Ajker Patrika

খানসামায় বই চুরির অভিযোগে মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক গ্রেপ্তার

খানসামা (দিনাজপুর) প্রতিনিধি
আপডেট : ০২ জানুয়ারি ২০২৩, ১৯: ৪৯
খানসামায় বই চুরির অভিযোগে মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক গ্রেপ্তার

বিদ্যালয়ের বই চুরি ও সরকারি কাজে বাধা দেওয়ার অভিযোগে দিনাজপুর খানসামা উপজেলার কুমড়িয়া দ্বিমুখী উচ্চবিদ্যালয়ের এক শিক্ষককে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। 

গ্রেপ্তার হওয়া শিক্ষক মন্টু আলী ওই বিদ্যালয়ের শিক্ষক ও কুমড়িয়া গ্রামের অবসরপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক মনছুর আলীর ছেলে। 

বিদ্যালয় সূত্রে জানা যায়, দীর্ঘদিন ধরে ওই বিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক ও ম্যানেজিং কমিটির দুপক্ষের মধ্যে দ্বন্দ্ব চলছে। ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষকের পদে নিয়ে ইতিপূর্বে ওই বিদ্যালয়ের শিক্ষক মন্টু আলী ও মোকছেদ আলীর মধ্যে কয়েক দফায় বাগ্‌বিতণ্ডা ও সংঘর্ষ হয়েছে। এই ঘটনা ম্যানেজিং কমিটির বৈধতা ও প্রধান শিক্ষকের পদ নিয়ে আদালতে বর্তমানে মামলা বিচারাধীন।

স্থানীয়দের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, বই উৎসবের মাধ্যমে বই বিতরণের জন্য উপজেলা শিক্ষা অফিস থেকে পাঠানো নতুন বই বিদ্যালয়ের অফিসে সংরক্ষিত ছিল। সেই বই শিক্ষার্থীদের মাঝে বিতরণের জন্য উপজেলা শিক্ষা অফিস ও বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটির সদস্যদের মাধ্যমে বিতরণের জন্য প্রস্তুতি নেওয়া হয়। গত ১৬ সেপ্টেম্বর দিনাজপুর শিক্ষা বোর্ড কর্তৃক অনুমোদিত অ্যাডহক কমিটির রেজ্যুলেশনে দায়িত্ব পাওয়া ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক মোকছেদ আলী এ দায়িত্ব পালনের কথা ছিল। কিন্তু ২০২০ সালের ১ নভেম্বর থেকে ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষকের দায়িত্ব পালন করা মন্টু আলী নিজেকে বৈধ দাবি করে শিক্ষার্থীদের মাঝে বই বিতরণ করেন তিনি।

অবৈধভাবে অফিসের তালা ভাঙা, বই চুরি ও উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তার সরকারি কাজে বাধা প্রদানের অভিযোগে মন্টু আলীকে আসামি করে থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন মোকছেদ আলী। সেই অভিযোগে মন্টু আলীকে গতকাল রোববার রাতে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। 

এ বিষয়ে মন্টু আলী আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘মহামান্য সুপ্রিম কোর্টের আদেশ অনুযায়ী জিপির মতামত আমার পক্ষে রয়েছে। তাই আমি বই বিতরণ করেছি কিন্তু কর্তৃপক্ষ তা ভুল ব্যাখ্যা করে মোকছেদ আলীকে দায়িত্ব দিয়েছে। আমি অবৈধ, এই সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে আইনি লড়াই করব।’ 

এ বিষয়ে মামলার বাদী মোকসেদ আলী আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘বৈধভাবে আমি ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক। মন্টু আলী তালা ভেঙে বই চুরি করেছে। তাই সরকারি সম্পত্তি চুরি ও শিক্ষা কর্মকর্তাকে সরকারি কাজে বাধা প্রদান করায় থানায় লিখিত অভিযোগ করেছি।’ 

উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মঞ্জুরুল হক আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘ওই প্রতিষ্ঠানের বৈধ ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক হলেন মোকছেদ আলী। তিনি ছাড়া যদি অন্য কেউ অফিস কক্ষের তালা ভেঙে বই নিয়ে যায়, সেটি আইনবহির্ভূত কাজ। এ বিষয়ে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে অবহিত করা হয়েছে। 

বিষয়টি নিশ্চিত করে খানসামা থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) চিত্তরঞ্জন রায় আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘লিখিত অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে মামলা করা হয়েছে ৷ সেই মোতাবেক আসামি মন্টু আলীকে গ্রেপ্তার করে মহামান্য আদালতে প্রেরণ করা হয়েছে।’ 

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত