Ajker Patrika

ইফতারের চাঁদা ফেরত চাওয়ায় রাবি শিক্ষার্থীকে পেটালেন ছাত্রলীগ নেতা

রাবি প্রতিনিধি
আপডেট : ২১ মার্চ ২০২৪, ২১: ৪৪
Thumbnail image

ইফতারের চাঁদা ফেরত চাওয়ায় রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের এক শিক্ষার্থীকে হলকক্ষে আটকে রেখে মারধর ও হুমকি দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে হল শাখা ছাত্রলীগের এক নেতা ও তাঁর অনুসারীদের বিরুদ্ধে। গতকাল বুধবার দুপুরে বিশ্ববিদ্যালয়ের নবাব আব্দুল লতিফ হলের ২০৬ নম্বর কক্ষে এ ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় নিজের নিরাপত্তা চেয়ে আজ বৃহস্পতিবার সকালে হল প্রাধ্যক্ষের কাছে লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন ভুক্তভোগী শিক্ষার্থী। 

অভিযোগকারী শিক্ষার্থীর নাম খালেদুল ইসলাম। তিনি বিশ্ববিদ্যালয়ের সংস্কৃত বিভাগের ২০২০–২১ শিক্ষাবর্ষের ছাত্র ও নবাব আব্দুল লতিফ হলের আবাসিক শিক্ষার্থী। 

অপর দিকে অভিযুক্ত ছাত্রলীগ নেতারা হলেন, নবাব আব্দুল লতিফ হল ছাত্রলীগের সহসভাপতি ও দায়িত্বপ্রাপ্ত নেতা তাশফিক আল তৌহিদ এবং তাঁর অনুসারী মোজ্জাম্মেল হক, শাওন প্রমুখ। তৌহিদ বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি মোস্তাফিজুর রহমান বাবুর অনুসারী। 

লিখিত অভিযোগ, ভুক্তভোগী শিক্ষার্থী ও প্রত্যক্ষদর্শী সূত্রে জানা যায়, নবাব আব্দুল লতিফ হল ছাত্রলীগের দায়িত্বপ্রাপ্ত নেতা তাশফিক আল তৌহিদের নেতৃত্বে হল ছাত্রলীগের ইফতার পার্টি আয়োজনের কথা ছিল। এই আয়োজনে সাধারণ শিক্ষার্থীদের অংশগ্রহণের কথা বলে গত রোববার তাঁদের কাছ থেকে ১০০ টাকা করে চাঁদা তুলেন তৌহিদের কয়েকজন অনুসারী। 

গত সোমবার ওই ইফতার পার্টি হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু এর তিন দিন পার হয়ে গেলেও ইফতারের আয়োজন করা হয়নি। এর পরিপ্রেক্ষিতে ভুক্তভোগী শিক্ষার্থী খালেদুল ও তাঁর রুমমেট নাফিস ফাহিম বাড়িতে চলে যাবেন বলে গতকাল দুপুরে তাঁদের কাছে টাকা ফেরত চাইতে যান। এ সময় তাঁদের কক্ষে আটকে রেখে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ ও ‘শিবির’ বলে মারধরের হুমকি দেয় ছাত্রলীগ নেতা-কর্মীরা। একপর্যায়ে খালেদুল ইসলামকে মারধর করেন ছাত্রলীগ নেতা তৌহিদ। 

এ বিষয়ে ভুক্তভোগী শিক্ষার্থী বলেন, ‘তাঁরা বারবার ইফতারের তারিখ পরিবর্তন করতে থাকেন। কিন্তু আমরা বাড়িতে যাব বিধায় ইফতারে থাকতে পারছি না। তাই ইফতারের সেই চাঁদা ফেরত চাইতে গেছিলাম। কিন্তু তাঁরা চাঁদা ফেরত না দিয়ে উল্টো কক্ষে আটকে আমাকে শারীরিক ও মানসিকভাবে লাঞ্ছিত করেন। একপর্যায়ে তৌহিদ আমাকে মারধর করতে শুরু করেন। এ ঘটনার পর আমি মানসিকভাবে ভেঙে পড়েছি এবং নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছি।’ 

অভিযোগের বিষয়ে জানতে ছাত্রলীগ নেতা তাশফিক আল তৌহিদ ও তাঁর অনুসারী মোজাম্মেল হকের মোবাইল ফোনে একাধিকবার কল করা হলেও তাঁরা রিসিভ করেননি। 

ঘটনার বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি মোস্তাফিজুর রহমান বাবু বলেন, ‘বিষয়টি আমি অবগত নই। এ বিষয়ে খোঁজখবর নিয়ে দেখব।’ কোনো অপরাধ করে থাকলে প্রমাণ সাপেক্ষে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে বলে জানান তিনি। 

এ ব্যাপারে নবাব আব্দুল লতিফ হলের প্রাধ্যক্ষ অধ্যাপক এ এইচ এম মাহবুবুর রহমান বলেন, ‘বিষয়টি শুনেছি। ছাত্রলীগের কয়েকজন নেতা-কর্মীদের মধ্যে একটু ঝামেলা হয়েছিল। এ ঘটনায় একজন শিক্ষার্থী লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন। অভিযোগের ব্যাপারে কারও সংশ্লিষ্টতা থাকলে বিশ্ববিদ্যালয়ের বিধি অনুসারে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত