রাজশাহী প্রতিনিধি
ট্রেনের শোভন কোচগুলোতে সবাই ঠাসাঠাসি করে উঠেছেন। ভেতরে পা ফেলার জায়গা নেই। তারপরও জানালা দিয়ে ঢোকার চেষ্টা করছেন অনেকে। আর ট্রেনের সামনে দাঁড়িয়ে হাজারেরও বেশি পরীক্ষার্থী। কেউ কেউ শুয়ে পড়ছেন রেললাইনে। তাঁদের দাবি, সবাইকেই এই ট্রেনে নিয়ে যেতে হবে গন্তব্যে।
রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) ২০২১-২২ শিক্ষাবর্ষের ভর্তি পরীক্ষা দিতে আসা পরীক্ষার্থীরা আজ বুধবার বিকেলে এভাবেই প্রায় আড়াই ঘণ্টা ‘পদ্মা এক্সপ্রেস’ ট্রেন অবরোধ করে রাখেন। ট্রেনটি বিকেল ৪টায় রাজশাহী থেকে ঢাকার উদ্দেশ্যে যাত্রা শুরু করার কথা ছিল। অবরোধ করে রাখার কারণে সময়মতো যাত্রা হয়নি। অবশেষে সন্ধ্যা ৬টা ২৩ মিনিটে ট্রেনটি প্ল্যাটফর্ম ছাড়ে।
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, রাবিতে এবার তিন দিনের ভর্তি পরীক্ষার্থী ছিলেন ১ লাখ ৭৮ হাজারের বেশি। তাঁদের সঙ্গে এসেছিলেন অভিভাবকেরাও। সব মিলিয়ে প্রায় তিন লাখ মানুষ এসেছিলেন রাজশাহী। পরীক্ষার শেষ দিনেই ট্রেনে বাড়ি ফেরার দাবিতে রাজশাহী রেলওয়ে স্টেশনে ট্রেন অবরোধের ঘটনা ঘটল।
ট্রেনটি ছাড়ার আগেই বিপুলসংখ্যক শিক্ষার্থী স্টেশনে ছুটে যান। টিকিট না থাকলেও হুড়মুড় করে অনেকে উঠে যান। বাকি থাকেন আরও অন্তত তিন হাজার শিক্ষার্থী। তাঁরা এই ট্রেনে অতিরিক্ত কোচ সংযোজনের দাবিতে ট্রেনটি অবরোধ করেন। ট্রেনের সামনে তাঁরা শুয়ে পড়েন।
ইঞ্জিন স্টার্ট দিয়ে দাঁড়িয়ে থাকে ট্রেন। পরীক্ষার্থীদের সরে যেতে ট্রেনটি যতবার হুইশেল দেয়, ততবারই পরীক্ষার্থীরা চিৎকার করতে থাকেন। দিতে থাকেন স্লোগান। রেলওয়ে নিরাপত্তা বাহিনীর সদস্যরা তাঁদের সরাতে ব্যর্থ হন। আসে দাঙ্গা পুলিশ। এরপর আসে র্যাব। কিন্তু কেউ পরীক্ষার্থীদের জোর করে সরিয়ে দেওয়ার সাহস দেখায়নি। শেষমেশ পশ্চিমাঞ্চল রেলওয়ের মহাপরিচালক অসীম কুমার তালুকদার গিয়ে পরীক্ষার্থীদের বোঝান যে, এরই মধ্যে এই ট্রেনে দুটি অতিরিক্ত কোচ লাগানো হয়েছে। আরও একটি দেওয়া হচ্ছে। এর বেশি সামর্থ্য তাঁর নেই। এই ট্রেনে যাঁরা যেতে পারবে না তাঁদের রাতে পাঠানো হবে।
এ ছাড়া পরীক্ষার্থীরা লিখিতভাবেই মহাব্যবস্থাপকের কাছ থেকে এই প্রতিশ্রুতি আদায় করেন। কিন্তু এর মধ্যেই আরে কদল বাগড়া দেয়। এই দলের কেউ কেউ বলে ওঠেন, ট্রেন অবরোধ করায় তাঁদের মারধর করা হয়েছে। গালি দেওয়া হয়েছে। পাথর ছোড়া হয়েছে। ফলে ট্রেনটি আটকেই থাকে। অবশেষে রেল কর্মকর্তারা ভর্তি–ইচ্ছুকদের বোঝাতে সক্ষম হন। এরপর ৬টা ২৩ মিনিটে ট্রেনটি স্টেশন ছেড়ে যায়। তখনো বিপুলসংখ্যক শিক্ষার্থী স্টেশনে ছিলেন।
পশ্চিমাঞ্চল রেলওয়ের মহাপরিচালক অসীম কুমার তালুকদার বলেন, ‘সবাই এই বিকেলের ট্রেনেই ফিরতে চায়। এটা যৌক্তিক না অযৌক্তিক তা বোঝে না। শেষ পর্যন্ত ট্রেনে অতিরিক্ত তিনটি কোচ সংযুক্ত করে আন্দোলন করা পরীক্ষার্থীদের দুটি গ্রুপকে পাঠানো হয়েছে। আরেকটি গ্রুপ থাকল। রাতের ধূমকেতু এক্সপ্রেস ট্রেনে তাঁদের পাঠানো হবে।’
ট্রেনের শোভন কোচগুলোতে সবাই ঠাসাঠাসি করে উঠেছেন। ভেতরে পা ফেলার জায়গা নেই। তারপরও জানালা দিয়ে ঢোকার চেষ্টা করছেন অনেকে। আর ট্রেনের সামনে দাঁড়িয়ে হাজারেরও বেশি পরীক্ষার্থী। কেউ কেউ শুয়ে পড়ছেন রেললাইনে। তাঁদের দাবি, সবাইকেই এই ট্রেনে নিয়ে যেতে হবে গন্তব্যে।
রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) ২০২১-২২ শিক্ষাবর্ষের ভর্তি পরীক্ষা দিতে আসা পরীক্ষার্থীরা আজ বুধবার বিকেলে এভাবেই প্রায় আড়াই ঘণ্টা ‘পদ্মা এক্সপ্রেস’ ট্রেন অবরোধ করে রাখেন। ট্রেনটি বিকেল ৪টায় রাজশাহী থেকে ঢাকার উদ্দেশ্যে যাত্রা শুরু করার কথা ছিল। অবরোধ করে রাখার কারণে সময়মতো যাত্রা হয়নি। অবশেষে সন্ধ্যা ৬টা ২৩ মিনিটে ট্রেনটি প্ল্যাটফর্ম ছাড়ে।
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, রাবিতে এবার তিন দিনের ভর্তি পরীক্ষার্থী ছিলেন ১ লাখ ৭৮ হাজারের বেশি। তাঁদের সঙ্গে এসেছিলেন অভিভাবকেরাও। সব মিলিয়ে প্রায় তিন লাখ মানুষ এসেছিলেন রাজশাহী। পরীক্ষার শেষ দিনেই ট্রেনে বাড়ি ফেরার দাবিতে রাজশাহী রেলওয়ে স্টেশনে ট্রেন অবরোধের ঘটনা ঘটল।
ট্রেনটি ছাড়ার আগেই বিপুলসংখ্যক শিক্ষার্থী স্টেশনে ছুটে যান। টিকিট না থাকলেও হুড়মুড় করে অনেকে উঠে যান। বাকি থাকেন আরও অন্তত তিন হাজার শিক্ষার্থী। তাঁরা এই ট্রেনে অতিরিক্ত কোচ সংযোজনের দাবিতে ট্রেনটি অবরোধ করেন। ট্রেনের সামনে তাঁরা শুয়ে পড়েন।
ইঞ্জিন স্টার্ট দিয়ে দাঁড়িয়ে থাকে ট্রেন। পরীক্ষার্থীদের সরে যেতে ট্রেনটি যতবার হুইশেল দেয়, ততবারই পরীক্ষার্থীরা চিৎকার করতে থাকেন। দিতে থাকেন স্লোগান। রেলওয়ে নিরাপত্তা বাহিনীর সদস্যরা তাঁদের সরাতে ব্যর্থ হন। আসে দাঙ্গা পুলিশ। এরপর আসে র্যাব। কিন্তু কেউ পরীক্ষার্থীদের জোর করে সরিয়ে দেওয়ার সাহস দেখায়নি। শেষমেশ পশ্চিমাঞ্চল রেলওয়ের মহাপরিচালক অসীম কুমার তালুকদার গিয়ে পরীক্ষার্থীদের বোঝান যে, এরই মধ্যে এই ট্রেনে দুটি অতিরিক্ত কোচ লাগানো হয়েছে। আরও একটি দেওয়া হচ্ছে। এর বেশি সামর্থ্য তাঁর নেই। এই ট্রেনে যাঁরা যেতে পারবে না তাঁদের রাতে পাঠানো হবে।
এ ছাড়া পরীক্ষার্থীরা লিখিতভাবেই মহাব্যবস্থাপকের কাছ থেকে এই প্রতিশ্রুতি আদায় করেন। কিন্তু এর মধ্যেই আরে কদল বাগড়া দেয়। এই দলের কেউ কেউ বলে ওঠেন, ট্রেন অবরোধ করায় তাঁদের মারধর করা হয়েছে। গালি দেওয়া হয়েছে। পাথর ছোড়া হয়েছে। ফলে ট্রেনটি আটকেই থাকে। অবশেষে রেল কর্মকর্তারা ভর্তি–ইচ্ছুকদের বোঝাতে সক্ষম হন। এরপর ৬টা ২৩ মিনিটে ট্রেনটি স্টেশন ছেড়ে যায়। তখনো বিপুলসংখ্যক শিক্ষার্থী স্টেশনে ছিলেন।
পশ্চিমাঞ্চল রেলওয়ের মহাপরিচালক অসীম কুমার তালুকদার বলেন, ‘সবাই এই বিকেলের ট্রেনেই ফিরতে চায়। এটা যৌক্তিক না অযৌক্তিক তা বোঝে না। শেষ পর্যন্ত ট্রেনে অতিরিক্ত তিনটি কোচ সংযুক্ত করে আন্দোলন করা পরীক্ষার্থীদের দুটি গ্রুপকে পাঠানো হয়েছে। আরেকটি গ্রুপ থাকল। রাতের ধূমকেতু এক্সপ্রেস ট্রেনে তাঁদের পাঠানো হবে।’
রাজধানীর উত্তরায় মাইলস্টোন স্কুল অ্যান্ড কলেজে প্রশিক্ষণ বিমান বিধ্বস্তের পর থেকেই সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম যেন বিভীষিকাময় হয়ে উঠেছে। ফেসবুকে ঢুকলেই ওই দুর্ঘটনার মন খারাপ করা ছবি ও ভিডিও এড়িয়ে যাওয়ার উপায় নেই। স্ক্রল করতে করতে হঠাৎ চোখ আটকে যায় ‘এসএসসি ০৫-এইচএসসি ০৭’ গ্রুপের একটি পোস্টে।
৪ ঘণ্টা আগেজাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটের করিডরে আগের দিনের মতো চিৎকার-চেঁচামেচি ছিল না গতকাল মঙ্গলবার। ছিল না রক্তের জন্য ছোটাছুটি। হাসপাতালজুড়ে কেমন যেন একটা উৎকণ্ঠা। এই উৎকণ্ঠা দগ্ধ শিশুগুলোর স্বজনদের চোখেমুখে। সবার প্রার্থনা, আর যেন কোনো দুঃসংবাদ কানে না আসে, সব শিশু যেন সুস্থ হয়ে ওঠে।
৪ ঘণ্টা আগেশিক্ষার্থীদের প্রতি মমত্ববোধ ও দায়িত্ববোধের অসাধারণ উদাহরণ তৈরি করে গেলেন রাজধানীর মাইলস্টোন স্কুল অ্যান্ড কলেজের শিক্ষক মাহরীন চৌধুরী। যুদ্ধবিমানটি যখন তাঁর প্রতিষ্ঠানে বিধ্বস্ত হয়, তখনো তিনি অক্ষত ও সুস্থ ছিলেন। কিন্তু বিপদের মুখেই তিনি ঝাঁপিয়ে পড়েছিলেন নিজের সন্তানের মতো ছাত্রছাত্রীদের বাঁচাতে।
৪ ঘণ্টা আগেরাজধানীর উত্তরার দিয়াবাড়ির মাইলস্টোন স্কুল অ্যান্ড কলেজ প্রাঙ্গণে শিক্ষার্থীদের কোলাহল নেই। বিমানবাহিনীর বিধ্বস্ত প্রশিক্ষণ যুদ্ধবিমানের বিকট শব্দে থেমে গেছে সেই কোলাহল। থামেনি সন্তান বা স্বজনহারাদের বুকফাটা কান্না, মাতম। হাসপাতালে যন্ত্রণায় কাতরাচ্ছে আহত ও দগ্ধরা।
৪ ঘণ্টা আগে