Ajker Patrika

গোপালগঞ্জে এনসিপির নেতা-কর্মীদের ওপর হামলা, জেলায় ১৪৪ ধারা জারি

অনলাইন ডেস্ক
আপডেট : ১৬ জুলাই ২০২৫, ১৬: ৫৫
গোপালগঞ্জে পাল্টাপাল্টি ধাওয়া। ছবি: সংগৃহীত
গোপালগঞ্জে পাল্টাপাল্টি ধাওয়া। ছবি: সংগৃহীত

জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) পদযাত্রা কর্মসূচিকে কেন্দ্র করে আজ বুধবার সকাল থেকে উত্তপ্ত গোপালগঞ্জ। পুলিশের গাড়িতে হামলার পর অগ্নিসংযোগ, ইউএনওর গাড়িতে হামলা, এনসিপির সমাবেশ মঞ্চে ভাঙচুর এবং পরে পদযাত্রায় নেতা-কর্মীদের ওপর হামলার ঘটনা ঘটেছে।

আজ এনসিপির সমাবেশ শেষ হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে একদল ব্যক্তি নেতা-কর্মীদের ঘিরে ধরে হামলার চেষ্টা করেন। চারদিক থেকে এনসিপির নেতা-কর্মী ও পুলিশের গাড়ি আটকে দেন। এ সময় পুলিশ ও সেনাবাহিনীর সদস্যরা সাউন্ড গ্রেনেড ও ফাঁকা গুলি ছুড়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা করেন। এনসিপির নেতা-কর্মীরা অন্যদিক দিয়ে গাড়ি ঘুরিয়ে ঘটনাস্থল ত্যাগ করেন।

এ পরিস্থিতিতে গোপালগঞ্জের জেলা প্রশাসক মো. কামরুজ্জামান গোপালগঞ্জ জেলায় ১৪৪ ধারা জারি করেছেন। জেলা প্রশাসনের একজন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান।

আজ বেলা পৌনে ৩টার দিকে শহরের পৌর পার্কে এনসিপি নেতা-কর্মীদের ওপর হামলার ঘটনা ঘটে। পরে এনসিপির মুখ্য সমন্বয়ক নাসীরুদ্দীন পাটওয়ারী সাংবাদিকদের কাছে অভিযোগ করেন, আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীরা এই হামলা চালিয়েছেন। এ সময় পুলিশ ও সেনাবাহিনী নিষ্ক্রিয় ভূমিকা পালন করেছে। বলা হয়েছিল, সবকিছু ঠিক আছে। কিন্তু তাঁরা সমাবেশস্থলে এসে দেখেন পরিস্থিতি ঠিক নেই।

এর আগে বেলা পৌনে ২টার দিকে ২০০ থেকে ৩০০ লোক লাঠিসোঁটা নিয়ে এনসিপির সমাবেশস্থলে যান। সে সময় মঞ্চের আশপাশে থাকা পুলিশ সদস্যরা সেখান থেকে দ্রুত আদালত চত্বরে ঢুকে পড়েন। একই সময়ে মঞ্চে ও মঞ্চের সামনে থাকা এনসিপির নেতা-কর্মীরাও দৌড়ে সরে যান। যাঁরা হামলা চালান, তাঁরা সবাই আওয়ামী লীগের সমর্থক বলে এনসিপির নেতা-কর্মীরা অভিযোগ করেন।

হামলাকারীরা মঞ্চের চেয়ার ভাঙচুর করেন, ব্যানার ছিঁড়ে ফেলেন। ককটেল বিস্ফোরণের ঘটনাও ঘটে। একপর্যায়ে জেলা পুলিশ সুপার মো. মিজানুর রহমান ঘটনাস্থলে যান। এনসিপির নেতা-কর্মী ও পুলিশ এক হয়ে ধাওয়া দিলে হামলাকারীরা পালিয়ে যান। পরে এনসিপি সেখানে সমাবেশ শুরু করে।

আরও খবর পড়ুন:

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত