নূরুন্নবী ফারুকী, ধামইরহাট (নওগাঁ)
সুবিশাল দীঘির চারপাশে শালবন। বর্ষা এলেই দীঘির বুক চিরে ফুটে ওঠে অজস্র পদ্ম। মৃদু হাওয়ায় দোল খাওয়া পদ্মফুলের হাসিতে যেন প্রাণ ফিরে পায় প্রকৃতি। তাই দেখে চোখ জুড়ায় দর্শনার্থীদেরও। পদ্মফুল আর পাতার আড়ালে লুকিয়ে থাকা পরিযায়ী পাখিদের বিচরণ দেখে বিষণ্ণ মনও নেচে ওঠে উচ্ছল আনন্দে। পাপড়ি ঝরে যাওয়া পদ্মের ডগায় জেগে ওঠা সুস্বাদু ভেটের (ফল) স্বাদ নিতে অনেকেই নেমে যান এক হাঁটুপানিতে।
চমৎকার এ দৃশ্যের দেখা মিলবে রাজশাহীর নওগাঁ জেলার ধামইরহাট উপজেলার পাইকবান্দা রেঞ্জের ধামইরহাট বিটে অবস্থিত আলতাদীঘিতে। উপজেলার ঐতিহাসিক ও গুরুত্বপূর্ণ স্থানের মধ্যে আলতাদীঘি অন্যতম। শালবনসহ ৬৫২ দশমিক ৩৭ একর আয়তনের আলতাদীঘির অবস্থান ভারতের কোলঘেঁষে। মূল দীঘিটির আয়তন প্রায় ৪৩ একর। ধারণা করা হয়, প্রাচীন দীঘিগুলোর মধ্যে এটাই সর্ববৃহৎ সচল দীঘি। ২০১১ সালের ১৪ ডিসেম্বর শালবনসহ আলতাদীঘিকে জাতীয় উদ্যান ঘোষণা করেছে পরিবেশ ও বন মন্ত্রণালয়।
ধারণা করা হয়, বাংলায় পাল আমলে আলতাদীঘি খনন করা হয়েছিল। তবে দীঘিকে ঘিরে রূপকথার শেষ নেই। লোকমুখে শোনা যায়, বরেন্দ্র অঞ্চলে একসময় প্রবল খরায় মাঠ-ঘাট পুড়ছিল। রাজ্যে খাবার পানির চরম সংকট দেখা দেয়। একদিন রানি স্বপ্নে দেখলেন তাঁকে হেঁটে যেতে হবে বহুদূর। যত দূর তিনি হাঁটবেন তত দূর পর্যন্ত একটি দীঘি খনন করে দিলেই রাজ্যে পানির অভাব মোচন হবে। এ কারণে রাজা বিশ্বনাথ জগদলের কাছে আবদার করে বসলেন রানি। ওয়াদা করিয়ে নিলেন, ‘সকালে ঘুম থেকে উঠে আমি যত দূর পর্যন্ত হেঁটে যেতে পারব, তত দূর পর্যন্ত একটি দীঘি খনন করে দিতে হবে।’
রানি তাঁর কথামতো হেঁটে চলেছেন তো চলেছেন। আর থামেন না। রাজা, উজির, নাজির পড়লেন বেকায়দায়। এত লম্বা দীঘি খনন করবেন কী করে? তাই কৌশলে পায়ে আলতা ঢেলে দিয়ে পা কেটে গেছে বলে রানির চলার পথ বন্ধ করে দেন। সেই থেকে এই দীঘির নামকরণ করা হয় আলতাদীঘি।
পদ্মফুলের বাহার ছাড়াও দীঘিতে গেলে শুনতে পাওয়া যাবে পরিযায়ী পাখিদের কিচিরমিচির আওয়াজ। দীঘির জলে দাপিয়ে বেড়ানো পাখিদের মধ্যে রাজ সরালি, পাতি সরালি, বালিহাঁস, রাজহাঁস, মান্দারিন হাঁস, গোলাপি রাজহাঁস, ঝুঁটি হাঁস, চখাচখি, চীনা হাঁস, কালোহাঁস, বুনোহাঁস, লাল শির, নীল শীর, মানিকজোড়, জলপিপি, ডুবুরি পাখি, হরিয়াল পাখি, রামঘুঘু ও কাদাখোঁচা অন্যতম।
জয়পুরহাট থেকে ঘুরতে আসা দর্শনার্থী রোকছানা ও তাঁর স্বামী আব্দুল গফুর বলেন, ‘করোনায় পরিবার নিয়ে ঘরে একরকম বন্দিজীবন কাটছিল। তাই পরিবারকে নিয়ে আলতাদীঘি এলাম।’ তবে আব্দুল গফুর জানান, এখানে নিরাপত্তার অনেক অভাব রয়েছে। তা ছাড়া দর্শনার্থীদের বিশ্রামের জন্য নেই কোনো বিশ্রামাগার। বনবিট কর্মকর্তা আবদুল মান্নান জানান, আগামী বছর আলতাদীঘির অবকাঠামো উন্নয়নে বিভিন্ন কর্মপরিকল্পনা হাতে নেওয়া হয়েছে।
সুবিশাল দীঘির চারপাশে শালবন। বর্ষা এলেই দীঘির বুক চিরে ফুটে ওঠে অজস্র পদ্ম। মৃদু হাওয়ায় দোল খাওয়া পদ্মফুলের হাসিতে যেন প্রাণ ফিরে পায় প্রকৃতি। তাই দেখে চোখ জুড়ায় দর্শনার্থীদেরও। পদ্মফুল আর পাতার আড়ালে লুকিয়ে থাকা পরিযায়ী পাখিদের বিচরণ দেখে বিষণ্ণ মনও নেচে ওঠে উচ্ছল আনন্দে। পাপড়ি ঝরে যাওয়া পদ্মের ডগায় জেগে ওঠা সুস্বাদু ভেটের (ফল) স্বাদ নিতে অনেকেই নেমে যান এক হাঁটুপানিতে।
চমৎকার এ দৃশ্যের দেখা মিলবে রাজশাহীর নওগাঁ জেলার ধামইরহাট উপজেলার পাইকবান্দা রেঞ্জের ধামইরহাট বিটে অবস্থিত আলতাদীঘিতে। উপজেলার ঐতিহাসিক ও গুরুত্বপূর্ণ স্থানের মধ্যে আলতাদীঘি অন্যতম। শালবনসহ ৬৫২ দশমিক ৩৭ একর আয়তনের আলতাদীঘির অবস্থান ভারতের কোলঘেঁষে। মূল দীঘিটির আয়তন প্রায় ৪৩ একর। ধারণা করা হয়, প্রাচীন দীঘিগুলোর মধ্যে এটাই সর্ববৃহৎ সচল দীঘি। ২০১১ সালের ১৪ ডিসেম্বর শালবনসহ আলতাদীঘিকে জাতীয় উদ্যান ঘোষণা করেছে পরিবেশ ও বন মন্ত্রণালয়।
ধারণা করা হয়, বাংলায় পাল আমলে আলতাদীঘি খনন করা হয়েছিল। তবে দীঘিকে ঘিরে রূপকথার শেষ নেই। লোকমুখে শোনা যায়, বরেন্দ্র অঞ্চলে একসময় প্রবল খরায় মাঠ-ঘাট পুড়ছিল। রাজ্যে খাবার পানির চরম সংকট দেখা দেয়। একদিন রানি স্বপ্নে দেখলেন তাঁকে হেঁটে যেতে হবে বহুদূর। যত দূর তিনি হাঁটবেন তত দূর পর্যন্ত একটি দীঘি খনন করে দিলেই রাজ্যে পানির অভাব মোচন হবে। এ কারণে রাজা বিশ্বনাথ জগদলের কাছে আবদার করে বসলেন রানি। ওয়াদা করিয়ে নিলেন, ‘সকালে ঘুম থেকে উঠে আমি যত দূর পর্যন্ত হেঁটে যেতে পারব, তত দূর পর্যন্ত একটি দীঘি খনন করে দিতে হবে।’
রানি তাঁর কথামতো হেঁটে চলেছেন তো চলেছেন। আর থামেন না। রাজা, উজির, নাজির পড়লেন বেকায়দায়। এত লম্বা দীঘি খনন করবেন কী করে? তাই কৌশলে পায়ে আলতা ঢেলে দিয়ে পা কেটে গেছে বলে রানির চলার পথ বন্ধ করে দেন। সেই থেকে এই দীঘির নামকরণ করা হয় আলতাদীঘি।
পদ্মফুলের বাহার ছাড়াও দীঘিতে গেলে শুনতে পাওয়া যাবে পরিযায়ী পাখিদের কিচিরমিচির আওয়াজ। দীঘির জলে দাপিয়ে বেড়ানো পাখিদের মধ্যে রাজ সরালি, পাতি সরালি, বালিহাঁস, রাজহাঁস, মান্দারিন হাঁস, গোলাপি রাজহাঁস, ঝুঁটি হাঁস, চখাচখি, চীনা হাঁস, কালোহাঁস, বুনোহাঁস, লাল শির, নীল শীর, মানিকজোড়, জলপিপি, ডুবুরি পাখি, হরিয়াল পাখি, রামঘুঘু ও কাদাখোঁচা অন্যতম।
জয়পুরহাট থেকে ঘুরতে আসা দর্শনার্থী রোকছানা ও তাঁর স্বামী আব্দুল গফুর বলেন, ‘করোনায় পরিবার নিয়ে ঘরে একরকম বন্দিজীবন কাটছিল। তাই পরিবারকে নিয়ে আলতাদীঘি এলাম।’ তবে আব্দুল গফুর জানান, এখানে নিরাপত্তার অনেক অভাব রয়েছে। তা ছাড়া দর্শনার্থীদের বিশ্রামের জন্য নেই কোনো বিশ্রামাগার। বনবিট কর্মকর্তা আবদুল মান্নান জানান, আগামী বছর আলতাদীঘির অবকাঠামো উন্নয়নে বিভিন্ন কর্মপরিকল্পনা হাতে নেওয়া হয়েছে।
ঈদুল আজহায় জমে উঠেছে ঢাকা ও আশেপাশের পর্যটন কেন্দ্রগুলো। আজ মঙ্গলবার বিকেল ৪টার পর থেকে ধীরে ধীরে পর্যটন কেন্দ্রে দর্শনার্থীরা আশা শুরু করে দিয়েছে। কোরবানি ঈদের দিনেই দর্শনার্থীদের সংখ্যাটা কম থাকলেও সন্ধ্যার পরে লোকসমাগম বেশি হবে বলে প্রত্যাশা সংশ্লিষ্টদের। বন্ধুবান্ধব, পরিবার-পরিজন
৫ মিনিট আগেচট্টগ্রাম নগরীকে কোরবানির বর্জ্যমুক্ত এবং একই সঙ্গে কোরবানির বর্জ্য অপসারণ কার্যক্রমের সমাপ্তির ঘোষণা করা হয়েছে। আজ শনিবার সন্ধ্যা নগরীর দামপাড়া চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের (চসিক) কন্ট্রোল রুমে মেয়র ডা. শাহাদাত হোসেন এই ঘোষণার কথা জানান।
১১ মিনিট আগেশেরপুরের শ্রীবরদী উপজেলায় ডোবায় পড়ে দুই শিশুর মৃত্যু হয়েছে। আজ শনিবার বিকেলে উপজেলার কাকিলাকুড়া ইউনিয়নের মলামারি গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।
১৩ মিনিট আগেঈদের চার দিন পর মেয়ের বিয়ে, তাই ঈদের সঙ্গে বিয়ের প্রস্তুতিও নিয়েছিলেন চট্টগ্রামের আনোয়ারার অটোচালক জানে আলম। করেছেন আত্মীয়–স্বজনদের কাছ থেকে ধারদেনাও। হঠাৎ ঈদের দিন সকালে লাগা আগুন থেকে কোনো রকম প্রাণে বাঁচলেও সংসারের সবকিছু পুড়ে ছাই হয়ে যায়।
১৭ মিনিট আগে