Ajker Patrika

রাজশাহী থেকে সব রুটে বাস চলাচল শুরু

নিজস্ব প্রতিবেদক, রাজশাহী
আপডেট : ২১ ডিসেম্বর ২০২৪, ১৩: ০০
Thumbnail image
বাস শ্রমিকদের মারধর ও সিএনজিচালিত অটোরিকশা ভাঙচুরের পর আবারও রাজশাহী থেকে সব রুটে বাস চলাচল শুরু হয়েছে। ছবি: আজকের পত্রিকা

রাজশাহী থেকে সব গন্তব্যের বাস চলাচল শুরু হয়েছে। আজ মঙ্গলবার (১৭ ডিসেম্বর) দুপুর থেকে বাস চলাচল শুরু হয়েছে। গতকাল সোমবার (১৬ ডিসেম্বর) সকালে রাজশাহীর তানোরে ছয়জন বাস শ্রমিককে মারধরের জেরে দুপুর থেকে গাড়ি চলাচল বন্ধ করে দেওয়া হয়। পরে রাতে বাস চলাচল শুরু হলেও মঙ্গলবার সকালে তা আবার বন্ধ করে দেওয়া হয়েছিল।

বাস শ্রমিকদের অভিযোগ, গতকাল সোমবার তানোরে সিএনজিচালিত অটোরিকশার চালকেরা বাসের ছয়জন চালক, হেলপার ও কন্ডাক্টরকে মারধর করেন। তাঁরা হাসপাতালে ভর্তি আছেন।

এই ঘটনার পর আজ মঙ্গলবার সকালে বাস শ্রমিকেরা নগরের রেলগেটে অটোরিকশা স্ট্যান্ডে হামলা করেন। এ সময় কমপক্ষে ৭০টি অটোরিকশার কাঁচ ভেঙে দেওয়া হয়।

এছাড়া হামলায় চালক-যাত্রীসহ অন্তত ১২ জন আহত হন। তবে অটোরিকশার চালকদের পক্ষ থেকে দাবি করা হচ্ছে আহত হয়েছেন প্রায় ৪০ জন। এই ঘটনার পর রাজশাহী মেট্রোপলিটন পুলিশের (আরএমপি) ট্রাফিক বিভাগের উপকমিশনার (ডিসি) নূর আলম সিদ্দিকী বাস মালিক ও শ্রমিক নেতা এবং সিএনজি মালিক সমিতির সঙ্গে আলাদা আলাদা করে বসেছেন।

রাজশাহী মোটর শ্রমিক ইউনিয়নের ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক রফিক আলী পাখি বলেন, ‘ডিসি স্যার আমাদের নিয়ে বসেছিলেন। তিনি বলেছেন যে, আমাদের যেসব শ্রমিক হাসপাতালে ভর্তি আছে তাদের ক্ষতিপূরণের ব্যবস্থা করা হবে। পাশাপাশি আমরা একটা মামলা করেছি, ওই মামলা মামলার গতিতে চলবে। সে জন্য আমাদের শ্রমিকেরা বাস চালানো শুরু করেছেন।’

গতকাল সোমবার ছয়জন বাস শ্রমিককে মারধরের ঘটনায় রাতে তানোর থানায় ওই মামলা কর হয়। এতে আসামি হিসেবে ১৮ জন অটোরিকশা চালকের নাম উল্লেখ করা হয়েছে। এছাড়া অজ্ঞাতনামা আরও আসামি আছে। মামলার পর এজাহারভুক্ত দুই আসামিকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।

রাজশাহী সিএনজি মালিক সমিতির সহ-সাধারণ সম্পাদক সিরাজুল ইসলাম বলেন, ‘আমাদের প্রায় ৯০টি গাড়ি ভাঙচুর করা হয়েছে। পিটিয়ে আহত করা হয়েছে কমপক্ষে ৪০ জনকে। এদের বেশিরভাগই চালক, কয়েকজন যাত্রী আছেন। এদের মধ্যে একজন গর্ভবতী নারীও আছেন।’

তিনি বলেন, ‘ট্রাফিক বিভাগের ডিসি আমাদের ডেকেছিলেন। আমাদের সংগঠনের পক্ষ থেকে তিনজন গিয়েছিলাম। তখন বাস মালিক-শ্রমিক নেতাদের কেউ ছিলেন না। তিনি আমাদের কথা শুনেছেন।’

সিরাজুল বলেন, ‘আমাদের গাড়ি ভাঙচুর এবং মারধরের ঘটনায় সন্ধ্যায় আমরাও মামলা করব।’

নগরের বোয়ালিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মেহেদী মাসুদ বলেন, ‘আমরা ভাঙচুর করা ৩২টি সিএনজি দেখেছি। ভাঙচুর করা গাড়ির সংখ্যা ৭০টি হতে পারে। অন্য গাড়িগুলো চলে গেছে। সব গাড়িরই শুধু কাঁচ ভেঙে দেওয়া হয়েছে। এরপর কিছু গাড়ি উল্টে ফেলা হয়।’

ওসি বলেন, ‘যাত্রী ও চালক মিলিয়ে ১২ জনের মতো আহত হতে পারেন। আমরা সিএনজি চালকদের মামলা করতে বলেছি। তারা মামলা দিলে আমরা নিয়ে আইনগত ব্যবস্থা নেব।’

রাজশাহীতে সিএনজি চালক ও বাস শ্রমিকদের এই দ্বন্দ্ব অনেক পুরনো। বাস শ্রমিকেরা দীর্ঘদিন ধরেই সিএনজি স্ট্যান্ড শহরের বাইরে নিয়ে যাওয়ার দাবি করছেন। প্রায়ই তাদের মধ্যে ছোটখাটো সংঘাত হয়। এর আগেও বাস চালক ও হেলপাররা তানোর উপজেলা সদরে মারধরের শিকার হয়েছেন। তখনও বাস চালকেরা গাড়ি বন্ধ রেখে এর প্রতিবাদ করেছেন।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত