সুন্দরগঞ্জ (গাইবান্ধা) প্রতিনিধি
উজানের ভারী বর্ষণ ও পাহাড়ি ঢলে গাইবান্ধার সুন্দরগঞ্জে তিস্তা নদীতে আকস্মিক বেড়ে যায় পানি। অস্বাভাবিক হারে পানি বৃদ্ধি পাওয়ায় নদীতীরবর্তী ছয় ইউনিয়নে প্রায় অর্ধশত বসতবাড়ি বিলীন হয়েছে নদীগর্ভে। পানির নিচে তলিয়ে গেছে প্রায় ৫০ হেক্টর জমির ফসল। ঝুঁকির মুখে পড়েছে কমিউনিটি ক্লিনিক, সড়কসহ বিভিন্ন স্থাপনা। ফলে আতঙ্ক আর উৎকণ্ঠায় দিন কাটছে নদীতীরবর্তী এলাকাবাসীর। তাঁদের দাবি, তাঁদের বেঁচে থাকার অবলম্বন রক্ষার্থে দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়া হোক।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, উপজেলায় নদীবিধৌত ইউনিয়ন হচ্ছে ছয়টি—হরিপুর, বেলকা, শ্রীপুর, কাপাসিয়া, তাঁরাপুর ও চণ্ডীপুর। অস্বাভাবিক হারে পানি বৃদ্ধি পাওয়ায় তিস্তা নদীর তীরবর্তী কয়েকটি গ্রামে ব্যাপক ভাঙন দেখা দিয়েছে। বিশেষ করে হরিপুর ইউনিয়নের চর মাদারীপাড়া, কারেন্ট বাজার, মাঝের চর ও গেঞ্জিহাটি গ্রামে। এতে নদীতে বিলীন হয়েছে প্রায় অর্ধশত পরিবারের বসতবাড়ি ও বিভিন্ন স্থাপনা। তারা গবাদিপশুসহ আশ্রয় নিয়েছে বিভিন্ন বাঁধ ও স্বজনদের বাড়িতে। তলিয়ে গেছে ধান, মরিচসহ বিভিন্ন ফসলি জমি। ঝুঁকিতে আছে চর মাদারীপাড়া কমিউনিটি ক্লিনিক ও বাঁধের সড়কসহ বিভিন্ন স্থাপনা। স্থানীয়দের দাবি, দ্রুত ব্যবস্থা না নিলে রাক্ষুসে তিস্তা ভয়াবহ রূপ নেবে।
ভাঙনের কবলে পড়া হরিপুর ইউনিয়নের কাইম মাদারীপাড়া গ্রামের এরশাদ মিয়া জানান, গত বুধবার সন্ধ্যায়ও তাঁর বসতবাড়ির প্রায় ৫০০ ফুট দূরে নদী ছিল। রাত পোহালেই বাড়ি সরিয়ে নেবেন তিনি। কিন্তু রাত ৩টার দিকে হঠাৎ ভাঙনের শব্দ। কোনো কিছু বুঝে ওঠার আগে নদীতে ডুবে যায় তার আধা পাকা বাড়িটি। পানিতে ভেসে যায় তাঁর দুই গরু, এক ছাগল ও শতাধিক হাঁস-মুরগি। ছেলেমেয়ে ও স্ত্রী ছাড়া কিছুই বাঁচাতে পারেননি তিনি।
হরিপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান এসব এলাকা পরিদর্শন করেন। পরিদর্শনের পর ইউপি চেয়ারম্যান নাফিউল ইসলাম জিমি বলেন, হঠাৎ তিস্তায় অস্বাভাবিক পানি বৃদ্ধি। ক্ষতির পরিমাণটা অনেক হবে। উপজেলা প্রশাসনের সঙ্গে এ নিয়ে কথা হয়েছে। ক্ষতিগ্রস্তদের সহায়তা দিতে তালিকা করা হচ্ছে।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোহাম্মদ-আল-মারুফ বলেন, `সংশ্লিষ্ট ইউপি চেয়ারম্যানদের তালিকা করতে বলা হয়েছে। পেলেই শুকনো খাবার ও চাল বিতরণ করা হবে। নদীগর্ভে যাদের বসতবাড়ি বিলীন হয়েছে, তাদের আলাদা একটি তালিকা চেয়েছি। ডি ফরম পূরণ করে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কাছে সেগুলো পাঠানো হবে।'
জেলা পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. আবু রায়হানের সঙ্গে কথা হলে তিনি জানান পানির গতি ও উচ্চতার কথা। তিনি বলেন, গতকাল বৃহস্পতিবার তিস্তা নদীর সুন্দরগঞ্জ পয়েন্টে ১৫০ সেন্টিমিটার বেড়ে ২৮ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে পানি প্রবাহিত হয়েছে। তবে এখন পানি কমতে শুরু করেছে।
আবু রায়হান আরও বলেন, `হরিপুরে আমাদের লোক আছে। কোথাও ভাঙন দেখা দিলে দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়া হয়।' তবে আপাতত বন্যার কোনো আশঙ্কা নেই বলেও জানান এই কর্মকর্তা।
উজানের ভারী বর্ষণ ও পাহাড়ি ঢলে গাইবান্ধার সুন্দরগঞ্জে তিস্তা নদীতে আকস্মিক বেড়ে যায় পানি। অস্বাভাবিক হারে পানি বৃদ্ধি পাওয়ায় নদীতীরবর্তী ছয় ইউনিয়নে প্রায় অর্ধশত বসতবাড়ি বিলীন হয়েছে নদীগর্ভে। পানির নিচে তলিয়ে গেছে প্রায় ৫০ হেক্টর জমির ফসল। ঝুঁকির মুখে পড়েছে কমিউনিটি ক্লিনিক, সড়কসহ বিভিন্ন স্থাপনা। ফলে আতঙ্ক আর উৎকণ্ঠায় দিন কাটছে নদীতীরবর্তী এলাকাবাসীর। তাঁদের দাবি, তাঁদের বেঁচে থাকার অবলম্বন রক্ষার্থে দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়া হোক।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, উপজেলায় নদীবিধৌত ইউনিয়ন হচ্ছে ছয়টি—হরিপুর, বেলকা, শ্রীপুর, কাপাসিয়া, তাঁরাপুর ও চণ্ডীপুর। অস্বাভাবিক হারে পানি বৃদ্ধি পাওয়ায় তিস্তা নদীর তীরবর্তী কয়েকটি গ্রামে ব্যাপক ভাঙন দেখা দিয়েছে। বিশেষ করে হরিপুর ইউনিয়নের চর মাদারীপাড়া, কারেন্ট বাজার, মাঝের চর ও গেঞ্জিহাটি গ্রামে। এতে নদীতে বিলীন হয়েছে প্রায় অর্ধশত পরিবারের বসতবাড়ি ও বিভিন্ন স্থাপনা। তারা গবাদিপশুসহ আশ্রয় নিয়েছে বিভিন্ন বাঁধ ও স্বজনদের বাড়িতে। তলিয়ে গেছে ধান, মরিচসহ বিভিন্ন ফসলি জমি। ঝুঁকিতে আছে চর মাদারীপাড়া কমিউনিটি ক্লিনিক ও বাঁধের সড়কসহ বিভিন্ন স্থাপনা। স্থানীয়দের দাবি, দ্রুত ব্যবস্থা না নিলে রাক্ষুসে তিস্তা ভয়াবহ রূপ নেবে।
ভাঙনের কবলে পড়া হরিপুর ইউনিয়নের কাইম মাদারীপাড়া গ্রামের এরশাদ মিয়া জানান, গত বুধবার সন্ধ্যায়ও তাঁর বসতবাড়ির প্রায় ৫০০ ফুট দূরে নদী ছিল। রাত পোহালেই বাড়ি সরিয়ে নেবেন তিনি। কিন্তু রাত ৩টার দিকে হঠাৎ ভাঙনের শব্দ। কোনো কিছু বুঝে ওঠার আগে নদীতে ডুবে যায় তার আধা পাকা বাড়িটি। পানিতে ভেসে যায় তাঁর দুই গরু, এক ছাগল ও শতাধিক হাঁস-মুরগি। ছেলেমেয়ে ও স্ত্রী ছাড়া কিছুই বাঁচাতে পারেননি তিনি।
হরিপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান এসব এলাকা পরিদর্শন করেন। পরিদর্শনের পর ইউপি চেয়ারম্যান নাফিউল ইসলাম জিমি বলেন, হঠাৎ তিস্তায় অস্বাভাবিক পানি বৃদ্ধি। ক্ষতির পরিমাণটা অনেক হবে। উপজেলা প্রশাসনের সঙ্গে এ নিয়ে কথা হয়েছে। ক্ষতিগ্রস্তদের সহায়তা দিতে তালিকা করা হচ্ছে।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোহাম্মদ-আল-মারুফ বলেন, `সংশ্লিষ্ট ইউপি চেয়ারম্যানদের তালিকা করতে বলা হয়েছে। পেলেই শুকনো খাবার ও চাল বিতরণ করা হবে। নদীগর্ভে যাদের বসতবাড়ি বিলীন হয়েছে, তাদের আলাদা একটি তালিকা চেয়েছি। ডি ফরম পূরণ করে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কাছে সেগুলো পাঠানো হবে।'
জেলা পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. আবু রায়হানের সঙ্গে কথা হলে তিনি জানান পানির গতি ও উচ্চতার কথা। তিনি বলেন, গতকাল বৃহস্পতিবার তিস্তা নদীর সুন্দরগঞ্জ পয়েন্টে ১৫০ সেন্টিমিটার বেড়ে ২৮ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে পানি প্রবাহিত হয়েছে। তবে এখন পানি কমতে শুরু করেছে।
আবু রায়হান আরও বলেন, `হরিপুরে আমাদের লোক আছে। কোথাও ভাঙন দেখা দিলে দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়া হয়।' তবে আপাতত বন্যার কোনো আশঙ্কা নেই বলেও জানান এই কর্মকর্তা।
একসময় রাজশাহী নগরে পানি সরবরাহের জন্য প্রতিটি পাম্পে একাধিক অপারেটর থাকতে হতো। প্রযুক্তির কল্যাণে এখন পানি সরবরাহ ও পয়োনিষ্কাশন কর্তৃপক্ষের (ওয়াসা) কেন্দ্রীয় কার্যালয় থেকেই এই পাম্প নিয়ন্ত্রণ করা হয়। তারপরও পাম্পগুলোয় দুই থেকে তিনজন করে পাম্প অপারেটর রাখা হয়েছে।
২ ঘণ্টা আগেসিলেটের কানাইঘাটের দরিদ্র পরিবারের সন্তান মো. জাহাঙ্গীর আলম। ২০০৯ সালে যোগ দেন ফেঞ্চুগঞ্জ উপজেলা পরিবার পরিকল্পনা সহকারী (ইউএফপিএ) পদে। এরপর ‘জাল-জালিয়াতি, বদলি, নিয়োগ-বাণিজ্যসহ অনিয়ম-দুর্নীতির মাধ্যমে’ ১৭ বছরে তৃতীয় শ্রেণির এই কর্মচারী বাড়ি-গাড়িসহ নামে-বেনামে অঢেল সম্পত্তির মালিক হন।
২ ঘণ্টা আগেচট্টগ্রামের সরকারি-বেসরকারি হাসপাতালে নারীদের স্বাভাবিক সন্তান প্রসবের প্রবণতা বেড়েছে। গত বছরের ১ জুলাই থেকে ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত ছয় মাসে সিজারিয়ান সেকশন (‘সিজার’ বলে পরিচিত) অস্ত্রোপচারের চেয়ে স্বাভাবিক প্রসব ১ হাজার ৫৫২টি বেশি হয়েছে।
২ ঘণ্টা আগেপ্রতিবছরের মতো এবারও পবিত্র রমজানের শুরু থেকে দেশের বৃহত্তম ইফতার মাহফিল চলছে সাতক্ষীরার কালীগঞ্জের নলতা আহ্ছানিয়া মিশনে। প্রায় ৮ হাজার মানুষের ইফতার মাহফিল যেন মিলনমেলায় পরিণত হয়েছে।
২ ঘণ্টা আগে