প্রতিনিধি, ধুনট (বগুড়া)
বগুড়ার ধুনট উপজেলায় ২১ ব্যক্তি জীবিত থেকেও নির্বাচন কমিশনের ডেটাবেইসে মৃতদের তালিকায় রয়েছেন। এতে ভোগান্তির শিকার হচ্ছেন তাঁরা। ভুক্তভোগীরা সরকারি বিভিন্ন সুবিধা, ব্যাংক ঋণ ও করোনার টিকাসহ বিভিন্ন নাগরিক সুবিধা থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন।
উপজেলা নির্বাচন অফিস সূত্রে জানা গেছে, ২০১৯ সালে ভোটার তালিকা হালনাগাদ করা হয়। এ সময় ভুলবশত কিছু ব্যক্তি জীবিত থেকেও মৃতের তালিকায় অন্তর্ভুক্ত হয়েছেন। এ পর্যন্ত ২১ জন ব্যক্তি অভিযোগ করেছেন তাঁরা জীবিত আছেন কিন্তু নির্বাচন কমিশনের ডেটাবেইসে তাঁরা মৃত।
এর মধ্যে ধুনট পৌরসভা এলাকায় দুজন, উপজেলার ইউনিয়নগুলোর মধ্যে ধুনট সদরে একজন, মথুরাপুরে তিনজন, কালেরপাড়ায় ছয়জন, নিমগাছীতে দুজন, চৌকিবাড়িতে পাঁচজন, এলাঙ্গীতে একজন এবং ভান্ডারবাড়িতে একজন ব্যক্তি জীবিত থেকেও মৃতের তালিকায় রয়েছেন।
এর আগে গত ২৭ জুন উপজেলা নির্বাচন অফিস থেকে এ রকম ১৫ ব্যক্তির নাম নির্বাচন কমিশনের ডেটাবেইসে সংশোধনের জন্য পাঠানো হলেও অদ্যাবধি সমস্যার সমাধান হয়নি। এছাড়া ২৫ আগস্ট নতুন করে আরও ছয়জন ব্যক্তির নাম নির্বাচন কমিশনের ডেটাবেইসে সংশোধনের জন্য পাঠানো হয়েছে।
জীবিত থেকেও ভোটার তালিকায় মৃত হওয়ায় বয়স্ক ভাতা বাতিল হয়ে গেছে উপজেলার মথুরাপুর গ্রামের সুশীলা রানী হালদারের। তিনি আজকের পত্রিকাকে জানান, ২০০৯ সালের জুলাই মাস থেকে তাঁর বয়স্ক ভাতা সুবিধা চালু হয়। ২০২০ সালের জুন মাস পর্যন্ত তিনি ভাতার টাকা উত্তোলন করেছেন।
এরপর হঠাৎ করেই বাতিল হয়ে গেছে তাঁর বয়স্ক ভাতার সুবিধা। ভাতা বন্ধ হয়ে যাওয়ায় ভোগান্তিতে পড়েছেন তিনি। খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, ভোটার তালিকায় তাঁকে মৃত দেখানো হয়েছে। তিনি আক্ষেপ করে বলেন, ‘আমি এখনো জীবিত আছি, মারা গেলাম কীভাবে।’
কালের পাড়া ইউনিয়নের চরপাড়া গ্রামের আয়নাল হক একটি এনজিওতে গিয়েছিলেন ঋণের জন্য আবেদন করতে। সেখানে গিয়ে জানেন ভোটার তালিকায় তিনি মৃতদের তালিকায় রয়েছেন। তিনি বলেন, ‘আল্লাহ পাক আমাকে এখনো দুনিয়া থেকে তুলে নেননি। আমি জীবিত আছি। মৃতের তালিকায় থাকায় ঝামেলার মধ্যে আছি।’
ধুনট পৌরসভা এলাকার সাইফুল ইসলাম জানান, মরার আগেই কীভাবে তিনি মারা গেলেন বুঝতে পারছেন না। জীবনেও ভাবেননি তাঁর সঙ্গে এমন ঘটনা ঘটবে। তিনি সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে তদন্ত করে দোষীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি জানান।
ধুনট উপজেলা সমাজসেবা কর্মকর্তা আব্দুল্লাহ আল কাফী জানান, অনলাইনে এমআইএস (ম্যানেজমেন্ট ইনফরমেশন সিস্টেম) করার সময় নির্বাচন কমিশনের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী যাদের মৃত দেখানো হয়েছিল তাঁদের ভাতা বাতিল করা হয়েছে। তথ্য ভান্ডার থেকে জীবিতদের মৃত দেখানো হয়েছে এমন সংশোধনের আবেদনগুলো নিষ্পত্তির জন্য সুপারিশ করা হয়েছে।
ধুনট উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা মোকাদ্দেছ আলী আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘বিষয়টি দুঃখজনক। ভোটার তালিকা হালনাগাদের সময় মাঠ পর্যায় থেকে তথ্য সংগ্রহ করা হয়। সেই তথ্য নির্বাচন কমিশনের ডেটাবেইসে আপডেট করা হয়। তথ্য সংগ্রহকারীদের ভুলেই এমনটা হয়েছে।’
মোকাদ্দেছ আলী আরও বলেন, ‘এখনো পর্যন্ত জীবিত থেকেও মৃত এমন ২১টি আবেদন পেয়েছি। আবেদনগুলো দ্রুত সংশোধনের জন্য নির্বাচন কমিশনে পাঠানো হয়েছে। খুব দ্রুত সময়ের মধ্যেই এসব সমস্যার সমাধান হবে বলে আশা করছি।’
বগুড়ার ধুনট উপজেলায় ২১ ব্যক্তি জীবিত থেকেও নির্বাচন কমিশনের ডেটাবেইসে মৃতদের তালিকায় রয়েছেন। এতে ভোগান্তির শিকার হচ্ছেন তাঁরা। ভুক্তভোগীরা সরকারি বিভিন্ন সুবিধা, ব্যাংক ঋণ ও করোনার টিকাসহ বিভিন্ন নাগরিক সুবিধা থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন।
উপজেলা নির্বাচন অফিস সূত্রে জানা গেছে, ২০১৯ সালে ভোটার তালিকা হালনাগাদ করা হয়। এ সময় ভুলবশত কিছু ব্যক্তি জীবিত থেকেও মৃতের তালিকায় অন্তর্ভুক্ত হয়েছেন। এ পর্যন্ত ২১ জন ব্যক্তি অভিযোগ করেছেন তাঁরা জীবিত আছেন কিন্তু নির্বাচন কমিশনের ডেটাবেইসে তাঁরা মৃত।
এর মধ্যে ধুনট পৌরসভা এলাকায় দুজন, উপজেলার ইউনিয়নগুলোর মধ্যে ধুনট সদরে একজন, মথুরাপুরে তিনজন, কালেরপাড়ায় ছয়জন, নিমগাছীতে দুজন, চৌকিবাড়িতে পাঁচজন, এলাঙ্গীতে একজন এবং ভান্ডারবাড়িতে একজন ব্যক্তি জীবিত থেকেও মৃতের তালিকায় রয়েছেন।
এর আগে গত ২৭ জুন উপজেলা নির্বাচন অফিস থেকে এ রকম ১৫ ব্যক্তির নাম নির্বাচন কমিশনের ডেটাবেইসে সংশোধনের জন্য পাঠানো হলেও অদ্যাবধি সমস্যার সমাধান হয়নি। এছাড়া ২৫ আগস্ট নতুন করে আরও ছয়জন ব্যক্তির নাম নির্বাচন কমিশনের ডেটাবেইসে সংশোধনের জন্য পাঠানো হয়েছে।
জীবিত থেকেও ভোটার তালিকায় মৃত হওয়ায় বয়স্ক ভাতা বাতিল হয়ে গেছে উপজেলার মথুরাপুর গ্রামের সুশীলা রানী হালদারের। তিনি আজকের পত্রিকাকে জানান, ২০০৯ সালের জুলাই মাস থেকে তাঁর বয়স্ক ভাতা সুবিধা চালু হয়। ২০২০ সালের জুন মাস পর্যন্ত তিনি ভাতার টাকা উত্তোলন করেছেন।
এরপর হঠাৎ করেই বাতিল হয়ে গেছে তাঁর বয়স্ক ভাতার সুবিধা। ভাতা বন্ধ হয়ে যাওয়ায় ভোগান্তিতে পড়েছেন তিনি। খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, ভোটার তালিকায় তাঁকে মৃত দেখানো হয়েছে। তিনি আক্ষেপ করে বলেন, ‘আমি এখনো জীবিত আছি, মারা গেলাম কীভাবে।’
কালের পাড়া ইউনিয়নের চরপাড়া গ্রামের আয়নাল হক একটি এনজিওতে গিয়েছিলেন ঋণের জন্য আবেদন করতে। সেখানে গিয়ে জানেন ভোটার তালিকায় তিনি মৃতদের তালিকায় রয়েছেন। তিনি বলেন, ‘আল্লাহ পাক আমাকে এখনো দুনিয়া থেকে তুলে নেননি। আমি জীবিত আছি। মৃতের তালিকায় থাকায় ঝামেলার মধ্যে আছি।’
ধুনট পৌরসভা এলাকার সাইফুল ইসলাম জানান, মরার আগেই কীভাবে তিনি মারা গেলেন বুঝতে পারছেন না। জীবনেও ভাবেননি তাঁর সঙ্গে এমন ঘটনা ঘটবে। তিনি সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে তদন্ত করে দোষীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি জানান।
ধুনট উপজেলা সমাজসেবা কর্মকর্তা আব্দুল্লাহ আল কাফী জানান, অনলাইনে এমআইএস (ম্যানেজমেন্ট ইনফরমেশন সিস্টেম) করার সময় নির্বাচন কমিশনের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী যাদের মৃত দেখানো হয়েছিল তাঁদের ভাতা বাতিল করা হয়েছে। তথ্য ভান্ডার থেকে জীবিতদের মৃত দেখানো হয়েছে এমন সংশোধনের আবেদনগুলো নিষ্পত্তির জন্য সুপারিশ করা হয়েছে।
ধুনট উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা মোকাদ্দেছ আলী আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘বিষয়টি দুঃখজনক। ভোটার তালিকা হালনাগাদের সময় মাঠ পর্যায় থেকে তথ্য সংগ্রহ করা হয়। সেই তথ্য নির্বাচন কমিশনের ডেটাবেইসে আপডেট করা হয়। তথ্য সংগ্রহকারীদের ভুলেই এমনটা হয়েছে।’
মোকাদ্দেছ আলী আরও বলেন, ‘এখনো পর্যন্ত জীবিত থেকেও মৃত এমন ২১টি আবেদন পেয়েছি। আবেদনগুলো দ্রুত সংশোধনের জন্য নির্বাচন কমিশনে পাঠানো হয়েছে। খুব দ্রুত সময়ের মধ্যেই এসব সমস্যার সমাধান হবে বলে আশা করছি।’
চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ডে দ্রুতগতির মাইক্রোবাসচাপায় ইমন সাহা (৩০) নামের এক মোটরসাইকেল আরোহী নিহত হয়েছেন।
২ মিনিট আগেগাজীপুর মহানগরীর সদর মেট্রো থানার কাছে প্রকাশ্যে টেনেহিঁচড়ে নিয়ে এক সাংবাদিককে পিটিয়ে ও ইট দিয়ে আঘাত করে গুরুতর জখম করার অভিযোগ পাওয়া গেছে দুর্বৃত্তদের বিরুদ্ধে। এ সময় সাংবাদিক বাঁচার জন্য আকুতি জানালেও দুর্বৃত্তদের মন গলেনি।
৯ মিনিট আগেজাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) উত্তরাঞ্চলের মুখ্য সংগঠক সারজিস আলম কক্সবাজার থেকে বান্দরবানের থানচিতে এসেছেন বলে খবর পাওয়া গেছে। নাম প্রকাশ না করার শর্তে এনসিপির থানচি উপজেলার এক নেতা বলেন, বৃহস্পতিবার (৭ আগস্ট) সকালে কক্সবাজার থেকে এসে বান্দরবানে লামা, আলীকদম ও থানচি সফরে যান সারজিস আলম।
৩৪ মিনিট আগেহঠাৎ বাড়িতে স্ত্রী-সন্তানের খরচের টাকা ও যোগাযোগ বন্ধ করে দেন আলমগীর হোসেন। নিরুপায় হয়ে তাঁকে খুঁজতে বেরিয়ে অপহরণকারীদের কবলে পড়ে কোলের সন্তান হোসাইনকে হারিয়ে ফেলেন জরিনা বেগম। আট মাস ধরে সন্তানকে খোঁজাখুঁজি করে পাগলপ্রায় দশা তাঁর। এদিকে স্বামীরও সন্ধান নেই। হঠাৎ শিশুটির সন্ধান পেয়ে আনন্দে আত্মহারা
৩৮ মিনিট আগে