Ajker Patrika

চিলমারী উপজেলা প্রকৌশলীকে লাঞ্ছিত করার অভিযোগ, প্রতিবাদে কক্ষে তালা

কুড়িগ্রাম ও চিলমারী প্রতিনিধি
আপডেট : ১৩ এপ্রিল ২০২৩, ২২: ৫০
Thumbnail image

স্থানীয় সরকার প্রকৌশলী অধিদপ্তরের (এলজিইডি) কুড়িগ্রামের চিলমারী উপজেলা প্রকৌশলীকে লাঞ্ছিত করার অভিযোগ উঠেছে এক ঠিকাদারের বিরুদ্ধে। এর প্রতিবাদে কার্যালয়ের কক্ষে তালা ঝুলিয়ে দুই ঘণ্টারও বেশি সময় কর্মবিরতি পালন করেছেন কর্মচারীরা। পরে উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যানের হস্তক্ষেপে বিষয়টির মীমাংসা হয়। আজ বৃহস্পতিবার এসব ঘটনা ঘটে। 

লাঞ্ছিত করার বিষয়টির সত্যতা নিশ্চিত করেন চিলমারী উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মো. রুকুনুজ্জামান শাহীন। তিনি বলেন, ‘বিষয়টি শুনে উভয় পক্ষকে ডেকে সমাধান করে দিয়েছি।’ 

অভিযোগ ওঠা ঠিকাদার হলেন গোলাম হাবিবুর রহমান বিদ্যুৎ। তিনি জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল (জাসদ) কুড়িগ্রাম জেলা শাখার সভাপতি। তবে নিজের বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগ অস্বীকার করেছেন তিনি। 

উপজেলা প্রকৌশলীর কার্যালয় থেকে জানা গেছে, আজ বেলা ১১টার দিকে ওই কার্যালয়ে বৈঠক চলার সময় ঠিকাদার বিদ্যুৎ সেখানে গিয়ে উপজেলা প্রকৌশলী ফিরোজুর রহমান ও কর্মচারীদের গালাগাল করেন। কর্মচারীরা এর প্রতিবাদ করলে ঠিকাদার মারমুখী হন। এরপর উপজেলা প্রকৌশলী ও অন্য কর্মচারীরা অফিস কক্ষে তালা ঝুলিয়ে কর্মবিরতি শুরু করেন। পরে উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ও স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতাদের হস্তক্ষেপে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়। 

উপজেলা প্রকৌশলী ফিরোজুর বলেন, ‘আজ সকালে ঠিকাদার বিদ্যুৎ একটি কাজের বিল নিয়ে আসেন এবং আমাদের ওপর হঠাৎ চড়াও হয়ে গালিগালাজ করতে থাকেন। পরে উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ও স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতাদের হস্তক্ষেপে বিষয়টি সমাধান হয়েছে। ওই ঠিকাদার ভুল স্বীকার করে দুঃখ প্রকাশ করেছেন।’ 

ঠিকাদার বিদ্যুৎ কার্যালয়ের কাজে প্রভাব বিস্তারের চেষ্টা করেন বলে দাবি করে প্রকৌশলী ফিরোজুর। তিনি বলেন, ‘আজ একটি কাজ বুঝে নিতে চাইলে তিনি রেগে যান। কাজ বাস্তবায়নে সাইট ভিজিট করতে চাইলেও সমস্যা সৃষ্টির চেষ্টা করেন। তিনি সিনিয়র মানুষ বলে আমরা তেমন কিছু বলি না। এবার তিনি সীমা অতিক্রম করেন।’

ঠিকাদার বিদ্যুৎ এসব অভিযোগ অস্বীকার করেছেন। তিনি বলেন, ‘আমি কোনো গালিগালাজ করিনি। আমার একটি কাজের বিলের বিষয় নিয়ে কথা বলেছি। পরে উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ও অন্যরা মিলে উভয় পক্ষের মধ্যে সমঝোতা করে দিয়েছেন। আমি কোনো ভুল করিনি। সুতরাং, ভুল স্বীকার করার প্রশ্নও ওঠে না।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত