Ajker Patrika

ধর্ষণে ব্যর্থ হয়ে গৃহবধূকে কুপিয়ে জখম

নাটোর প্রতিনিধি 
প্রতীকী ছবি
প্রতীকী ছবি

নাটোরের গুরুদাসপুর উপজেলার বিয়াঘাট ইউনিয়নে দুই সন্তানের জননীকে ধর্ষণে ব্যর্থ হয়ে কুপিয়ে জখম করার অভিযোগ উঠেছে প্রতিবেশী জাকারিয়া হোসেন (৩০) নামের এক যুবকের বিরুদ্ধে। গতকাল বৃহস্পতিবার সন্ধ্যার কিছু আগে প্রচণ্ড ঝড়বৃষ্টির সময় এ ঘটনা ঘটে। ঘটনার পর থেকেই জাকারিয়া পলাতক।

জানা গেছে, ঘাস কাটা কাঁচি দিয়ে ওই গৃহবধূকে কুপিয়ে আহত করা হয়। গৃহবধূর গলায়, কানের নিচে, হাতসহ শরীরের বিভিন্ন স্থানে গুরুতর জখমের চিহ্ন রয়েছে। তাঁকে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ (রামেক) হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।

সোলেমান আলী নামের এক প্রতিবেশী ওই গৃহবধূর বরাত দিয়ে বলেন, ‘সন্ধ্যার আগে বাড়ির পাশের পুকুরে হাঁসের খাদ্য শামুক সংগ্রহে গিয়েছিলেন ওই গৃহবধূ। জাকারিয়া ওই পুকুরের পাশেই ভুট্টাখেত থেকে ঘাস কেটে ফিরছিল। এ সময় প্রচণ্ড বৃষ্টি শুরু হয়। ওই গৃহবধূকে নির্জনে একা পেয়ে জোরপূর্বক ধর্ষণ চেষ্টা চালায় জাকারিয়া। নিজেকে রক্ষার চেষ্টা করলে তার হাতে থাকা ঘাস কাটার কাঁচি দিয়ে এলোপাতাড়ি কুপিয়ে পালিয়ে যায়। এরপর ওই গৃহবধূ রক্তাক্ত ও কর্দমাক্ত শরীর নিয়ে আমার বাড়ির উঠানে এসে চিৎকার দিয়ে জ্ঞান হারিয়ে ফেলেন। পরে উদ্ধার করে প্রথমে গুরুদাসপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ও পরে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হয়।’

আহত গৃহবধূ বলেন, ‘আমার ওপর জবরদস্তি করে জাকারিয়া। আমি রাজি না হলে কোপানোর হুমকি দেয়। ছুটে পালানোর চেষ্টা করলে গলা, কান, হাতে কোপ মারে।’

জানতে চাইলে অভিযুক্ত জাকারিয়ার শ্বশুর জব্বার আলী জানান, তাঁর জামাই জাকারিয়া কিছুটা বুদ্ধিপ্রতিবন্ধী প্রকৃতির। বিয়ের পর থেকে তাঁর বাড়িতে ঘরজামাই থাকেন। ঘাস কাটতে মাঠে গিয়ে আর বাসায় ফেরেননি। লোকমুখে ওই গৃহবধূকে কোপানোর কথা শুনেছেন তিনি।

এ বিষয়ে গুরুদাসপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. গোলাম সারোয়ার হোসেন বলেন, ‘এ ব্যাপারে লিখিত বা মৌখিক অভিযোগ পাইনি। লিখিত অভিযোগ পাওয়া মাত্রই আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত