গনেশ দাস, বগুড়া
ফুটপাতে খিচুড়ি বিক্রি করে ছয়জনের সংসার চালান জাকিরুল ইসলাম মিঠু (৩৬)। এর পাশাপাশি সপ্তাহে এক দিন টাকা ছাড়াই ৫০ থেকে ৬০ জন ভিক্ষুককে একবেলা খিচুড়ি খাওয়ান। এর সঙ্গে থাকে ডিম ভাজি, আলু অথবা বেগুন ভর্তা।
২৮ বছর আগে ভিক্ষুকদের টাকা ছাড়াই খাওয়ানোর রেওয়াজ চালু করেছিলেন মিঠুর শ্বশুর এনায়েত খান আলম। ২০১৭ সালে তিনি মারা যান। এরপর শ্বশুরের ব্যবসাসহ সংসারের হাল ধরেন মিঠু। সেই থেকে পরিবারের দায়িত্ব তাঁর কাঁধে।
বগুড়া শহরের খোকন পার্কসংলগ্ন জেলা ডাকঘরের উত্তরের দেয়ালঘেঁষে ফুটপাতে মিঠুর দোকান। প্রতিদিন সকাল ৭টার মধ্যে বড় হাঁড়িতে করে বাড়ি থেকে রান্না করা খিচুড়ি নিয়ে আসেন বিক্রি করতে। রিকশাচালক ছাড়াও মূলত শ্রমজীবী মানুষই তাঁর দোকানের কাস্টমার।
সপ্তাহের প্রতি বৃহস্পতিবার বেলা আড়াইটা থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত মিঠুর ফুটপাতের দোকানে খেতে আসেন শহরে ভিক্ষা করে জীবিকা নির্বাহ করেন—এমন নারী ও পুরুষ। দোকানে আসা সবাইকে পর্যায়ক্রমে কাঠের বেঞ্চে বসিয়ে নিজ হাতে খাবার পরিবেশন করেন মিঠু।
তাঁর দোকানে প্রতি প্লেট খিচুড়ি ২০ টাকায় বিক্রি করা হয়। এর সঙ্গে ডিম খেতে চাইলে ২০ টাকা এবং ভর্তা নিতে চাইলে আরও ১০ টাকা দিতে হয়।
মিঠু জানান, তাঁর শ্বশুর এনায়েত খান আলম ফুটপাতে খিচুড়ি বিক্রি করতেন। সাত বছর আগে তিনি মারা যান। এরপর মিঠু শহরের বৃন্দাবনপাড়ায় নিজের বাড়ি ছেড়ে শহরতলির বড়িয়া গ্রামে বাস শুরু করে শ্বশুরের দোকান পরিচালনা করেন। শ্বশুর স্মৃতি ধরে রাখতে তিনিও চালু রেখেছেন ভিক্ষুকদের টাকা ছাড়াই খাওয়ানো। তাঁর পরিবারে স্ত্রী, দুই সন্তান এক শ্যালিকা এবং শাশুড়ি রয়েছেন।
মিঠুর দোকানে খেতে এসেছিলেন কাহালুর জামতলা গ্রামের খোবজান বেওয়া। তিনি জানান, ভিক্ষা করার ফাঁকে তাঁরা মিঠুর দোকানে টাকা ছাড়াই খিচুড়ি সঙ্গে ডিম ভাজি ও ভর্তা দিয়ে পেট পুরে খান।
সোনাতলার পাকুল্যা গ্রামের জরিনা বেওয়া জানান, তাঁর স্বামী মারা যাওয়ার পর ১২-১৩ বছর ধরে তিনি শহরে ভিক্ষা করেন। আগে মিঠুর শ্বশুর বেঁচে থাকতেও তিনি এই দোকানে খেয়েছেন। তখন মাঝেমধ্যে মাছ-মাংস থাকলেও এখন সব জিনিসের দাম বেশি হওয়ায় মাছ-মাংসের পরিবর্তে ডিম আর ভর্তা খাওয়াচ্ছেন বলে জানান মিঠুর দোকানে খেতে আসা ভিক্ষুকেরা।
মিঠু আজকের পত্রিকাকে জানান, প্রতি বৃহস্পতিবার বেলা আড়াইটার পর দোকানে বিক্রি বন্ধ করে দেন। ওই দিন ভিক্ষুকদের জন্য অতিরিক্ত ১০ কেজি চাল এবং ডাল দিয়ে খিচুড়ি রান্না করে নিয়ে আসেন। সঙ্গে থাকে ডিম ভাজি, আলু বা বেগুন ভর্তা। এ ব্যবসা করে ছয়জনের সংসার চালানো কষ্ট হলেও ভিক্ষুকদের খাওয়ানো অব্যাহত রাখবেন বলে জানান তিনি।
তিনি আরও বলেন, ‘আমি নিজেও গরিব মানুষ; এর মধ্যেই ভিক্ষুকদের খাওয়াতে পেরে মানসিক শান্তি পাই। পাশাপাশি আমার শ্বশুরের আত্মাও শান্তি পায়।’
ফুটপাতে খিচুড়ি বিক্রি করে ছয়জনের সংসার চালান জাকিরুল ইসলাম মিঠু (৩৬)। এর পাশাপাশি সপ্তাহে এক দিন টাকা ছাড়াই ৫০ থেকে ৬০ জন ভিক্ষুককে একবেলা খিচুড়ি খাওয়ান। এর সঙ্গে থাকে ডিম ভাজি, আলু অথবা বেগুন ভর্তা।
২৮ বছর আগে ভিক্ষুকদের টাকা ছাড়াই খাওয়ানোর রেওয়াজ চালু করেছিলেন মিঠুর শ্বশুর এনায়েত খান আলম। ২০১৭ সালে তিনি মারা যান। এরপর শ্বশুরের ব্যবসাসহ সংসারের হাল ধরেন মিঠু। সেই থেকে পরিবারের দায়িত্ব তাঁর কাঁধে।
বগুড়া শহরের খোকন পার্কসংলগ্ন জেলা ডাকঘরের উত্তরের দেয়ালঘেঁষে ফুটপাতে মিঠুর দোকান। প্রতিদিন সকাল ৭টার মধ্যে বড় হাঁড়িতে করে বাড়ি থেকে রান্না করা খিচুড়ি নিয়ে আসেন বিক্রি করতে। রিকশাচালক ছাড়াও মূলত শ্রমজীবী মানুষই তাঁর দোকানের কাস্টমার।
সপ্তাহের প্রতি বৃহস্পতিবার বেলা আড়াইটা থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত মিঠুর ফুটপাতের দোকানে খেতে আসেন শহরে ভিক্ষা করে জীবিকা নির্বাহ করেন—এমন নারী ও পুরুষ। দোকানে আসা সবাইকে পর্যায়ক্রমে কাঠের বেঞ্চে বসিয়ে নিজ হাতে খাবার পরিবেশন করেন মিঠু।
তাঁর দোকানে প্রতি প্লেট খিচুড়ি ২০ টাকায় বিক্রি করা হয়। এর সঙ্গে ডিম খেতে চাইলে ২০ টাকা এবং ভর্তা নিতে চাইলে আরও ১০ টাকা দিতে হয়।
মিঠু জানান, তাঁর শ্বশুর এনায়েত খান আলম ফুটপাতে খিচুড়ি বিক্রি করতেন। সাত বছর আগে তিনি মারা যান। এরপর মিঠু শহরের বৃন্দাবনপাড়ায় নিজের বাড়ি ছেড়ে শহরতলির বড়িয়া গ্রামে বাস শুরু করে শ্বশুরের দোকান পরিচালনা করেন। শ্বশুর স্মৃতি ধরে রাখতে তিনিও চালু রেখেছেন ভিক্ষুকদের টাকা ছাড়াই খাওয়ানো। তাঁর পরিবারে স্ত্রী, দুই সন্তান এক শ্যালিকা এবং শাশুড়ি রয়েছেন।
মিঠুর দোকানে খেতে এসেছিলেন কাহালুর জামতলা গ্রামের খোবজান বেওয়া। তিনি জানান, ভিক্ষা করার ফাঁকে তাঁরা মিঠুর দোকানে টাকা ছাড়াই খিচুড়ি সঙ্গে ডিম ভাজি ও ভর্তা দিয়ে পেট পুরে খান।
সোনাতলার পাকুল্যা গ্রামের জরিনা বেওয়া জানান, তাঁর স্বামী মারা যাওয়ার পর ১২-১৩ বছর ধরে তিনি শহরে ভিক্ষা করেন। আগে মিঠুর শ্বশুর বেঁচে থাকতেও তিনি এই দোকানে খেয়েছেন। তখন মাঝেমধ্যে মাছ-মাংস থাকলেও এখন সব জিনিসের দাম বেশি হওয়ায় মাছ-মাংসের পরিবর্তে ডিম আর ভর্তা খাওয়াচ্ছেন বলে জানান মিঠুর দোকানে খেতে আসা ভিক্ষুকেরা।
মিঠু আজকের পত্রিকাকে জানান, প্রতি বৃহস্পতিবার বেলা আড়াইটার পর দোকানে বিক্রি বন্ধ করে দেন। ওই দিন ভিক্ষুকদের জন্য অতিরিক্ত ১০ কেজি চাল এবং ডাল দিয়ে খিচুড়ি রান্না করে নিয়ে আসেন। সঙ্গে থাকে ডিম ভাজি, আলু বা বেগুন ভর্তা। এ ব্যবসা করে ছয়জনের সংসার চালানো কষ্ট হলেও ভিক্ষুকদের খাওয়ানো অব্যাহত রাখবেন বলে জানান তিনি।
তিনি আরও বলেন, ‘আমি নিজেও গরিব মানুষ; এর মধ্যেই ভিক্ষুকদের খাওয়াতে পেরে মানসিক শান্তি পাই। পাশাপাশি আমার শ্বশুরের আত্মাও শান্তি পায়।’
গোপালগঞ্জ শহরের চেচানিয়াকান্দি এলাকায় প্রেমানন্দ হালদার (৮০) নামের এক বৃদ্ধ ট্রাকচাপায় নিহত হয়েছেন। তাঁর বাড়ি কোটালীপাড়া উপজেলার ভেন্নাবাড়ি গ্রামে। সদর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মীর মোহাম্মদ সাজেদুর ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।
৯ মিনিট আগেজাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় শিক্ষার্থী সংসদ (জাকসু) ও হল সংসদ নির্বাচন আগামীকাল বৃহস্পতিবার (১১ সেপ্টেম্বর)। ইতিমধ্যে শেষ হয়েছে ভোটের প্রচার। সকাল ৯টা থেকে বিকেল ৫টা পর্যন্ত বিরতিহীনভাবে চলবে ভোট গ্রহণ। এরপর একই দিনে ফলাফল ঘোষণা করা হবে বলে জানিয়েছে নির্বাচন কমিশন। জাকসু ও হল সংসদ নির্বাচনে
২ ঘণ্টা আগেমিরসরাইয়ে বাবার ছুরিকাঘাতে বিশ্ববিদ্যালয়পড়ুয়া ছাত্রের মৃত্যুর অভিযোগ উঠেছে। আজ বুধবার উপজেলার মায়ানি ইউনিয়নের পশ্চিম মায়ানি ঘড়ি মার্কেট এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
২ ঘণ্টা আগেনরসিংদীর শিবপুরে তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে দুই ভাইকে কুপিয়ে হত্যার অভিযোগ উঠেছে আপন চাচা ও চাচাতো ভাইদের বিরুদ্ধে। ঘটনাটি ঘটেছে আজ বুধবার (১০ সেপ্টেম্বর) সন্ধ্যায় উপজেলার চক্রধা ইউনিয়নের বৈলাব গ্রামে। নিহত ব্যক্তিরা হলেন সোহাগ (৪০) ও তাঁর ভাই রানা (৩৫)।
৩ ঘণ্টা আগে