Ajker Patrika

তিস্তার পানি বেড়ে তলিয়েছে আমন খেত, বন্যার শঙ্কা

ডিমলা (নীলফামারী) প্রতিনিধি
Thumbnail image

নীলফামারীতে গত কয়েক দিনের টানা বৃষ্টি ও উজান থেকে নেমে আসা ঢলে তিস্তা নদীর পানি বাড়তে শুরু করেছে। আবারও বন্যার আশঙ্কা করছেন নদীপাড়ের বাসিন্দারা। এদিকে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে ব্যারেজের সব কটি জলকপাট খুলে দিয়েছে পানি উন্নয়ন বোর্ড (পাউবো) কর্তৃপক্ষ। 

পাউবো ডালিয়া ডিভিশনের বন্যা পূর্বাভাস ও সতর্কীকরণ কেন্দ্র জানায়, আজ রোববার বিকেল ৩টায় দেশের বৃহত্তম সেচ প্রকল্প তিস্তা ব্যারাজের ডালিয়া পয়েন্টে নদীর পানিপ্রবাহ রেকর্ড করা হয়েছে ৫২ দশমিক ৭ সেন্টিমিটার। যা বিপৎসীমার দশমিক ৮ সেন্টিমিটার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। এর আগে সকাল ৯টায় এই পয়েন্টে পানির প্রবাহ রেকর্ড করা হয় ৫১ দশমিক ৬২ সেন্টিমিটার ও দুপুর ১২টায় ৫১ দশমিক ৮০ সেন্টিমিটার।

ডালিয়া পাউবোর পানি পরিমাপক নূরুল ইসলাম বলেন, শনিবার রাত থেকে নদীতে পানি বাড়তে শুরু করেছে। রোববার সকাল থেকে পানি প্রবাহ যেভাবে বাড়ছে এতে রাত নাগাদ আবারও তিস্তায় বন্যা দেখা দিতে পারে। 

এদিকে অব্যাহত বৃষ্টিতে পানি বৃদ্ধির ফলে তলিয়ে গেছে তিস্তার চর ও নদী তীরবর্তী নিম্নাঞ্চল, আমন ধানের খেত। তিস্তা তীরবর্তী গ্রাম ও চর এলাকায় বন্যা পরিস্থিতির আশঙ্কা করছে পাউবো। 

পানি বাড়ায় উপজেলার পূর্ব ছাতনাই, পশ্চিম ছাতনাই, টেপাখড়িবাড়ি, খগাখড়িবাড়ি, খালিশা ও ঝুনাগাছ চাপানী ইউনিয়নে নদীর তীরবর্তী এলাকার পরিবারগুলো বন্যার আশঙ্কায় রয়েছেন। পানি বাড়িতে ঢুকে পড়লে তিস্তা পাড়ের প্রায় ১০ হাজার পরিবার পানিবন্দী হতে পারে বলে আশঙ্কা করছেন সংশ্লিষ্ট এলাকার জনপ্রতিনিধিরা। 

চর খড়িবাড়ি গ্রামের রিপন ইসলাম বলেন, চর এলাকায় অনেক বসতবাড়ি পানিতে তলিয়ে যাওয়ার উপক্রম হয়েছে। এ ছাড়া হঠাৎ পানি বৃদ্ধির ফলে গবাদি পশু-পাখি নিয়েও বিপাকে পড়েছেন বাসিন্দারা। 

খালিশা চাপানি ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান শহীদুজ্জামান সরকার বলেন, শনিবার থেকে পানি বাড়তে শুরু করেছে। ইতিমধ্যে নিচু এলাকার অনেক ফসলের খেত পানিতে ডুবে গেছে। যদি তিস্তায় আবার বন্যা দেখা দেয় তাহলে কৃষকদের ব্যাপক ক্ষতি হবে। 

ডালিয়া পাউবোর নির্বাহী প্রকৌশলী আসফাউদদৌলা বলেন, পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে ব্যারাজের ৪৪ গেট খুলে রাখা হয়েছে। তবে এভাবে পানি বাড়তে থাকলে বন্যা পরিস্থিতির আশঙ্কা রয়েছে। আগামী ২৪ ঘণ্টায় তিস্তার পানি কমার কোনো সম্ভাবনা নেই বরং পানি আরও বাড়তে পারে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত