Ajker Patrika

ভেসে আসিনি, রাজপথ থেকেই বঙ্গভবনে গিয়েছি: রাষ্ট্রপতি

পাবনা প্রতিনিধি
আপডেট : ১৬ মে ২০২৩, ২১: ০৭
ভেসে আসিনি, রাজপথ থেকেই বঙ্গভবনে গিয়েছি: রাষ্ট্রপতি

ভেসে আসিনি, রাজপথ থেকেই বঙ্গভবনে গিয়েছি বলে মন্তব্য করেছেন রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন। আজ মঙ্গলবার বিকেলে পাবনা সরকারি এডওয়ার্ড কলেজের মাঠে নাগরিক সমাজের সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে এ কথা বলেন রাষ্ট্রপতি। 

এ সময় রাষ্ট্রপতি বলেন, ‘আন্দোলনের নামে অস্থিতিশীলতা তৈরি দেশের জন্য কখনো মঙ্গলজনক হয় না। রাজনৈতিক হিংসা ভুলে আলোচনার মাধ্যমে সমাধান করতে হবে।’ 

আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে গত ১৪ বছরের নানা অগ্রগতি ও পূর্বের অবস্থা মূল্যায়ন করার আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, ‘বঙ্গবন্ধুকে হত্যার পর যাঁরা ক্ষমতায় এসেছেন, তাঁরা মুক্তিযুদ্ধের অসাম্প্রদায়িক চেতনা ধ্বংস করেছিলেন। কিন্তু পরবর্তী সময়ে বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনার নেতৃত্বে অসাম্প্রদায়িক চেতনা আবার ফিরে এসেছে।’ 

রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন বলেন, ‘পদ্মা সেতু নিয়ে সরকারকে রাজনৈতিকভাবে পরাস্ত করার ষড়যন্ত্র হয়েছিল। এটা দেশের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র ছিল। স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্বের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র ছিল। কিন্তু আমি শক্ত হাতে মোকাবিলা করেছি। আমি ভেসে আসিনি, একেবারে রাজপথ থেকেই বঙ্গভবনে গিয়েছি।’ 

রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন বলেন, ‘পাবনা এডওয়ার্ড কলেজের সঙ্গে জড়িয়ে আছে অনেক স্মৃতি। পাবনার আলো-বাতাস, প্রকৃতি-পরিবেশ ও সাধারণ মানুষের সঙ্গে মিলেমিশে আমি বেড়ে উঠেছি। তাই রাষ্ট্রপতি হওয়ার আগেও আমি আপনাদের ছিলাম, এখনো আমি আপনাদেরই আছি। ইনশা আল্লাহ ভবিষ্যতে আপনাদের লোক হিসেবেই বেঁচে থাকতে চাই। বঙ্গভবনে অবস্থান করলেও পাবনার কথা মনে আসলেই আমি স্মৃতিকাতর হয়ে পড়ি। আমি ১৯৬৭-৬৮ সালে এই কলেজের ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক ছিলাম। পরে ছাত্রলীগের সহসভাপতি ও সভাপতিও হয়েছিলাম। তখন প্রতিকূল পরিবেশে পাকিস্তানি শাসকগোষ্ঠীর রক্তচক্ষুকে উপেক্ষা করে অনেক ঘাত-প্রতিঘাত মোকাবিলা করে রাজনীতি করতে হয়েছিল। রাজনীতি করার সুবাদেই আমার আদর্শ, আমার নেতা বঙ্গবন্ধুর সঙ্গে আমার পরিচয় হয়।’ 

রাষ্ট্রপতি বলেন, ‘বঙ্গবন্ধুর সান্নিধ্য আর মমতামাখা স্পর্শ কখনোই ভুলে যাওয়ার নয়। একজন তরুণ ছাত্রনেতাকে কীভাবে মানুষের কল্যাণে নিয়োজিত হতে অনুপ্রাণিত করতে হয়, সেদিন আমি শিখেছিলাম এই মহান নেতার কাছ থেকে।’ 

তিনি বলেন, ‘জাতির পিতার নির্মম হত্যাকাণ্ডের প্রতিবাদে আমি এই পাবনা শহরে প্রতিরোধ মিছিলে নেতৃত্ব দিয়েছিলাম। ১৯৭৫ সালের ২০ আগস্ট আমাকে গ্রেপ্তার করে সেনা ক্যাম্পে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে টানা তিন মাস চলে অসহ্য-অমানবিক নির্যাতন। তারপর তিন বছর কারাভোগের পর ১৯৭৮ সালে আমি কারাগার থেকে মুক্তি পাই।’ 

পাবনা সরকারি এডওয়ার্ড কলেজ মাঠের সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন। ছবি: আজকের পত্রিকারাষ্ট্রপতি তাঁর বক্তব্যে বলেন, ‘দেশের রাষ্ট্রপতি হব, এটা কখনো ভাবিনি। কিন্তু ভাগ্য আজ আমাকে রাষ্ট্রপতির পদে বসিয়েছে। আপনাদের দোয়া আর ভালোবাসা ছিল বলেই আমি এ পর্যন্ত আসতে পেরেছি। আপনাদের ভালোবাসাকে সঙ্গী করেই রাষ্ট্রপতি পদের দায়িত্ব পালন করে যেতে চাই। এ জন্য আপনাদের দোয়া ও সহযোগিতা চাই। পাবনা জেলা ও দেশের উন্নয়নে আপনারা নিজ নিজ অবস্থান থেকে কার্যকর অবদান রাখবেন এটাই আমি প্রত্যাশা করি।’ 

রাষ্ট্রপতি বলেন, ‘বঙ্গবন্ধুর সুযোগ্য কন্যা মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর নেতৃত্বে বাংলাদেশ এরই মধ্যে স্বল্পোন্নত দেশ থেকে উন্নয়নশীল দেশের কাতারে শামিল হয়েছে। করোনা মহামারি ও রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের ফলে বিশ্ব অর্থনীতিতে মন্দা প্রভাব থাকা সত্ত্বেও প্রধানমন্ত্রীর প্রজ্ঞা ও গতিশীল নেতৃত্বে বাংলাদেশের অর্থনীতি স্থিতিশীল। মানুষের গড় আয়ু ও জীবযাত্রার মান বেড়েছে এবং বিভিন্ন উন্নয়নসূচকে বাংলাদেশ পার্শ্ববর্তী অনেক দেশ থেকে ভালো অবস্থায় অবস্থান করছে। উন্নয়নের এ ধারা অব্যাহত রাখতে মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় উদ্বুদ্ধ হয়ে ও বঙ্গবন্ধুর আদর্শ ধারণ করে প্রত্যেককে নিজ নিজ অবস্থান থেকে সক্রিয় ভূমিকা রাখতে হবে।’ 

এর আগে ৩টা ২৪ মিনিটে অনুষ্ঠানস্থলে উপস্থিত হন রাষ্ট্রপতি। এ সময় দাঁড়িয়ে করতালি দিয়ে তাঁকে বরণ করেন পাবনাবাসী। পবিত্র কোরআন তিলাওয়াতসহ ধর্মগ্রন্থ পাঠের মাধ্যমে বিকেল ৩টা ২৭ মিনিটে সংবর্ধনা অনুষ্ঠান শুরু হয়। অনুষ্ঠানে রাষ্ট্রপতির সহধর্মিণী ফার্স্ট লেডি ড. রেবেকা সুলতানা উপস্থিত ছিলেন। 

বীর মুক্তিযোদ্ধা বেবী ইসলামের সভাপতিত্বে নাগরিক সংবর্ধনা সভায় অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন ডেপুটি স্পিকার ও পাবনা-১ আসনের সংসদ সদস্য শামসুল হক টুকু, পাবনা-৫ আসনের সংসদ সদস্য গোলাম ফারুক প্রিন্স, পাবনা-৪ আসনের সংসদ সদস্য নুরুজ্জামান বিশ্বাস, পাবনা-৩ আসনের সংসদ সদস্য মকবুল হোসেন, পাবনা-২ আসনের সংসদ সদস্য আহমেদ ফিরোজ কবির, নারী সংরক্ষিত আসনে সংসদ সদস্য নাদিরা ইয়াসমিন জলি, পাবনা জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি রেজাউল রহিম লাল, নাগরিক কমিটির আহ্বায়ক  অঞ্জন চৌধুরী পিন্টু, সদস্যসচিব-১ অধ্যাপক শিবজিত নাগ, সদস্যসচিব-২ আব্দুল মতীন খান এবং পাবনা বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. হাফিজা খাতুন। 

এদিকে সংবর্ধনার পাশাপাশি রাষ্ট্রপতির কাছে পাবনাবাসীর দীর্ঘদিনের অপূর্ণ দাবিদাওয়া তুলে ধরেন বক্তারা। জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি রেজাউল রহিম লাল পাবনার মেডিকেল কলেজকে হাসপাতালে রূপান্তর, পাবনা-ঢাকা সরাসরি ট্রেন চালু, ঈশ্বরদী বিমানবন্দর চালুর দাবি করেন। সংরক্ষিত আসনের সংসদ সদস্য নাদিরা ইয়াসমিন জলি পাবনার কাজিরহাট, রাজবাড়ীর দৌলতদিয়া ও পাটুরিয়া দিয়ে ওয়াই প্যাটার্ন ব্রিজ এবং সরকারি এডওয়ার্ড কলেজকে পূর্ণাঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয়ের দাবি তুলে ধরেন। পাবনা-৪ আসনের সংসদ সদস্য নুরুজ্জামান বিশ্বাস ঈশ্বরদী সুগার মিল ও বিমানবন্দর চালুসহ বিভিন্ন দাবি তুলে ধরেন।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

জামায়াতে যোগ দিলেন বিএনপি থেকে পাঁচবার বহিষ্কৃত আখতারুজ্জামান

প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে বৈঠকে বিএনপি, জামায়াত ও এনসিপি

আজকের রাশিফল: চায়ের বিল না দেওয়া বন্ধুদের সাহায্য করুন, সন্ধ্যার দিকে ভালো খবর

ব্রিটেনে নাগরিকত্ব হারানোর ঝুঁকিতে কোটি মুসলিম, বেশির ভাগই বাংলাদেশ-ভারত-পাকিস্তানের

মা-বাবাকে নির্যাতন, ছেলেকে কোমর পর্যন্ত মাটিতে পুঁতে রাখল প্রতিবেশীরা

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

অবশেষে সেই শখের হাঁসটি নারীকে ফেরত দিলেন এনজিও কর্মকর্তারা

আগৈলঝাড়া (বরিশাল) প্রতিনিধি 
হাফিজা খানমকে হাঁস ফেরত দেন এনজিওর কর্মকর্তা। ছবি: আজকের পত্রিকা
হাফিজা খানমকে হাঁস ফেরত দেন এনজিওর কর্মকর্তা। ছবি: আজকের পত্রিকা

কিস্তির টাকা না পেয়ে নিয়ে যাওয়া সেই চিনা হাঁসটি অবশেষে হাফিজা খানমকে ফেরত দিয়েছেন টিএমএসএস এনজিওর কর্মকর্তারা। আজ শনিবার দুপুরে হাফিজার বাড়িতে এসে তারা হাঁসটি ফেরত দিয়ে যান। একই সঙ্গে হাঁসটি যিনি নিয়ে গিয়েছিলেন, সেই এনজিও কর্মীকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে।

বরিশালের আগৈলঝাড়ায় বাকাল ইউনিয়নের ফুল্লশ্রী গ্রামের নারী হাফিজা। ঠেঙ্গামারা মহিলা সবুজ সংঘের (টিএমএসএস) সদস্য তিনি। এনজিওটি থেকে ৬০ হাজার টাকা ঋণ নিয়ে ছিলেন তিনি। গত মঙ্গলবার বিকেলে কিস্তির টাকা না পেয়ে তার বাড়ি থেকে একটি চিনা হাঁস নিয়ে যান এনজিওর কর্মী ফিরোজ খাঁন। হাফিজার স্কুলপড়ুয়া মেয়ে শখ করে হাঁসটি পালত। এটি নিয়ে ‘শখের হাঁসটি ধরে নিয়ে গেলেন এনজিও কর্মীরা’ শিরোনামে আজকের পত্রিকায় সংবাদ প্রকাশিত হয়। এ ঘটনায় নড়েচড়ে বসে এনজিওটির কর্মকর্তারা।

টিএমএসএস এনজিওর বরিশাল বিভাগীয় প্রশাসনিক কর্মকর্তা মো. সফিউর রহমান, মাদারীপুর জোনাল কর্মকর্তা মো. মিজানুর রহমান, বরিশাল জোনাল কর্মকর্তা আবুল কালাম আজাদসহ চারজন কর্মকর্তা তদন্তের জন্য হাফিজার বাড়িতে আসেন। তাঁরা হাফিজা খানম, তাঁর স্বামী মুরাদ হোসেন ও স্থানীয়দের সঙ্গে এই বিষয়ে কথা বলেন। এই ঘটনায় অভিযুক্ত মাঠকর্মী ফিরোজ খানকে গত বৃহস্পতিবার সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে।

হাঁসটি ফেরত পেয়ে হাফিজা বলেন, ‘আমার মেয়ের শখের হাঁসটি ফেরত পেয়ে আমি ও আমার পরিবারের সবাই খুশি হয়েছি।’

এ ব্যাপারে টিএমএসএসের এনজিওর ম্যানেজার মো. রাজেক ইসলাম বলেন, ‘হাফিজা খানমের বাড়ি থেকে ধরে নেওয়া হাঁসটি আজ দুপুরে ফেরত দিয়েছি। মাঠকর্মী ফিরোজ খানকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

জামায়াতে যোগ দিলেন বিএনপি থেকে পাঁচবার বহিষ্কৃত আখতারুজ্জামান

প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে বৈঠকে বিএনপি, জামায়াত ও এনসিপি

আজকের রাশিফল: চায়ের বিল না দেওয়া বন্ধুদের সাহায্য করুন, সন্ধ্যার দিকে ভালো খবর

ব্রিটেনে নাগরিকত্ব হারানোর ঝুঁকিতে কোটি মুসলিম, বেশির ভাগই বাংলাদেশ-ভারত-পাকিস্তানের

মা-বাবাকে নির্যাতন, ছেলেকে কোমর পর্যন্ত মাটিতে পুঁতে রাখল প্রতিবেশীরা

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

নেত্রকোনায় লরি-মোটরসাইকেলের সংঘর্ষ, নিহত ১

নেত্রকোনা প্রতিনিধি
প্রতীকী ছবি
প্রতীকী ছবি

নেত্রকোনার কলমাকান্দায় ইটবোঝাই লরির সঙ্গে মোটরসাইকেলের মুখোমুখি সংঘর্ষে এক নারী নিহত হয়েছেন। আজ শনিবার (১৩ ডিসেম্বর) বেলা সাড়ে ৩টার দিকে কলমাকান্দা পূর্ববাজার এলাকায় এ দুর্ঘটনা ঘটে।

নিহত রোকেয়া আক্তার (৪৫) উপজেলার রংছাতি ইউনিয়নের রামনাথপুর গ্রামের বাসিন্দা। তিনি আব্দুল জব্বারের স্ত্রী।

স্থানীয়দের বরাতে কলমাকান্দা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. সিদ্দিক হোসেন জানান, রোকেয়া আক্তার তাঁর মেয়ে সাদিয়া আক্তারকে নিয়ে ঢাকা থেকে বাড়ি যাচ্ছিলেন। প্রথমে তিনি মেয়েকে নিয়ে ঢাকা থেকে বাসে করে কলমাকান্দা সদরে পৌঁছান।

পরে তিনি মেয়েকে নিয়ে কলমাকান্দা বাজারের রেন্টিতলা মোড় থেকে ভাড়ায় মোটরসাইকেলে চড়ে রামনাথপুরে নিজ বাড়ির উদ্দেশে রওনা হন। পথে কলমাকান্দা পূর্ববাজার এলাকায় বিপরীত দিক থেকে আসা ইটবোঝাই একটি লরির সঙ্গে মোটরসাইকেলের মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়।

এতে রোকেয়া আক্তার মোটরসাইকেল থেকে ছিটকে পড়ে লরির চাকায় চাপা পড়েন। এ সময়  ঘটনাস্থলেই তিনি মারা যান। বিষয়টি তদন্ত করে প্রয়োজনীয় আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে বলে জানান ওসি।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

জামায়াতে যোগ দিলেন বিএনপি থেকে পাঁচবার বহিষ্কৃত আখতারুজ্জামান

প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে বৈঠকে বিএনপি, জামায়াত ও এনসিপি

আজকের রাশিফল: চায়ের বিল না দেওয়া বন্ধুদের সাহায্য করুন, সন্ধ্যার দিকে ভালো খবর

ব্রিটেনে নাগরিকত্ব হারানোর ঝুঁকিতে কোটি মুসলিম, বেশির ভাগই বাংলাদেশ-ভারত-পাকিস্তানের

মা-বাবাকে নির্যাতন, ছেলেকে কোমর পর্যন্ত মাটিতে পুঁতে রাখল প্রতিবেশীরা

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

দুই বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থী নিহতের ঘটনায় ময়লার গাড়ির চালক কারাগারে

শ্যামপুর-কদমতলী (ঢাকা) প্রতিনিধি 
গ্রেপ্তার চালক মো. রফিকুল ইসলাম (৫০)। ছবি: আজকের পত্রিকা
গ্রেপ্তার চালক মো. রফিকুল ইসলাম (৫০)। ছবি: আজকের পত্রিকা

রাজধানীর ডেমরায় ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের (ডিএসসিসি) ময়লাবাহী গাড়ির ধাক্কায় দুই বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থী নিহতের ঘটনায় গ্রেপ্তার চালক মো. রফিকুল ইসলামকে (৫০) কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দিয়েছেন আদালত। আজ শনিবার বিকেলে ঢাকা চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালত এই নির্দেশ দেন।

এর আগে, গতকাল শুক্রবার গভীর রাতে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে নারায়ণগঞ্জের বন্দর থানা এলাকা থেকে তাঁকে গ্রেপ্তার করে ডেমরা থানা-পুলিশ।

এ ঘটনায় নিহত তাহসিন ইসলাম তপুর চাচা মো. মেহেদী হাসান শুক্রবার বিকেলে ডেমরা থানায় মামলা করেন। গ্রেপ্তার রফিকুল ইসলাম কুমিল্লার মেঘনা থানার গোবিন্দপুর গ্রামের আবেদ আলী ব্যাপারীর ছেলে। বর্তমানে রাজধানীর মতিঝিল আর কে মিশন রোড ৯৭/২ গোপীবাগের বাসিন্দা তিনি। গত শুক্রবার (১২ ডিসেম্বর) ভোর সাড়ে ৪টার দিকে ধার্মিকপাড়া এলাকার মিনি কক্সবাজার সড়কে এ দুর্ঘটনা ঘটে।

নিহত শিক্ষার্থীরা হলেন আইইউবির শিক্ষার্থী তাহসিন ইসলাম তপু (২২) চাঁদপুরের মতলব উত্তর থানার ছোট কিনাচর গ্রামের মৃত জহিরুল ইসলামের ছেলে। অপরজন ইউআইইউর শিক্ষার্থী গাজী ইরাম রিদওয়ান (২৪) নারায়ণগঞ্জের সদর থানার মিজমিজি খদ্দঘোষপাড়া কান্দাপাড়া গ্রামের জিএম হাবিব উল্লাহর ছেলে।

পুলিশ ও প্রত্যক্ষদর্শীদের সূত্রে জানা যায়, বন্ধুর বড় ভাইয়ের বিয়ের গায়েহলুদ অনুষ্ঠান শেষে মোটরসাইকেলে করে ফেরার পথে ডিএসসিসির ময়লাবাহী গাড়িটি (ঢাকা মেট্রো-শ-১৪-০৫৭৪) বেপরোয়া গতিতে চালালে মোটরসাইকেলটির সঙ্গে মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়। এতে মোটরসাইকেলে থাকা দুই আরোহী গুরুতর আহত হন। এ সময় তাঁদের সঙ্গের বন্ধুরা উদ্ধার ঢামেক হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাহসিন ইসলাম তপুকে প্রথমে মৃত ঘোষণা করেন। পরে গাজী ইরাম রিদওয়ানের চিকিৎসাধীন অবস্থায় সাড়ে ৫টায় মৃত্যু হয়।

এদিকে দুর্ঘটনার পরই গাড়ির চালক ঘটনাস্থল থেকে পালিয়ে যায়। পরে ডেমরা থানা-পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে ময়লাবাহী গাড়ি ও মোটরসাইকেল জব্দ করে।

এ বিষয়ে ডেমরা থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) মো. মুরাদ হোসেন বলেন, ‘মর্মান্তিক এ দুর্ঘটনার পরে মামলা নিয়ে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে দ্রুত সময়ের মধ্যে আসামিকে গ্রেপ্তার করেছি। পরে আদালত তাকে শনিবার বিকেলে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

জামায়াতে যোগ দিলেন বিএনপি থেকে পাঁচবার বহিষ্কৃত আখতারুজ্জামান

প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে বৈঠকে বিএনপি, জামায়াত ও এনসিপি

আজকের রাশিফল: চায়ের বিল না দেওয়া বন্ধুদের সাহায্য করুন, সন্ধ্যার দিকে ভালো খবর

ব্রিটেনে নাগরিকত্ব হারানোর ঝুঁকিতে কোটি মুসলিম, বেশির ভাগই বাংলাদেশ-ভারত-পাকিস্তানের

মা-বাবাকে নির্যাতন, ছেলেকে কোমর পর্যন্ত মাটিতে পুঁতে রাখল প্রতিবেশীরা

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

রাকসুর জিএসকে ‘হত্যার হুমকি’ দিয়ে নিষিদ্ধ ছাত্রলীগ নেতার ফেসবুক পোস্ট

রাবি প্রতিনিধি  
আসাদুল্লা-হিল-গালিব । ছবি: সংগৃহীত
আসাদুল্লা-হিল-গালিব । ছবি: সংগৃহীত

রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদের (রাকসু) সাধারণ সম্পাদক (জিএস) সালাহউদ্দিন আম্মারকে ‘হত্যার হুমকি’ দিয়েছেন নিষিদ্ধ সংগঠন ছাত্রলীগের রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় (রাবি) শাখার সাধারণ সম্পাদক আসাদুল্লা-হিল-গালিব।

শুক্রবার (১২ ডিসেম্বর) নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক অ্যাকাউন্টে এক পোস্টে তিনি এ হুমকি দেন। ওই পোস্টে সম্মতি জানিয়েছেন রাবি শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি মোস্তাফিজুর রহমান বাবু।

ফেসবুক পোস্টে ডাকসুর ভিপি সাদিক কায়েম ও বিএনপি নেতা মির্জা আব্বাসের ছবি পোস্ট করে ক্যাপশনে আসাদুল্লা-হিল-গালিব লেখেন, ‘দয়া করে আমার ক্যাম্পাসটাকে কেউ কিছু করবেন না, অনুরোধ রইল। ওইটা শুধু আমার আর আমার ভাই মোস্তাফিজুর রহমান বাবুর ভাগ।’

পোস্টে রাকসু জিএস সালাহউদ্দিন আম্মারকে উদ্দেশ করে তিনি লেখেন, ‘ছোটভাই, প্রটেকশন বাড়াও। ৮০ সিসি বাইক নিয়ে একা একা ঘোরাঘুরি করো না। আর তোমার আব্বা সাদিক কায়েম হেলিকপ্টারে যাতায়াত করে, তুমি অন্তত প্লেনে ঢাকা যাবা। তা নাহলে যমুনার আগে ও পরে একটা কিছু হলেও হতে পারে। আমি চাই তুমি বেঁচে থাকো, অনেক হিসাব আছে।’

ওই পোস্টে মন্তব্য করেছেন রাবি শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি মোস্তাফিজুর রহমান বাবু। মন্তব্যে মোস্তাফিজুর রহমান বাবু লেখেন, ‘আল্লাহর কাছে দোয়া করো যেন ওকে বাঁচিয়ে রাখে।’

এ বিষয়ে প্রতিক্রিয়ায় রাকসু জিএস সালাহউদ্দিন আম্মার বলেন, ‘পোস্টটি আমি এখনো দেখি নাই। তবে একজনের মাধ্যমে বিষয়টি জেনেছি। আওয়ামী লীগ ও ছাত্রলীগ সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন পেজ থেকে মাঝেমধ্যেই এ ধরনের পোস্ট করে বলা হয়—নেক্সট টার্গেট আমি। এগুলো আমার কাছে খুব একটা কনসার্নের বিষয় না।’

আম্মার বলেন, ‘আল্লাহর দেওয়া জান আল্লাহই নিয়ে যাবেন। এ জন্য আমি ঘর থেকে বের হবো না বা প্রোটোকল বাড়াবো, এমন কিছু না। আমি এ ধরনের হুমকিতে ন্যূনতম ভীত-সন্ত্রস্ত নই। আমি আমার কাজ করে যেতে চাই।’

গালিবের প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘ছাত্রলীগ ক্ষমতায় থাকাকালীনও তার কোনো পাওয়ার ছিল না। এরকম একজনের পোস্টকে গুরুত্ব দেওয়া মানেই তাকে গুরুত্ব দেওয়া। তাই এসব হুমকিতে ভীত হওয়াটা আমার জন্য সময়ের অপচয়।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

জামায়াতে যোগ দিলেন বিএনপি থেকে পাঁচবার বহিষ্কৃত আখতারুজ্জামান

প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে বৈঠকে বিএনপি, জামায়াত ও এনসিপি

আজকের রাশিফল: চায়ের বিল না দেওয়া বন্ধুদের সাহায্য করুন, সন্ধ্যার দিকে ভালো খবর

ব্রিটেনে নাগরিকত্ব হারানোর ঝুঁকিতে কোটি মুসলিম, বেশির ভাগই বাংলাদেশ-ভারত-পাকিস্তানের

মা-বাবাকে নির্যাতন, ছেলেকে কোমর পর্যন্ত মাটিতে পুঁতে রাখল প্রতিবেশীরা

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত