নওগাঁ প্রতিনিধি
নওগাঁ মেডিকেল কলেজ (নমেক) বন্ধের পরিকল্পনার প্রতিবাদে বিক্ষোভ ও মানববন্ধন হয়েছে। আজ শনিবার শহরের মুক্তির মোড়ে শিক্ষক-শিক্ষার্থীসহ সাধারণ মানুষ এ কর্মসূচি পালন করে। এ সময় বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষ অন্দোলনের সঙ্গে একাত্মতা প্রকাশ করে।
বক্তারা বলেন, নওগাঁ মেডিকেল কলেজ বরেন্দ্র অঞ্চলের মানুষের স্বাস্থ্যসেবার মানোন্নয়নে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছে। অথচ সরকার স্থায়ী ক্যাম্পাস ও প্রয়োজনীয় অবকাঠামো গড়ে না তুলে বন্ধের পরিকল্পনা করছে। যেটি অযৌক্তিক ও হঠকারী সিদ্ধান্ত।
হুঁশিয়ারি দিয়ে বক্তারা বলেন, ‘যদি মেডিকেল কলেজ বন্ধ করা হয়, তাহলে নওগাঁ থেকে সারা দেশে চালসহ খাদ্যপণ্য সরবরাহ বন্ধ করে দেওয়া হবে। প্রয়োজনে পুরো জেলাকে বিচ্ছিন্ন করে দেওয়া হবে।’
রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব ও সাবেক মেয়র নজমুল হক সনি বলেন, ‘দল-মতনির্বিশেষে মানুষ রাস্তায় নেমে এসেছে। স্পষ্টভাবে বলতে চাই, সরকার যে সিদ্ধান্ত নিয়েছে, তা সম্পূর্ণ অন্যায়। এ সিদ্ধান্ত কোনোভাবেই মেনে নেব না। যেকোনো মূল্যে এটি রক্ষা করা হবে। প্রয়োজনে নওগাঁর চাল সারা দেশে সরবরাহ বন্ধ করে দেওয়া হবে। জেলা বিচ্ছিন্ন করা হবে। যোগাযোগ বন্ধ করে অবরুদ্ধ করা হবে পুরো নওগাঁ।’
স্থানীয় বাসিন্দা মনোয়ার হোসেন বলেন, একটি সরকারি মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে উন্নত চিকিৎসা নিশ্চিত করা হয়। মেডিকেল কলেজ বন্ধ হলে সদর হাসপাতাল সেকেন্ডারি লেভেলের একটি সাধারণ হাসপাতালে পরিণত হবে, যেখানে উন্নত চিকিৎসার সুযোগ থাকবে না। ফলে এ অঞ্চলের ৩০ লাখের বেশি মানুষ চিকিৎসাসেবা থেকে বঞ্চিত হবে।
ডি এম আব্দুল বারী বলেন, নওগাঁ মেডিকেল কলেজ শুধু এই জেলার নয়, পুরো বরেন্দ্র অঞ্চলের জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ প্রতিষ্ঠান। সরকার যদি এটি বন্ধ করে দেয়, তাহলে জনবিরোধী সিদ্ধান্ত হবে।
জয়নাল আবেদীন মুকুল বলেন, ‘দেশে ৮০ লাখ চিকিৎসক প্রয়োজন, অথচ কলেজ বন্ধের সিদ্ধান্ত নিচ্ছে সরকার। একটি মেডিকেল কলেজ বন্ধ করে দেওয়া পুরো অঞ্চলের জন্য বিপর্যয় ডেকে আনবে। আমরা আগামীতে কঠোর কর্মসূচির দিকে যাব।’
জানতে চাইলে সদর হাসপাতালের আবাসিক চিকিৎসক আবু জার গাফফার বলেন, ‘কলেজের শিক্ষার্থী ও ইন্টার্ন চিকিৎসকেরা আমাদের হাসপাতালে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখেন। তারা প্রতিদিন রোগীদের চিকিৎসায় সহায়তা করেন, যা আমাদের জনবল-সংকট কাটিয়ে উঠতে সাহায্য করে।’
নওগাঁ মেডিকেল কলেজের অধ্যক্ষ মুক্তার হোসেন বলেন, নতুন ছয়টি কলেজের মধ্যে মানের দিক থেকে নওগাঁ এগিয়ে রয়েছে। সম্প্রতি জানা গেছে, কিছু নতুন মেডিকেল কলেজ কাঙ্ক্ষিত মান অর্জন করতে পারেনি বলে সরকার কলেজ বন্ধের পরিকল্পনা করছে। তবে এখনো চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত হয়নি।
এর আগে গত বৃহস্পতিবার কলেজের শিক্ষার্থী ও ইন্টার্ন চিকিৎসকেরা সংবাদ সম্মেলন করেন। সেখানে কলেজ বন্ধের সিদ্ধান্তকে ‘ষড়যন্ত্রমূলক’ উল্লেখ করে তাঁরা বলেন, কলেজ বন্ধের সিদ্ধান্ত কোনোভাবেই গ্রহণযোগ্য নয়। তাঁরা সংশ্লিষ্টদের দ্রুত এই সিদ্ধান্ত থেকে সরে আসার আহ্বান জানান।
ওই দিন শিক্ষার্থী ও ইন্টার্ন চিকিৎসকেরা কলেজ থেকে বিক্ষোভ মিছিল বের করেন। মিছিলটি শহরের প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ করে মুক্তির মোড়ে শহীদ মিনারে গিয়ে শেষ হয়।
জানা গেছে, ২০১৮ সালে অনুমোদন পাওয়া নওগাঁ মেডিকেল কলেজে বর্তমানে ৭টি ব্যাচে প্রায় সাড়ে ৪০০ শিক্ষার্থী পড়াশোনা করছেন। প্রথম ব্যাচের শিক্ষার্থীরা ইতিমধ্যে এমবিবিএস সম্পন্ন করে ইন্টার্নশিপ করছেন। প্রতিষ্ঠানটির শিক্ষার্থীরা একাডেমিক ফলাফলের দিক থেকে রাজশাহী মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনে প্রথম ও দ্বিতীয় স্থানে থাকার নজির রেখেছেন।
এ ছাড়া কলেজের ৬৮ শিক্ষকসহ প্রায় ১৫০ জনবল পাশের ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট সদর হাসপাতালে রোগীদের চিকিৎসা প্রদানে সহায়তা করে আসছেন। কলেজ বন্ধ হলে বরেন্দ্র অঞ্চলের স্বাস্থ্যসেবায় বড় ধরনের সংকট দেখা দেবে বলে আশঙ্কা করছেন সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা।
নওগাঁ মেডিকেল কলেজ (নমেক) বন্ধের পরিকল্পনার প্রতিবাদে বিক্ষোভ ও মানববন্ধন হয়েছে। আজ শনিবার শহরের মুক্তির মোড়ে শিক্ষক-শিক্ষার্থীসহ সাধারণ মানুষ এ কর্মসূচি পালন করে। এ সময় বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষ অন্দোলনের সঙ্গে একাত্মতা প্রকাশ করে।
বক্তারা বলেন, নওগাঁ মেডিকেল কলেজ বরেন্দ্র অঞ্চলের মানুষের স্বাস্থ্যসেবার মানোন্নয়নে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছে। অথচ সরকার স্থায়ী ক্যাম্পাস ও প্রয়োজনীয় অবকাঠামো গড়ে না তুলে বন্ধের পরিকল্পনা করছে। যেটি অযৌক্তিক ও হঠকারী সিদ্ধান্ত।
হুঁশিয়ারি দিয়ে বক্তারা বলেন, ‘যদি মেডিকেল কলেজ বন্ধ করা হয়, তাহলে নওগাঁ থেকে সারা দেশে চালসহ খাদ্যপণ্য সরবরাহ বন্ধ করে দেওয়া হবে। প্রয়োজনে পুরো জেলাকে বিচ্ছিন্ন করে দেওয়া হবে।’
রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব ও সাবেক মেয়র নজমুল হক সনি বলেন, ‘দল-মতনির্বিশেষে মানুষ রাস্তায় নেমে এসেছে। স্পষ্টভাবে বলতে চাই, সরকার যে সিদ্ধান্ত নিয়েছে, তা সম্পূর্ণ অন্যায়। এ সিদ্ধান্ত কোনোভাবেই মেনে নেব না। যেকোনো মূল্যে এটি রক্ষা করা হবে। প্রয়োজনে নওগাঁর চাল সারা দেশে সরবরাহ বন্ধ করে দেওয়া হবে। জেলা বিচ্ছিন্ন করা হবে। যোগাযোগ বন্ধ করে অবরুদ্ধ করা হবে পুরো নওগাঁ।’
স্থানীয় বাসিন্দা মনোয়ার হোসেন বলেন, একটি সরকারি মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে উন্নত চিকিৎসা নিশ্চিত করা হয়। মেডিকেল কলেজ বন্ধ হলে সদর হাসপাতাল সেকেন্ডারি লেভেলের একটি সাধারণ হাসপাতালে পরিণত হবে, যেখানে উন্নত চিকিৎসার সুযোগ থাকবে না। ফলে এ অঞ্চলের ৩০ লাখের বেশি মানুষ চিকিৎসাসেবা থেকে বঞ্চিত হবে।
ডি এম আব্দুল বারী বলেন, নওগাঁ মেডিকেল কলেজ শুধু এই জেলার নয়, পুরো বরেন্দ্র অঞ্চলের জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ প্রতিষ্ঠান। সরকার যদি এটি বন্ধ করে দেয়, তাহলে জনবিরোধী সিদ্ধান্ত হবে।
জয়নাল আবেদীন মুকুল বলেন, ‘দেশে ৮০ লাখ চিকিৎসক প্রয়োজন, অথচ কলেজ বন্ধের সিদ্ধান্ত নিচ্ছে সরকার। একটি মেডিকেল কলেজ বন্ধ করে দেওয়া পুরো অঞ্চলের জন্য বিপর্যয় ডেকে আনবে। আমরা আগামীতে কঠোর কর্মসূচির দিকে যাব।’
জানতে চাইলে সদর হাসপাতালের আবাসিক চিকিৎসক আবু জার গাফফার বলেন, ‘কলেজের শিক্ষার্থী ও ইন্টার্ন চিকিৎসকেরা আমাদের হাসপাতালে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখেন। তারা প্রতিদিন রোগীদের চিকিৎসায় সহায়তা করেন, যা আমাদের জনবল-সংকট কাটিয়ে উঠতে সাহায্য করে।’
নওগাঁ মেডিকেল কলেজের অধ্যক্ষ মুক্তার হোসেন বলেন, নতুন ছয়টি কলেজের মধ্যে মানের দিক থেকে নওগাঁ এগিয়ে রয়েছে। সম্প্রতি জানা গেছে, কিছু নতুন মেডিকেল কলেজ কাঙ্ক্ষিত মান অর্জন করতে পারেনি বলে সরকার কলেজ বন্ধের পরিকল্পনা করছে। তবে এখনো চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত হয়নি।
এর আগে গত বৃহস্পতিবার কলেজের শিক্ষার্থী ও ইন্টার্ন চিকিৎসকেরা সংবাদ সম্মেলন করেন। সেখানে কলেজ বন্ধের সিদ্ধান্তকে ‘ষড়যন্ত্রমূলক’ উল্লেখ করে তাঁরা বলেন, কলেজ বন্ধের সিদ্ধান্ত কোনোভাবেই গ্রহণযোগ্য নয়। তাঁরা সংশ্লিষ্টদের দ্রুত এই সিদ্ধান্ত থেকে সরে আসার আহ্বান জানান।
ওই দিন শিক্ষার্থী ও ইন্টার্ন চিকিৎসকেরা কলেজ থেকে বিক্ষোভ মিছিল বের করেন। মিছিলটি শহরের প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ করে মুক্তির মোড়ে শহীদ মিনারে গিয়ে শেষ হয়।
জানা গেছে, ২০১৮ সালে অনুমোদন পাওয়া নওগাঁ মেডিকেল কলেজে বর্তমানে ৭টি ব্যাচে প্রায় সাড়ে ৪০০ শিক্ষার্থী পড়াশোনা করছেন। প্রথম ব্যাচের শিক্ষার্থীরা ইতিমধ্যে এমবিবিএস সম্পন্ন করে ইন্টার্নশিপ করছেন। প্রতিষ্ঠানটির শিক্ষার্থীরা একাডেমিক ফলাফলের দিক থেকে রাজশাহী মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনে প্রথম ও দ্বিতীয় স্থানে থাকার নজির রেখেছেন।
এ ছাড়া কলেজের ৬৮ শিক্ষকসহ প্রায় ১৫০ জনবল পাশের ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট সদর হাসপাতালে রোগীদের চিকিৎসা প্রদানে সহায়তা করে আসছেন। কলেজ বন্ধ হলে বরেন্দ্র অঞ্চলের স্বাস্থ্যসেবায় বড় ধরনের সংকট দেখা দেবে বলে আশঙ্কা করছেন সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা।
মাগুরায় শিশু ধর্ষণের ঘটনায় আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন প্রধান আসামি হিটু শেখ। শনিবার (১৫ মার্চ) বিকেলে মাগুরার সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট সব্যসাচী রায় তাঁর জবানবন্দি রেকর্ড করেন। পুলিশ ও আদালত সূত্রে এ তথ্য নিশ্চিত হওয়া গেছে।
৫ মিনিট আগেরূপগঞ্জে ৭ বছরের শিশুকে ধর্ষণচেষ্টা মামলার আসামি ইব্রাহিমকে (৫৩) গ্রেপ্তার করেছে র্যাব। আজ শনিবার র্যাব-১১ ও র্যাব-৯-এর যৌথ অভিযানে সুনামগঞ্জের বিশ্বম্ভরপুরের জয়নগর এলাকা থেকে তাঁকে গ্রেপ্তার করা হয়।
১০ মিনিট আগেনোয়াখালীর কবিরহাটে যুবদলের এক নেতার বিরুদ্ধে চাঁদাবাজির অভিযোগ উঠেছে। তিনি এক সরকারি কর্মচারীকে ফোন করে এক লাখ টাকা দাবি করেছেন। গতকাল শুক্রবার রাতে মোবাইল ফোনে চাঁদা দাবির কথোপকথনের অডিও রেকর্ড ইতিমধ্যে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভাইরাল হয়েছে।
১৯ মিনিট আগেঠাকুরগাঁওয়ে ভুট্টাখেত থেকে রুমানা বেগম (৩০) নামের এক গৃহবধূর লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। আজ শনিবার সদর উপজেলার আউলিয়াপুর ইউনিয়ন থেকে লাশটি উদ্ধার করা হয়।
৩৭ মিনিট আগে