আল মামুন জীবন, বালিয়াডাঙ্গী (ঠাকুরগাঁও)
সপ্তম শ্রেণিতে পড়াকালে বিয়ে হয় মেরি আক্তারের। এর কয়েক বছর পর ২০০৮ সালে মারা যান স্বামী। এরপরই জীবনযুদ্ধ শুরু। স্বামীর রেখে যাওয়া জমিতে আবাদ এবং স্বাস্থ্যকর্মী হিসেবে খণ্ডকালীন চাকরি করে দুই সন্তানকে লালন-পালন করে শেখান লেখাপড়া। ১১ ফেব্রুয়ারি বড় ছেলে মিলন রনি খুলনা মেডিকেল কলেজে ভর্তির সুযোগ পেয়েছেন। এ আনন্দে সব কষ্ট যেন ভুলে গেছেন মেরি আক্তার।
সমাজের নানান জনের নানা প্রশ্ন, কটুকথা শুনে প্রায় ১৬ বছর পাড়ি দিতে হয়েছে মেরি আক্তারকে। স্বামীর মৃত্যুর সময় বড় ছেলের বয়স তিন বছর আর ছোট ছেলের বয়স তখন মাত্র ৯ মাস ছিল। দুই সন্তানের মুখের দিকে চেয়ে আর দ্বিতীয়বার বিয়েতে বসেননি তিনি। তবে এখন শ্বশুরবাড়িসহ পুরো উপজেলায় সফল মা হিসেবে প্রশংসায় ভাসছেন তিনি।
মেরি আক্তারের বাড়ি ঠাকুরগাঁওয়ের বালিয়াডাঙ্গী উপজেলার বড়পলাশবাড়ী ইউনিয়নের পারুয়া গ্রামে। তিনি ওই এলাকার মৃত মোটরশ্রমিক আব্দুর রাজ্জাকের স্ত্রী।
খুলনা মেডিকেল কলেজে ভর্তির সুযোগ পাওয়া মিলন রনিকে বালিয়াডাঙ্গী পাইলট মডেল উচ্চবিদ্যালয় এবং ঢাকা কলেজ থেকে উচ্চমাধ্যমিকে পড়াশোনা করিয়েছেন তিনি। এরপর ঢাকাতেই ছেলেকে কোচিং করিয়েছেন মেডিকেল ভর্তির জন্য। আর ছোট ছেলে মাধ্যমিক পাসের পর ঠাকুরগাঁও শহরের ইকো পাঠশালায় উচ্চমাধ্যমিক পড়ছে।
স্বামীর রেখে যাওয়া দেড় বিঘা জমিতে আবাদ এবং স্থানীয় বেসরকারি ক্লিনিকগুলোতে স্বাস্থ্যকর্মী হিসেবে খণ্ডকালীন কাজ করেন তিনি। এভাবে দুই সন্তানকে লালন-পালন করেছেন তিনি।
খুলনা মেডিকেলে ভর্তির সুযোগ পাওয়া মিলন রনি বলেন, ‘তিন বছর বয়স পর্যন্ত বাবার কোলে ওঠার সৌভাগ্য হলেও কোনো স্মৃতি মনে নেই। বড় হওয়ার পর মা সব চাহিদা পূরণ করেছেন। বুঝতেই দেয়নি যে আমরা দুজন পিতৃহারা সন্তান।’
মাধ্যমিকে বিজ্ঞান বিভাগে জিপিএ-৫ পাওয়ার পর চিকিৎসক হওয়ার স্বপ্ন দেখা শুরু করেন মিলন। এরপর ঢাকা কলেজে উচ্চমাধ্যমিক পড়া অবস্থায় মেডিকেল কলেজের শিক্ষার্থীদের চলাফেরা ও কার্যক্রম তাঁকে আরও অনুপ্রাণিত করে। চিকিৎসক হয়ে মায়ের দেখাশোনা এবং এলাকার সেবায় নিজেকে নিয়োজিত করতে চান মিলন।
মিলনের মা মেরি আক্তার বলেন, ‘দুই ছেলে কী হবে, এটা তাদের সিদ্ধান্ত। আমার কোনো মতামত নেই। স্বামী মারা যাওয়ার পর যুদ্ধ করে দুই ছেলেকে পড়াশোনা করাচ্ছি। বড় ছেলের মেডিকেলে চান্স পাওয়ার খবর শোনার পর সব কষ্ট ভুলে গেছি। ছেলে দুটো মানুষের মতো মানুষ হবে। এটাই আশা-প্রত্যাশা।’
মিলনের নানি মরজিনা খাতুন বলেন, ‘ছোটবেলা থেকেই মিলন আমাদের বাড়িতে মানুষ হয়েছে। তার মা কৃষিকাজ নিয়ে ব্যস্ত থাকার কারণে আমাদের বাড়ি থেকেই তার খালা প্রতিদিন স্কুলে নিয়ে যাওয়া-আসা করত। তার মেডিকেলে ভর্তির সুযোগে আমরা আনন্দিত। স্বামীহারা মেয়েটার কষ্ট সফল হয়েছে।’
প্রতিবেশী সালেহা বেগম জানান, ‘মিলনের মা অত্যন্ত পরিশ্রমী। মাঠে কাজ শেষ করে ক্লিনিকে ডিউটি, সন্তানের পড়াশোনা দেখাশোনা করতেন। সবই একাই করেছেন। অল্প বয়সে বিয়ে হওয়ার পর স্বামীর অনুপস্থিতিতে সন্তানদের যেভাবে লালন-পালন করেছেন, তা দেখে আমরা সত্যিই অনুপ্রাণিত।’
বালিয়াডাঙ্গী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) আফছানা কাওছার বলেন, সমাজের চারপাশে থাকা মানুষগুলো মেরিকে দেখে অনুপ্রাণিত হবে। যেকোনো সহযোগিতায় মিলন রনির পাশে থাকবে উপজেলা প্রশাসন।
ঠাকুরগাঁও-২ আসনের সংসদ সদস্য অধ্যক্ষ মাজহারুল ইসলাম সুজন বলেন, ‘মেরি আক্তার একজন সফল জননী। তাঁর ছেলের পড়াশোনা চালিয়ে নিতে কোনো সহযোগিতা লাগলে আমরা তাঁদের পাশে থাকব।’
সপ্তম শ্রেণিতে পড়াকালে বিয়ে হয় মেরি আক্তারের। এর কয়েক বছর পর ২০০৮ সালে মারা যান স্বামী। এরপরই জীবনযুদ্ধ শুরু। স্বামীর রেখে যাওয়া জমিতে আবাদ এবং স্বাস্থ্যকর্মী হিসেবে খণ্ডকালীন চাকরি করে দুই সন্তানকে লালন-পালন করে শেখান লেখাপড়া। ১১ ফেব্রুয়ারি বড় ছেলে মিলন রনি খুলনা মেডিকেল কলেজে ভর্তির সুযোগ পেয়েছেন। এ আনন্দে সব কষ্ট যেন ভুলে গেছেন মেরি আক্তার।
সমাজের নানান জনের নানা প্রশ্ন, কটুকথা শুনে প্রায় ১৬ বছর পাড়ি দিতে হয়েছে মেরি আক্তারকে। স্বামীর মৃত্যুর সময় বড় ছেলের বয়স তিন বছর আর ছোট ছেলের বয়স তখন মাত্র ৯ মাস ছিল। দুই সন্তানের মুখের দিকে চেয়ে আর দ্বিতীয়বার বিয়েতে বসেননি তিনি। তবে এখন শ্বশুরবাড়িসহ পুরো উপজেলায় সফল মা হিসেবে প্রশংসায় ভাসছেন তিনি।
মেরি আক্তারের বাড়ি ঠাকুরগাঁওয়ের বালিয়াডাঙ্গী উপজেলার বড়পলাশবাড়ী ইউনিয়নের পারুয়া গ্রামে। তিনি ওই এলাকার মৃত মোটরশ্রমিক আব্দুর রাজ্জাকের স্ত্রী।
খুলনা মেডিকেল কলেজে ভর্তির সুযোগ পাওয়া মিলন রনিকে বালিয়াডাঙ্গী পাইলট মডেল উচ্চবিদ্যালয় এবং ঢাকা কলেজ থেকে উচ্চমাধ্যমিকে পড়াশোনা করিয়েছেন তিনি। এরপর ঢাকাতেই ছেলেকে কোচিং করিয়েছেন মেডিকেল ভর্তির জন্য। আর ছোট ছেলে মাধ্যমিক পাসের পর ঠাকুরগাঁও শহরের ইকো পাঠশালায় উচ্চমাধ্যমিক পড়ছে।
স্বামীর রেখে যাওয়া দেড় বিঘা জমিতে আবাদ এবং স্থানীয় বেসরকারি ক্লিনিকগুলোতে স্বাস্থ্যকর্মী হিসেবে খণ্ডকালীন কাজ করেন তিনি। এভাবে দুই সন্তানকে লালন-পালন করেছেন তিনি।
খুলনা মেডিকেলে ভর্তির সুযোগ পাওয়া মিলন রনি বলেন, ‘তিন বছর বয়স পর্যন্ত বাবার কোলে ওঠার সৌভাগ্য হলেও কোনো স্মৃতি মনে নেই। বড় হওয়ার পর মা সব চাহিদা পূরণ করেছেন। বুঝতেই দেয়নি যে আমরা দুজন পিতৃহারা সন্তান।’
মাধ্যমিকে বিজ্ঞান বিভাগে জিপিএ-৫ পাওয়ার পর চিকিৎসক হওয়ার স্বপ্ন দেখা শুরু করেন মিলন। এরপর ঢাকা কলেজে উচ্চমাধ্যমিক পড়া অবস্থায় মেডিকেল কলেজের শিক্ষার্থীদের চলাফেরা ও কার্যক্রম তাঁকে আরও অনুপ্রাণিত করে। চিকিৎসক হয়ে মায়ের দেখাশোনা এবং এলাকার সেবায় নিজেকে নিয়োজিত করতে চান মিলন।
মিলনের মা মেরি আক্তার বলেন, ‘দুই ছেলে কী হবে, এটা তাদের সিদ্ধান্ত। আমার কোনো মতামত নেই। স্বামী মারা যাওয়ার পর যুদ্ধ করে দুই ছেলেকে পড়াশোনা করাচ্ছি। বড় ছেলের মেডিকেলে চান্স পাওয়ার খবর শোনার পর সব কষ্ট ভুলে গেছি। ছেলে দুটো মানুষের মতো মানুষ হবে। এটাই আশা-প্রত্যাশা।’
মিলনের নানি মরজিনা খাতুন বলেন, ‘ছোটবেলা থেকেই মিলন আমাদের বাড়িতে মানুষ হয়েছে। তার মা কৃষিকাজ নিয়ে ব্যস্ত থাকার কারণে আমাদের বাড়ি থেকেই তার খালা প্রতিদিন স্কুলে নিয়ে যাওয়া-আসা করত। তার মেডিকেলে ভর্তির সুযোগে আমরা আনন্দিত। স্বামীহারা মেয়েটার কষ্ট সফল হয়েছে।’
প্রতিবেশী সালেহা বেগম জানান, ‘মিলনের মা অত্যন্ত পরিশ্রমী। মাঠে কাজ শেষ করে ক্লিনিকে ডিউটি, সন্তানের পড়াশোনা দেখাশোনা করতেন। সবই একাই করেছেন। অল্প বয়সে বিয়ে হওয়ার পর স্বামীর অনুপস্থিতিতে সন্তানদের যেভাবে লালন-পালন করেছেন, তা দেখে আমরা সত্যিই অনুপ্রাণিত।’
বালিয়াডাঙ্গী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) আফছানা কাওছার বলেন, সমাজের চারপাশে থাকা মানুষগুলো মেরিকে দেখে অনুপ্রাণিত হবে। যেকোনো সহযোগিতায় মিলন রনির পাশে থাকবে উপজেলা প্রশাসন।
ঠাকুরগাঁও-২ আসনের সংসদ সদস্য অধ্যক্ষ মাজহারুল ইসলাম সুজন বলেন, ‘মেরি আক্তার একজন সফল জননী। তাঁর ছেলের পড়াশোনা চালিয়ে নিতে কোনো সহযোগিতা লাগলে আমরা তাঁদের পাশে থাকব।’
চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ডে প্রধান শিক্ষক ছাড়াই দীর্ঘদিন ধরে চলছে ১১টি মাধ্যমিক বিদ্যালয় ও মাদ্রাসা। প্রধান শিক্ষকবিহীন এসব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান পরিচালিত হচ্ছে ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক দিয়ে। অভিযোগ রয়েছে, যেসব ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক দিয়ে প্রতিষ্ঠানগুলো পরিচালিত হচ্ছে, তাঁদের অনেকেরই প্রধান শিক্ষক হওয়ার যোগ
৬ ঘণ্টা আগেদুই দশক কিছুটা শান্ত থাকার পর কুড়িগ্রামের চিলমারী-রৌমারী-রাজিবপুর নৌপথে আবার ডাকাতের দৌরাত্ম্য বেড়েছে। এক মাসের ব্যবধানে দুবার ডাকাতির ঘটনা ঘটেছে। এ দুই ঘটনায় আইনগত কোনো ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি। প্রতিরোধেও কার্যকর উদ্যোগ নেই স্থানীয় প্রশাসনের। আবার ডাকাতি শুরু হওয়ায় ১৪ কিলোমিটার এই নৌপথের নৌযান, যাত্রী
৬ ঘণ্টা আগেরাত ১০টার দিকে ওই দুই যুবক মোটরসাইকেলে করে আড়ংঘাটা থানার লতার বাইপাস মোড় লিংক রোড থেকে বাইপাস মহাসড়ক পার হচ্ছিলেন। এ সময়ে আফিলগেট থেকে খুলনাগামী একটি বাস তাঁদের ধাক্কা দেয়।
৭ ঘণ্টা আগেনোয়াখালীর হাতিয়ায় গভীর রাতে বসতঘরে আগুন লেগে নিমাই চন্দ্র মজুমদার ও তাঁর স্ত্রী মিলনবালার মৃত্যু হয়েছে। শুক্রবার (৩১ জানুয়ারী) চিকিৎসার জন্য ঢাকায় নেওয়ার পথে বিকেল ৫টায় নিমাই চন্দ্রের মৃত্যু হয়। হাসপাতালে পৌছার পর রাত ৯টার দিকে মিলন বালাও মারা যান।
৭ ঘণ্টা আগে