Ajker Patrika

চিকিৎসকের প্রেসক্রিপশনে অস্পষ্ট লেখা, স্বাস্থ্য ঝুঁকিতে রোগী

ডিমলা (নীলফামারী) প্রতিনিধি
চিকিৎসকের প্রেসক্রিপশনে অস্পষ্ট লেখা, স্বাস্থ্য ঝুঁকিতে রোগী

নীলফামারীর ডিমলায় চিকিৎসকের হাতের লেখা প্রেসক্রিপশন (ব্যবস্থাপত্র) পাঠোপযোগী হয়ে উঠছে না বলে অভিযোগ উঠেছে। এমন ব্যবস্থাপত্র হাতে নিয়ে দুর্ভোগে পড়ছে রোগী ও ওষুধ বিক্রেতারা। এক ওষুধের পরিবর্তে অন্য আরেকটি ওষুধ কেনাবেচার ঘটনাও ঘটছে জানান ভুক্তভোগীরা। 

রোগীরা বলছেন, প্রেসক্রিপশন বুঝতে সমস্যায় হওয়ায় নিয়মকানুন ও ওষুধ সেবন নিয়েও পড়তে হচ্ছে বিড়ম্বনায়। অন্যদিকে হাসপাতাল সংশ্লিষ্টরা বলছেন, নিয়ম রয়েছে চিকিৎসকদেরকে স্পষ্ট অক্ষরে পাঠোপযোগী প্রেসক্রিপশন লিখতে হবে। কিন্তু ব্যবস্থাপত্রে অনেক চিকিৎসকের দুর্বোধ্য হাতের লেখা অব্যাহত রয়েছে। 

আজ সোমবার (২২ মে) উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে বহির্বিভাগে চিকিৎসার জন্য এসেছেন তাসলিমা বেগম (২৭)। তাঁকে চারটি ওষুধ খেতে দেওয়া হয়েছে। সঙ্গে উল্লেখ রয়েছে কোনটি খাবার আগে আর কোনটি খাবার পরে খেতে হবে। কিন্তু প্রেসক্রিপশনে লেখা দেখে ঠিকঠাক বোঝার উপায় নেই কোন কোন শব্দ আছে এতে। 

হাসপাতালে চিকিৎসা নেওয়া রোগী শেফালি কর্মকর তাঁর প্রেসক্রিপশন দেখিয়ে আজকের পত্রিকাকে বলেন, উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের এক চিকিৎসক এমনভাবে ওষুধের নাম লিখেছিলেন। কিন্তু যে কোনো ওষুধের দোকানদার লেখা ধরতে পারেনি। পরে আমাকে ওই চিকিৎসকের কাছে আবারও গিয়ে নাম জেনে আসতে হয়েছে। তারা এত তাড়াহুড়ো করে লেখেন যে শব্দ ঠিকঠাক বোঝাই যায় না।’ 

বুলবুল নামে এক রোগীর সজন বলেন, ‘রোগীর প্রেসক্রিপশনে রোগের বর্ণনা ও টেস্টের নামগুলো এমনভাবে চিকিৎসক লিখেছেন তা স্পষ্ট নয়।’ 

উপজেলার বাবুরহাট, মেডিকেল মোড় এলাকার ওষুধ বিক্রেতাদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, চিকিৎসকদের অনেকের লেখা স্পষ্ট হলেও কারও কারও লেখা একেবারেই বোঝা যায় না। কখনো কখনো রোগীকে আবার ওই চিকিৎসকের কাছে পাঠাতে হয়। কিছু রোগী দূর থেকে এত দুর্বোধ্য প্রেসক্রিপশন নিয়ে আসেন যে তখন তাকে আর ফেরত পাঠানো যায় না। তখন মোটামুটি যেটা বোঝা যায় সেই ওষুধ দিয়ে দিই। চিকিৎসকেরা কম্পিউটারে প্রেসক্রিপশন লিখে দিলে এটা আমাদের জন্য খুব সুবিধা হতো। 

ডিমলা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের চিকিৎসকের লেখা প্রেসক্রিপশনএদিকে অস্পষ্ট প্রেসক্রিপশনে অতিষ্ঠ হয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রতিবাদমুখর হয়ে উঠছেন সাধারণ মানুষজনও। 

উপজেলা সদরের বাসিন্দা স্নিগ্ধ কবি (শাখাওয়াত) একটি প্রেসক্রিপশনের ছবি পোস্ট করে লিখেছেন, ‘ডিমলা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসার নামে সাধারণ মানুষকে হয়রানি। অভিজ্ঞদের পরামর্শ চাই আসলে এখানে কী লিখেছেন ডাক্তার?’ 

সাগর রেদোয়ান লিখেছেন, ‘প্রেসক্রিপশনে কোনটা ‘‘এ’’ কোনটা ‘‘বি’’ বুঝাই তো যায় না! এই রকম করেই তো রোগীর জানমালের ক্ষতি হচ্ছে।’ 

উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা. রাশেদুজ্জামান বলেন, ‘প্রেসক্রিপশনের লেখা অবশ্যই স্পষ্ট হওয়া জরুরি। অস্পষ্ট হাতের লেখার কারণে ভুল ওষুধ পাওয়ার আশঙ্কা থাকে।’ এ বিষয়টি সমাধানে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণের আশ্বাস দেন তিনি।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

‘তুমি ঘুমাও কীভাবে’, সৌদি যুবরাজকে নিয়ে ট্রাম্পের বিস্ময়

বিদ্যালয়ে সময় দেন না শিক্ষক, ইউএনওর কাছে অভিযোগ করায় সহকর্মীকে মারধর

কুয়েটে ক্লাস বর্জন নিয়ে শিক্ষক সমিতিতে মতবিরোধ, এক শিক্ষকের পদত্যাগ

এনবিআর বিলুপ্তির জেরে প্রায় অচল দেশের রাজস্ব কর্মকাণ্ড

দুটি নোবেলের গৌরব বোধ করতে পারে চবি: প্রধান উপদেষ্টা

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত