর ইউনিয়নের মোবারকপুর গ্রামে নানা বুদা মিঞার কাছে রেখে অন্যত্র বিয়ে করেন। এরপর থেকে মা-ও আর খোঁজ নেন না। পরে নানা-নানি রেখে যান এই এতিমখানায়। দুই বছর ধরে এখানেই আছে সাহেব আলী। এতিমখানার পরিচালক হাফেজ কারি আহাদুল্লাহ্ তাকে সন্তানের মতো লালনপালন করে আসছেন। তিনিও শারীরিক প্রতিবন্ধী।
কথা বলতেই যেন কলকলিয়ে ওঠে সাহেব। বিষাদমাখা মুখ। আজ ঈদের দিন তার মাকে দেখতে খুব ইচ্ছে করছে! সাহেব বলে, ‘আজ মাকে খুব দেখতে ইচ্ছে করছে! বাবাকে কখনো দেখিইনি! মা থাকলে আজ কত আদর করত! আজ ঈদের দিন অনেক আনন্দ করতাম। সবার মা-বাবা আছে, আমার মা-বাবা দুজনেই নেই! কেন তারা আমাকে রেখে চলে গেছে? তারা কি পাশে থাকতে পারত না? মা-বাবা নাই তো কী হয়েছে? অন্য আত্মীয়রা কী আমাকে নিতে আসতে পারত না? এখন কেউ খোঁজ রাখে না। খালি বুড়া নানা-নানি খবর নেয়। তারা না থাকলে আর কারও কাছে যাওয়ার জায়গা থাকবে না।’
এতিমখানার পরিচালক হাফেজ কারি আহাদুল্লাহ্ জানান, সবার সহযোগিতায় এতিমখানাটি অনেক কষ্টে পরিচালনা করেন তিনি। সরকারিভাবে কোনো সহযোগিতা পান না। এতিমখানায় বর্তমানে ২৩ জন শিক্ষার্থী রয়েছে। তিনিসহ তিনজন শিক্ষক ও একজন রাঁধুনি আছেন।
কারি আহাদুল্লাহ্ বলেন, ‘আমি নিজেই প্রতিবন্ধী মানুষ। ছোটবেলায় দুরারোগ্য ব্যাধিতে বাম পা কেটে ফেলতে হয়েছে। আমার মতো অনেক প্রতিবন্ধী রাস্তায় ভিক্ষা করে। আল্লাহর রহমতে আমি কোরআন শিক্ষা পেয়ে একজন হাফেজ হয়েছি। এতগুলো বাচ্চার শিক্ষাব্যবস্থাসহ তাদের লালনপালন করছি। পরকালে আল্লাহ তাআলা অবশ্যই এর প্রতিদান দেবেন।’
এক প্রশ্নের জবাবে এই কোরআনে হাফেজ বলেন, ‘রমজানের শেষের দিকে এতিমখানা ছুটি হয়ে গেছে। যাদের অভিভাবক আছে, তারা তাদের বাচ্চাদের বাড়িতে নিয়ে গেছে। কিন্তু যারা এতিম, তাদের ঈদের নামাজ শেষে নিকটাত্মীয়দের কাছে পাঠাচ্ছি। যাতে করে তারা অন্তত ঈদের দিনটা আত্মীয়স্বজনদের কাছে পায়। সাহেব আলীকেও নানার বাড়ি পাঠাচ্ছি।’
সন্তানের সুখেই মা-বাবার সুখ। ঈদে ওদের আনন্দ আয়োজন করতে গিয়ে মা-বাবারা নিজের কথাই ভুলে যান। কিন্তু যখন মা-বাবা কেউ-ই নেই, সেই শিশুদের ঈদ কেমন? দেশের এতিমখানাগুলোতে গেলেই দেখা যায় সেই করুণ দৃশ্য!
রমজান মাস শেষের দিকে মাদ্রাসাগুলোতে ছুটি শুরু হতে থাকে। বেশির ভাগ শিক্ষার্থীকে অভিভাবক এসে নিয়ে যান। কিন্তু কিছু শিশুর জন্য কেউ আসে না। এটি বরাবরের চিত্র। এই শিশুদের কারও মা-বাবা দুজনেই নেই, কারও বাবা নেই; মায়ের অন্যত্র বিয়ে হয়ে গেছে। অনেকের মা নেই, বাবা খোঁজ রাখেন না। খুব বেশি ভাগ্যবান হলে কারও কারও নানা, নানি, মামা, খালা বা চাচা এসে নিয়ে যান।
আর বাকিরা জানে, তাদের নিতে কেউ আসবে না। কেউ না থাকাটা হয়তো তেমন দুঃখ দেয় না আর। কিন্তু ঈদ এলে আর মন বোঝে না। সহপাঠীদের যখন বাড়ি চলে যেতে দেখে, তখন এই শিশুদের দুচোখ বেয়ে ঝরঝর করে পানি পড়ে। নিঃশব্দে কাঁদে ওরা। এত কচি বয়স থেকে এক নিষ্ঠুর দুনিয়া চাক্ষুষ করতে থাকে তারা!
আজ বৃহস্পতিবার ঈদের দিন সকালে দিনাজপুরের ফুলবাড়ী উপজেলার শিবনগর ইউনিয়নের পূর্ব রাজারামপুর ঘাটপাড়া গ্রামের সাকিনা তুস্-সুন্নাহ্ দারুল উলুম ছিদ্দিকীয়া কাওমি হাফেজিয়া এতিমখানা মাদ্রাসা ও লিল্লাহ্ বোর্ডিংয়ে গিয়ে এমন হৃদয়বিদারক চিত্র দেখা যায়। একটি শিশু এতিমখানায় একা বসে আছে। তার মা-বাবা কেউ নেই। এই এতিম শিশুটি পার্বতীপুর উপজেলার হামিদপুর ইউনিয়নের বাবলু মিঞার ছেলে মো. সাহেব আলী (৮)। এতিমখানায় নাজেরা শ্রেণির শিক্ষার্থী।
জানা যায়, তার জন্মের পর নিরুদ্দেশ হন সাহেবের বাবা বাবলু। মা আক্তারা বেগম অল্প কিছুদিন তাকে লালনপালন করে পার্বতীপুর উপজেলার হামিদপুর ইউনিয়নের মোবারকপুর গ্রামে নানা বুদা মিঞার কাছে রেখে অন্যত্র বিয়ে করেন। এরপর থেকে মা-ও আর খোঁজ নেন না। পরে নানা-নানি রেখে যান এই এতিমখানায়। দুই বছর ধরে এখানেই আছে সাহেব আলী। এতিমখানার পরিচালক হাফেজ কারি আহাদুল্লাহ্ তাকে সন্তানের মতো লালনপালন করে আসছেন। তিনিও শারীরিক প্রতিবন্ধী।
কথা বলতেই যেন কলকলিয়ে ওঠে সাহেব। বিষাদমাখা মুখ। আজ ঈদের দিন তার মাকে দেখতে খুব ইচ্ছে করছে! সাহেব বলে, ‘আজ মাকে খুব দেখতে ইচ্ছে করছে! বাবাকে কখনো দেখিইনি! মা থাকলে আজ কত আদর করত! আজ ঈদের দিন অনেক আনন্দ করতাম। সবার মা-বাবা আছে, আমার মা-বাবা দুজনেই নেই! কেন তারা আমাকে রেখে চলে গেছে? তারা কি পাশে থাকতে পারত না? মা-বাবা নাই তো কী হয়েছে? অন্য আত্মীয়রা কী আমাকে নিতে আসতে পারত না? এখন কেউ খোঁজ রাখে না। খালি বুড়া নানা-নানি খবর নেয়। তারা না থাকলে আর কারও কাছে যাওয়ার জায়গা থাকবে না।’
এতিমখানার পরিচালক হাফেজ কারি আহাদুল্লাহ্ জানান, সবার সহযোগিতায় এতিমখানাটি অনেক কষ্টে পরিচালনা করেন তিনি। সরকারিভাবে কোনো সহযোগিতা পান না। এতিমখানায় বর্তমানে ২৩ জন শিক্ষার্থী রয়েছে। তিনিসহ তিনজন শিক্ষক ও একজন রাঁধুনি আছেন।
কারি আহাদুল্লাহ্ বলেন, ‘আমি নিজেই প্রতিবন্ধী মানুষ। ছোটবেলায় দুরারোগ্য ব্যাধিতে বাম পা কেটে ফেলতে হয়েছে। আমার মতো অনেক প্রতিবন্ধী রাস্তায় ভিক্ষা করে। আল্লাহর রহমতে আমি কোরআন শিক্ষা পেয়ে একজন হাফেজ হয়েছি। এতগুলো বাচ্চার শিক্ষাব্যবস্থাসহ তাদের লালনপালন করছি। পরকালে আল্লাহ তাআলা অবশ্যই এর প্রতিদান দেবেন।’
এক প্রশ্নের জবাবে এই কোরআনে হাফেজ বলেন, ‘রমজানের শেষের দিকে এতিমখানা ছুটি হয়ে গেছে। যাদের অভিভাবক আছে, তারা তাদের বাচ্চাদের বাড়িতে নিয়ে গেছে। কিন্তু যারা এতিম, তাদের ঈদের নামাজ শেষে নিকটাত্মীয়দের কাছে পাঠাচ্ছি। যাতে করে তারা অন্তত ঈদের দিনটা আত্মীয়স্বজনদের কাছে পায়। সাহেব আলীকেও নানার বাড়ি পাঠাচ্ছি।’
পুরোপুরি পাকেনি সুনামগঞ্জের জগন্নাথপুরের হাওরের ধান। তবে অকালবন্যার শঙ্কায় ১ বৈশাখ থেকে আনুষ্ঠানিকভাবে ধান কাটা শুরু হয়েছে। কৃষি বিভাগ জানিয়েছে, ইতিমধ্যে ৩০ ভাগের বেশি জমির বোরো ফসল ঘরে তুলেছেন কৃষক।
৪ ঘণ্টা আগেবরগুনার আমতলী উপজেলার খেকুয়ানী মাধ্যমিক বিদ্যালয় ভবনের নিচতলায় বসছে পানের বাজার। খেকুয়ানী বাজারের ইজারাদার শাহ আলম শিকদার এ বাজার বসাচ্ছেন বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে।
৫ ঘণ্টা আগেরাজধানীর উত্তরার রেসিডেনসিয়াল ল্যাবরেটরি কলেজে নানা অনিয়মের অভিযোগ উঠেছে। কলেজের চেয়ারম্যানের যাচ্ছেতাই নিয়মে চলছে প্রতিষ্ঠানটি। দুটি বিষয়ের মাত্র তিনজন শিক্ষক দিয়ে চলছে কলেজটির শিক্ষা কার্যক্রম।
৬ ঘণ্টা আগেভারতীয় চেইন হসপিটাল ফর্টিস এসকর্টস হার্ট ইনস্টিটিউটের নাম ভাঙিয়ে শতকোটি টাকা লোপাটের অভিযোগ উঠেছে এএফসি হেলথ লিমিটেড নামের একটি প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে। প্রতিষ্ঠানটি ঢাকা, চট্টগ্রাম, খুলনা ও কুমিল্লায় ‘ফর্টিস’ নামে চারটি শাখা
৬ ঘণ্টা আগে