রাব্বিউল হাসান, কালাই (জয়পুরহাট)
করোনাভাইরাসের কারণে গণজমায়েতের ওপর নিষেধাজ্ঞা থাকায় সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ড বন্ধ রয়েছে। এতে কণ্ঠশিল্পী ও যন্ত্রশিল্পীসহ লোকসংগীতের সঙ্গে সম্পৃক্ত জয়পুরহাটের কালাই উপজেলার প্রায় অর্ধ শতাধিক জীবন থমকে গেছে। গানের মাধ্যমে গ্রাম বাংলার সংস্কৃতি তুলে ধরা এই মানুষগুলো দুর্বিষহ ও মানবেতর জীবনযাপন করছেন।
সরেজমিনে জানা যায়, উপজেলার লোক শিল্পীরা বিভিন্ন অনুষ্ঠানে মারফতি, মুর্শিদি, বাউল, ভাটিয়ালি, ভাওয়াইয়া, পল্লিগীতি ও দেহতত্ত্ব গান পরিবেশন করতেন। জীবিকার তাগিদে অনেকেই পেশা বদলেছেন। আর যাঁরা এই পেশা ছাড়তে পারছেন না তাঁদের জীবন হয়ে উঠেছে দুর্বিষহ। তাঁদের অনেকেই ধারদেনা করে সংসার চালাচ্ছেন।
কথা হয়, উপজেলার খরপা গ্রামের বংশীবাদক জিয়াউল হকের সঙ্গে। যার সুরের মূর্ছনায় মেতে উঠত মঞ্চ। তিনি আজকের পত্রিকাকে বলেন, আমি প্রায় ১৫ বছর ধরে এই পেশায় জড়িত। বাউল শিল্পীদের সঙ্গে বংশীবাদকের কাজ করি। বিভিন্ন জায়গায় অনুষ্ঠানের আমন্ত্রণ পেতাম। দূরের সেসব অনুষ্ঠানে অংশ গ্রহণ করলে ১২০০-১৫০০ টাকা ও নিজ এলাকায় ১০০০-১২০০ টাকা পারিশ্রমিক পেতাম।
তবে করোনা এসে যেন তাঁর সবকিছু ওলট পালট করে দিয়েছে। এখন জীবিকার তাগিদে পেশা বদলে হয়েছেন কাঠমিস্ত্রি। কাঠমিস্ত্রির কাজ করে কোনোভাবে চলছে সংসার। করোনার মধ্যে সবকিছুই থেমে গেছে, কমে গেছে রোজগার। কাজ না থাকলে বাড়িতে বসে থাকতে হয়। তাঁর আক্ষেপ, দেশে সবকিছু খুলে দেওয়া হচ্ছে কিন্তু তাঁদের অনুষ্ঠান করার অনুমতি মেলে না। এছাড়া করোনা আসার পরে থেকে এখন পর্যন্ত মেলেনি কোন সরকারি সাহায্য বা প্রণোদনাও।
বংশীবাদক জিয়াউল হকের সুনাম রয়েছে বেশ। তিনি বগুড়ার সান্তাহার, দুপচাঁচিয়া, আদমদীঘি, শিবগঞ্জ, সোনাতলা, ধুনট, শেরপুর, গাইবান্ধা, গোবিন্দগঞ্জ, জয়পুরহাট, কালাই, ক্ষেতলাল, আক্কেলপুর, দিনাজপুরের ঘোড়াঘাট, নওগাঁর নজিপুর, নিয়ামতপুর, মহাদেবপুরসহ দেশের বিভিন্ন জেলায় বাউল শিল্পীদের সঙ্গে বাঁশি বাজানোর জন্য আমন্ত্রণ পেতেন। এখন কাঠমিস্ত্রির কাজের পাশাপাশি অবসর সময়ে বাঁশির সুরে নিজেকে মগ্ন রাখেন।
কালাইয়ের ঐতিহ্যবাহী সংগঠন লোক সংস্কৃতি পরিষদের কণ্ঠশিল্পী হেলাল হোসেন আজকের পত্রিকাকে বলেন, করোনার কারণে কোনো সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান না হওয়ায় আমাদের মতো উপজেলার বহুশিল্পী আর্থিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত। বিভিন্ন দিবস ও উৎসব উপলক্ষে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান আয়োজকেরা সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন না করায় আমরা মানবেতর অবস্থায় দিন পার করছি।
কালাই উপজেলার সাংস্কৃতিক সংগঠক আব্দুল মজিদ আজকের পত্রিকাকে বলেন, উপজেলার প্রায় অর্ধ শতাধিকের বেশি লোক শিল্পী ও যন্ত্র শিল্পী করোনার কারণে মানবেতর ও দুর্বিষহ জীবনযাপন করছেন। এই করোনাকালে তাঁদের সরকারি সহায়তা দেওয়া গেলে কিছুটা হলেও উপকার হতো।
এ বিষয়ে বক্তব্যে দিতে অস্বীকৃতি জানান, কালাই উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) টুকটুক তালুকদার।
করোনাভাইরাসের কারণে গণজমায়েতের ওপর নিষেধাজ্ঞা থাকায় সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ড বন্ধ রয়েছে। এতে কণ্ঠশিল্পী ও যন্ত্রশিল্পীসহ লোকসংগীতের সঙ্গে সম্পৃক্ত জয়পুরহাটের কালাই উপজেলার প্রায় অর্ধ শতাধিক জীবন থমকে গেছে। গানের মাধ্যমে গ্রাম বাংলার সংস্কৃতি তুলে ধরা এই মানুষগুলো দুর্বিষহ ও মানবেতর জীবনযাপন করছেন।
সরেজমিনে জানা যায়, উপজেলার লোক শিল্পীরা বিভিন্ন অনুষ্ঠানে মারফতি, মুর্শিদি, বাউল, ভাটিয়ালি, ভাওয়াইয়া, পল্লিগীতি ও দেহতত্ত্ব গান পরিবেশন করতেন। জীবিকার তাগিদে অনেকেই পেশা বদলেছেন। আর যাঁরা এই পেশা ছাড়তে পারছেন না তাঁদের জীবন হয়ে উঠেছে দুর্বিষহ। তাঁদের অনেকেই ধারদেনা করে সংসার চালাচ্ছেন।
কথা হয়, উপজেলার খরপা গ্রামের বংশীবাদক জিয়াউল হকের সঙ্গে। যার সুরের মূর্ছনায় মেতে উঠত মঞ্চ। তিনি আজকের পত্রিকাকে বলেন, আমি প্রায় ১৫ বছর ধরে এই পেশায় জড়িত। বাউল শিল্পীদের সঙ্গে বংশীবাদকের কাজ করি। বিভিন্ন জায়গায় অনুষ্ঠানের আমন্ত্রণ পেতাম। দূরের সেসব অনুষ্ঠানে অংশ গ্রহণ করলে ১২০০-১৫০০ টাকা ও নিজ এলাকায় ১০০০-১২০০ টাকা পারিশ্রমিক পেতাম।
তবে করোনা এসে যেন তাঁর সবকিছু ওলট পালট করে দিয়েছে। এখন জীবিকার তাগিদে পেশা বদলে হয়েছেন কাঠমিস্ত্রি। কাঠমিস্ত্রির কাজ করে কোনোভাবে চলছে সংসার। করোনার মধ্যে সবকিছুই থেমে গেছে, কমে গেছে রোজগার। কাজ না থাকলে বাড়িতে বসে থাকতে হয়। তাঁর আক্ষেপ, দেশে সবকিছু খুলে দেওয়া হচ্ছে কিন্তু তাঁদের অনুষ্ঠান করার অনুমতি মেলে না। এছাড়া করোনা আসার পরে থেকে এখন পর্যন্ত মেলেনি কোন সরকারি সাহায্য বা প্রণোদনাও।
বংশীবাদক জিয়াউল হকের সুনাম রয়েছে বেশ। তিনি বগুড়ার সান্তাহার, দুপচাঁচিয়া, আদমদীঘি, শিবগঞ্জ, সোনাতলা, ধুনট, শেরপুর, গাইবান্ধা, গোবিন্দগঞ্জ, জয়পুরহাট, কালাই, ক্ষেতলাল, আক্কেলপুর, দিনাজপুরের ঘোড়াঘাট, নওগাঁর নজিপুর, নিয়ামতপুর, মহাদেবপুরসহ দেশের বিভিন্ন জেলায় বাউল শিল্পীদের সঙ্গে বাঁশি বাজানোর জন্য আমন্ত্রণ পেতেন। এখন কাঠমিস্ত্রির কাজের পাশাপাশি অবসর সময়ে বাঁশির সুরে নিজেকে মগ্ন রাখেন।
কালাইয়ের ঐতিহ্যবাহী সংগঠন লোক সংস্কৃতি পরিষদের কণ্ঠশিল্পী হেলাল হোসেন আজকের পত্রিকাকে বলেন, করোনার কারণে কোনো সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান না হওয়ায় আমাদের মতো উপজেলার বহুশিল্পী আর্থিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত। বিভিন্ন দিবস ও উৎসব উপলক্ষে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান আয়োজকেরা সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন না করায় আমরা মানবেতর অবস্থায় দিন পার করছি।
কালাই উপজেলার সাংস্কৃতিক সংগঠক আব্দুল মজিদ আজকের পত্রিকাকে বলেন, উপজেলার প্রায় অর্ধ শতাধিকের বেশি লোক শিল্পী ও যন্ত্র শিল্পী করোনার কারণে মানবেতর ও দুর্বিষহ জীবনযাপন করছেন। এই করোনাকালে তাঁদের সরকারি সহায়তা দেওয়া গেলে কিছুটা হলেও উপকার হতো।
এ বিষয়ে বক্তব্যে দিতে অস্বীকৃতি জানান, কালাই উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) টুকটুক তালুকদার।
ঠাকুরগাঁও ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালে জলাতঙ্ক প্রতিরোধী টিকার সংকট দেখা দিয়েছে। এতে চরম বিপাকে পড়েছেন রোগীরা। নিরুপায় হয়ে কেউ কেউ চড়া দামে বাইরে থেকে কিনছেন, কেউ আবার টিকা না পাওয়ার ভুগছেন দুশ্চিন্তায়।
৭ মিনিট আগেঐতিহাসিক ফারাক্কা লংমার্চ দিবস আজ শুক্রবার। পদ্মার উজানে ভারতের ফারাক্কা ব্যারাজ তৈরি করে পানি প্রত্যাহারের প্রতিবাদে ১৯৭৬ সালের এই দিনে মওলানা আবদুল হামিদ খান ভাসানীর নেতৃত্বে বাংলাদেশের লক্ষাধিক মানুষ রাজশাহীর ঐতিহাসিক মাদ্রাসা ময়দানে জমায়েত হয়েছিলেন। এখান থেকেই সেদিন মরণ বাঁধ ফারাক্কা অভিমুখে...
১০ মিনিট আগেবৃষ্টি হলেই সিলেট নগরীর অর্ধশতাধিক এলাকায় জলাবদ্ধতা দেখা দেয়। কোথাও গোড়ালি, আবার কোথাও হাঁটুপানি ওঠে। এতে জলজটে সীমাহীন ভোগান্তিতে পড়তে হয় নগরবাসীকে। নগরীর জলাবদ্ধতা নিরসনে প্রতিবছরই শতকোটি টাকার বাজেট নিয়ে বিভিন্ন খাল উদ্ধার, খনন ও ড্রেনেজ ব্যবস্থার উন্নয়নে কাজ করে সিলেট সিটি করপোরেশন...
১৫ মিনিট আগেরাজধানীর খিলক্ষেতের একটি পলিথিন কারখানায় সারা দিন পলিথিন তৈরির পর রাতের আঁধারে বস্তায় ভরে গাজীপুরের টঙ্গী বাজার এলাকায় নিয়ে বিক্রি করা হতো। একবার সিলগালার পরও গোপনে পলিথিন তৈরি করা হতো। ফের সেনাবাহিনী ও র্যাব যৌথ অভিযান চালিয়ে সিলগালা করে দেওয়া হয়েছে।
২ ঘণ্টা আগে