চারঘাট (চাঁপাইনবাবগঞ্জ) প্রতিনিধি
গত দুই মৌসুমের মতো এবারও ম্যাঙ্গো স্পেশাল ট্রেনে আম পরিবহনের উদ্যোগ নিয়েছে রেল কর্তৃপক্ষ। চাঁপাইনবাবগঞ্জ ও রাজশাহী থেকে ঢাকার উদ্দেশ্যে আম নিয়ে প্রতিদিন ছেড়ে যাচ্ছে এ ট্রেন। সড়কপথের যানবাহনের তুলনায় কম খরচে আম ও কৃষিজাত পণ্য পরিবহন করা যাচ্ছে স্পেশাল এ ট্রেনে। তবে ম্যাঙ্গো স্পেশাল ট্রেন ব্যবহারে চারঘাটের আম চাষি ও বড় ব্যবসায়ীদের তেমন আগ্রহ দেখা যাচ্ছে না।
সংশ্লিষ্টরা মনে করছেন, মূলত প্রচার প্রচারণার অভাব ও ঝক্কি-ঝামেলার কারণে আম চাষি ও বড় ব্যবসায়ীদের কাছ থেকে আশানুরূপ সাড়া পাচ্ছে না এ ট্রেন সার্ভিস।
চারঘাট-বাঘার আম বেশ বিখ্যাত। সমগ্র রাজশাহী জেলায় আম বাগান রয়েছে ১৭ হাজার ৯৪৩ হেক্টর জমিতে। এর মধ্যে চারঘাট-বাঘা দুই উপজেলা মিলে বাগান রয়েছে ১২ হাজার ২১৮ হেক্টর জমিতে। যা পুরো রাজশাহী জেলার প্রায় দুই তৃতীয়াংশ। এ দুই উপজেলার অধিকাংশ আম বিক্রির উদ্দেশ্যে ঢাকায় পাঠান চাষি ও ব্যবসায়ীরা।
সরেজমিন চারঘাট-বাঘা উপজেলার বিভিন্ন এলাকা ঘুরে দেখা গেছে, প্রতিদিনই হাজার হাজার ক্যারেট আম ট্রাক লোড হয়ে সড়কপথে ঢাকায় যাচ্ছে। আড়তগুলোর সামনে ছোট বড় ট্রাক দাঁড়িয়ে রয়েছে। অথচ সড়কপথের যানবাহনের তুলনায় কম খরচেও কৃষক ও বড় ব্যবসায়ীদের ম্যাঙ্গো স্পেশাল ট্রেনের প্রতি আগ্রহ নেই।
চারঘাটের সরদহ রেলওয়ে স্টেশন সূত্রে জানা যায়, গত ১৩ জুন ম্যাঙ্গো স্পেশাল ট্রেনে চারঘাটের প্রথম চালান ঢাকায় যায়। এরপর আজ শনিবার পর্যন্ত ৬ দিনে সরদহ স্টেশন থেকে আমের বুকিং হয়েছে মাত্র সাড়ে ৪ টন। আম বুকিংয়ে আম চাষি ও বড় ব্যবসায়ীদের তেমন একটা আগ্রহ দেখা যাচ্ছে না। অনলাইন আম ব্যবসায়ী ও আত্মীয়স্বজনের কাছে আম পাঠাতেই ম্যাঙ্গো স্পেশাল ট্রেনে আম বুকিং করছেন স্থানীয়রা।
চারঘাটের আমবাগান মালিক শফিকুল ইসলাম বলেন, ‘আমার বাগান উপজেলার রাওথা এলাকায়। এখান থেকে রেলস্টেশন প্রায় ১৫ কিলোমিটার। এতটা পথ ট্রাকে করে আম নিয়ে যেতে হবে। আবার ট্রেনে আম তোলার জন্য ক্যারেট প্রতি ১০ টাকা কুলি খরচ। সেই আম কমলাপুর নামার পর আবার কুলির খরচ। সেখানে থেকে ট্রাকে করে আড়তে নিতে আবারও খরচ। রাতের মধ্যেই সব আম আনলোড করতে না পারলে দিনে ট্রাক ঢুকতে দেওয়া হয় না সেখানে। এসব দিক বিবেচনা করলে ট্রেনের চেয়ে ট্রাকে আম পরিবহন করা অনেক সহজ এবং সহজলভ্য।’
চারঘাট সদরের আম ব্যবসায়ী জিল্লুর রহমান বলেন, ‘ট্রেনে কেজি প্রতি আম পরিবহনে খরচ হয় ১ টাকা ১৮ পয়সা। চারঘাট থেকে ট্রাকে এক ক্যারেট আম ঢাকায় পাঠাতে আমাদের খরচ হয় ৬০-৭০ টাকা। কেজিপ্রতি পড়ে ৩ টাকার মতো। রেলে আম পাঠালে খরচ সামান্য কম হলেও ঝক্কি-ঝামেলা অনেক বেশি। আম নিয়ে দুশ্চিন্তায় থাকতে হয়।’
এদিকে চারঘাটের ‘রাজশাহীর আম’ নামের অনলাইন আম ব্যবসায়ী শামীম রেজা বলেন, ‘গত মৌসুমের মতো এবারও অনলাইনে আমের ব্যবসা করছি। কুরিয়ার ভেদে ঢাকায় আম পাঠাতে কেজি প্রতি আমাদের খরচ হয় ১৭-২২ টাকা। কিন্তু ম্যাঙ্গো স্পেশাল ট্রেনে খরচ হয় মাত্র ১ টাকা ১৮ পয়সা। কুলি খরচ ও বাড়তি কিছু পরিশ্রম করা লাগলেও কুরিয়ারের চেয়ে ট্রেনে লাভ বেশি। আমের ট্রেন ঢাকার সব স্টেশনে থামে। সব মিলিয়ে ম্যাঙ্গো স্পেশাল ট্রেনে আমার মতো অনলাইন আম ব্যবসায়ীরা খুশি।’
ম্যাঙ্গো স্পেশাল ট্রেনের বিষয়ে সরদহ স্টেশন মাস্টার ইকবাল কবির বলেন, ‘আমাদের স্টেশনে প্রতিদিনই আমের বুকিং চলছে। কেজি প্রতি ১ টাকা ১৮ পয়সা। তবে গত দুই মৌসুমের চেয়ে এবার আম বুকিং কম। আমের উৎপাদনও এবার কম হয়েছে। স্টেশন থেকে দূরত্বের কৃষক ও ব্যবসায়ীদের আগ্রহ কম। কিন্তু যারা অনলাইন আম ব্যবসা করেন ও আত্মীয়স্বজনের কাছে যারা আম পাঠান তারা অনেকে আম বুকিং করছেন।’
গত দুই মৌসুমের মতো এবারও ম্যাঙ্গো স্পেশাল ট্রেনে আম পরিবহনের উদ্যোগ নিয়েছে রেল কর্তৃপক্ষ। চাঁপাইনবাবগঞ্জ ও রাজশাহী থেকে ঢাকার উদ্দেশ্যে আম নিয়ে প্রতিদিন ছেড়ে যাচ্ছে এ ট্রেন। সড়কপথের যানবাহনের তুলনায় কম খরচে আম ও কৃষিজাত পণ্য পরিবহন করা যাচ্ছে স্পেশাল এ ট্রেনে। তবে ম্যাঙ্গো স্পেশাল ট্রেন ব্যবহারে চারঘাটের আম চাষি ও বড় ব্যবসায়ীদের তেমন আগ্রহ দেখা যাচ্ছে না।
সংশ্লিষ্টরা মনে করছেন, মূলত প্রচার প্রচারণার অভাব ও ঝক্কি-ঝামেলার কারণে আম চাষি ও বড় ব্যবসায়ীদের কাছ থেকে আশানুরূপ সাড়া পাচ্ছে না এ ট্রেন সার্ভিস।
চারঘাট-বাঘার আম বেশ বিখ্যাত। সমগ্র রাজশাহী জেলায় আম বাগান রয়েছে ১৭ হাজার ৯৪৩ হেক্টর জমিতে। এর মধ্যে চারঘাট-বাঘা দুই উপজেলা মিলে বাগান রয়েছে ১২ হাজার ২১৮ হেক্টর জমিতে। যা পুরো রাজশাহী জেলার প্রায় দুই তৃতীয়াংশ। এ দুই উপজেলার অধিকাংশ আম বিক্রির উদ্দেশ্যে ঢাকায় পাঠান চাষি ও ব্যবসায়ীরা।
সরেজমিন চারঘাট-বাঘা উপজেলার বিভিন্ন এলাকা ঘুরে দেখা গেছে, প্রতিদিনই হাজার হাজার ক্যারেট আম ট্রাক লোড হয়ে সড়কপথে ঢাকায় যাচ্ছে। আড়তগুলোর সামনে ছোট বড় ট্রাক দাঁড়িয়ে রয়েছে। অথচ সড়কপথের যানবাহনের তুলনায় কম খরচেও কৃষক ও বড় ব্যবসায়ীদের ম্যাঙ্গো স্পেশাল ট্রেনের প্রতি আগ্রহ নেই।
চারঘাটের সরদহ রেলওয়ে স্টেশন সূত্রে জানা যায়, গত ১৩ জুন ম্যাঙ্গো স্পেশাল ট্রেনে চারঘাটের প্রথম চালান ঢাকায় যায়। এরপর আজ শনিবার পর্যন্ত ৬ দিনে সরদহ স্টেশন থেকে আমের বুকিং হয়েছে মাত্র সাড়ে ৪ টন। আম বুকিংয়ে আম চাষি ও বড় ব্যবসায়ীদের তেমন একটা আগ্রহ দেখা যাচ্ছে না। অনলাইন আম ব্যবসায়ী ও আত্মীয়স্বজনের কাছে আম পাঠাতেই ম্যাঙ্গো স্পেশাল ট্রেনে আম বুকিং করছেন স্থানীয়রা।
চারঘাটের আমবাগান মালিক শফিকুল ইসলাম বলেন, ‘আমার বাগান উপজেলার রাওথা এলাকায়। এখান থেকে রেলস্টেশন প্রায় ১৫ কিলোমিটার। এতটা পথ ট্রাকে করে আম নিয়ে যেতে হবে। আবার ট্রেনে আম তোলার জন্য ক্যারেট প্রতি ১০ টাকা কুলি খরচ। সেই আম কমলাপুর নামার পর আবার কুলির খরচ। সেখানে থেকে ট্রাকে করে আড়তে নিতে আবারও খরচ। রাতের মধ্যেই সব আম আনলোড করতে না পারলে দিনে ট্রাক ঢুকতে দেওয়া হয় না সেখানে। এসব দিক বিবেচনা করলে ট্রেনের চেয়ে ট্রাকে আম পরিবহন করা অনেক সহজ এবং সহজলভ্য।’
চারঘাট সদরের আম ব্যবসায়ী জিল্লুর রহমান বলেন, ‘ট্রেনে কেজি প্রতি আম পরিবহনে খরচ হয় ১ টাকা ১৮ পয়সা। চারঘাট থেকে ট্রাকে এক ক্যারেট আম ঢাকায় পাঠাতে আমাদের খরচ হয় ৬০-৭০ টাকা। কেজিপ্রতি পড়ে ৩ টাকার মতো। রেলে আম পাঠালে খরচ সামান্য কম হলেও ঝক্কি-ঝামেলা অনেক বেশি। আম নিয়ে দুশ্চিন্তায় থাকতে হয়।’
এদিকে চারঘাটের ‘রাজশাহীর আম’ নামের অনলাইন আম ব্যবসায়ী শামীম রেজা বলেন, ‘গত মৌসুমের মতো এবারও অনলাইনে আমের ব্যবসা করছি। কুরিয়ার ভেদে ঢাকায় আম পাঠাতে কেজি প্রতি আমাদের খরচ হয় ১৭-২২ টাকা। কিন্তু ম্যাঙ্গো স্পেশাল ট্রেনে খরচ হয় মাত্র ১ টাকা ১৮ পয়সা। কুলি খরচ ও বাড়তি কিছু পরিশ্রম করা লাগলেও কুরিয়ারের চেয়ে ট্রেনে লাভ বেশি। আমের ট্রেন ঢাকার সব স্টেশনে থামে। সব মিলিয়ে ম্যাঙ্গো স্পেশাল ট্রেনে আমার মতো অনলাইন আম ব্যবসায়ীরা খুশি।’
ম্যাঙ্গো স্পেশাল ট্রেনের বিষয়ে সরদহ স্টেশন মাস্টার ইকবাল কবির বলেন, ‘আমাদের স্টেশনে প্রতিদিনই আমের বুকিং চলছে। কেজি প্রতি ১ টাকা ১৮ পয়সা। তবে গত দুই মৌসুমের চেয়ে এবার আম বুকিং কম। আমের উৎপাদনও এবার কম হয়েছে। স্টেশন থেকে দূরত্বের কৃষক ও ব্যবসায়ীদের আগ্রহ কম। কিন্তু যারা অনলাইন আম ব্যবসা করেন ও আত্মীয়স্বজনের কাছে যারা আম পাঠান তারা অনেকে আম বুকিং করছেন।’
‘এই বর্ষা কি আর আগের মতো আছে?’ মাঠে কাজ করতে করতে প্রশ্নটা ছুড়ে দিলেন কৃষক মঈনুল ইসলাম। পাশে দাঁড়ানো আরেক কৃষক নজরুল ইসলাম উত্তর দিলেন, ‘এবার তো শ্যালোর পানি ছাড়া ধান বাঁচবে না। হামার কপালোত যে কী আছেম আল্লাহ জানে’।
৪ মিনিট আগেনীলফামারীর সৈয়দপুরে বিভিন্ন ফুটপাত ও রেলপথের পাশের অংশ দখল করে গড়ে উঠেছে ৫ শতাধিক অস্থায়ী দোকান। এসব দোকানের বেশির ভাগেই বৈধ বিদ্যুৎ-সংযোগ নেই। তবে দোকানগুলোতে দিনভর চলে বৈদ্যুতিক পাখা আর সন্ধ্যা হলেই জ্বলে ওঠে বাতি।
৯ মিনিট আগেপটুয়াখালী-কুয়াকাটা মহাসড়কের আমতলী উপজেলার শাখারিয়া থেকে বান্দ্রা পর্যন্ত ৩৭ কিলোমিটার অংশে রয়েছে ১৭টি বাঁক। এই বাঁকগুলো পরিণত হয়েছে মৃত্যুফাঁদে। সেখানে প্রতিনিয়ত ঘটছে দুর্ঘটনা। তারপর আহাজারিতে ভারী হয়ে উঠছে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের জরুরি বিভাগ।
৯ মিনিট আগেফরিদপুরের আলফাডাঙ্গায় গ্রামের বাড়িতে চিরনিদ্রায় শায়িত হলো রাজধানীর মাইলস্টোন স্কুল অ্যান্ড কলেজের তৃতীয় শ্রেণির ছাত্রী ১১ বছরের রাইসা মনি।
৪০ মিনিট আগে