Ajker Patrika

মেডিকেলে চান্স পেলেন মিলন, সব কষ্ট ভুলে গেলেন মা

আল মামুন জীবন, বালিয়াডাঙ্গী (ঠাকুরগাঁও)
আপডেট : ১৭ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ১৭: ২৭
মেডিকেলে চান্স পেলেন মিলন, সব কষ্ট ভুলে গেলেন মা

সপ্তম শ্রেণিতে পড়াকালে বিয়ে হয় মেরি আক্তারের। এর কয়েক বছর পর ২০০৮ সালে মারা যান স্বামী। এরপরই জীবনযুদ্ধ শুরু। স্বামীর রেখে যাওয়া জমিতে আবাদ এবং স্বাস্থ্যকর্মী হিসেবে খণ্ডকালীন চাকরি করে দুই সন্তানকে লালন-পালন করে শেখান লেখাপড়া। ১১ ফেব্রুয়ারি বড় ছেলে মিলন রনি খুলনা মেডিকেল কলেজে ভর্তির সুযোগ পেয়েছেন। এ আনন্দে সব কষ্ট যেন ভুলে গেছেন মেরি আক্তার। 

সমাজের নানান জনের নানা প্রশ্ন, কটুকথা শুনে প্রায় ১৬ বছর পাড়ি দিতে হয়েছে মেরি আক্তারকে। স্বামীর মৃত্যুর সময় বড় ছেলের বয়স তিন বছর আর ছোট ছেলের বয়স তখন মাত্র ৯ মাস ছিল। দুই সন্তানের মুখের দিকে চেয়ে আর দ্বিতীয়বার বিয়েতে বসেননি তিনি। তবে এখন শ্বশুরবাড়িসহ পুরো উপজেলায় সফল মা হিসেবে প্রশংসায় ভাসছেন তিনি। 

মেরি আক্তারের বাড়ি ঠাকুরগাঁওয়ের বালিয়াডাঙ্গী উপজেলার বড়পলাশবাড়ী ইউনিয়নের পারুয়া গ্রামে। তিনি ওই এলাকার মৃত মোটরশ্রমিক আব্দুর রাজ্জাকের স্ত্রী। 

খুলনা মেডিকেল কলেজে ভর্তির সুযোগ পাওয়া মিলন রনিকে বালিয়াডাঙ্গী পাইলট মডেল উচ্চবিদ্যালয় এবং ঢাকা কলেজ থেকে উচ্চমাধ্যমিকে পড়াশোনা করিয়েছেন তিনি। এরপর ঢাকাতেই ছেলেকে কোচিং করিয়েছেন মেডিকেল ভর্তির জন্য। আর ছোট ছেলে মাধ্যমিক পাসের পর ঠাকুরগাঁও শহরের ইকো পাঠশালায় উচ্চমাধ্যমিক পড়ছে।

স্বামীর রেখে যাওয়া দেড় বিঘা জমিতে আবাদ এবং স্থানীয় বেসরকারি ক্লিনিকগুলোতে স্বাস্থ্যকর্মী হিসেবে খণ্ডকালীন কাজ করেন তিনি। এভাবে দুই সন্তানকে লালন-পালন করেছেন তিনি।

খুলনা মেডিকেলে ভর্তির সুযোগ পাওয়া মিলন রনি বলেন, ‘তিন বছর বয়স পর্যন্ত বাবার কোলে ওঠার সৌভাগ্য হলেও কোনো স্মৃতি মনে নেই। বড় হওয়ার পর মা সব চাহিদা পূরণ করেছেন। বুঝতেই দেয়নি যে আমরা দুজন পিতৃহারা সন্তান।’ 

মাধ্যমিকে বিজ্ঞান বিভাগে জিপিএ-৫ পাওয়ার পর চিকিৎসক হওয়ার স্বপ্ন দেখা শুরু করেন মিলন। এরপর ঢাকা কলেজে উচ্চমাধ্যমিক পড়া অবস্থায় মেডিকেল কলেজের শিক্ষার্থীদের চলাফেরা ও কার্যক্রম তাঁকে আরও অনুপ্রাণিত করে। চিকিৎসক হয়ে মায়ের দেখাশোনা এবং এলাকার সেবায় নিজেকে নিয়োজিত করতে চান মিলন। 

মিলনের মা মেরি আক্তার বলেন, ‘দুই ছেলে কী হবে, এটা তাদের সিদ্ধান্ত। আমার কোনো মতামত নেই। স্বামী মারা যাওয়ার পর যুদ্ধ করে দুই ছেলেকে পড়াশোনা করাচ্ছি। বড় ছেলের মেডিকেলে চান্স পাওয়ার খবর শোনার পর সব কষ্ট ভুলে গেছি। ছেলে দুটো মানুষের মতো মানুষ হবে। এটাই আশা-প্রত্যাশা।’

মিলনের নানি মরজিনা খাতুন বলেন, ‘ছোটবেলা থেকেই মিলন আমাদের বাড়িতে মানুষ হয়েছে। তার মা কৃষিকাজ নিয়ে ব্যস্ত থাকার কারণে আমাদের বাড়ি থেকেই তার খালা প্রতিদিন স্কুলে নিয়ে যাওয়া-আসা করত। তার মেডিকেলে ভর্তির সুযোগে আমরা আনন্দিত। স্বামীহারা মেয়েটার কষ্ট সফল হয়েছে।’ 

প্রতিবেশী সালেহা বেগম জানান, ‘মিলনের মা অত্যন্ত পরিশ্রমী। মাঠে কাজ শেষ করে ক্লিনিকে ডিউটি, সন্তানের পড়াশোনা দেখাশোনা করতেন। সবই একাই করেছেন। অল্প বয়সে বিয়ে হওয়ার পর স্বামীর অনুপস্থিতিতে সন্তানদের যেভাবে লালন-পালন করেছেন, তা দেখে আমরা সত্যিই অনুপ্রাণিত।’ 

বালিয়াডাঙ্গী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) আফছানা কাওছার বলেন, সমাজের চারপাশে থাকা মানুষগুলো মেরিকে দেখে অনুপ্রাণিত হবে। যেকোনো সহযোগিতায় মিলন রনির পাশে থাকবে উপজেলা প্রশাসন। 

ঠাকুরগাঁও-২ আসনের সংসদ সদস্য অধ্যক্ষ মাজহারুল ইসলাম সুজন বলেন, ‘মেরি আক্তার একজন সফল জননী। তাঁর ছেলের পড়াশোনা চালিয়ে নিতে কোনো সহযোগিতা লাগলে আমরা তাঁদের পাশে থাকব।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

লক্ষ্মীপুরে ঘরে ঢুকে নারীকে কুপিয়ে হত্যা

লক্ষ্মীপুর প্রতিনিধি
লক্ষ্মীপুর পৌরসভার ১০ নম্বর ওয়ার্ডে গতকাল দিবাগত গভীর রাতে এক নারীকে কুপিয়ে হত্যা করে দুর্বৃত্তরা। ছবি: আজকের পত্রিকা
লক্ষ্মীপুর পৌরসভার ১০ নম্বর ওয়ার্ডে গতকাল দিবাগত গভীর রাতে এক নারীকে কুপিয়ে হত্যা করে দুর্বৃত্তরা। ছবি: আজকের পত্রিকা

লক্ষ্মীপুর পৌরসভার ১০ নম্বর ওয়ার্ডের মটকা মসজিদ এলাকায় ঘরে ঢুকে ছকিনা বেগম (৫০) নামের এক নারীকে কুপিয়ে হত্যা করেছে দুর্বৃত্তরা। শুক্রবার দিবাগত গভীর রাতে এই ঘটনা ঘটে। পরে পুলিশ তাঁর মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য লক্ষ্মীপুর সদর হাসপাতালের মর্গে পাঠিয়েছে।

নিহত ব্যক্তির স্বজন, এলাকাবাসী ও পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, শুক্রবার দিবাগত রাত সাড়ে ৩টার দিকে মুখোশ পরা এক বা একাধিক দুর্বৃত্ত ঘরের ছাদ দিয়ে ভেতরে প্রবেশ করে। তারা প্রথমে ছকিনা বেগমের কক্ষে ঢোকে। এ সময় তিনি চিৎকার করলে দুর্বৃত্তরা তাঁকে এলোপাতাড়ি কুপিয়ে গুরুতর আহত করে পালিয়ে যায়।

পরে চিৎকার শুনে স্থানীয় লোকজন ছকিনা বেগমকে উদ্ধার করে প্রথমে লক্ষ্মীপুর সদর হাসপাতালে এবং পরে নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালে নেওয়ার পথে তিনি মারা যান। নিহত ছকিনা বেগমের স্বামী সাফি উল্যাহ তিন বছর আগে মারা যান। তাঁর দুই সন্তান বিদেশে থাকেন।

এই ঘটনায় ঘর থেকে কোনো টাকা বা মালপত্র লুটের ঘটনা ঘটেনি বলে জানিয়েছেন স্বজনেরা। তবে ডাকাতির সময় বাধা দেওয়ায় এই হত্যাকাণ্ড ঘটতে পারে বলে স্থানীয় বাসিন্দাদের ধারণা।

লক্ষ্মীপুরের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) মো. রেজাউল হক বলেন, প্রাথমিকভাবে পূর্বশত্রুতা বা পরিকল্পিতভাবে নারীকে কুপিয়ে হত্যা করা হয়েছে বলে ধারণা করা হচ্ছে। তবে ডাকাতির বিষয়টিও তদন্তের আওতায় রয়েছে। এই ঘটনায় মামলা প্রক্রিয়াধীন এবং জড়িত ব্যক্তিদের গ্রেপ্তারে অভিযান চলছে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

নানা বয়সী দৌড়বিদদের অংশগ্রহণে ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় হাফ ম্যারাথন

ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রতিনিধি
আজ ভোরে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার শিমরাইলকান্দি ব্রিজ এলাকা থেকে প্রতিযোগিতা শুরু হয়। ছবি: আজকের পত্রিকা
আজ ভোরে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার শিমরাইলকান্দি ব্রিজ এলাকা থেকে প্রতিযোগিতা শুরু হয়। ছবি: আজকের পত্রিকা

শারীরিক ও মানসিক সুস্থতার বার্তা ছড়িয়ে দিতে ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় অনুষ্ঠিত হয়েছে হাফ ম্যারাথন। শনিবার (১৩ ডিসেম্বর) ভোরে আয়োজিত এই প্রতিযোগিতায় নারী-পুরুষ, শিশুসহ বিভিন্ন বয়সের প্রায় ৩৫০ দৌড়বিদ অংশ নেন।

ব্রাহ্মণবাড়িয়া রানার্স কমিটির উদ্যোগে কাকডাকা ভোরে শুরু হওয়া এই হাফ ম্যারাথনে ২১ কিলোমিটার, ১০ কিলোমিটার, ৫ কিলোমিটার ও ২ কিলোমিটার—এই চার ক্যাটাগরিতে দৌড় অনুষ্ঠিত হয়। এতে দেশের ২০ জেলার দৌড়বিদদের পাশাপাশি কয়েকজন বিদেশি দৌড়বিদও অংশগ্রহণ করেন।

সকাল পৌনে ৬টায় জেলার শিমরাইলকান্দি ব্রিজ এলাকা থেকে প্রতিযোগিতা শুরু হয়ে বিজয়নগর উপজেলার পত্তন এলাকায় গিয়ে শেষ হয়। শীতের সকালে এমন ব্যতিক্রমধর্মী আয়োজন ঘিরে দৌড়বিদ ও দর্শকদের মধ্যে ছিল ব্যাপক উৎসাহ-উদ্দীপনা।

আয়োজকেরা জানান, প্রযুক্তির অপব্যবহার থেকে মানুষকে দূরে রাখা, তরুণ প্রজন্মকে খেলাধুলার প্রতি আগ্রহী করা এবং নেশামুক্ত সমাজ গড়ে তোলার লক্ষ্যে এই আয়োজন করা হয়েছে।

প্রতিযোগিতা শেষে বিভিন্ন ক্যাটাগরিতে বিজয়ীদের হাতে পুরস্কার ও প্রাইজমানি তুলে দেওয়া হয়।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

মাদারীপুরে গাছ ফেলে মহাসড়ক অবরোধ, পুলিশ দেখে পালাল আওয়ামী লীগ নেতা-কর্মীরা

মাদারীপুর প্রতিনিধি
শনিবার ভোরে গাছ ফেলে মহাসড়ক অবরোধ করে আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীরা। ছবি: স্ক্রিনশট
শনিবার ভোরে গাছ ফেলে মহাসড়ক অবরোধ করে আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীরা। ছবি: স্ক্রিনশট

ঢাকা-বরিশাল মহাসড়কের মাদারীপুর সদর ও রাজৈর উপজেলার বিভিন্ন অংশে আজ শনিবার ভোরে গাছ ফেলে সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ মিছিল করেছে কার্যক্রম নিষিদ্ধ আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীরা। ভোর ৫টা থেকে প্রায় দুই ঘণ্টা এই অবরোধের ফলে মহাসড়কে দীর্ঘ যানজটের সৃষ্টি হয় এবং যান চলাচল সম্পূর্ণ বন্ধ থাকে।

পুলিশ, ফায়ার সার্ভিস ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, মাদারীপুরের রাজৈর উপজেলার সাধুর ব্রিজ থেকে মাদারীপুর সদর উপজেলার মোস্তফাপুর পর্যন্ত মহাসড়কের মোট আটটি স্থানে গাছ ফেলে সড়ক অবরোধ করা হয়। ভোর ৫টা থেকে ৭টা পর্যন্ত এই অবরোধ চলে।

সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রকাশিত একটি ভিডিওতে দেখা যায়, এই মহাসড়ক অবরোধের নেতৃত্ব দেন মাদারীপুর জেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক এবং মাদারীপুর সদর উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান পাভেলুর রহমান শফিক খান। এ সময় তাঁর সঙ্গে উপস্থিত নেতা-কর্মী ও সমর্থকেরা আওয়ামী লীগের পক্ষে বিভিন্ন স্লোগান দেন। অনেকের মুখেই হেলমেট ও মাস্ক পরা অবস্থায় দেখা যায়।

বিক্ষোভ চলাকালীন শফিক খান তাঁর বক্তব্যে বলেন, ‘আজকে তারা আওয়ামী লীগকে বাদ দিয়ে নির্বাচন করতে চান। এই নির্বাচন বাঙালি মানবে না, মানে না। আজকে মাদারীপুর, রাজৈর বরিশালে কোনো গাড়ি চলবে না। আমরা শেখ হাসিনা ছাড়া কোনো কিছু চিনিনা, কিছু মানি না, মানব না।’

সড়কের পাশের গাছ কেটে যান চলাচল আটকে দেয় আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীরা। ছবি: স্ক্রিনশট
সড়কের পাশের গাছ কেটে যান চলাচল আটকে দেয় আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীরা। ছবি: স্ক্রিনশট

এ সময় নেতা-কর্মীরা বিভিন্ন স্লোগান দেয়। তাদের মোটরসাইকেল নিয়েও মিছিল করতে দেখা যায়।

অবরোধের খবর পেয়ে দ্রুত ঘটনাস্থলে পৌঁছায় পুলিশ, ফায়ার সার্ভিস এবং স্থানীয়রা। মাদারীপুর ফায়ার সার্ভিসের টিম লিডার সাইফুল ইসলাম ভূইয়া জানান, তাঁরা ভোর ৫টা ৫০ মিনিটে খবর পান। দ্রুত ঘটনাস্থলে গিয়ে ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা পাঁচটি এবং স্থানীয়রা আরও তিনটি গাছ অপসারণ করেন। গাছগুলো সরাতে প্রায় এক ঘণ্টা সময় লাগে।

মাদারীপুরের মোস্তফাপুর হাইওয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. মামুন আল রশিদ বলেন, ‘বিক্ষোভকারীরা অল্প সময়ের জন্য সড়ক অবরোধ করে রেখেছিল। পুলিশ দেখে দ্রুত তারা পালিয়ে যায়। তাৎক্ষণিক গাছগুলো সরিয়ে যান চলাচল স্বাভাবিক করা হয় এবং বর্তমানে পরিস্থিতি স্বাভাবিক রয়েছে।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

নীলফামারীতে ট্রেনে কাটা পড়ে যুবকের মৃত্যু

নীলফামারী প্রতিনিধি
প্রতীকী ছবি
প্রতীকী ছবি

নীলফামারী-সৈয়দপুর রেলপথে ট্রেনে কাটা পড়ে হৃদয় রায় (২৫) নামের এক যুবকের মৃত্যু হয়েছে। আজ শনিবার সকাল সোয়া ৬টার দিকে নীলফামারী পৌর এলাকার আদর্শপাড়া এলাকায় এই ঘটনা ঘটে।

সৈয়দপুর রেলওয়ে পুলিশ জানায়, ঘটনাস্থল থেকে উদ্ধার করা মরদেহের পকেটে একটি চিরকুট পাওয়া গেছে। এতে লেখা রয়েছে, তাঁর মৃত্যুর জন্য কেউ দায়ী নয়। চিরকুট অনুযায়ী হৃদয় রায়ের বাড়ি দিনাজপুরের খানসামা উপজেলার রামকলা গ্রামে।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, সকাল সোয়া ৬টার দিকে ওই যুবক রেললাইন ধরে হাঁটছিলেন। এ সময় খুলনা থেকে ছেড়ে আসা সীমান্ত এক্সপ্রেস ট্রেন ঘটনাস্থলে পৌঁছালে তিনি ট্রেনে কাটা পড়েন।

সৈয়দপুর রেলওয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মাহমুদ-উন নবী বলেন, খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে মরদেহ উদ্ধার করেছে। আইনগত প্রক্রিয়া শেষে মরদেহ পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হবে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত