Ajker Patrika

বগুড়ায় স্বেচ্ছাসেবক দলের নেতা হত্যার জেরে হাসপাতালের জরুরি বিভাগের সামনে একজনকে পিটিয়ে হত্যা

বগুড়া প্রতিনিধি
আপডেট : ১০ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ১০: ৩৩
Thumbnail image

বগুড়ায় স্বেচ্ছাসেবক দলের নেতা মিজানুর রহমান মিজানকে কুপিয়ে হত্যার জের ধরে প্রতিপক্ষের একজনকে হাসপাতালের জরুরি বিভাগের সামনে পিটিয়ে হত্যা করা হয়েছে। নিহতের নাম সালমান হোসেন লেদু (৪০)। গতকাল সোমবার রাত সাড়ে ১১টার দিকে বগুড়া শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের জরুরি বিভাগের চিকিৎসক তাঁকে মৃত ঘোষণা করেন।

সালমান হোসেন লেদু বগুড়া সদরের গোকুল মধ্যপাড়া গ্রামের বুলু মিয়ার ছেলে।

বগুড়া শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের উপপরিচালক ডা. আব্দুল ওয়াদুদ মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। 

তিনি বলেন, রাত ১১টার দিকে পুলিশ ওই ব্যক্তিকে মুমূর্ষু অবস্থায় হাসপাতালে নিয়ে আসে। হাসপাতালের জরুরি বিভাগে ভর্তির আগেই শতাধিক লোক মুমূর্ষু ওই ব্যক্তিকে মারধর শুরু করে। বিক্ষুব্ধ লোকজন এ সময় জরুরি বিভাগে ভাঙচুর করে। পরিস্থিতি শান্ত হলে জরুরি বিভাগের চিকিৎসক লেদু নামের ওই ব্যক্তিকে মৃত ঘোষণা করেন।

গোকুল এলাকার বাসিন্দারা জানান, মিজান তাঁর কয়েকজন বন্ধুর সঙ্গে গোকুল বন্দরে গোডাউন এলাকায় গল্প করছিলেন। রাত সোয়া ৯টার দিকে ১০-১২টি মোটরসাইকেলযোগে একদল দুর্বৃত্ত সেখানে আসে। তারা মিজানকে ঘিরে ফেলে এবং ধারালো অস্ত্র দিয়ে এলোপাতাড়ি কুপিয়ে মোটরসাইকেলযোগে মহাস্থানের দিকে চলে যায়। এ সময় স্থানীয় লোকজন সালমান হোসেন লেদুকে আটক করে মারপিট করে মিজানের অফিসে আটকে রাখে। পরে খবর পেয়ে পুলিশ তাঁকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যায়।

শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শী একটি বেসরকারি টেলিভিশনের সাংবাদিক মেহেরুল সুজন বলেন, ‘ওই ব্যক্তিকে জরুরি বিভাগে চিকিৎসা দেওয়ার আগেই মারপিট শুরু করা হয়। এ সময় ভিডিও ধারণ করতে গেলে আমাকেও বেধড়ক মারপিট করা হয়।’ 

তিনি বলেন, স্বেচ্ছাসেবক দলের নেতা মিজান হত্যার খবর পেয়ে  তার কর্মী-সমর্থকেরা হাসপাতালে ভিড় জমান। ওই ব্যক্তিকে হাসপাতালে আনার পরপরই মারপিট শুরু করা হয়। হাসপাতালে উপস্থিত জেলা বিএনপির নেতাদেরও পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে বেগ পেতে হয়।

বগুড়া সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি)  সাইহান ওলিউল্লাহ বলেন, পুলিশ  সালমান হোসেন লেদুকে মুমূর্ষু অবস্থায় উদ্ধার করে হাসপাতালে পাঠানোর ব্যবস্থা করে। মিজান হত্যার পর থেকেই জড়িতদের গ্রেপ্তার করতে গোকুল এলাকায় পুলিশ ও সেনাবাহিনী অভিযান শুরু করেছে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত