Ajker Patrika

ম্যাঙ্গো ট্রেনে আগ্রহ নেই

চারঘাট (চাঁপাইনবাবগঞ্জ) প্রতিনিধি
আপডেট : ১৮ জুন ২০২২, ১৭: ৪৪
ম্যাঙ্গো ট্রেনে আগ্রহ নেই

গত দুই মৌসুমের মতো এবারও ম্যাঙ্গো স্পেশাল ট্রেনে আম পরিবহনের উদ্যোগ নিয়েছে রেল কর্তৃপক্ষ। চাঁপাইনবাবগঞ্জ ও রাজশাহী থেকে ঢাকার উদ্দেশ্যে আম নিয়ে প্রতিদিন ছেড়ে যাচ্ছে এ ট্রেন। সড়কপথের যানবাহনের তুলনায় কম খরচে আম ও কৃষিজাত পণ্য পরিবহন করা যাচ্ছে স্পেশাল এ ট্রেনে। তবে ম্যাঙ্গো স্পেশাল ট্রেন ব্যবহারে চারঘাটের আম চাষি ও বড় ব্যবসায়ীদের তেমন আগ্রহ দেখা যাচ্ছে না।   

সংশ্লিষ্টরা মনে করছেন, মূলত প্রচার প্রচারণার অভাব ও ঝক্কি-ঝামেলার কারণে আম চাষি ও বড় ব্যবসায়ীদের কাছ থেকে আশানুরূপ সাড়া পাচ্ছে না এ ট্রেন সার্ভিস। 

চারঘাট-বাঘার আম বেশ বিখ্যাত। সমগ্র রাজশাহী জেলায় আম বাগান রয়েছে ১৭ হাজার ৯৪৩ হেক্টর জমিতে। এর মধ্যে চারঘাট-বাঘা দুই উপজেলা মিলে বাগান রয়েছে ১২ হাজার ২১৮ হেক্টর জমিতে। যা পুরো রাজশাহী জেলার প্রায় দুই তৃতীয়াংশ। এ দুই উপজেলার অধিকাংশ আম বিক্রির উদ্দেশ্যে ঢাকায় পাঠান চাষি ও ব্যবসায়ীরা। 

সরেজমিন চারঘাট-বাঘা উপজেলার বিভিন্ন এলাকা ঘুরে দেখা গেছে, প্রতিদিনই হাজার হাজার ক্যারেট আম ট্রাক লোড হয়ে সড়কপথে ঢাকায় যাচ্ছে। আড়তগুলোর সামনে ছোট বড় ট্রাক দাঁড়িয়ে রয়েছে। অথচ সড়কপথের যানবাহনের তুলনায় কম খরচেও কৃষক ও বড় ব্যবসায়ীদের ম্যাঙ্গো স্পেশাল ট্রেনের প্রতি আগ্রহ নেই।  

চারঘাটের সরদহ রেলওয়ে স্টেশন সূত্রে জানা যায়, গত ১৩ জুন ম্যাঙ্গো স্পেশাল ট্রেনে চারঘাটের প্রথম চালান ঢাকায় যায়। এরপর আজ শনিবার পর্যন্ত ৬ দিনে সরদহ স্টেশন থেকে আমের বুকিং হয়েছে মাত্র সাড়ে ৪ টন। আম বুকিংয়ে আম চাষি ও বড় ব্যবসায়ীদের তেমন একটা আগ্রহ দেখা যাচ্ছে না। অনলাইন আম ব্যবসায়ী ও আত্মীয়স্বজনের কাছে আম পাঠাতেই ম্যাঙ্গো স্পেশাল ট্রেনে আম বুকিং করছেন স্থানীয়রা। 

চারঘাটের আমবাগান মালিক শফিকুল ইসলাম বলেন, ‘আমার বাগান উপজেলার রাওথা এলাকায়। এখান থেকে রেলস্টেশন প্রায় ১৫ কিলোমিটার। এতটা পথ ট্রাকে করে আম নিয়ে যেতে হবে। আবার ট্রেনে আম তোলার জন্য ক্যারেট প্রতি ১০ টাকা কুলি খরচ। সেই আম কমলাপুর নামার পর আবার কুলির খরচ। সেখানে থেকে ট্রাকে করে আড়তে নিতে আবারও খরচ। রাতের মধ্যেই সব আম আনলোড করতে না পারলে দিনে ট্রাক ঢুকতে দেওয়া হয় না সেখানে। এসব দিক বিবেচনা করলে ট্রেনের চেয়ে ট্রাকে আম পরিবহন করা অনেক সহজ এবং সহজলভ্য।’ 

চারঘাট সদরের আম ব্যবসায়ী জিল্লুর রহমান বলেন, ‘ট্রেনে কেজি প্রতি আম পরিবহনে খরচ হয় ১ টাকা ১৮ পয়সা। চারঘাট থেকে ট্রাকে এক ক্যারেট আম ঢাকায় পাঠাতে আমাদের খরচ হয় ৬০-৭০ টাকা। কেজিপ্রতি পড়ে ৩ টাকার মতো। রেলে আম পাঠালে খরচ সামান্য কম হলেও ঝক্কি-ঝামেলা অনেক বেশি। আম নিয়ে দুশ্চিন্তায় থাকতে হয়।’ 

এদিকে চারঘাটের ‘রাজশাহীর আম’ নামের অনলাইন আম ব্যবসায়ী শামীম রেজা বলেন, ‘গত মৌসুমের মতো এবারও অনলাইনে আমের ব্যবসা করছি। কুরিয়ার ভেদে ঢাকায় আম পাঠাতে কেজি প্রতি আমাদের খরচ হয় ১৭-২২ টাকা। কিন্তু ম্যাঙ্গো স্পেশাল ট্রেনে খরচ হয় মাত্র ১ টাকা ১৮ পয়সা। কুলি খরচ ও বাড়তি কিছু পরিশ্রম করা লাগলেও কুরিয়ারের চেয়ে ট্রেনে লাভ বেশি। আমের ট্রেন ঢাকার সব স্টেশনে থামে। সব মিলিয়ে ম্যাঙ্গো স্পেশাল ট্রেনে আমার মতো অনলাইন আম ব্যবসায়ীরা খুশি।’ 

ম্যাঙ্গো স্পেশাল ট্রেনের বিষয়ে সরদহ স্টেশন মাস্টার ইকবাল কবির বলেন, ‘আমাদের স্টেশনে প্রতিদিনই আমের বুকিং চলছে। কেজি প্রতি ১ টাকা ১৮ পয়সা। তবে গত দুই মৌসুমের চেয়ে এবার আম বুকিং কম। আমের উৎপাদনও এবার কম হয়েছে। স্টেশন থেকে দূরত্বের কৃষক ও ব্যবসায়ীদের আগ্রহ কম। কিন্তু যারা অনলাইন আম ব্যবসা করেন ও আত্মীয়স্বজনের কাছে যারা আম পাঠান তারা অনেকে আম বুকিং করছেন।’ 

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

সড়কের ওপর রাখা ধানে দুর্ঘটনা, কুলাউড়ায় দুই চাচাতো ভাই নিহত

মৌলভীবাজার প্রতিনিধি
প্রতীকী ছবি
প্রতীকী ছবি

মৌলভীবাজারের কুলাউড়ায় সড়কের ওপর রাখা ধানে মোটরসাইকেল নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে দুই চাচাতো ভাই নিহত হয়েছেন। মঙ্গলবার (৯ ডিসেম্বর) সন্ধ্যায় উপজেলার শরীফপুর ইউনিয়নের তালতলা এলাকায় এই দুর্ঘটনা ঘটে। নিহত ব্যক্তিরা হলেন স্থানীয় ব্যবসায়ী মো. গিয়াস উদ্দিন (৫৫) ও তাঁর চাচাতো ভাই জালাল আহমদ (৪৫)। তাঁরা দুজনই শরীফপুর ইউনিয়নের তেলিবিল (তালতলা) গ্রামের বাসিন্দা।

স্থানীয় বাসিন্দারা জানান, সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে মোটরসাইকেলে করে বটতলা বাজারে যাচ্ছিলেন গিয়াস ও জালাল। তালতলা এলাকায় সড়কের ওপর জমি থেকে কাটা ধানের গাদা রাখা ছিল। এতে মোটরসাইকেল নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে সামনে থেকে আসা একটি ব্যাটারিচালিত টমটমের সঙ্গে মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়। দুই ভাই গুরুতর আহত হন। স্থানীয় বাসিন্দারা উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসক তাঁদের মৃত ঘোষণা করেন।

স্থানীয় ইউপি সদস্য মো. লোকমান আহমদ বলেন, একই পরিবারের দুই সদস্যের মৃত্যুতে গ্রামে শোকের ছায়া নেমে এসেছে।

কুলাউড়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মনিরুজ্জামান মোল্যা বলেন, খবর পেয়ে পুলিশ রাতেই ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে।

স্থানীয় সচেতন নাগরিকেরা জানান, আমন মৌসুমে ধান কাটার সময় বিভিন্ন সড়কে ধান ও খড় রাখা সাধারণ ঘটনায় পরিণত হয়েছে। কুয়াশায় খড় পিচ্ছিল হয়ে দুর্ঘটনার ঝুঁকি আরও বাড়ে। এ বিষয়ে প্রশাসন বা স্থানীয়ভাবে কার্যকর উদ্যোগ না নেওয়ায় অনেকেই প্রতিনিয়ত দুর্ঘটনার শিকার হচ্ছেন।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

নরসিংদীতে সংঘাত বন্ধে বিশেষ কম্বিং অপারেশন চালানো হবে: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা

নরসিংদী প্রতিনিধি
আজ সকালে নরসিংদী পুলিশ লাইনস পরিদর্শন শেষে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেন স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা। ছবি: আজকের পত্রিকা
আজ সকালে নরসিংদী পুলিশ লাইনস পরিদর্শন শেষে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেন স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা। ছবি: আজকের পত্রিকা

নরসিংদীর চরাঞ্চলে চলমান সংঘাত, দখলবাজি ও সন্ত্রাসী তৎপরতা বন্ধে দ্রুত সময়ের মধ্যে বিশেষ কম্বিং অপারেশন চালানো হবে বলে জানিয়েছেন স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) মো. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী। আজ বুধবার (১০ ডিসেম্বর) সকালে নরসিংদী পুলিশ লাইনস পরিদর্শন শেষে সাংবাদিকদের তিনি এই তথ্য জানান।

পরিদর্শনকালে তিনি পুলিশ লাইনসে বৃক্ষরোপণ করেন এবং হাসপাতাল, রেশন স্টোর, রান্নাঘর, খাবারের মান, পুকুর, প্রশিক্ষণের মাঠসহ বিভিন্ন স্থাপনা ঘুরে দেখেন। সামগ্রিক পরিস্থিতি দেখে সন্তোষ প্রকাশ করেন তিনি। এ সময় নরসিংদীর পুলিশ সুপারসহ জেলা পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, ‘নরসিংদীতে সবচেয়ে ঝুঁকিপূর্ণ এলাকা এখন রায়পুরা উপজেলা। চরাঞ্চলে সন্ত্রাসীদের আড্ডা, আধিপত্য বিস্তার ও অবৈধ অস্ত্রের বিস্তার উদ্বেগজনক। যত দ্রুত সম্ভব কম্বিং অপারেশন চালিয়ে সব সন্ত্রাসীকে আইনের আওতায় আনা হবে।’

রায়পুরার চরাঞ্চলে দীর্ঘদিনের সংঘাত মানুষের স্বাভাবিক জীবন ব্যাহত করছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, সরকার চরাঞ্চলকে সন্ত্রাসমুক্ত করে স্বাভাবিক আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি ফিরিয়ে আনার লক্ষ্য নিয়ে কাজ করছে। এ জন্য আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর পাশাপাশি বিভিন্ন গোয়েন্দা সংস্থাকে সমন্বিত অভিযান পরিচালনার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

স্থানীয় সচেতন ব্যক্তিরা মনে করেন, ঘোষিত বিশেষ কম্বিং অপারেশন বাস্তবায়িত হলে বহুদিনের সশস্ত্র সংঘাত, গোলাগুলি ও সন্ত্রাসী তৎপরতার অবসান ঘটবে এবং নরসিংদীর চরাঞ্চলে শান্তি ফিরে আসবে।

পরে দুপুর ১২টার দিকে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা জেলা কারাগার পরিদর্শন করেন। বেলা ২টায় তিনি জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে আয়োজিত মতবিনিময় সভায় অংশ নেন, যেখানে জেলার আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি, কৃষি উৎপাদন, সার-বীজ সরবরাহ ও সেচ ব্যবস্থাপনা নিয়ে আলোচনা হয়।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

মাদকসেবী ও বখাটের উৎপাতে অতিষ্ঠ শহরবাসী, প্রতিকার চাইলেন পুলিশ সুপারের কাছে

নেত্রকোনা প্রতিনিধি
মোহনগঞ্জ থানা। ছবি: আজকের পত্রিকা
মোহনগঞ্জ থানা। ছবি: আজকের পত্রিকা

মাদকে ছেয়ে গেছে নেত্রকোনার মোহনগঞ্জ পৌর শহর। দিনরাত চলে মাদকসেবী ও বখাটেদের উৎপাত। এতে অতিষ্ঠ শহরবাসী। এ ছাড়া শহরের একাধিক স্থানে চলে অসামাজিক কার্যকলাপ। এসব স্থানে মাদকসেবীদের আড্ডা বসে। প্রভাবশালীদের ছত্রচ্ছায়ায় এসব অসামাজিক কার্যকলাপ দীর্ঘদিন ধরে চললেও স্থানীয় পুলিশ ও প্রশাসন কোনো ব্যবস্থা নেয়নি। এসব বন্ধে শহরের বাসিন্দারা অতিষ্ঠ হয়ে এবার পুলিশ সুপারের দ্বারস্থ হয়েছেন।

শহরের ৮০ জন বাসিন্দা স্বাক্ষরিত একটি অভিযোগপত্র গত রোববার পুলিশ সুপারের কার্যালয়ে জমা দেওয়া হয়েছে। এর অনুলিপি জেলা প্রশাসক, সংশ্লিষ্ট থানার ওসি ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার দপ্তরেও পাঠানো হয়েছে।

আজ বুধবার জেলা পুলিশের মুখপাত্র অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ডিএসবি) হাফিজুল ইসলাম বলেন, এসব ঘটনায় স্থানীয় প্রশাসন ও পুলিশ মিলে যৌথ অভিযান পরিচালনা করলে আশানুরূপ ফল আসবে। বিষয়টি তদন্ত করে ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য থানা-পুলিশকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

অভিযোগপত্রে উল্লেখ করা হয়েছে, পৌর শহরে মাদকসেবীর সংখ্যা অস্বাভাবিকভাবে বেড়েছে। মাদকের টাকা জোগাড় করতে তরুণেরা অপরাধে জড়াচ্ছেন। সেই সঙ্গে শিক্ষার্থীরাও মাদকে জড়িয়ে পড়ার আশঙ্কা রয়েছে।

মোহনগঞ্জ থানার ওসির দায়িত্বে থাকা পরিদর্শক (তদন্ত) মো. শফিকুজ্জামান বলেন, দ্রুত এ বিষয়ে পদক্ষেপ নেওয়া হবে।

এ বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আমেনা খাতুন বলেন, ‘অভিযোগ পেয়েছি। বিষয়টি নিয়ে পুলিশের সঙ্গে কথা বলব। যৌথভাবে এ বিষয়ে দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’

জেলা প্রশাসক মো. সাইফুর রহমান বলেন, ‘সংশ্লিষ্ট ইউএনওর সঙ্গে কথা বলেছি। এ বিষয়ে ব্যবস্থা নিতে বলা হয়েছে।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

পানিতে ডুবে প্রাণ গেল মামা-ভাগনের

কুড়িগ্রাম প্রতিনিধি
প্রতীকী ছবি
প্রতীকী ছবি

কুড়িগ্রামের রৌমারীতে পুকুরে ডুবে শাহবাব মন্ডল (আড়াই বছর) ও আবু তোহা মন্ডল (৩) নামের দুই শিশুর মৃত্যু হয়েছে। বুধবার (১০ ডিসেম্বর) সকাল সাড়ে ৭টার দিকে উপজেলার যাদুরচর ইউনিয়নের যাদুরচর নতুন গ্রাম এলাকায় এই দুর্ঘটনা ঘটে।

শাহবাব মন্ডল উপজেলার যাদুরচর ইউনিয়নের ধনারচর নতুন গ্রামের শাহজাহান মন্ডলের ছেলে এবং আবু তোহা মন্ডল একই গ্রা‌মের আবু তালেবের ছেলে। এই দুই শিশু সম্পর্কে মামা-ভাগনে।

পরিবারের বরাত দিয়ে যাদুরচর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান সরবেশ আলী জানান, বুধবার সকালে ওই দুই শিশু তালেব মন্ডলের বাড়িতে খেলা করছিল। এ সময় সবার অজান্তে তারা বাড়ির পা‌শে পুকুরের পানিতে পড়ে যায়। স্বজনেরা পুকুর থে‌কে দুই শিশু‌কে উদ্ধার করে হাসপাতালে নি‌য়ে যান। দা‌য়িত্বরত চিকিৎসক তাঁদের মৃত ঘোষণা করেন।

খবর পেয়ে তাৎক্ষণিক একই এলাকার বাসিন্দা ও কুড়িগ্রাম-৪ আসনের বিএনপির মনোনীত সংসদ সদস‌্য প্রার্থী আজিজুর রহমান ঘটনাস্থলে ছুটে যান। তি‌নি শোকাহত পরিবারের প্রতি সমবেদনা জানান।

রৌমারী থানার উপপ‌রিদর্শক শাহ‌নেওয়াজ হো‌সেন ব‌লেন, খবর পে‌য়ে ঘটনাস্থ‌লে পু‌লিশ পাঠা‌নো হ‌য়ে‌ছে। সহকারী ক‌মিশনার (ভূ‌মি) ঘটনাস্থ‌লে গি‌য়ে‌ছেন। দুই শিশুর মৃত‌্যুর ঘটনায় প্রয়োজনীয় আইনি ব‌্যবস্থা নেওয়া হ‌বে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত