বরগুনার আমতলী
মো. হোসেন আলী কাজী, আমতলী (বরগুনা)
পটুয়াখালী-কুয়াকাটা মহাসড়কের আমতলী উপজেলার শাখারিয়া থেকে বান্দ্রা পর্যন্ত ৩৭ কিলোমিটার অংশে রয়েছে ১৭টি বাঁক।
এই বাঁকগুলো পরিণত হয়েছে মৃত্যুফাঁদে। সেখানে প্রতিনিয়ত ঘটছে দুর্ঘটনা। তারপর আহাজারিতে ভারী হয়ে উঠছে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের জরুরি বিভাগ।
হাসপাতাল ও থানা সূত্রে জানা গেছে, চলতি বছরের প্রথম ছয় মাসে মহাসড়কের আমতলীর ৩৭ কিলোমিটার অংশে শতাধিক দুর্ঘটনা ঘটে। এতে ৪৫০ জন আহত এবং ১০ জন নিহত হয়। আর চলতি জুলাই মাসে গত শনিবার পর্যন্ত ১৯ দিনে ১২টি দুর্ঘটনা ঘটেছে। এতে দুজন মারা গেছেন। ২১ জুন কেওয়াবুনিয়া বাঁকে ইকরা লাক্সারি পরিবহনের একটি বাস ইজিবাইককে চাপা দিলে একই পরিবারের শিশুসহ চারজন নিহত হয়। ১৩ জুলাই চুনাখালী সেতুতে হিমাদ্রি কণ্ডু নামের একজন মারা যান। সর্বশেষ গত শনিবার সকালে মহিষকাটা বাঁক ঘুরতে গিয়ে হানিফ পরিবহনের একটি বাস উল্টে সড়কের পাশে পড়ে যায়। এতে পাঁচজন আহত হন। ১১ জুলাই ছুটিকাটা বাঁকে বাস, অটোরিকশা ও পিকআপ ভ্যানের সংঘর্ষ হয়। একই দিন রাতে মহিষকাটা বাঁকে দুই বাসের মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়। সড়কের বাঁক ঘুরতে গিয়ে এসব দুর্ঘটনা ঘটছে।
সড়ক ও জনপথ (সওজ) অধিদপ্তর সূত্রে জানা গেছে, এসব বাঁকের মধ্যে পায়রা ফিলিং স্টেশন-সংলগ্ন ও ছুরিকাটা বাঁকে ২০২৪ সালে সওজ সিগন্যাল বাতি স্থাপন করে। তবে অল্প দিনের মধ্যেই একটি বাতি নষ্ট হয়ে গেছে, তা আর সংস্কারের উদ্যোগ নেওয়া হয়নি।
সরেজমিনে দেখা গেছে, মহাসড়কের পায়রা ফিলিং স্টেশনের সামনে ও ছুরিকাটা এলাকায় সিগন্যাল বাতি রয়েছে। এর মধ্যে একটি অকেজো। এ ছাড়া আর কোনো বাঁকে বাতি নেই। কিছু বাঁকে সতর্কসংকেত চিহ্ন থাকলেও তা অস্পষ্ট হয়ে গেছে। দূর থেকে তা দেখা যায় না বলে কয়েকজন গাড়িচালক জানিয়েছেন।
খুড়িয়ার খেয়াঘাট এলাকার বাসিন্দা আমিনুল ইসলাম বলেন, তাঁদের এলাকার বাঁকটি খুবই ঝুঁকিপূর্ণ। এখানে কোনো সতর্ক চিহ্ন নেই। ফলে প্রতিদিনই ছোটখাটো দুর্ঘটনা ঘটে।
মহাসড়কটি ব্যবহার করা বাসচালক রহমত আলী জানান, পটুয়াখালী-কুয়াকাটা মহাসড়কে বাঁকের শেষ নেই। সেখানে দুর্ঘটনা রোধে দুটি স্থানে সিগন্যাল বাতি থাকলেও এর একটি নষ্ট। বাঁকগুলোতে দ্রুত বাতি স্থাপন করে সড়ক দুর্ঘটনা রোধের দাবি তোলেন তিনি।
এ নিয়ে কথা হলে বাংলাদেশ নিরাপদ সড়ক আন্দোলনের বরগুনা শাখার সভাপতি সোহেল তানভির বলেন, ‘অবশ্যই এসব ঝুঁকিপূর্ণ বাঁক চিহ্নিত করে সড়ক দুর্ঘটনা রোধে ব্যবস্থা নেওয়ার দায়িত্ব সওজের। কিন্তু এ ক্ষেত্রে সওজের উদাসীনতা পরিলক্ষিত হচ্ছে। ফলে প্রায়ই সড়কে প্রাণ ঝরছে। কর্তৃপক্ষের এমন উদাসীনতা দুঃখজনক।’
এ বিষয়ে যোগাযোগ করা হলে বরগুনা সওজের নির্বাহী প্রকৌশলী কুমারেশ বিশ্বাস জানান, মহাসড়কের বাঁকগুলোর কয়েকটি স্থানে সিগন্যাল বাতি স্থাপন করা হয়েছে। কিছু বাকি আছে। ওই স্থানগুলোতে বাতি স্থাপন করা হলে সমস্যা থাকবে না। মুছে যাওয়া সতর্ক চিহ্নগুলো পুনরায় স্থাপন করা হবে।
পটুয়াখালী-কুয়াকাটা মহাসড়কের আমতলী উপজেলার শাখারিয়া থেকে বান্দ্রা পর্যন্ত ৩৭ কিলোমিটার অংশে রয়েছে ১৭টি বাঁক।
এই বাঁকগুলো পরিণত হয়েছে মৃত্যুফাঁদে। সেখানে প্রতিনিয়ত ঘটছে দুর্ঘটনা। তারপর আহাজারিতে ভারী হয়ে উঠছে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের জরুরি বিভাগ।
হাসপাতাল ও থানা সূত্রে জানা গেছে, চলতি বছরের প্রথম ছয় মাসে মহাসড়কের আমতলীর ৩৭ কিলোমিটার অংশে শতাধিক দুর্ঘটনা ঘটে। এতে ৪৫০ জন আহত এবং ১০ জন নিহত হয়। আর চলতি জুলাই মাসে গত শনিবার পর্যন্ত ১৯ দিনে ১২টি দুর্ঘটনা ঘটেছে। এতে দুজন মারা গেছেন। ২১ জুন কেওয়াবুনিয়া বাঁকে ইকরা লাক্সারি পরিবহনের একটি বাস ইজিবাইককে চাপা দিলে একই পরিবারের শিশুসহ চারজন নিহত হয়। ১৩ জুলাই চুনাখালী সেতুতে হিমাদ্রি কণ্ডু নামের একজন মারা যান। সর্বশেষ গত শনিবার সকালে মহিষকাটা বাঁক ঘুরতে গিয়ে হানিফ পরিবহনের একটি বাস উল্টে সড়কের পাশে পড়ে যায়। এতে পাঁচজন আহত হন। ১১ জুলাই ছুটিকাটা বাঁকে বাস, অটোরিকশা ও পিকআপ ভ্যানের সংঘর্ষ হয়। একই দিন রাতে মহিষকাটা বাঁকে দুই বাসের মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়। সড়কের বাঁক ঘুরতে গিয়ে এসব দুর্ঘটনা ঘটছে।
সড়ক ও জনপথ (সওজ) অধিদপ্তর সূত্রে জানা গেছে, এসব বাঁকের মধ্যে পায়রা ফিলিং স্টেশন-সংলগ্ন ও ছুরিকাটা বাঁকে ২০২৪ সালে সওজ সিগন্যাল বাতি স্থাপন করে। তবে অল্প দিনের মধ্যেই একটি বাতি নষ্ট হয়ে গেছে, তা আর সংস্কারের উদ্যোগ নেওয়া হয়নি।
সরেজমিনে দেখা গেছে, মহাসড়কের পায়রা ফিলিং স্টেশনের সামনে ও ছুরিকাটা এলাকায় সিগন্যাল বাতি রয়েছে। এর মধ্যে একটি অকেজো। এ ছাড়া আর কোনো বাঁকে বাতি নেই। কিছু বাঁকে সতর্কসংকেত চিহ্ন থাকলেও তা অস্পষ্ট হয়ে গেছে। দূর থেকে তা দেখা যায় না বলে কয়েকজন গাড়িচালক জানিয়েছেন।
খুড়িয়ার খেয়াঘাট এলাকার বাসিন্দা আমিনুল ইসলাম বলেন, তাঁদের এলাকার বাঁকটি খুবই ঝুঁকিপূর্ণ। এখানে কোনো সতর্ক চিহ্ন নেই। ফলে প্রতিদিনই ছোটখাটো দুর্ঘটনা ঘটে।
মহাসড়কটি ব্যবহার করা বাসচালক রহমত আলী জানান, পটুয়াখালী-কুয়াকাটা মহাসড়কে বাঁকের শেষ নেই। সেখানে দুর্ঘটনা রোধে দুটি স্থানে সিগন্যাল বাতি থাকলেও এর একটি নষ্ট। বাঁকগুলোতে দ্রুত বাতি স্থাপন করে সড়ক দুর্ঘটনা রোধের দাবি তোলেন তিনি।
এ নিয়ে কথা হলে বাংলাদেশ নিরাপদ সড়ক আন্দোলনের বরগুনা শাখার সভাপতি সোহেল তানভির বলেন, ‘অবশ্যই এসব ঝুঁকিপূর্ণ বাঁক চিহ্নিত করে সড়ক দুর্ঘটনা রোধে ব্যবস্থা নেওয়ার দায়িত্ব সওজের। কিন্তু এ ক্ষেত্রে সওজের উদাসীনতা পরিলক্ষিত হচ্ছে। ফলে প্রায়ই সড়কে প্রাণ ঝরছে। কর্তৃপক্ষের এমন উদাসীনতা দুঃখজনক।’
এ বিষয়ে যোগাযোগ করা হলে বরগুনা সওজের নির্বাহী প্রকৌশলী কুমারেশ বিশ্বাস জানান, মহাসড়কের বাঁকগুলোর কয়েকটি স্থানে সিগন্যাল বাতি স্থাপন করা হয়েছে। কিছু বাকি আছে। ওই স্থানগুলোতে বাতি স্থাপন করা হলে সমস্যা থাকবে না। মুছে যাওয়া সতর্ক চিহ্নগুলো পুনরায় স্থাপন করা হবে।
অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের সড়ক পরিবহন, সেতু ও রেলপথ মন্ত্রণালয় সংক্রান্ত বিশেষ সহকারী শেখ মইনুদ্দিন বলেছেন, রেল শুধু যাত্রী পরিবহনের মাধ্যম হিসেবে নয়, বরং মালামাল পরিবহনের গুরুত্বপূর্ণ উপায় হিসেবেও গড়ে তোলা হবে। রেলকে লাভজনক করতে বর্তমান সরকার নানামুখী উদ্যোগ গ্রহণ করেছ
৪ মিনিট আগেউত্তরা মাইলস্টোন স্কুলে বিমান বিধ্বস্তের ঘটনায় দগ্ধ ২ শিক্ষার্থীকে ছাড়পত্র দেওয়া হয়েছে। শারীরিক অবস্থার উন্নতি হওয়ায় আজ শনিবার (২৬ জুলাই) দুপুরের পর তাদেরকে হাসপাতাল থেকে ছুটি দেওয়া হয়।
৮ মিনিট আগেকুষ্টিয়ায় এক আওয়ামী লীগ নেতাকে ধরতে গিয়ে তাঁর ছেলের বঁটির আঘাতে ইসরাফিল হোসেন (৪৮) নামে গোয়েন্দা পুলিশের এক উপপরিদর্শক (এসআই) আহত হয়েছেন। পরে ঘটনাস্থলে অতিরিক্ত পুলিশ গিয়ে আহত পুলিশ সদস্যকে উদ্ধার করে। হামলার সঙ্গে জড়িত ওই আওয়ামী লীগ নেতা ও তাঁর ছেলেকে আটক করা হয়েছে।
৯ মিনিট আগেখুলনায় ৬০০ মেগাওয়াট সোলার পাওয়ার প্ল্যান্ট স্থাপিত হচ্ছে। আট হাজার কোটি টাকা ব্যয়ে এই পাওয়ার প্ল্যান্টটি বাস্তবায়নে সুন্দরবন ডেল্টা গ্রোথ ইনিশিয়েটিভের (এসডিজিআই) সঙ্গে আরব ঠিকাদার ওরাসকম পেনিনসুলা কনসোর্টিয়ামের একটি সমঝোতা চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়েছে। আজ শনিবার দুপুর ১২টায় খুলনা ক্লাব মিলনায়তনে এ চুক্তি
১২ মিনিট আগে