নিজস্ব প্রতিবেদক, রাজশাহী
রাজশাহীতে আলোচিত মিম (২৮) হত্যা মামলার ২ নম্বর আসামি সেলি বেগমকে (৩৫) গ্রেপ্তার করেছে র্যাব। গতকাল বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় রাজশাহী নগরের এয়ারপোর্ট থানার থালতা এলাকা থেকে তাঁকে গ্রেপ্তার করা হয়। পরে তাঁকে বোয়ালিয়া থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে।
র্যাব-৫–এর রাজশাহীর মোল্লাপাড়া ক্যাম্পের পক্ষ থেকে আজ শুক্রবার সকালে পাঠানো বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়। সেলি বেগম রাজশাহী নগরের শেখেরচক বিহারীবাগান এলাকার মৃত আশরাফুল ইসলামের স্ত্রী। তিনি এই মামলার ২ নম্বর আসামি, আর ১ নম্বর আসামি মো. রুবেল তাঁর বোনের ছেলে।
মিম রাজশাহী নগরের রামচন্দ্রপুর মহল্লার দিনমজুর ও ২৪ নম্বর ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সাবেক সহসভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা মৃত হারান শেখের নাতি। তিনি আওয়ামী লীগের রাজনীতির সঙ্গে যুক্ত পরিবারের সদস্য হলেও কোনো রাজনৈতিক পদে ছিলেন না। তবে নগর যুবলীগের সাবেক অর্থ সম্পাদক রাজিব মতিনের ব্যক্তিগত কার্যালয়ে থাকতেন এবং তাঁর কাজ করতেন।
গত বছরের ২৬ অক্টোবর মিম আত্মগোপনে থেকে এলাকায় ফেরার দিন হত্যার শিকার হন। সিসি ক্যামেরার ফুটেজে দেখা যায়, ৮-১০ জন যুবক তাঁকে ধাওয়া করে ধরে ফেলেন এবং হাত ধরে টেনে নিয়ে যান। পরে পঞ্চবটি এলাকায় নিয়ে গিয়ে তাঁকে হাতুড়িপেটা করা হয়। মিমের মা কেয়া বেগম ঘটনাস্থলে ছুটে গিয়েও ছেলেকে উদ্ধার করতে পারেননি। পুলিশকে জানিয়েও কোনো সাড়া পাননি। একপর্যায়ে মিমের পায়ের রগ কেটে দেওয়া হয় এবং পরে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হলে সেখানে তাঁর মৃত্যু হয়।
এ ঘটনায় মিমের মা কেয়া বেগম বাদী হয়ে স্থানীয় যুবদল কর্মী রুবেলসহ ১৩ জনের নাম উল্লেখ করে এবং অজ্ঞাতনামা আরও ৮-১০ জনকে আসামি করে বোয়ালিয়া থানায় মামলা করেন। পুলিশ রুবেল, রুহুল, জাহিদ ও রজব নামে চারজনকে গ্রেপ্তার করলেও বাকি ৯ আসামিকে ধরতে কোনো তৎপরতা দেখায়নি। অবশেষে র্যাব ২ নম্বর আসামি সেলি বেগমকে গ্রেপ্তার করল।
কেয়া বেগম জানান, তাঁর ছেলেকে নির্যাতনের সময় সেলি বেগমও সেখানে উপস্থিত ছিলেন এবং মারধরে অংশ নেন। মামলার অন্য আসামিদের দ্রুত গ্রেপ্তারের দাবি জানিয়ে তিনি বলেন, ‘গ্রেপ্তার চার আসামি উচ্চ আদালত থেকে জামিন পেয়ে বেরিয়েছেন, আর পুলিশ অন্যদের গ্রেপ্তারই করেনি। জামিনে বের হওয়া আসামিরা এখন আমার আত্মীয়দের ফোন করে হুমকি দিচ্ছে। তারা বলছে, ঈদের পর এলাকায় ঢুকে মীমাংসা করতে বলবে, না হলে ভালো হবে না। আমি বলেছি, আমার ছেলেকে ফিরিয়ে দিক, তবেই মীমাংসা করব। নইলে কিসের মীমাংসা?’
রাজশাহীতে আলোচিত মিম (২৮) হত্যা মামলার ২ নম্বর আসামি সেলি বেগমকে (৩৫) গ্রেপ্তার করেছে র্যাব। গতকাল বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় রাজশাহী নগরের এয়ারপোর্ট থানার থালতা এলাকা থেকে তাঁকে গ্রেপ্তার করা হয়। পরে তাঁকে বোয়ালিয়া থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে।
র্যাব-৫–এর রাজশাহীর মোল্লাপাড়া ক্যাম্পের পক্ষ থেকে আজ শুক্রবার সকালে পাঠানো বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়। সেলি বেগম রাজশাহী নগরের শেখেরচক বিহারীবাগান এলাকার মৃত আশরাফুল ইসলামের স্ত্রী। তিনি এই মামলার ২ নম্বর আসামি, আর ১ নম্বর আসামি মো. রুবেল তাঁর বোনের ছেলে।
মিম রাজশাহী নগরের রামচন্দ্রপুর মহল্লার দিনমজুর ও ২৪ নম্বর ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সাবেক সহসভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা মৃত হারান শেখের নাতি। তিনি আওয়ামী লীগের রাজনীতির সঙ্গে যুক্ত পরিবারের সদস্য হলেও কোনো রাজনৈতিক পদে ছিলেন না। তবে নগর যুবলীগের সাবেক অর্থ সম্পাদক রাজিব মতিনের ব্যক্তিগত কার্যালয়ে থাকতেন এবং তাঁর কাজ করতেন।
গত বছরের ২৬ অক্টোবর মিম আত্মগোপনে থেকে এলাকায় ফেরার দিন হত্যার শিকার হন। সিসি ক্যামেরার ফুটেজে দেখা যায়, ৮-১০ জন যুবক তাঁকে ধাওয়া করে ধরে ফেলেন এবং হাত ধরে টেনে নিয়ে যান। পরে পঞ্চবটি এলাকায় নিয়ে গিয়ে তাঁকে হাতুড়িপেটা করা হয়। মিমের মা কেয়া বেগম ঘটনাস্থলে ছুটে গিয়েও ছেলেকে উদ্ধার করতে পারেননি। পুলিশকে জানিয়েও কোনো সাড়া পাননি। একপর্যায়ে মিমের পায়ের রগ কেটে দেওয়া হয় এবং পরে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হলে সেখানে তাঁর মৃত্যু হয়।
এ ঘটনায় মিমের মা কেয়া বেগম বাদী হয়ে স্থানীয় যুবদল কর্মী রুবেলসহ ১৩ জনের নাম উল্লেখ করে এবং অজ্ঞাতনামা আরও ৮-১০ জনকে আসামি করে বোয়ালিয়া থানায় মামলা করেন। পুলিশ রুবেল, রুহুল, জাহিদ ও রজব নামে চারজনকে গ্রেপ্তার করলেও বাকি ৯ আসামিকে ধরতে কোনো তৎপরতা দেখায়নি। অবশেষে র্যাব ২ নম্বর আসামি সেলি বেগমকে গ্রেপ্তার করল।
কেয়া বেগম জানান, তাঁর ছেলেকে নির্যাতনের সময় সেলি বেগমও সেখানে উপস্থিত ছিলেন এবং মারধরে অংশ নেন। মামলার অন্য আসামিদের দ্রুত গ্রেপ্তারের দাবি জানিয়ে তিনি বলেন, ‘গ্রেপ্তার চার আসামি উচ্চ আদালত থেকে জামিন পেয়ে বেরিয়েছেন, আর পুলিশ অন্যদের গ্রেপ্তারই করেনি। জামিনে বের হওয়া আসামিরা এখন আমার আত্মীয়দের ফোন করে হুমকি দিচ্ছে। তারা বলছে, ঈদের পর এলাকায় ঢুকে মীমাংসা করতে বলবে, না হলে ভালো হবে না। আমি বলেছি, আমার ছেলেকে ফিরিয়ে দিক, তবেই মীমাংসা করব। নইলে কিসের মীমাংসা?’
রাজধানীর উত্তরায় মাইলস্টোন স্কুল অ্যান্ড কলেজে প্রশিক্ষণ বিমান বিধ্বস্তের পর থেকেই সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম যেন বিভীষিকাময় হয়ে উঠেছে। ফেসবুকে ঢুকলেই ওই দুর্ঘটনার মন খারাপ করা ছবি ও ভিডিও এড়িয়ে যাওয়ার উপায় নেই। স্ক্রল করতে করতে হঠাৎ চোখ আটকে যায় ‘এসএসসি ০৫-এইচএসসি ০৭’ গ্রুপের একটি পোস্টে।
৪ ঘণ্টা আগেজাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটের করিডরে আগের দিনের মতো চিৎকার-চেঁচামেচি ছিল না গতকাল মঙ্গলবার। ছিল না রক্তের জন্য ছোটাছুটি। হাসপাতালজুড়ে কেমন যেন একটা উৎকণ্ঠা। এই উৎকণ্ঠা দগ্ধ শিশুগুলোর স্বজনদের চোখেমুখে। সবার প্রার্থনা, আর যেন কোনো দুঃসংবাদ কানে না আসে, সব শিশু যেন সুস্থ হয়ে ওঠে।
৪ ঘণ্টা আগেশিক্ষার্থীদের প্রতি মমত্ববোধ ও দায়িত্ববোধের অসাধারণ উদাহরণ তৈরি করে গেলেন রাজধানীর মাইলস্টোন স্কুল অ্যান্ড কলেজের শিক্ষক মাহরীন চৌধুরী। যুদ্ধবিমানটি যখন তাঁর প্রতিষ্ঠানে বিধ্বস্ত হয়, তখনো তিনি অক্ষত ও সুস্থ ছিলেন। কিন্তু বিপদের মুখেই তিনি ঝাঁপিয়ে পড়েছিলেন নিজের সন্তানের মতো ছাত্রছাত্রীদের বাঁচাতে।
৪ ঘণ্টা আগেরাজধানীর উত্তরার দিয়াবাড়ির মাইলস্টোন স্কুল অ্যান্ড কলেজ প্রাঙ্গণে শিক্ষার্থীদের কোলাহল নেই। বিমানবাহিনীর বিধ্বস্ত প্রশিক্ষণ যুদ্ধবিমানের বিকট শব্দে থেমে গেছে সেই কোলাহল। থামেনি সন্তান বা স্বজনহারাদের বুকফাটা কান্না, মাতম। হাসপাতালে যন্ত্রণায় কাতরাচ্ছে আহত ও দগ্ধরা।
৪ ঘণ্টা আগে