Ajker Patrika

বাড়ি ফিরেছে সৈয়দপুরের নিখোঁজ তিন পরিবারের ৫ সদস্য

জসিম উদ্দিন, নীলফামারী
বাড়ি ফিরেছে সৈয়দপুরের নিখোঁজ তিন পরিবারের ৫ সদস্য

নিখোঁজের ১৭ দিন পর নীলফামারীর সৈয়দপুর উপজেলার ৩ ভাইয়ের পরিবারের মধ্যে এক পরিবারের ৫ সদস্য বাড়ি ফিরে এসেছে। গতকাল বৃহস্পতিবার বিকেলে তাঁরা বোতলাগাড়ী ইউনিয়ন পরিষদে হাজির হলে চেয়ারম্যান তাদের বাড়িতে পৌঁছে দেন। উপজেলার বোতলাগাড়ী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মনিরুজ্জামান জুন আজকের পত্রিকাকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। 

আজ শুক্রবার সকালে সরেজমিনে ইউনিয়নের খোর্দ্দ বোতলাগাড়ী গ্রামে দেখা যায়, বড় ভাই কমল চন্দ্র সূত্রধরের স্ত্রী, দুই সন্তান, পুত্রবধূ ও একমাত্র নাতি বাড়িতে অবস্থান করছেন। কমল চন্দ্র সূত্রধরের স্ত্রী ভারতী রানি সূত্রধর বলেন, ‘দেনার দায়ে আমার স্বামীর দুই ভাই পরিবার-পরিজন নিয়ে রাতে চলে যায়। তাঁদের পাওনাদারের ভয়ে আমরা ভোরবেলায় সৈয়দপুর রেলওয়ে স্টেশন থেকে ট্রেনে করে নওগাঁয় আত্মীয়ের বাড়িতে যাই। আত্মীয়ের বাড়িতে আমাদের রেখে স্বামী (কমল চন্দ্র সূত্রধর) নিরুদ্দেশ হয়ে যান। আমার স্বামী দুটি এনজিও থেকে এক লাখ টাকা ঋণ নিয়েছে। যা নিয়মিত পরিশোধ করছে। আমরা পরিমল ও নির্মলের দেনাদারের ভয়ে আত্মগোপনে ছিলাম। আমার স্বামী কমলের সঙ্গে যোগাযোগ হয়েছে। সে ২/৩ দিনের মধ্যে বাড়িতে ফিরে আসবে। তবে বাকি দুই পরিবারের খোঁজ আমাদের কাছে নেই।’ 

নিখোঁজ তিন সহোদরের মধ্যে কমল চন্দ্র সূত্রধর সবার বড়। তাদের তিন পরিবারের সদস্য সংখ্যা ১৫ জন। বাড়িতে ফেরা ৫ সদস্য সম্পর্কে বোতলাগাড়ী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মনিরুজ্জামান জুন আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘গতকাল (বৃহস্পতিবার) বিকেলে কমল চন্দ্র সূত্রধর পরিবারের ৫ জন সদস্য ইউনিয়ন পরিষদে আসে। বিষয়টি থানা–প্রশাসনকে অবগত করে তাঁদের বাড়ি পৌঁছে দেওয়া হয়েছে। তাঁরা ভয়ে নওগাঁ শহরে এক আত্মীয়ের বাড়িতে আত্মগোপনে ছিল।’ 

এ বিষয়ে সৈয়দপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সাইফুল ইসলাম বলেন, ‘বাড়ি ছেড়ে চলে যাওয়া ওই তিন পরিবারের ৫ সদস্য বাড়িতে ফিরে এসেছে। বাকিদের অনুসন্ধানে পুলিশ কাজ করছে।’ 

উল্লেখ্য, উপজেলার বোতলাগাড়ী ইউনিয়নের খোর্দ্দ বোতলাগাড়ী গ্রামের ভুজারি পাড়ার তিন সহোদর কমল চন্দ্র সূত্রধর, পরিমল চন্দ্র সূত্রধর ও নির্মল চন্দ্র সূত্রধর। বড় ভাই কমল চন্দ্র পেশায় দিনমজুর। পরিমল চন্দ্রের ইউনিয়ন কার্যালয় সংলগ্ন পোড়ারহাটে রয়েছে মিষ্টির দোকান এবং ছোট ভাই নির্মল চন্দ্রের ওই হাটেই রয়েছে ‘মেসার্স শুভ ট্রেডার্স’ নামে ধান, চাল, গম, ভুট্টার ব্যবসা প্রতিষ্ঠান। 

ব্যবসায়ী হিসেবে পরিচিতি পাওয়া নির্মল চন্দ্র সূত্রধর স্থানীয় ব্র্যাক, আশা, গাক, পপি, পল্লি দারিদ্র্য বিমোচন, টিএমএসএস নামক এনজিওসহ বিভিন্ন আর্থিক প্রতিষ্ঠান ও ব্যক্তির কাছ থেকে বড় অঙ্কের ঋণ নিয়েছে। যার পরিমাণ প্রায় তিন কোটি টাকা। এনজিও প্রতিষ্ঠানগুলো ঋণের টাকা আদায়ে চাপ দিলে গত ২৩ আগস্ট রাতে ১৫ সদস্যের ওই তিন পরিবার বাড়ি-ঘর ছেড়ে নিরুদ্দেশ হয়। এরপর যমুনা ব্যাংক লিমিটেড সৈয়দপুর শাখা তাঁদের বাড়িতে সাইনবোর্ড লাগিয়ে ঋণের বিষয়টি দৃশ্যমান করে। 

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

প্রশিক্ষণ ছাড়াই মাঠে ৪২৬ সহায়ক পুলিশ কর্মকর্তা

গ্রাহকের ২,৬৩৫ কোটি টাকা দিচ্ছে না ৪৬ বিমা কোম্পানি

১০০ বছর পর জানা গেল ‘অপ্রয়োজনীয়’ প্রত্যঙ্গটি নারীর প্রজননের জন্য গুরুত্বপূর্ণ

‘এই টাকা দিয়ে কী হয়, আমি এত চাপ নিচ্ছি, লাখ পাঁচেক দিতে বলো’, ওসির অডিও ফাঁস

কিশোরগঞ্জে আওয়ামী লীগের ঝটিকা মিছিল, যুবলীগ নেতা গ্রেপ্তার

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত