আশরাফুল আলম আপন, বদরগঞ্জ (রংপুর)
রংপুরের বদরগঞ্জে গত ২০ মে একটি গদিঘরের উঠান থেকে ১৮৩ বস্তা (প্রতি বস্তা ৩০ কেজি) সরকারি চাল উদ্ধার করেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. মিজানুর রহমান। পরে চালগুলো সরকারি খাদ্যগুদামে রাখা হয়। ঘটনার প্রায় দুই মাস অতিবাহিত হলেও এখন পর্যন্ত কোনো ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি। জব্দ করা চাল ফেরতও দেওয়া হয়নি।
কেন দুই মাসেও ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে না— জানতে চাইলে ইউএনও মিজানুর রহমান বলেন, ‘চাল উদ্ধারের ঘটনার পরপরই অভিযুক্ত ব্যক্তির বিরুদ্ধে থানায় মামলা করতে নির্দেশ দিয়েছি উপজেলা খাদ্যনিয়ন্ত্রককে। তিনি কেন মামলা করতে টালবাহানা করছেন, তা দেখা হবে।’
অভিযোগ উঠেছে, উপজেলা খাদ্যনিয়ন্ত্রক বিপ্লব কুমার সিং মোটা অঙ্কের টাকা নিয়ে অভিযুক্ত ব্যক্তির পক্ষে তদন্ত প্রতিবেদন পাঠিয়েছেন ইউএনওর কার্যালয়ে।
অনুসন্ধানে জানা গেছে, ওই চাল উদ্ধারের ঘটনায় মামলা করলে ফেঁসে যেতে পারেন উপজেলা খাদ্যনিয়ন্ত্রক বিপ্লব কুমার সিং ও উপজেলা ভারপ্রাপ্ত খাদ্য কর্মকর্তা (ওসিএলএসডি) রায়হান কবির। এ কারণে তাঁরা আইনগত ব্যবস্থায় না গিয়ে ঘটনাটি ধামাচাপা দিতে চেষ্টা করছেন।
অভিযুক্ত বাপ্পী সাহা বলেন, ‘আমি একজন চাল ব্যবসায়ী। সরকারি সিলমোহরযুক্ত খালি বস্তা বাজারে কিনতে পাওয়া যায়। জব্দ করা চালগুলো সরকারি নয়। ছাত্র সমন্বয়ক ও এলাকাবাসী না বুঝে চালগুলো আটক করে ইউএনও স্যারকে খবর দিয়েছিলেন।’ এক প্রশ্নের জবাবে বাপ্পী সাহা বলেন, ‘ওই চাল আমার, সেটি উপজেলা খাদ্যনিয়ন্ত্রক স্যার বুঝলেও বুঝছেন না ইউএনও স্যার। চালগুলো ফেরতের জন্য প্রায় সরকারি খাদ্যগুদামে ঘুরছি, কিন্তু ইউএনও স্যারের নির্দেশ না দেওয়ায় তা ফেরত পাচ্ছি না।’
উপজেলা খাদ্যগুদামের ওসি (এলএসডি) রায়হান কবির আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘প্রায় দুই মাস আগে ইউএনও মহোদয় ওই চাল জব্দ করে সরকারি গুদামে রেখেছেন। তাঁর নির্দেশ না পাওয়া পর্যন্ত চাল ফেরত দেওয়ার সুযোগ নেই।’
উপজেলা খাদ্যনিয়ন্ত্রক বিপ্লব কুমার সিং বলেন, ‘আমি তদন্ত করে দেখেছি, ওই চাল বাপ্পী সাহার ব্যক্তিগত।’ তাহলে ওই চালগুলো ফেরত দিচ্ছেন না কেন—এমন প্রশ্নের জবাবে বিপ্লব কুমার সিং বলেন, ‘চাল আমি আটক করিনি, এ প্রশ্ন ইউএনও মহোদয়কে করেন।’ মামলা করতে ইউএনওর নির্দেশ না মানার কারণ জানতে চাইলে খাদ্যনিয়ন্ত্রক বলেন, ‘আমি লিখিত কোনো নির্দেশ পাইনি।’ তবে তিনি ওই চাল ব্যবসায়ীর কাছ থেকে মোটা অঙ্কের টাকা নেওয়ার অভিযোগ অস্বীকার করেন।
গত ২০ মে রাত ৯টার দিকে বদরগঞ্জ সরকারি গুদাম থেকে খাদ্যগুদামের সিলমোহরযুক্ত বস্তায় চাল ট্রলিতে করে মধুপুর ইউনিয়নের বোর্ডঘরা এলাকার বাপ্পী সাহার গদিঘরে নেওয়া হচ্ছিল। এ সময় গদিঘরের উঠানে টলিভর্তি চাল আটক করে ইউএনওকে খবর দেন ছাত্র সমন্বয়ক ও এলাকাবাসী। ওই সময় ইউএনও ঘটনাস্থল থেকে খাদ্যগুদামের সিলমোহরযুক্ত ১৫৬ বস্তা চাল উদ্ধার করেন। পরদিন সকালে ওই গদিঘরে অভিযান চালিয়ে আরও ২৭ বস্তা চাল উদ্ধার করেন ইউএনও। দুদিনের উদ্ধার করা ১৮৩ বস্তা চাল সরকারি খাদ্যগুদামে রেখে দেওয়া হয়। এ নিয়ে ২৪ মে আজকের পত্রিকার অনলাইন সংস্করণে ‘বদরগঞ্জে ১৮৩ বস্তা সরকারি চাল উদ্ধার, তদন্ত নিয়েই প্রশ্ন’ শিরোনামে একটি প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়।
রংপুরের বদরগঞ্জে গত ২০ মে একটি গদিঘরের উঠান থেকে ১৮৩ বস্তা (প্রতি বস্তা ৩০ কেজি) সরকারি চাল উদ্ধার করেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. মিজানুর রহমান। পরে চালগুলো সরকারি খাদ্যগুদামে রাখা হয়। ঘটনার প্রায় দুই মাস অতিবাহিত হলেও এখন পর্যন্ত কোনো ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি। জব্দ করা চাল ফেরতও দেওয়া হয়নি।
কেন দুই মাসেও ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে না— জানতে চাইলে ইউএনও মিজানুর রহমান বলেন, ‘চাল উদ্ধারের ঘটনার পরপরই অভিযুক্ত ব্যক্তির বিরুদ্ধে থানায় মামলা করতে নির্দেশ দিয়েছি উপজেলা খাদ্যনিয়ন্ত্রককে। তিনি কেন মামলা করতে টালবাহানা করছেন, তা দেখা হবে।’
অভিযোগ উঠেছে, উপজেলা খাদ্যনিয়ন্ত্রক বিপ্লব কুমার সিং মোটা অঙ্কের টাকা নিয়ে অভিযুক্ত ব্যক্তির পক্ষে তদন্ত প্রতিবেদন পাঠিয়েছেন ইউএনওর কার্যালয়ে।
অনুসন্ধানে জানা গেছে, ওই চাল উদ্ধারের ঘটনায় মামলা করলে ফেঁসে যেতে পারেন উপজেলা খাদ্যনিয়ন্ত্রক বিপ্লব কুমার সিং ও উপজেলা ভারপ্রাপ্ত খাদ্য কর্মকর্তা (ওসিএলএসডি) রায়হান কবির। এ কারণে তাঁরা আইনগত ব্যবস্থায় না গিয়ে ঘটনাটি ধামাচাপা দিতে চেষ্টা করছেন।
অভিযুক্ত বাপ্পী সাহা বলেন, ‘আমি একজন চাল ব্যবসায়ী। সরকারি সিলমোহরযুক্ত খালি বস্তা বাজারে কিনতে পাওয়া যায়। জব্দ করা চালগুলো সরকারি নয়। ছাত্র সমন্বয়ক ও এলাকাবাসী না বুঝে চালগুলো আটক করে ইউএনও স্যারকে খবর দিয়েছিলেন।’ এক প্রশ্নের জবাবে বাপ্পী সাহা বলেন, ‘ওই চাল আমার, সেটি উপজেলা খাদ্যনিয়ন্ত্রক স্যার বুঝলেও বুঝছেন না ইউএনও স্যার। চালগুলো ফেরতের জন্য প্রায় সরকারি খাদ্যগুদামে ঘুরছি, কিন্তু ইউএনও স্যারের নির্দেশ না দেওয়ায় তা ফেরত পাচ্ছি না।’
উপজেলা খাদ্যগুদামের ওসি (এলএসডি) রায়হান কবির আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘প্রায় দুই মাস আগে ইউএনও মহোদয় ওই চাল জব্দ করে সরকারি গুদামে রেখেছেন। তাঁর নির্দেশ না পাওয়া পর্যন্ত চাল ফেরত দেওয়ার সুযোগ নেই।’
উপজেলা খাদ্যনিয়ন্ত্রক বিপ্লব কুমার সিং বলেন, ‘আমি তদন্ত করে দেখেছি, ওই চাল বাপ্পী সাহার ব্যক্তিগত।’ তাহলে ওই চালগুলো ফেরত দিচ্ছেন না কেন—এমন প্রশ্নের জবাবে বিপ্লব কুমার সিং বলেন, ‘চাল আমি আটক করিনি, এ প্রশ্ন ইউএনও মহোদয়কে করেন।’ মামলা করতে ইউএনওর নির্দেশ না মানার কারণ জানতে চাইলে খাদ্যনিয়ন্ত্রক বলেন, ‘আমি লিখিত কোনো নির্দেশ পাইনি।’ তবে তিনি ওই চাল ব্যবসায়ীর কাছ থেকে মোটা অঙ্কের টাকা নেওয়ার অভিযোগ অস্বীকার করেন।
গত ২০ মে রাত ৯টার দিকে বদরগঞ্জ সরকারি গুদাম থেকে খাদ্যগুদামের সিলমোহরযুক্ত বস্তায় চাল ট্রলিতে করে মধুপুর ইউনিয়নের বোর্ডঘরা এলাকার বাপ্পী সাহার গদিঘরে নেওয়া হচ্ছিল। এ সময় গদিঘরের উঠানে টলিভর্তি চাল আটক করে ইউএনওকে খবর দেন ছাত্র সমন্বয়ক ও এলাকাবাসী। ওই সময় ইউএনও ঘটনাস্থল থেকে খাদ্যগুদামের সিলমোহরযুক্ত ১৫৬ বস্তা চাল উদ্ধার করেন। পরদিন সকালে ওই গদিঘরে অভিযান চালিয়ে আরও ২৭ বস্তা চাল উদ্ধার করেন ইউএনও। দুদিনের উদ্ধার করা ১৮৩ বস্তা চাল সরকারি খাদ্যগুদামে রেখে দেওয়া হয়। এ নিয়ে ২৪ মে আজকের পত্রিকার অনলাইন সংস্করণে ‘বদরগঞ্জে ১৮৩ বস্তা সরকারি চাল উদ্ধার, তদন্ত নিয়েই প্রশ্ন’ শিরোনামে একটি প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়।
অর্থনীতির টালমাটাল অবস্থায় ব্যবসায়ী, রপ্তানিকারকেরা যখন বৈশ্বিক প্রতিযোগিতায় টিকে থাকার লড়াই করছেন, ঠিক তখনই চট্টগ্রাম বন্দরের মাশুল বাড়ানো হলো। ব্যবসায়ীদের বিরোধিতা সত্ত্বেও এ মাশুল ১৫ অক্টোবর থেকে কার্যকর হয়েছে। এ অবস্থায় গতকাল শনিবার কনটেইনার পরিবহন বন্ধ করে বন্দরের কার্যক্রম থমকে দিয়েছেন...
২ ঘণ্টা আগেচুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে একের পর এক পদ শূন্য থাকায় স্থবির হয়ে পড়েছে চিকিৎসাসেবা। ৫০ শয্যার জনবল ও ১০০ শয্যার খাবার-ওষুধ নিয়ে খুঁড়িয়ে খুঁড়িয়ে চলছে ২৫০ শয্যার সরকারি হাসপাতালটি; বিশেষ করে ১০ মাস ধরে অ্যানেসথেসিয়া কনসালট্যান্ট না...
২ ঘণ্টা আগেমাদারীপুরের সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়গুলোতে শিক্ষকদের হাজিরার জন্য বসানো বায়োমেট্রিক ডিজিটাল হাজিরা মেশিনগুলো কোনো কাজেই আসেনি। দিনের পর দিন ব্যবহার না হওয়ায় এসব যন্ত্র এখন নষ্টের পথে। এতে অপচয় হচ্ছে সরকারের লাখ লাখ টাকা।
৩ ঘণ্টা আগেবরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ে (ববি) অন্তত ২৩ শিক্ষককে অধ্যাপক পদে পদোন্নতি দেওয়ার তোড়জোড় চলছে। শিক্ষার্থীদের অভিযোগ, তাঁদের মধ্যে সাতজন জুলাই আন্দোলনের বিরোধিতাকারী রয়েছেন। পদোন্নতির এ সিদ্ধান্ত নিয়েছেন উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. তৌফিক আলম।
৩ ঘণ্টা আগে