Ajker Patrika

কাজ শেষ না করেই সটকে পড়ছিল ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান, নির্মাণসামগ্রী আটকে এলাকাবাসীর সড়ক অবরোধ

নীলফামারী প্রতিনিধি
কাজ শেষ না করেই সটকে পড়ছিল ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান, নির্মাণসামগ্রী আটকে এলাকাবাসীর সড়ক অবরোধ

নীলফামারীর ডোমারে দ্বিতীয় দফায় সড়কের সংস্কার কাজ শেষ না করে নির্মাণসামগ্রী অন্যত্র সরিয়ে নিচ্ছিল ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান। এলাকাবাসী সেগুলো আটক করে সড়ক অবরোধ করেন। উপজেলার ডোমার–বসুনিয়ার হাট সড়কে আজ শুক্রবার এ ঘটনা ঘটে। 

এলাকাবাসীর অভিযোগ, ওই সড়কটির সংস্কার কাজ শুরু হয় প্রায় দুই বছর আগে। এক বছর আগে ওই প্রকল্পের মেয়াদ শেষ হয়। এরপর আরেক দফায় মেয়াদ বাড়ানো হলেও বর্ধিত মেয়াদও শেষ হয়েছে। দীর্ঘদিন ধরে ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান সড়কটি ভেঙে ফেলে রাখায় চরম দুর্ভোগের শিকার হচ্ছে ওই এলাকার মানুষ। 

খাটুরিয়া মেম্বার পাড়া গ্রামের নূর আলম (৩৫) বলেন, ‘কাজ শুরুর সময় জাল্লির মোড় এলাকায় সড়কের পাশে একটি স্থানে খোয়া, বালু এবং মাটি স্তপ করে রাখে ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান। এরপর সড়কটি ভেঙে রাখার দুই বছর হলেও কোনো অগ্রগতি নেই। আজ শুক্রবার সকালে ঠিকাদারের লোকজন ট্রাকে করে ওই স্থান থেকে খোয়া সরিয়ে অন্যত্র নিয়ে যাচ্ছিলেন। বিষয়টি জানতে পেরে বিক্ষুদ্ধ লোকজন তাতে বাধা দিয়ে সকাল থেকে রাত ৯টা পর্যন্ত সড়ক অবরোধ করে রাখেন।’ 

তিনি বলেন, ‘সড়কের ধারে আমার বাড়ি। এভাবে সড়কটি ভেঙে ফেলে রাখায় যানবাহন চলাচলে ধুলার সৃষ্টি হচ্ছে। আমার বাবা অসুস্থ হলে রংপুরে চিকিৎসকেরা কাছে নিয়ে গিয়েছিলাম, চিকিৎসক বলছেন ধুলাবালির কারণে এমন সমস্যা হচ্ছে। ওই ধুলা প্রতিনিয়ত আমার বাড়িতে প্রবেশ করায় শিশুসহ পরিবারের সব সদস্য অসুস্থ হয়ে পড়েছি। এখন আমার পরিবারের সবাই শ্বাসকষ্টে ভুগছে।’ 

একই গ্রামের নূর হোসেন (৪৫) বলেন, ‘সড়ক মেরামত কাজে ব্যবহারের জন্য আমার জমিতে খোয়া, বালু, মাটিসহ অন্যান্য মালামাল রেখেছে ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান। চার মাস থেকে কোনো ভাড়া দিচ্ছে না। শুক্রবার সকালে এসব মালামাল সরিয়ে নিতে আসলে এলাকাবাসী বাধা দেয়।’ 

উপজেলার সোনারায় ইউনিয়ন পরিষদেরে চেয়ারম্যান মো. গোলাম ফিরোজ চৌধুরী বলেন, ‘বসুনিয়ার হাট এলাকার একটি গুরুত্বপূর্ণ ব্যবসা কেন্দ্র। দূর–দূড়ান্ত থেকে যানবাহন নিয়ে এখানে মানুষ আসে। সড়কটি মেরামতের নামে ভেঙে দীর্ঘদিন ধরে ফেলে রাখায় সমস্যা সৃষ্টি হচ্ছে। বিষয়টি আমি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাকে (ইউএনও) জানিয়েছি’। 

এ বিষয়ে কথা বলার জন্য ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান ঝিনাইদহের ইউনিক কনস্ট্রাকশন প্রাইভেট লিমিটেডের মোবাইল নম্বরে ফোন করা হলে ওহিদ জামান নামের এক ব্যক্তি ফোনটি ধরেন। তিনি বলেন, ‘আমি ঠিকাদারের জামাই। আমি তো এ বিষয়ে বলতে পারছি না। আপনি ঠিকাদারের ছেলের সঙ্গে কথা বলেন, উনি দেখাশুনা করেন।’ পরে তাঁকে মোবাইল ফোনে কল দেওয়া হলে পাওয়া যায়নি। 

ডোমার উপজেলা প্রকৌশলী ফিরোজ আলম বলেন, ‘আমি সম্প্রতি এ কর্মস্থলে এসেছি। ঠিকাদারের সঙে যোগাযোগ করতে পারি নাই, তাদের প্রতিনিধির সঙ্গে কথা হয়েছে। তিনি বলেছেন, ‘‘আমরা তিনটি সড়কের প্যাকেজে কাজ করছি, একটি সড়কের এক কিলোমিটার বাকি আছে, সেটি শেষ হলে এই সড়কের কাজ ধরবেন।’’’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

ভারত-পাকিস্তান যুদ্ধবিরতির কয়েক ঘণ্টা না যেতেই কাশ্মীরে বিস্ফোরণ!

বিশ্বে প্রথম পূর্ণাঙ্গ যুদ্ধে জড়ানোর পথে কি পরমাণু শক্তিধর দুই দেশ

লঞ্চের ওপর তরুণীকে প্রকাশ্যে পেটাচ্ছিলেন যুবক, ভিডিও ভাইরাল

ভারতের সেনাপ্রধানের ক্ষমতা বাড়াল কেন্দ্রীয় সরকার

আওয়ামী লীগের কার্যক্রম নিষিদ্ধ, বিচার হবে ট্রাইব্যুনালে

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত