Ajker Patrika

কারাগারে রায়হান শরীফ কথা বলছেন কম

সিরাজগঞ্জ প্রতিনিধি
কারাগারে রায়হান শরীফ কথা বলছেন কম

কারাগারে সাধারণ বন্দীদের সঙ্গে সময় কাটছে সিরাজগঞ্জের শহীদ এম মনসুর আলী মেডিকেল কলেজের শিক্ষার্থীকে গুলি করা শিক্ষক রায়হান শরীফের। তাঁকে কারাগারের আগমনি ওয়ার্ডে রাখা হয়েছে। সেখানে প্রয়োজন ছাড়া কারও সঙ্গে খুব একটা কথাবার্তা বলছেন না। সাধারণ বন্দীদের জন্য যে খাবার বরাদ্দ রয়েছে তিনি সেই খাবারই খাচ্ছেন। 

আজ বৃহস্পতিবার দুপুরে এসব তথ্য জানিয়েছেন সিরাজগঞ্জ জেলা কারাগারের জেলার মোহাম্মদ ইউনুস জামান। তিনি আজকের পত্রিকাকে বলেন, প্রতিদিন নতুন যে আসামি কারাগারে আসেন প্রথমে তাদের আগমনি ওয়ার্ডে রাখা হয়। সেখানে তিন-চার দিন রাখার পর অন্যান্য ওয়ার্ডে পাঠানো হয়। শিক্ষক রায়হান শরীফকে কারাগারের আগমনি ওয়ার্ডে রাখা হয়েছে। 

কারাগারে আসার পর থেকে তিনি স্বাভাবিক আছেন। নতুন জায়গা, নতুন পরিবেশ মানিয়ে নিতে সময় লাগবে। তিনি ভালো আছেন, কোনো সমস্যা নেই বলে জানিয়েছেন তিনি। 

প্রসঙ্গত, গত ৪ মার্চ বিকেলে শহীদ এম মনসুর আলী মেডিকেল কলেজের কমিউনিটি মেডিসিন বিভাগের শিক্ষক রায়হান শরীফ শ্রেণিকক্ষের ভেতরেই কলেজের তৃতীয় বর্ষের ছাত্র আরাফাত আমিন তমালকে গুলি করেন। এরপর রায়হান শরীফকে ঘরে আটকে রেখেছিলেন শিক্ষার্থীরা। পরে পুলিশ তাঁকে আটক করে নিয়ে যায়। 

এ সময় পড়ে থাকা একটি পিস্তল উদ্ধার করে পুলিশ। এ ছাড়া তাঁর ব্যাগটিও জব্দ করা হয়। এই ব্যাগের ভেতরে আরও একটি পিস্তল, ৮১ রাউন্ড গুলি, চারটি ম্যাগাজিন, দুটি বিদেশি কাতানা (ছোরা) ও ১০টি অত্যাধুনিক বার্মিজ চাকু জব্দ করা হয়। 

এসব অবৈধ অস্ত্র রাখার অপরাধে গত মঙ্গলবার পুলিশ বাদী হয়ে রায়হানের বিরুদ্ধে সিরাজগঞ্জ সদর থানায় একটি মামলা করে। এ ছাড়া আহত শিক্ষার্থী আরাফাত আমিন তমালের বাবা আব্দুল্লাহ আল আমিন বাদী হয়ে তাঁর ছেলেকে হত্যা চেষ্টা অভিযোগ এনে আরেকটি মামলা করেন। দুটি মামলায় শিক্ষক রায়হান শরীফ আদালতে জবানবন্দি দেন। পরে তাঁকে কারাগারে পাঠায় আদালত। এখন কারাগারের সাধারণ বন্দীদের সঙ্গে রাত কাটাচ্ছেন তিনি।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত