পবা (রাজশাহী) প্রতিনিধি
রাজশাহীর পবা উপজেলায় একটি হিমাগারে রাখা কৃষকের বিপুল পরিমাণ আলুতে পচন ধরেছে। পবার মদন হাটি এলাকায় অবস্থিত ‘আমান কোল্ড স্টোরেজ লিমিটেডে’ এমন ঘটনা ঘটেছে। কয়েক শ কৃষক ও ব্যবসায়ী হিমাগারটিতে (কোল্ড স্টোরেজ) মাত্র এক মাস আগেই আলু জমা রেখেছিলেন।
হিমাগার কর্তৃপক্ষের হিসাব অনুযায়ী, বর্তমানে হিমাগারটিতে ১ লাখ ৬৬ হাজার বস্তা আলু আছে। প্রতিটি বস্তায় আলুর পরিমাণ ৫০ কেজি। বর্তমানে ৫০ কেজি আলুর বস্তার দাম ৬০০ টাকা। সব আলু পচে গেলে ক্ষতির পরিমাণ দাঁড়াবে ৯ কোটি ৯৬ লাখ টাকায়।
চাষিদের দাবি, সব আলুই পচে গেছে। তাঁরা বলছেন, বস্তায় একটি আলু পচে যাওয়া মানেই সব আলু নষ্ট হয়ে যাওয়া। এগুলো আর খাওয়ার উপযোগী নেই।
বুধবার সকালে শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত গুদাম ঘর থেকে আলুর বস্তা বের করে স্টোরেজের ভেতরেই বাতাস দেওয়া হচ্ছিল। তখনই কৃষকেরা আলু পচে যাওয়ার বিষয়টি জানতে পারেন। এরপর ক্ষতিপূরণের দাবিতে তাঁরা হিমাগারের সামনে অবস্থান নিয়ে বিক্ষোভ করতে থাকেন। পরে হিমাগার কর্তৃপক্ষ আগামী ১০ দিনের মধ্যে তাদের ক্ষতিপূরণ দেওয়ার আশ্বাস দিলে কৃষকেরা শান্ত হন।
বিকেলে সরেজমিনে হিমাগারে গিয়ে দেখা গেছে, যে বস্তাই খোলা হচ্ছে সেখান থেকেই বের হচ্ছে পচা আলু। আলু চাষি ও ব্যবসায়ীদের অভিযোগ, হিমাগারের গ্যাস মেশিন খারাপ থাকার পরও আলু তোলা হয়েছে হিমাগারে। তীব্র গরমে দুর্বল মেশিন ঠিকমতো গুদাম ঠান্ডা রাখতে পারেনি, ফলে আলুতে পচন ধরেছে।
আলু ব্যবসায়ী কামরুল হাসান বলেন, ‘আমি ৭ হাজার বস্তা আলু রেখেছিলাম। এখন জানতে পারলাম, সব আলু পচে গেছে। ক্ষতিপূরণ না দিলে আমি পথে বসে যাব।’ তিনি জানান, মার্চ থেকে নভেম্বর মাস পর্যন্ত হিমাগারে আলু রাখেন কৃষকেরা। এ জন্য বস্তাপ্রতি ২০০ থেকে ২৫০ টাকা ভাড়া দিতে হয়। আলুর বস্তা বের করার সময় টাকা দিতে হয়।
রানা সর্দার নামের এক ব্যবসায়ী বলেন, ‘গত বছর আমি এই কোল্ড স্টোরেজে আলু রেখেছিলাম। সেখান থেকে বের করে বিক্রির পর ক্রেতারা অভিযোগ করেন যে—আলুর মান ভালো না। নষ্ট হয়ে গেছে। তাই এবার সব আলু অন্য হিমাগারে রেখেছি। শুধু একটা ট্রলি ভুল করে আমানে ঢুকে পড়েছিল বলে সে ট্রলির ৫৭ বস্তা আলু এখানে রেখেছিলাম। এগুলো সব পচে গেছে।’
হিমাগারের ব্যবস্থাপক ফারুক হোসেন বলেন, ‘আলু নানা কারণেই পচতে পারে। আলুর মান খারাপ হলেও পচে যায়। কেন পচে গেছে তা জানি না। কী পরিমাণ পচেছে সে হিসাবও করা হয়নি।’ চাষিদের ক্ষতিপূরণ দেওয়া প্রসঙ্গে ফারুক হোসেন বলেন বলেন, ‘আমার মালিকের এটা একদিনের ব্যবসা না। কীভাবে কী করা যায় তা দেখছি।’
রাজশাহীর পবা উপজেলায় একটি হিমাগারে রাখা কৃষকের বিপুল পরিমাণ আলুতে পচন ধরেছে। পবার মদন হাটি এলাকায় অবস্থিত ‘আমান কোল্ড স্টোরেজ লিমিটেডে’ এমন ঘটনা ঘটেছে। কয়েক শ কৃষক ও ব্যবসায়ী হিমাগারটিতে (কোল্ড স্টোরেজ) মাত্র এক মাস আগেই আলু জমা রেখেছিলেন।
হিমাগার কর্তৃপক্ষের হিসাব অনুযায়ী, বর্তমানে হিমাগারটিতে ১ লাখ ৬৬ হাজার বস্তা আলু আছে। প্রতিটি বস্তায় আলুর পরিমাণ ৫০ কেজি। বর্তমানে ৫০ কেজি আলুর বস্তার দাম ৬০০ টাকা। সব আলু পচে গেলে ক্ষতির পরিমাণ দাঁড়াবে ৯ কোটি ৯৬ লাখ টাকায়।
চাষিদের দাবি, সব আলুই পচে গেছে। তাঁরা বলছেন, বস্তায় একটি আলু পচে যাওয়া মানেই সব আলু নষ্ট হয়ে যাওয়া। এগুলো আর খাওয়ার উপযোগী নেই।
বুধবার সকালে শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত গুদাম ঘর থেকে আলুর বস্তা বের করে স্টোরেজের ভেতরেই বাতাস দেওয়া হচ্ছিল। তখনই কৃষকেরা আলু পচে যাওয়ার বিষয়টি জানতে পারেন। এরপর ক্ষতিপূরণের দাবিতে তাঁরা হিমাগারের সামনে অবস্থান নিয়ে বিক্ষোভ করতে থাকেন। পরে হিমাগার কর্তৃপক্ষ আগামী ১০ দিনের মধ্যে তাদের ক্ষতিপূরণ দেওয়ার আশ্বাস দিলে কৃষকেরা শান্ত হন।
বিকেলে সরেজমিনে হিমাগারে গিয়ে দেখা গেছে, যে বস্তাই খোলা হচ্ছে সেখান থেকেই বের হচ্ছে পচা আলু। আলু চাষি ও ব্যবসায়ীদের অভিযোগ, হিমাগারের গ্যাস মেশিন খারাপ থাকার পরও আলু তোলা হয়েছে হিমাগারে। তীব্র গরমে দুর্বল মেশিন ঠিকমতো গুদাম ঠান্ডা রাখতে পারেনি, ফলে আলুতে পচন ধরেছে।
আলু ব্যবসায়ী কামরুল হাসান বলেন, ‘আমি ৭ হাজার বস্তা আলু রেখেছিলাম। এখন জানতে পারলাম, সব আলু পচে গেছে। ক্ষতিপূরণ না দিলে আমি পথে বসে যাব।’ তিনি জানান, মার্চ থেকে নভেম্বর মাস পর্যন্ত হিমাগারে আলু রাখেন কৃষকেরা। এ জন্য বস্তাপ্রতি ২০০ থেকে ২৫০ টাকা ভাড়া দিতে হয়। আলুর বস্তা বের করার সময় টাকা দিতে হয়।
রানা সর্দার নামের এক ব্যবসায়ী বলেন, ‘গত বছর আমি এই কোল্ড স্টোরেজে আলু রেখেছিলাম। সেখান থেকে বের করে বিক্রির পর ক্রেতারা অভিযোগ করেন যে—আলুর মান ভালো না। নষ্ট হয়ে গেছে। তাই এবার সব আলু অন্য হিমাগারে রেখেছি। শুধু একটা ট্রলি ভুল করে আমানে ঢুকে পড়েছিল বলে সে ট্রলির ৫৭ বস্তা আলু এখানে রেখেছিলাম। এগুলো সব পচে গেছে।’
হিমাগারের ব্যবস্থাপক ফারুক হোসেন বলেন, ‘আলু নানা কারণেই পচতে পারে। আলুর মান খারাপ হলেও পচে যায়। কেন পচে গেছে তা জানি না। কী পরিমাণ পচেছে সে হিসাবও করা হয়নি।’ চাষিদের ক্ষতিপূরণ দেওয়া প্রসঙ্গে ফারুক হোসেন বলেন বলেন, ‘আমার মালিকের এটা একদিনের ব্যবসা না। কীভাবে কী করা যায় তা দেখছি।’
মাদারীপুরের ডাসারে হাত-পা বাঁধা অবস্থায় আজিজুল হাওলাদার (৬০) নামের এক চায়ের দোকানির মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। আজ শনিবার (১ ফেব্রুয়ারি) সকালে উপজেলার ধামুসা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের পাশ থেকে মরদেহটি উদ্ধার করা হয়।
২ মিনিট আগেঘন কুয়াশার কারণে প্রায় ১১ ঘণ্টা বন্ধ থাকার পর পাটুরিয়া-দৌলতদিয়া এবং আরিচা-কাজিরহাট নৌপথে ফেরি চলাচল শুরু হয়েছে। দীর্ঘ সময় ফেরি চলাচল বন্ধ থাকায় দুই পথের উভয় প্রান্তে আটকা পড়ে অ্যাম্বুলেন্স, ব্যক্তিগত গাড়ি, যাত্রীবাহী বাসসহ দুই শতাধিক পণ্যবাহী ট্রাক।
২৮ মিনিট আগেরংপুরে ঘন কুয়াশার কারণে সড়কে নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে একই স্থানে একে একে ছয়টি পরিবহন দুর্ঘটনার কবলে পড়েছে। এতে প্রাণহানির কোনো ঘটনা না ঘটলেও অন্তত ২৫ জন আহত হয়েছেন। দুর্ঘটনাকবলিত পরিবহনগুলোর মধ্যে তিনটি যাত্রীবাহী বাসসহ ট্রাক, পিকআপ ও কাভার্ডভ্যান রয়েছে। গাড়িগুলো ঘটনাস্থল থেকে সরিয়ে নেওয়ার কাজ চলছে...
৩০ মিনিট আগেচট্টগ্রামের বিভিন্ন স্থান থেকে বাসে-ট্রাকে করে মানুষ মাহফিলে আসতে থাকে। বিকেল ৪টা নাগাদ প্যারেড ময়দানের আশপাশের রাস্তাঘাট লোকারণ্য হয়ে যায়, বন্ধ হয়ে যায় যান চলাচল। প্যারেড ময়দানসংলগ্ন চকবাজার তেলিপট্টি মোড় থেকে এক্সেস রোড, অলিখাঁ মোড় থেকে গণি বেকারির মোড় পর্যন্ত যানচলাচল সীমিত হয়ে পড়ে।
১ ঘণ্টা আগে