রাবি প্রতিনিধি
রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের নবীন শিক্ষার্থী মোহাম্মদ রকিকে র্যাগিং ও প্রাণনাশের হুমকির ঘটনা বিভাগীয় মীমাংসার চেষ্টা করা হচ্ছে বলে অভিযোগ তুলেছেন ভুক্তভোগী শিক্ষার্থী। আজ বুধবার বিকেলে তিনি সাংবাদিকদের এ অভিযোগ করেন। তবে ভুক্তভোগীর বিভাগের চেয়ারম্যান জানিয়েছেন, তাঁরা এ ধরনের কোনো মীমাংসায় যাবেন না।
এদিকে ঘটনার পর মেস ছেড়েছেন ভুক্তভোগী শিক্ষার্থী। প্রাণনাশের আশঙ্কা থেকেই মেস ছেড়েছেন তিনি। বর্তমানে তিনি বিশ্ববিদ্যালয়ের হোসেন শহীদ সোহরাওয়ার্দী হলে তাঁর এলাকার এক সিনিয়র শিক্ষার্থীর কক্ষে অবস্থান করছেন।
এর আগে, গত রোববার রাতে বিশ্ববিদ্যালয় সংলগ্ন বিনোদপুরের লেবুবাগান এলাকার একটি মেসে নিজ কক্ষে র্যাগিংয়ের শিকার হন মোহাম্মদ রকি। এ সময় তাকে বুয়েট শিক্ষার্থী আবরার ফাহাদের মতো করে মেরে ফেলারও হুমকি দেওয়া হয়। তিনি রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের দর্শন বিভাগের ২০২৩-২৪ শিক্ষাবর্ষের নবীন শিক্ষার্থী। অন্যদিকে অভিযুক্ত দুই শিক্ষার্থী হলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের মার্কেটিং বিভাগের চতুর্থ বর্ষের শিক্ষার্থী অন্তর বিশ্বাস ও একই বিভাগের দ্বিতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী নাজমুল হাসান নাবিল।
ভুক্তভোগী শিক্ষার্থীর সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, ঘটনার পর থেকেই তিনি আতঙ্কে আছেন। তাড়াহুড়ো করে মেস ছাড়তে গিয়ে প্রয়োজনীয় একটি বক্স তিনি সেখানে ফেলে এসেছেন। এরপর সেই বক্সটি আনতে তিনি ভয় পাচ্ছেন। ক্যাম্পাসে স্বাভাবিকভাবে চলাফেরা করতেও নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন তিনি। তাঁর অভিযোগ, অভিযুক্ত শিক্ষার্থীদের বিভাগের চেয়ারম্যান বিষয়টি মীমাংসার জন্য দর্শন বিভাগের সভাপতির সঙ্গে যোগাযোগ করেছেন।
এদিকে মেসের শিক্ষার্থী সূত্রে জানা গেছে, আজ বুধবার সন্ধ্যার মধ্যেই অভিযুক্ত দুই শিক্ষার্থীকে মেস ছাড়ার জন্য সময়সীমা বেঁধে দিয়েছেন মেস মালিক। যদিও সারা দিন বৃষ্টির কারণে তারা এখনো মেস ছাড়েননি।
এ বিষয়ে ভুক্তভোগী শিক্ষার্থী মোহাম্মদ রকি বলেন, ‘সেদিনের ঘটনার পর থেকেই নিজের ভেতর একটা আতঙ্ক কাজ করছে। প্রাণনাশের ভয়ে মেস ছেড়ে চলে এসেছি। বর্তমানে হোসেন শহীদ সোহরাওয়ার্দী হলে এক বড়ভাইয়ের কাছে অবস্থান করছি। আমি ক্যাম্পাসে যেতেও ভয় পাচ্ছি। ফলে ক্যাম্পাসে শুধু ক্লাস করেই হলে চলে আসছি। কারণ সেদিনের ঘটনায় মার্কেটিং বিভাগের অনেকেই আমাকে চিহ্নিত করে রেখেছেন। যে কোনো মুহূর্তে তারা আমাকে আক্রমণ করতে পারেন। এমনকি আমি মেসে ফেলে আসা একটি বক্স আনতে মেসে যেতেও ভয় পাচ্ছি।’
তিনি অভিযোগ করে বলেন, ‘মার্কেটিং বিভাগের চেয়ারম্যান বিষয়টি অভ্যন্তরীণভাবে মীমাংসার জন্য আমাদের বিভাগের চেয়ারম্যান ম্যামকে প্রস্তাব দিয়েছেন। কিন্তু আমি কোনোভাবেই এই মীমাংসা চাই না। আমি চাই বিশ্ববিদ্যালয়ের বিধি মোতাবেক তাঁদের শাস্তি হোক।’
এ বিষয়ে মার্কেটিং বিভাগের সভাপতি অধ্যাপক নুরুজ্জামান বলেন, ‘শিক্ষার্থীদের মঙ্গলের কথা চিন্তা করেই আমরা বিষয়টি অভ্যন্তরীণভাবে মীমাংসার জন্য দর্শন বিভাগের চেয়ারম্যানকে প্রস্তাব দিয়েছি। কারণ কোনো শিক্ষার্থীর ক্ষতি হোক, সেটি আমরা চাই না।’
দর্শন বিভাগের সভাপতি অধ্যাপক নিলুফার আহমেদ বলেন, ‘বিভাগ থেকে সিদ্ধান্ত নিয়েছি অভ্যন্তরীণভাবে কোনো মীমাংসায় আমরা যাব না। বিশ্ববিদ্যালয়ের বিধি মোতাবেক যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য আমরা বিভাগের পক্ষ থেকে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষকে অনুরোধ করব।’
সার্বিক বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক মাহবুবর রহমান বলেন, ‘দুই বিভাগ থেকে এখনো কোনো সিদ্ধান্ত আমাকে জানানো হয়নি। তারা সিদ্ধান্ত জানালেই আমরা পরবর্তী পদক্ষেপ গ্রহণ করব।’
রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের নবীন শিক্ষার্থী মোহাম্মদ রকিকে র্যাগিং ও প্রাণনাশের হুমকির ঘটনা বিভাগীয় মীমাংসার চেষ্টা করা হচ্ছে বলে অভিযোগ তুলেছেন ভুক্তভোগী শিক্ষার্থী। আজ বুধবার বিকেলে তিনি সাংবাদিকদের এ অভিযোগ করেন। তবে ভুক্তভোগীর বিভাগের চেয়ারম্যান জানিয়েছেন, তাঁরা এ ধরনের কোনো মীমাংসায় যাবেন না।
এদিকে ঘটনার পর মেস ছেড়েছেন ভুক্তভোগী শিক্ষার্থী। প্রাণনাশের আশঙ্কা থেকেই মেস ছেড়েছেন তিনি। বর্তমানে তিনি বিশ্ববিদ্যালয়ের হোসেন শহীদ সোহরাওয়ার্দী হলে তাঁর এলাকার এক সিনিয়র শিক্ষার্থীর কক্ষে অবস্থান করছেন।
এর আগে, গত রোববার রাতে বিশ্ববিদ্যালয় সংলগ্ন বিনোদপুরের লেবুবাগান এলাকার একটি মেসে নিজ কক্ষে র্যাগিংয়ের শিকার হন মোহাম্মদ রকি। এ সময় তাকে বুয়েট শিক্ষার্থী আবরার ফাহাদের মতো করে মেরে ফেলারও হুমকি দেওয়া হয়। তিনি রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের দর্শন বিভাগের ২০২৩-২৪ শিক্ষাবর্ষের নবীন শিক্ষার্থী। অন্যদিকে অভিযুক্ত দুই শিক্ষার্থী হলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের মার্কেটিং বিভাগের চতুর্থ বর্ষের শিক্ষার্থী অন্তর বিশ্বাস ও একই বিভাগের দ্বিতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী নাজমুল হাসান নাবিল।
ভুক্তভোগী শিক্ষার্থীর সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, ঘটনার পর থেকেই তিনি আতঙ্কে আছেন। তাড়াহুড়ো করে মেস ছাড়তে গিয়ে প্রয়োজনীয় একটি বক্স তিনি সেখানে ফেলে এসেছেন। এরপর সেই বক্সটি আনতে তিনি ভয় পাচ্ছেন। ক্যাম্পাসে স্বাভাবিকভাবে চলাফেরা করতেও নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন তিনি। তাঁর অভিযোগ, অভিযুক্ত শিক্ষার্থীদের বিভাগের চেয়ারম্যান বিষয়টি মীমাংসার জন্য দর্শন বিভাগের সভাপতির সঙ্গে যোগাযোগ করেছেন।
এদিকে মেসের শিক্ষার্থী সূত্রে জানা গেছে, আজ বুধবার সন্ধ্যার মধ্যেই অভিযুক্ত দুই শিক্ষার্থীকে মেস ছাড়ার জন্য সময়সীমা বেঁধে দিয়েছেন মেস মালিক। যদিও সারা দিন বৃষ্টির কারণে তারা এখনো মেস ছাড়েননি।
এ বিষয়ে ভুক্তভোগী শিক্ষার্থী মোহাম্মদ রকি বলেন, ‘সেদিনের ঘটনার পর থেকেই নিজের ভেতর একটা আতঙ্ক কাজ করছে। প্রাণনাশের ভয়ে মেস ছেড়ে চলে এসেছি। বর্তমানে হোসেন শহীদ সোহরাওয়ার্দী হলে এক বড়ভাইয়ের কাছে অবস্থান করছি। আমি ক্যাম্পাসে যেতেও ভয় পাচ্ছি। ফলে ক্যাম্পাসে শুধু ক্লাস করেই হলে চলে আসছি। কারণ সেদিনের ঘটনায় মার্কেটিং বিভাগের অনেকেই আমাকে চিহ্নিত করে রেখেছেন। যে কোনো মুহূর্তে তারা আমাকে আক্রমণ করতে পারেন। এমনকি আমি মেসে ফেলে আসা একটি বক্স আনতে মেসে যেতেও ভয় পাচ্ছি।’
তিনি অভিযোগ করে বলেন, ‘মার্কেটিং বিভাগের চেয়ারম্যান বিষয়টি অভ্যন্তরীণভাবে মীমাংসার জন্য আমাদের বিভাগের চেয়ারম্যান ম্যামকে প্রস্তাব দিয়েছেন। কিন্তু আমি কোনোভাবেই এই মীমাংসা চাই না। আমি চাই বিশ্ববিদ্যালয়ের বিধি মোতাবেক তাঁদের শাস্তি হোক।’
এ বিষয়ে মার্কেটিং বিভাগের সভাপতি অধ্যাপক নুরুজ্জামান বলেন, ‘শিক্ষার্থীদের মঙ্গলের কথা চিন্তা করেই আমরা বিষয়টি অভ্যন্তরীণভাবে মীমাংসার জন্য দর্শন বিভাগের চেয়ারম্যানকে প্রস্তাব দিয়েছি। কারণ কোনো শিক্ষার্থীর ক্ষতি হোক, সেটি আমরা চাই না।’
দর্শন বিভাগের সভাপতি অধ্যাপক নিলুফার আহমেদ বলেন, ‘বিভাগ থেকে সিদ্ধান্ত নিয়েছি অভ্যন্তরীণভাবে কোনো মীমাংসায় আমরা যাব না। বিশ্ববিদ্যালয়ের বিধি মোতাবেক যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য আমরা বিভাগের পক্ষ থেকে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষকে অনুরোধ করব।’
সার্বিক বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক মাহবুবর রহমান বলেন, ‘দুই বিভাগ থেকে এখনো কোনো সিদ্ধান্ত আমাকে জানানো হয়নি। তারা সিদ্ধান্ত জানালেই আমরা পরবর্তী পদক্ষেপ গ্রহণ করব।’
রাজধানীর উত্তরায় মাইলস্টোন স্কুল অ্যান্ড কলেজে প্রশিক্ষণ বিমান বিধ্বস্তের পর থেকেই সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম যেন বিভীষিকাময় হয়ে উঠেছে। ফেসবুকে ঢুকলেই ওই দুর্ঘটনার মন খারাপ করা ছবি ও ভিডিও এড়িয়ে যাওয়ার উপায় নেই। স্ক্রল করতে করতে হঠাৎ চোখ আটকে যায় ‘এসএসসি ০৫-এইচএসসি ০৭’ গ্রুপের একটি পোস্টে।
৪ ঘণ্টা আগেজাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটের করিডরে আগের দিনের মতো চিৎকার-চেঁচামেচি ছিল না গতকাল মঙ্গলবার। ছিল না রক্তের জন্য ছোটাছুটি। হাসপাতালজুড়ে কেমন যেন একটা উৎকণ্ঠা। এই উৎকণ্ঠা দগ্ধ শিশুগুলোর স্বজনদের চোখেমুখে। সবার প্রার্থনা, আর যেন কোনো দুঃসংবাদ কানে না আসে, সব শিশু যেন সুস্থ হয়ে ওঠে।
৪ ঘণ্টা আগেশিক্ষার্থীদের প্রতি মমত্ববোধ ও দায়িত্ববোধের অসাধারণ উদাহরণ তৈরি করে গেলেন রাজধানীর মাইলস্টোন স্কুল অ্যান্ড কলেজের শিক্ষক মাহরীন চৌধুরী। যুদ্ধবিমানটি যখন তাঁর প্রতিষ্ঠানে বিধ্বস্ত হয়, তখনো তিনি অক্ষত ও সুস্থ ছিলেন। কিন্তু বিপদের মুখেই তিনি ঝাঁপিয়ে পড়েছিলেন নিজের সন্তানের মতো ছাত্রছাত্রীদের বাঁচাতে।
৪ ঘণ্টা আগেরাজধানীর উত্তরার দিয়াবাড়ির মাইলস্টোন স্কুল অ্যান্ড কলেজ প্রাঙ্গণে শিক্ষার্থীদের কোলাহল নেই। বিমানবাহিনীর বিধ্বস্ত প্রশিক্ষণ যুদ্ধবিমানের বিকট শব্দে থেমে গেছে সেই কোলাহল। থামেনি সন্তান বা স্বজনহারাদের বুকফাটা কান্না, মাতম। হাসপাতালে যন্ত্রণায় কাতরাচ্ছে আহত ও দগ্ধরা।
৪ ঘণ্টা আগে